দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় পাহাড়ধসের তথ্য সংগ্রহে ‘ল্যান্ডস্লাইড অ্যাপ’

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৫, ০০: ৫৬

‘ল্যান্ডস্লাইড ইনভেন্টরি অ্যাপ’ উদ্বোধন ও সেক্টরভিত্তিক আগাম সতর্কতা বার্তাবিষয়ক জাতীয় পর্যায়ে পরামর্শ সভা’ আয়োজন করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন ও রাইমস।

বিজ্ঞাপন

রোববার গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি), সরকারি প্রতিনিধি, কারিগরি বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট খাতের অংশীজন এবং অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের সঙ্গে সমন্বয়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহায়তায় ইউরোপীয় সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইড এবং জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। এই মোবাইল অ্যাপটি সরকারের অনুমোদিত ‘ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিং রোডম্যাপ’-এর পিলার ২: “ঝুঁকি সম্পর্কিত তথ্য ও আগাম সতর্কতা” অংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যা বাংলাদেশের ভূমিধসপ্রবণ এলাকায় পূর্বাভাস- ভিত্তিক পদক্ষেপ ও আগাম সতর্কতা সংক্রান্ত তথ্য উন্নয়নে সহায়তা করবে।

উক্ত আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ল্যান্ডস্লাইড ইনভেন্টরি অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হয়, যা ভূমিধস সংক্রান্ত রিয়েল-টাইম তথ্য সরবরাহ করবে। সেভ দ্য চিলড্রেন ও রাইমস ইতোমধ্যে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের এ অ্যাপ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যেন ভূমিধসের পরবর্তী সময়ে ক্ষয়ক্ষতিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে সংগ্রহ করতে পারে। ইতোমধ্যে গত ২৯-৩০ মে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সংগঠিত ভূমিধসের তথ্য জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারে পরীক্ষামূলকভাবে সংযুক্ত হয়েছে।

এই অনুষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন শিক্ষাখাত, সরকারি মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য খাতের প্রতিনিধিদের একত্রিত করে সেক্টরভিত্তিক আগাম সতর্কতা বার্তা প্রণয়ণ ও যাচাই করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে। এর মাধ্যমে ভূমিধস ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানগত সমন্বয় ও প্রস্তুতি আরও জোরদার করার ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

সেভ দ্য চিল্ড্রেন-এর এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যের মাধ্যমে বান্দরবন ও চট্টগ্রামে পূর্বাভাসভিত্তিক আগাম কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। তারা দুর্যোগের সময় একত্রিত হয়ে প্রস্তুতিমূলক কাজ করে। তাদের কাজগুলো আরও গতিশীল করতে ল্যান্ডস্লাইড অ্যাপ-এর মতো কার্যকরী যেকোনও ধরনের সহায়তা বা সরবরাহ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, আজ যে উদ্ভাবনী অ্যাপটি চালু করা হলো, তা সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হোক, যারা এটিকে কাজে লাগাতে পারবেন। সরকার বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের জন্য পূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করেছে। এখন পরবর্তী ধাপ হলো প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় ও প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণকে প্রস্তুত ও সচেতন রাখা। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সম্মিলিত প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে আমরা এটি বাস্তবায়ন করতে পারবো।

ইউনিয়ন পর্যায়ে তাৎক্ষণিক সহায়তা ও সরবরাহ প্রস্তুত আছে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারে। এখন আমাদের প্রতিটি গ্রাম ও ঘরে দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাসমূলক সচেতনতা ও প্রস্তুতি বাড়াতে হবে। আমাদের এই অ্যাপটি আরও কার্যকর করতে স্থানীয় জনগণের ফিডব্যাক দরকার, যাতে তারাই এটি সবচেয়ে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত