আবু সুফিয়ান
সাধারণ জনগণের জন্য ইন্টারনেট খরচ কমাতে নতুন ট্যারিফ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই নতুন হার অনুযায়ী, ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট সেবার মাসিক মূল্য হবে ৪০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ১,১০০ টাকা। বর্তমানে এসব প্যাকেজের দাম যথাক্রমে ৫০০, ৮০০ ও ১,২০০ টাকা।
বিটিআরসি বলছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং গ্রাহক পর্যায়ে ব্যয় হ্রাস করে ইন্টারনেট প্রবেশাধিকারকে আরো বিস্তৃত করা। তবে এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নিয়ে সরাসরি সম্মতি দেয়নি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো (আইএসপি)।
গত ১৫ জুন বিটিআরসির কাছে এই অনীহার কথা জানিয়ে চিঠি দেয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিমের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন হার বাস্তবায়ন আর্থিকভাবে কঠিন হবে এবং এতে সেবার মানও ব্যাহত হতে পারে। এ ছাড়া তারা বিটিআরসির কাছে নীতিগত ব্যাখ্যা বা ‘ক্ল্যারিফিকেশন’ চেয়েছে এই অ্যাসোসিয়েশন।
আইএসপিএবির মতে, সেবার মান বজায় রাখার পাশাপাশি খরচ মেটানো তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠবে যদি প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সহায়তা, কর হ্রাস বা মূল্য ছাড় না দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আমিনুল হাকিম আমার দেশকে বলেন, সরকার ইন্টারনেট সেবার দাম সবার নাগালে আনতে চাইলেও বাস্তব কাঠামো সেই লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি করছে। আইএসপিরা একাধিক স্তরে ব্যান্ডউইথ কিনে থাকে, যেখানে সরকার ৫০-৫৫ শতাংশ পর্যন্ত রাজস্ব নেয়। পাশের দেশগুলোর তুলনায় এই কর অনেক বেশি।
যদিও আইটিসি, এনটিটিএন ও সাবমেরিন ক্যাবল পর্যায়ে দাম কমানোর ঘোষণা এসেছে, বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। অথচ সরকার ১ জুলাই থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ২০ শতাংশ মূল্য হ্রাস চায়। বর্তমান কর, ভ্যাট ও রাজস্ব শেয়ার বজায় রেখে এই দাম কমানো অসম্ভব।
তবে ভোক্তারা বলছেন, আইএসপিগুলোর আপত্তি ও বাস্তবায়ন জটিলতা নতুন করে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফায়েজ আহমেদ তৈয়বের উদ্যোগে মে মাসে আইটিসি প্রতিষ্ঠান, সাবমেরিন ক্যাবল এবং এনটিটিএন পর্যায়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ভোক্তাপর্যায়ে দাম কমানোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং নতুন ট্যারিফ বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন।
ভোক্তারা বলছেন, বিশ্বব্যাপী যেখানে ইন্টারনেট একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের মতো ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের পথে থাকা একটি দেশে সাশ্রয়ী ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চমূল্যের কারণে গ্রামাঞ্চল ও নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য এখনো ইন্টারনেট অনেকাংশেই সীমিত।
এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কোনো ঘোষণা না এলেও, সাধারণ ভোক্তাদের প্রত্যাশা-বিটিআরসি দৃঢ় অবস্থান নেবে এবং আইএসপিগুলোকে বাধ্য করবে ট্যারিফ বাস্তবায়নে। একই সঙ্গে সেবার মান বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও থাকা জরুরি।
সাধারণ জনগণের জন্য ইন্টারনেট খরচ কমাতে নতুন ট্যারিফ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই নতুন হার অনুযায়ী, ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট সেবার মাসিক মূল্য হবে ৪০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ১,১০০ টাকা। বর্তমানে এসব প্যাকেজের দাম যথাক্রমে ৫০০, ৮০০ ও ১,২০০ টাকা।
বিটিআরসি বলছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং গ্রাহক পর্যায়ে ব্যয় হ্রাস করে ইন্টারনেট প্রবেশাধিকারকে আরো বিস্তৃত করা। তবে এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নিয়ে সরাসরি সম্মতি দেয়নি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো (আইএসপি)।
গত ১৫ জুন বিটিআরসির কাছে এই অনীহার কথা জানিয়ে চিঠি দেয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিমের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন হার বাস্তবায়ন আর্থিকভাবে কঠিন হবে এবং এতে সেবার মানও ব্যাহত হতে পারে। এ ছাড়া তারা বিটিআরসির কাছে নীতিগত ব্যাখ্যা বা ‘ক্ল্যারিফিকেশন’ চেয়েছে এই অ্যাসোসিয়েশন।
আইএসপিএবির মতে, সেবার মান বজায় রাখার পাশাপাশি খরচ মেটানো তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠবে যদি প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সহায়তা, কর হ্রাস বা মূল্য ছাড় না দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আমিনুল হাকিম আমার দেশকে বলেন, সরকার ইন্টারনেট সেবার দাম সবার নাগালে আনতে চাইলেও বাস্তব কাঠামো সেই লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি করছে। আইএসপিরা একাধিক স্তরে ব্যান্ডউইথ কিনে থাকে, যেখানে সরকার ৫০-৫৫ শতাংশ পর্যন্ত রাজস্ব নেয়। পাশের দেশগুলোর তুলনায় এই কর অনেক বেশি।
যদিও আইটিসি, এনটিটিএন ও সাবমেরিন ক্যাবল পর্যায়ে দাম কমানোর ঘোষণা এসেছে, বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। অথচ সরকার ১ জুলাই থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ২০ শতাংশ মূল্য হ্রাস চায়। বর্তমান কর, ভ্যাট ও রাজস্ব শেয়ার বজায় রেখে এই দাম কমানো অসম্ভব।
তবে ভোক্তারা বলছেন, আইএসপিগুলোর আপত্তি ও বাস্তবায়ন জটিলতা নতুন করে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফায়েজ আহমেদ তৈয়বের উদ্যোগে মে মাসে আইটিসি প্রতিষ্ঠান, সাবমেরিন ক্যাবল এবং এনটিটিএন পর্যায়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ভোক্তাপর্যায়ে দাম কমানোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং নতুন ট্যারিফ বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন।
ভোক্তারা বলছেন, বিশ্বব্যাপী যেখানে ইন্টারনেট একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের মতো ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের পথে থাকা একটি দেশে সাশ্রয়ী ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চমূল্যের কারণে গ্রামাঞ্চল ও নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য এখনো ইন্টারনেট অনেকাংশেই সীমিত।
এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কোনো ঘোষণা না এলেও, সাধারণ ভোক্তাদের প্রত্যাশা-বিটিআরসি দৃঢ় অবস্থান নেবে এবং আইএসপিগুলোকে বাধ্য করবে ট্যারিফ বাস্তবায়নে। একই সঙ্গে সেবার মান বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও থাকা জরুরি।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
২ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৪ ঘণ্টা আগে