বর্ষাকাল গত হয়ে শরৎকালও শেষের দিকে। তারপরও বৃষ্টি তার খেয়াল-খুশিমতো যখন-তখন অঝোরে ঝরছে। আর এমন বৃষ্টিভেজা দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা।
আর তা যদি হয় নারকেল ভর্তা, কাবাব, বেগুন ভাজি আর মুরগির মাংস ভুনা দিয়ে, তাহলে তো রসনাতৃপ্তি হবেই।
নারকেলের দুধের খিচুড়ি
উপকরণ : নারকেল ১টি, চাল ১ কেজি, মুগ ডাল ২৫০ গ্রাম, কাঁচামরিচ ৫টি, ধনেপাতা-কুচি ২ চা চামচ, হলুদ ১ চা চামচ, জিরা ১ চা চামচ, ঘি পরিমাণমতো ও গরমমসলা গুঁড়া ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি : নারকেল কুরে তা থেকে দুধ বের করে চাল ও ডাল ভেজে নারকেল দুধে আধা সেদ্ধ করুন। কড়াইয়ের ঘি গরম করে জিরা, তেজপাতা ও কাঁচামরিচ ফোড়ন দিয়ে দিন। এতে আলু, টমেটো ও মটরশুঁটি দিয়ে ভেজে তাতে চাল-ডাল ঢেলে নাড়তে থাকুন। হলুদ, লবণ ও চিনি দিন। সব সেদ্ধ হয়ে মাখা মাখা হলে নামিয়ে সামান্য ঘি ও গরমমসলা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।

মুরগির মাংস ভুনা
উপকরণ : দেশি মুরগি ১টি (মাঝারি টুকরো করে কাটা), পেঁয়াজকুচি ১ কাপ ও বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা চামচ, জিরাগুঁড়া ১ চা চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা চামচ, গরমমসলা (এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি) ৩-৪ টুকরো করে, কাঁচামরিচ ৪টি, তেল পরিমাণমতো ও লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে একটি পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি করে ভাজুন। এরপর আদাবাটা, রসুনবাটা ও পেঁয়াজবাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। হলুদ, মরিচ, জিরা ও ধনেগুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে মসলা কষান। কষানো মসলায় মুরগির টুকরোগুলো দিয়ে দিন এবং ১০-১৫ মিনিট কষিয়ে নিন। প্রয়োজনে সামান্য গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন এবং মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে এবং গ্রেভি ঘন হয়ে এলে গরমমসলা দিয়ে দিন। সবশেষে কিছু পেঁয়াজকলি ও কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন।

