মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম
মেঘলা আকাশ। ক্ষণে ক্ষণে দমকা হাওয়া। কখনো লাল টকটকে সূর্যটাকে ঢেকে দেয় কালো মেঘের বিশালাকার খণ্ড। কখনোবা আবার প্রখর সূর্যরশ্মি। প্রকৃতির এমনই হেয়ালিপনা বলে দেয় মুষলধারার বৃষ্টির আভাস। আদি ঢাকার সন্তান হলেও বৃষ্টিবিলাসে আমার মন টানে বেশ। সেই রেশ ধরেই মোটরবাইকে ছুটে যাই ঢাকার উপকণ্ঠে ধামরাই। শহরঘেঁষা হলেও কিন্তু এই উপজেলাটির নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনাতীত।
বর্ষায় ধামরাইর কাজিয়ালকুণ্ড, আড়ালিয়া, মাখুলিয়া, কানারচর ও মাধবপট্টিসহ সিঁতী গ্রামটা নতুন পানির আগমনে অসাধারণ হয়ে ওঠে। এসব গ্রামের মধ্যে কয়েকটিতে রয়েছে প্রচুর হিজল কড়চা গাছ, যা ভ্রমণপিপাসুদের মনে হাওরের অনুভূতি এনে দেয়। বংশী ও ধলেশ্বরী নদীঘেরা গ্রামের নিচু ফসলি মাঠগুলো বর্ষা আর বৃষ্টির পানিতে টইটম্বুর হয়ে ওঠে। হিজল কড়চা গাছগুলোর অবস্থা হয় ডুবুডুবু। গ্রামগুলো একটা থেকে আরেকটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেখতে অনেকটা দ্বীপের মতো লাগে। অধিবাসীদের চলাচলের মাধ্যম হয়ে ওঠে একমাত্র নৌকা। স্থানীয়রা তাদের কৃষি পেশা বদলে মাছ শিকারিতে পরিণত হন। থইথই পানিতে পাতিহাঁসের প্যাঁক প্যাঁক আওয়াজ, আর দলবদ্ধভাবে ভেসে বেড়ানোর অপরূপ দৃশ্য যে কারোই নজর কাড়ে।
ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় সামান্য ভাড়ায় কয়েক ঘণ্টা ঘুরে বেড়ানো যায়। টলটলে স্বচ্ছ পানির তলদেশের গভীরতা মুগ্ধ করে। ইচ্ছা হলেই ডুব সাঁতারে মেতে ওঠা যায়। সঙ্গে নেওয়া হ্যামোকে দোল খেতে খেতে ঝুম বৃষ্টি উপভোগ করতে পারলে দিনটি স্মরণীয় হয়ে রবে। খোলা আকাশ থেকে সরাসরি পানিতে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার যে মন্ত্রমুগ্ধ আওয়াজ, তা হয়তো আজও অনেক মানুষ শুনতেই পায়নি।
কড়া রোদেও হঠাৎ বৃষ্টি—শিয়াল মামার বিয়ে। এ রকম বিয়ের মজাটা মেলে যখন ঘুরতে গিয়ে ভাসমান নৌকায় ঝুপ করে বৃষ্টি আসে। আবহাওয়া, পরিবেশ ও পরিস্থিতিভেদে যেকোনো ভ্রমণের আনন্দ সীমাহীন হয়ে উঠতে পারে। ঝুপ করে আসা বৃষ্টি যদি ঝুম ঝরতে থাকে, তাহলে এর ভালো লাগার মাত্রা পরিমাপের আর সুযোগই থাকে না। দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের বন্ধুরা সবসময় এ রকম আকস্মিক ব্যাপারগুলোই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রাখে। চলতি মৌসুমে যারা সময়-সুযোগের অভাবে হাওরে যেতে পারছেন না, তাদের সেই আনন্দ অনেকটাই এখানকার বর্ষার পানি ও প্রকৃতির রূপে পাওয়া যেতে পারে।
ঘণ্টা খানেক নৌকায় ঘুরে ছবির মতো সুন্দর সিঁতী গ্রামের মেঠো পথে সারি সারি তালগাছের ছায়ায় হেঁটে বা অটোরিকশায় চড়ে আড়ালিয়া বাজার।
সেখানকার টং দোকানের গরম গরম আলুপুরি, শিঙাড়া ও গাভির দুধের মালাই চায়ের স্বাদ অসাধারণ। বাজারের পাশেই চৌটাইল গ্রামের পিঠ ঘেঁষে বয়ে গেছে ধলেশ্বরী নদী। নদীর বুকে ডুবসাঁতারে মাতামাতি করে শৈশবের স্মৃতি হাতড়ানোর মোক্ষম সুযোগ রয়েছে। বিনা টিকিটে ইচ্ছেমত গোসল করে চলে যেতে পারেন কাজিয়ালকুণ্ড। সড়কের দুপাশে সৃজন করা গাছের ছায়ায় পেতে রাখা বেঞ্চে বসে একবেলা পার করে দেওয়া যায় অনায়াসে। গাছের ফাঁক গলে হু-হু করে আসা ফুরফুরে বাতাস চরম গরমেও স্বস্তি এনে দেবে। ধানের নাড়ার স্তূপ ও পাখির ডাক অপার্থিব সময় পার করাবে।
ঘুরতে ঘুরতে সকাল গড়িয়ে দুপুর। পেটে নিশ্চয়ই লেগেছে টান। কাজিয়ালকুণ্ডের ঢুলীভিটা সড়কে রয়েছে নানা ক্যাটাগরির রেস্টুরেন্ট। খাবারের মানের চাইতে টাকাটা একটু বেশিই মনে হবে। এর চেয়ে ভালো নিজেরাই সদাইপাতি করে গ্রামের ভেতর কোনো টং দোকানিকে ম্যানেজ করে রান্না করিয়ে নিতে পারেন। এই রান্নার তরকারি আরো বেশি মজাদার, যেটাকে বলা হয় অল্প তেলে মচমচা। পেট ঠাণ্ডা তো সব ঠাণ্ডা। এবার হাঁটতে হাঁটতেই চলে যেতে পারেন মাখুলিয়া।
ধান শুকানোর মনোরম মুহূর্ত, মাঠ থেকে রাখালের গরু নিয়া বাড়ি ফেরার দৃশ্য এবং গ্রামের বউ-ঝিদের ধান গোলায় তোলার ব্যস্ততার চিত্রে পরিপূর্ণ মাখুলিয়া গ্রামটি যান্ত্রিক রাজধানীর পাশে অনন্য। মানুষগুলোও বেশ সহজেই আগন্তুকের সঙ্গে মিশে যায়। মানুষ ও গ্রামীণ পরিবেশ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। ততক্ষণে হয়তো কাঁঠাল-পাকা গরমে শরীরটা ঘেমে যাবে। ঘেমেই যখন গিয়েছে, তাহলে কানারচরের দিকে এগোনো যেতে পারে। সেখানটায় রয়েছে বিস্তৃত ফসলি জমি। মাটির গভীর থেকে ফসলের জন্য তোলা, শ্যালো মেশিনের নলের সামনে বসে আরো একবার গোসল করে নিন। আহ কী পানিরে!
চোখ যত দূর যায়, শুধু কাঁচাপাকা ধান আর ধান। মাথার ওপর আমগাছের ছায়া। সেই গাছে আবার ঝুলন্ত আম। অমন মনোরম পরিবেশে হিমহিম শীতল পানিতে মনভরে গোসল করা যেতেই পারে। আশ্চর্য ব্যাপার, এমন সুন্দর একটি গ্রাম, অথচ কে যে এর নাম কানারচর রাখলেন, তাকেই এখন খুঁজে বের করা সময়ের দাবি! হা হা হা!
সূর্যটা যখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়বে, ঠিক তখনই মধ্য ফোর্ডনগরে গিয়ে বটতলা ছাড়িয়ে বাঁশের সেতু মাড়িয়ে ইঞ্জিন বোটে চড়ে বংশী নদীতে ভেসে যাবেন। মাঝির সঙ্গে কথা হবে, ট্রলার যাবে দক্ষিণ দিকে। সঙ্গে নেবেন ছোলাবুট ভুনা, পেঁয়াজু ও হাতে ভাজা মুড়ি। মহিলা ও শিশুদের রুচির জন্য ফুটপাতে বসা দোকানির কাছ থেকে পাঁচমিশালি আচারও নেওয়া যেতে পারে। বর্ষার পানিতে বংশীর ফিরে আসা যৌবনের ছলাত ছলাত আওয়াজ, আর উন্মাদ হাওয়া গায়ে লাগিয়ে মাখানো মুড়ি খাওয়ার স্বাদ হবে অতুলনীয়। মাখা মুড়ি শেষ হওয়ার আগেই হয়তো আবিষ্কার করবেন জীবনটা এখানে অনেক সুন্দর। ভাসতে ভাসতে ভর সন্ধ্যায় নেমে পড়ুন সাভারের নামাবাজার গুদারা ঘাটে।
যাবেন কীভাবে : ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে নিজস্ব বা ভাড়া করা গাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, কিংবা গণপরিবহনে সাভারের থানা রোড হয়ে নামাবাজার ব্রিজের ওপর দিয়ে গিয়ে দিনে দিনে ঘুরে আসা যাবে। উপজেলা ধামরাই, কিন্তু সাভারের থানা রোড বা বাজার রোড দিয়ে এখানে যাতায়াত করা সহজ।
আরো কী দেখা যাবে : খুব ভোরে পৌঁছাতে পারলে আড়ালিয়ার পাশে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার নয়নাভিরাম খড়ারচর, কাংশা ও ফড়িঙ্গা গ্রামগুলোও ঘুরে আসা যাবে। গ্রামগুলো রাজধানীর পাশে হলেও এখনো আবহমান বাংলার আদি সৌন্দর্যের দেখা মেলে। শোনা যায় চেনা-অচেনা পাখির গান। পূর্ণিমায় ক্যাম্পিং করার জন্য ধলেশ্বরীর তীর হতে পারে অসাধারণ একটি জায়গা।
টিপস : গল্পের মতো ঘুরতে চাইলে সঙ্গে রাখুন কয়েক সেট পরিধেয় জামাকাপড়। ভোজনরসিক হলে সকালের নাস্তায় নামাবাজারের থাপড়ানো রুটি ও দই-মিষ্টি তালিকায় রাখতে পারেন।
মেঘলা আকাশ। ক্ষণে ক্ষণে দমকা হাওয়া। কখনো লাল টকটকে সূর্যটাকে ঢেকে দেয় কালো মেঘের বিশালাকার খণ্ড। কখনোবা আবার প্রখর সূর্যরশ্মি। প্রকৃতির এমনই হেয়ালিপনা বলে দেয় মুষলধারার বৃষ্টির আভাস। আদি ঢাকার সন্তান হলেও বৃষ্টিবিলাসে আমার মন টানে বেশ। সেই রেশ ধরেই মোটরবাইকে ছুটে যাই ঢাকার উপকণ্ঠে ধামরাই। শহরঘেঁষা হলেও কিন্তু এই উপজেলাটির নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনাতীত।
বর্ষায় ধামরাইর কাজিয়ালকুণ্ড, আড়ালিয়া, মাখুলিয়া, কানারচর ও মাধবপট্টিসহ সিঁতী গ্রামটা নতুন পানির আগমনে অসাধারণ হয়ে ওঠে। এসব গ্রামের মধ্যে কয়েকটিতে রয়েছে প্রচুর হিজল কড়চা গাছ, যা ভ্রমণপিপাসুদের মনে হাওরের অনুভূতি এনে দেয়। বংশী ও ধলেশ্বরী নদীঘেরা গ্রামের নিচু ফসলি মাঠগুলো বর্ষা আর বৃষ্টির পানিতে টইটম্বুর হয়ে ওঠে। হিজল কড়চা গাছগুলোর অবস্থা হয় ডুবুডুবু। গ্রামগুলো একটা থেকে আরেকটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেখতে অনেকটা দ্বীপের মতো লাগে। অধিবাসীদের চলাচলের মাধ্যম হয়ে ওঠে একমাত্র নৌকা। স্থানীয়রা তাদের কৃষি পেশা বদলে মাছ শিকারিতে পরিণত হন। থইথই পানিতে পাতিহাঁসের প্যাঁক প্যাঁক আওয়াজ, আর দলবদ্ধভাবে ভেসে বেড়ানোর অপরূপ দৃশ্য যে কারোই নজর কাড়ে।
ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় সামান্য ভাড়ায় কয়েক ঘণ্টা ঘুরে বেড়ানো যায়। টলটলে স্বচ্ছ পানির তলদেশের গভীরতা মুগ্ধ করে। ইচ্ছা হলেই ডুব সাঁতারে মেতে ওঠা যায়। সঙ্গে নেওয়া হ্যামোকে দোল খেতে খেতে ঝুম বৃষ্টি উপভোগ করতে পারলে দিনটি স্মরণীয় হয়ে রবে। খোলা আকাশ থেকে সরাসরি পানিতে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার যে মন্ত্রমুগ্ধ আওয়াজ, তা হয়তো আজও অনেক মানুষ শুনতেই পায়নি।
কড়া রোদেও হঠাৎ বৃষ্টি—শিয়াল মামার বিয়ে। এ রকম বিয়ের মজাটা মেলে যখন ঘুরতে গিয়ে ভাসমান নৌকায় ঝুপ করে বৃষ্টি আসে। আবহাওয়া, পরিবেশ ও পরিস্থিতিভেদে যেকোনো ভ্রমণের আনন্দ সীমাহীন হয়ে উঠতে পারে। ঝুপ করে আসা বৃষ্টি যদি ঝুম ঝরতে থাকে, তাহলে এর ভালো লাগার মাত্রা পরিমাপের আর সুযোগই থাকে না। দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের বন্ধুরা সবসময় এ রকম আকস্মিক ব্যাপারগুলোই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রাখে। চলতি মৌসুমে যারা সময়-সুযোগের অভাবে হাওরে যেতে পারছেন না, তাদের সেই আনন্দ অনেকটাই এখানকার বর্ষার পানি ও প্রকৃতির রূপে পাওয়া যেতে পারে।
ঘণ্টা খানেক নৌকায় ঘুরে ছবির মতো সুন্দর সিঁতী গ্রামের মেঠো পথে সারি সারি তালগাছের ছায়ায় হেঁটে বা অটোরিকশায় চড়ে আড়ালিয়া বাজার।
সেখানকার টং দোকানের গরম গরম আলুপুরি, শিঙাড়া ও গাভির দুধের মালাই চায়ের স্বাদ অসাধারণ। বাজারের পাশেই চৌটাইল গ্রামের পিঠ ঘেঁষে বয়ে গেছে ধলেশ্বরী নদী। নদীর বুকে ডুবসাঁতারে মাতামাতি করে শৈশবের স্মৃতি হাতড়ানোর মোক্ষম সুযোগ রয়েছে। বিনা টিকিটে ইচ্ছেমত গোসল করে চলে যেতে পারেন কাজিয়ালকুণ্ড। সড়কের দুপাশে সৃজন করা গাছের ছায়ায় পেতে রাখা বেঞ্চে বসে একবেলা পার করে দেওয়া যায় অনায়াসে। গাছের ফাঁক গলে হু-হু করে আসা ফুরফুরে বাতাস চরম গরমেও স্বস্তি এনে দেবে। ধানের নাড়ার স্তূপ ও পাখির ডাক অপার্থিব সময় পার করাবে।
ঘুরতে ঘুরতে সকাল গড়িয়ে দুপুর। পেটে নিশ্চয়ই লেগেছে টান। কাজিয়ালকুণ্ডের ঢুলীভিটা সড়কে রয়েছে নানা ক্যাটাগরির রেস্টুরেন্ট। খাবারের মানের চাইতে টাকাটা একটু বেশিই মনে হবে। এর চেয়ে ভালো নিজেরাই সদাইপাতি করে গ্রামের ভেতর কোনো টং দোকানিকে ম্যানেজ করে রান্না করিয়ে নিতে পারেন। এই রান্নার তরকারি আরো বেশি মজাদার, যেটাকে বলা হয় অল্প তেলে মচমচা। পেট ঠাণ্ডা তো সব ঠাণ্ডা। এবার হাঁটতে হাঁটতেই চলে যেতে পারেন মাখুলিয়া।
ধান শুকানোর মনোরম মুহূর্ত, মাঠ থেকে রাখালের গরু নিয়া বাড়ি ফেরার দৃশ্য এবং গ্রামের বউ-ঝিদের ধান গোলায় তোলার ব্যস্ততার চিত্রে পরিপূর্ণ মাখুলিয়া গ্রামটি যান্ত্রিক রাজধানীর পাশে অনন্য। মানুষগুলোও বেশ সহজেই আগন্তুকের সঙ্গে মিশে যায়। মানুষ ও গ্রামীণ পরিবেশ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। ততক্ষণে হয়তো কাঁঠাল-পাকা গরমে শরীরটা ঘেমে যাবে। ঘেমেই যখন গিয়েছে, তাহলে কানারচরের দিকে এগোনো যেতে পারে। সেখানটায় রয়েছে বিস্তৃত ফসলি জমি। মাটির গভীর থেকে ফসলের জন্য তোলা, শ্যালো মেশিনের নলের সামনে বসে আরো একবার গোসল করে নিন। আহ কী পানিরে!
চোখ যত দূর যায়, শুধু কাঁচাপাকা ধান আর ধান। মাথার ওপর আমগাছের ছায়া। সেই গাছে আবার ঝুলন্ত আম। অমন মনোরম পরিবেশে হিমহিম শীতল পানিতে মনভরে গোসল করা যেতেই পারে। আশ্চর্য ব্যাপার, এমন সুন্দর একটি গ্রাম, অথচ কে যে এর নাম কানারচর রাখলেন, তাকেই এখন খুঁজে বের করা সময়ের দাবি! হা হা হা!
সূর্যটা যখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়বে, ঠিক তখনই মধ্য ফোর্ডনগরে গিয়ে বটতলা ছাড়িয়ে বাঁশের সেতু মাড়িয়ে ইঞ্জিন বোটে চড়ে বংশী নদীতে ভেসে যাবেন। মাঝির সঙ্গে কথা হবে, ট্রলার যাবে দক্ষিণ দিকে। সঙ্গে নেবেন ছোলাবুট ভুনা, পেঁয়াজু ও হাতে ভাজা মুড়ি। মহিলা ও শিশুদের রুচির জন্য ফুটপাতে বসা দোকানির কাছ থেকে পাঁচমিশালি আচারও নেওয়া যেতে পারে। বর্ষার পানিতে বংশীর ফিরে আসা যৌবনের ছলাত ছলাত আওয়াজ, আর উন্মাদ হাওয়া গায়ে লাগিয়ে মাখানো মুড়ি খাওয়ার স্বাদ হবে অতুলনীয়। মাখা মুড়ি শেষ হওয়ার আগেই হয়তো আবিষ্কার করবেন জীবনটা এখানে অনেক সুন্দর। ভাসতে ভাসতে ভর সন্ধ্যায় নেমে পড়ুন সাভারের নামাবাজার গুদারা ঘাটে।
যাবেন কীভাবে : ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে নিজস্ব বা ভাড়া করা গাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, কিংবা গণপরিবহনে সাভারের থানা রোড হয়ে নামাবাজার ব্রিজের ওপর দিয়ে গিয়ে দিনে দিনে ঘুরে আসা যাবে। উপজেলা ধামরাই, কিন্তু সাভারের থানা রোড বা বাজার রোড দিয়ে এখানে যাতায়াত করা সহজ।
আরো কী দেখা যাবে : খুব ভোরে পৌঁছাতে পারলে আড়ালিয়ার পাশে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার নয়নাভিরাম খড়ারচর, কাংশা ও ফড়িঙ্গা গ্রামগুলোও ঘুরে আসা যাবে। গ্রামগুলো রাজধানীর পাশে হলেও এখনো আবহমান বাংলার আদি সৌন্দর্যের দেখা মেলে। শোনা যায় চেনা-অচেনা পাখির গান। পূর্ণিমায় ক্যাম্পিং করার জন্য ধলেশ্বরীর তীর হতে পারে অসাধারণ একটি জায়গা।
টিপস : গল্পের মতো ঘুরতে চাইলে সঙ্গে রাখুন কয়েক সেট পরিধেয় জামাকাপড়। ভোজনরসিক হলে সকালের নাস্তায় নামাবাজারের থাপড়ানো রুটি ও দই-মিষ্টি তালিকায় রাখতে পারেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৪ ঘণ্টা আগে