বিউটি হাসু
আমাদের সবারই শিকড় গ্রামে। অনেকেরই শৈশব কেটেছে সবুজের সমারোহে। চারপাশের সবুজময় বিচিত্র গাছপালার ছায়ায়, মায়ায়, সজীবতায় সরস সময় কেটেছে। বুনো ফুলের বর্ণাঢ্য রূপ আর গন্ধের মাদকতায় বাধা পড়ে আছে আমাদের সোনালি অতীত। শহুরে যাপিত জীবনের নানান টানাপড়েনে দীর্ঘদিন সেই সবুজকে নিবিড়ভাবে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয় না। তবে ইচ্ছেশক্তি একটু তীব্র হলেই প্রিয় গাছগুলো জায়গা পেতে পারে ছাদ কিংবা এক চিলতে বারান্দায়। পরিকল্পিতভাবে তৈরি করতে পারেন একটি শখের বাগান। এতে যেমন বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধন হবে, তেমনি টাটকা সবজি খাওয়ার চাহিদাও মিটবে অনায়াসে। শুধু তা-ই নয়, এতে মিলবে চোখ ও মনের প্রশান্তিও।
আর এই ইচ্ছেশক্তিকে কাজে লাগিয়ে যিনি বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন প্রশান্তিময় এক টুকরো সবুজ অরণ্য, তিনি পেশায় ব্যাংকার ও লেখক। টাকাকড়ির হিসাব নিয়েই যার ব্যস্ত থাকার কথা, তিনি তার ছাদবাগানে গড়ে তুলেছেন এক টুকরো দৃষ্টিনন্দন বাগান। ফুল-ফল, সবজি কী নেই তার ছাদবাগানে। বলেছিলাম শৌখিন বাগানচাষি ফখরুল আবেদীন মিলনের কথা। তিনি ঢাকা ব্যাংকে হেড অব সিআরএম (Head of Credit Risk Management at Dhaka Bank) হিসেবে কর্মরত।
সাধারণত চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর অনেকে বাগান করায় মনোনিবেশ করেন। ব্যাংকার মিলন কর্মব্যস্ত জীবনেই ধানমন্ডিতে তার বাসার ছাদে গড়ে তুলেছেন এক টুকরো সবুজ অরণ্য। তার ছাদবাগানে রয়েছে হরেকরকম ফল-ফসলের সমাহার।
কবে থেকে কীভাবে বাগান করা শুরু করেছেন?
এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বাগান শুরু করেছি ২০১৯ সালে। প্রথমে ৫-৭টি টব দিয়ে শুরু করি। তারপর ধীরে ধীরে এক-দুটো করে টব বাড়াতে বাড়াতে এখন ৪০০-এর বেশি টব আর ক্রেট (কেস) হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নার্সারি থেকেই সরাসরি চারা কিনে এনে বাগানের শুরু করেছি। শুরুতে বাগান ছোট ছিল।
বাগান করার ভাবনা কীভাবে মাথায় এলো?
উত্তরে বলেন, আমার জন্ম ঢাকার শহীদবাগে। বাসার সামনে একটি উঠান ছিল সে সময়। সেই উঠানের এক কোণে একটি ভাঙা সুটকেসে মাটি ভরে মিনি একটি বাগান করি- যা আমার ছোট্ট একটি জগৎ। তারপর সেই উঠানজুড়ে বিল্ডিং হলো আর আমার বাগান হারিয়ে গেল। আশা ছিল কোনো একদিন বড় হয়ে আবার একটি ছোট্ট বাগান করব। আবার আমার একটি নিজের জগৎ হবে। বলতে পারেন, সে ইচ্ছেটাই এখন বাস্তব করেছি।
এখন কীভাবে বাগান করছেন?
এ বিষয়ে তিনি বলেন, এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেই বীজ থেকে চারা করি। এই শীত মৌসুমে বীজ থেকে করা চারার মধ্যে আছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, গাজর, মুলা, টমেটো, লালশাক, পালংশাক, পুদিনা পাতা, ধনিয়াপাতা।
বর্তমানে তার বাগানে প্রায় ৪৩ প্রজাতির শাকসবজি আছে। শীতকালীন শাকসবজির মধ্যে আছে লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, শালগম, সর্ষে, টমেটো, মুলা, পালংশাক, লালশাক, ধনিয়াপাতা, গাজর, কাঁচামরিচ, ক্যাপসিকাম, শিমলা মরিচ, লেটুসপাতা, আলু, বেগুন, পুদিনাপাতা, পেঁয়াজ, রসুনসহ আরও অনেক কিছু।
আবার সরাসরি চারা লাগিয়ে ফলাচ্ছেন ক্যাপসিকাম, শিমলা মরিচ, কাঁচামরিচ, লাউ, শিম, করলা, বেগুন প্রভৃতি।
বাগানে কত ধরনের ফুলগাছ আছে?
তিনি জানান, শীতের সব ধরনের ফুল গাছ আছে বাগানে। গাঁদা থেকে সূর্যমুখী, পিটুনিয়া থেকে গোলাপ প্রায় সব ধরনের ফুলই আছে আমার ছাদবাগানে। ছাদের একটি বড় অংশজুড়ে গোলাপের বাগান আছে। সেখানে ৮-১০ রকমের গোলাপ এবং ৩২টির মতো গোলাপ গাছ আছে। সাদা-হলুদ-লাল-কালো প্রায় সব রঙের গোলাপ আছে আমার বাগানে।
কীভাবে বাগান করলে ভালো ফলন হয়?
এ প্রশ্নে তিনি এভাবে ধারণা দেন, বাগান করার আগে আপনাকে পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। যতগুলো গাছের যত্ন আপনি নিতে পারবেন, ঠিক ততগুলো গাছই লাগাবেন। যদি ছাদবাগান করেন, তাহলে গাছের ধরন অনুযায়ী গ্রুপে ভাগ করে নিন। একদিকে ফল গাছ রাখুন, একদিকে শাকসবজি; অন্যদিকে রাখুন ফুল। তাহলে বাগান দেখতে সুন্দর লাগবে আর যত্ন নিতেও সুবিধা হবে।
কোন গাছের জন্য কোন ধরনের মাটি লাগবে- সেটাও জেনে নেবেন। কোন গাছ কখন লাগাবেন, সেটা জানা খুবই জরুরি। ধরুন, গ্রীষ্মকালে আপনি টমেটো গাছ লাগালেন এবং ফল পেলেন না। এতে কিন্তু আপনি হতাশ হয়ে যাবেন।
আবার শীতকালে ঢেঁড়শ গাছ লাগালেন, তেমন ঢেঁড়শ পেলেন না। এক্ষেত্রেও আপনি হতাশ হবেন। তাই জেনে নেবেন কোন সময় কোন গাছ লাগাতে হবে।
বাগান পরিচর্যা সম্পর্কে কিছু বলুন…
এ সম্পর্কে তিনি পরামর্শ দেন, ছাদবাগানে গাছগুলো যেহেতু টবে লাগানো হয়, তাই পর্যাপ্ত পানি আর সার দেওয়া জরুরি। পানি ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না, তেমনি অতিরিক্ত পানি দিলেও গাছ মরে যাবে। তাই পরিমিত পানি দিতে হবে। কোন গাছে কেমন পানি দিতে হবে, তা অবশ্যই জেনে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চেষ্টা করবেন সব সময় জৈবসার ব্যবহার করতে। গোবর সার, কেঁচো সার, সরিষার খৈল, হাড়ের গুঁলো হলো জৈবসার। এসব সার গাছের জন্য খুবই ভালো। মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণে মিশ্রসার দিতে পারেন, যাতে গাছ সব ধরনের ভিটামিন বা মিনারেল পায়।
রোগবালাই থেকে কীভাবে বাগান রক্ষা করেন?
এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ছাদবাগানে সবচেয়ে বড় শত্রু হলো পোকামাকড়। এদের আক্রমণে আপনার শখের বাগান অল্প কদিনেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
পোকামাকড় থেকে বাঁচার জন্য সব সময় গাছের ডাল-পাতা পরীক্ষা করবেন। পোকামাকড় যদি শুরুতেই ধ্বংস করতে পারেন, তাহলে আপনার বাগান বেঁচে যাবে এবং বাগান থাকবে সুরক্ষিত।
তিনি আরও বলেন, আক্রমণ যদি অল্প হয়, তাহলে সাবান পানি বা নিমের তেলের মতো সাধারণ ঘরোয়া ট্রিটমেন্টেই ভালো ফল পাবেন। আর যদি বড় বাগান হয় এবং আক্রমণের মাত্রা বেশি হয়, সেক্ষেত্রে স্বল্পমাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, রাসায়নিক সার দেওয়ার ১৪ দিন পর্যন্ত সেই সবজি বা ফল খাওয়া যাবে না।
কর্মব্যস্ত জীবনে কখন বাগানের কাজে সময় দেন?
উত্তরে তিনি জানান, বাগানের কাজের জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখি। এতে চমৎকার সময়ও কাটে। প্রতিদিন সকালে রুটিন করে বাগানে পানি দিই। সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোর বেশিরভাগ সময় ছাদে গাছের পরিচর্যা করেই কাটে। সে সঙ্গে নিজের হাতে ফলানো সবজি খেতে পারি পরিতৃপ্তি নিয়ে। নিজের হাতে চাষ করা ফলমূল, সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা! তাছাড়া বাগানের কাজটা তো এখন নেশার মতো হয়ে গেছে।
একজন মালিও রেখেছেন বলে তিনি জানান। মালি সপ্তাহে দুদিন এসে বাগানের কাজে তাকে সাহায্য করেন।
নতুন যারা বাগান করতে আগ্রহী, তাদের উদ্দেশে কিছু বলুন…
সফল এই বাগানচাষি বলেন, বাগান যখন করবেন, `তখন সেই বাগানের গাছ বাঁচানোর দায়িত্ব আপনারই। আজকাল বাগান নিয়ে ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। সেগুলোর সাহায্য নিন। বই আছে, সেগুলোও পড়তে পারেন। মনে রাখবেন, গাছ বাঁচে যত্ন আর ভালোবাসায়।`
ইটপাথরের নাগরিক সভ্যতা দ্রুত সজীবতা হারাচ্ছে। শ্বাসরুদ্ধকর সভ্যতায় গড়ে উঠেছে বড় বড় ইটপাথরের দালানকোঠা। বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে দিনদিন। তাই নিরাপদ পরিবেশ ও ভারসাম্য রক্ষায় ছাদবাগানের দিকে নজর দিতে হবে। এতে যেমন খাবারের চাহিদা পূরণ হবে, তেমনি সবুজের প্রশান্তিতে চোখও জুড়াবে আর মনও থাকবে প্রফুল্ল।
আমাদের সবারই শিকড় গ্রামে। অনেকেরই শৈশব কেটেছে সবুজের সমারোহে। চারপাশের সবুজময় বিচিত্র গাছপালার ছায়ায়, মায়ায়, সজীবতায় সরস সময় কেটেছে। বুনো ফুলের বর্ণাঢ্য রূপ আর গন্ধের মাদকতায় বাধা পড়ে আছে আমাদের সোনালি অতীত। শহুরে যাপিত জীবনের নানান টানাপড়েনে দীর্ঘদিন সেই সবুজকে নিবিড়ভাবে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয় না। তবে ইচ্ছেশক্তি একটু তীব্র হলেই প্রিয় গাছগুলো জায়গা পেতে পারে ছাদ কিংবা এক চিলতে বারান্দায়। পরিকল্পিতভাবে তৈরি করতে পারেন একটি শখের বাগান। এতে যেমন বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধন হবে, তেমনি টাটকা সবজি খাওয়ার চাহিদাও মিটবে অনায়াসে। শুধু তা-ই নয়, এতে মিলবে চোখ ও মনের প্রশান্তিও।
আর এই ইচ্ছেশক্তিকে কাজে লাগিয়ে যিনি বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন প্রশান্তিময় এক টুকরো সবুজ অরণ্য, তিনি পেশায় ব্যাংকার ও লেখক। টাকাকড়ির হিসাব নিয়েই যার ব্যস্ত থাকার কথা, তিনি তার ছাদবাগানে গড়ে তুলেছেন এক টুকরো দৃষ্টিনন্দন বাগান। ফুল-ফল, সবজি কী নেই তার ছাদবাগানে। বলেছিলাম শৌখিন বাগানচাষি ফখরুল আবেদীন মিলনের কথা। তিনি ঢাকা ব্যাংকে হেড অব সিআরএম (Head of Credit Risk Management at Dhaka Bank) হিসেবে কর্মরত।
সাধারণত চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর অনেকে বাগান করায় মনোনিবেশ করেন। ব্যাংকার মিলন কর্মব্যস্ত জীবনেই ধানমন্ডিতে তার বাসার ছাদে গড়ে তুলেছেন এক টুকরো সবুজ অরণ্য। তার ছাদবাগানে রয়েছে হরেকরকম ফল-ফসলের সমাহার।
কবে থেকে কীভাবে বাগান করা শুরু করেছেন?
এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বাগান শুরু করেছি ২০১৯ সালে। প্রথমে ৫-৭টি টব দিয়ে শুরু করি। তারপর ধীরে ধীরে এক-দুটো করে টব বাড়াতে বাড়াতে এখন ৪০০-এর বেশি টব আর ক্রেট (কেস) হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নার্সারি থেকেই সরাসরি চারা কিনে এনে বাগানের শুরু করেছি। শুরুতে বাগান ছোট ছিল।
বাগান করার ভাবনা কীভাবে মাথায় এলো?
উত্তরে বলেন, আমার জন্ম ঢাকার শহীদবাগে। বাসার সামনে একটি উঠান ছিল সে সময়। সেই উঠানের এক কোণে একটি ভাঙা সুটকেসে মাটি ভরে মিনি একটি বাগান করি- যা আমার ছোট্ট একটি জগৎ। তারপর সেই উঠানজুড়ে বিল্ডিং হলো আর আমার বাগান হারিয়ে গেল। আশা ছিল কোনো একদিন বড় হয়ে আবার একটি ছোট্ট বাগান করব। আবার আমার একটি নিজের জগৎ হবে। বলতে পারেন, সে ইচ্ছেটাই এখন বাস্তব করেছি।
এখন কীভাবে বাগান করছেন?
এ বিষয়ে তিনি বলেন, এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেই বীজ থেকে চারা করি। এই শীত মৌসুমে বীজ থেকে করা চারার মধ্যে আছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, গাজর, মুলা, টমেটো, লালশাক, পালংশাক, পুদিনা পাতা, ধনিয়াপাতা।
বর্তমানে তার বাগানে প্রায় ৪৩ প্রজাতির শাকসবজি আছে। শীতকালীন শাকসবজির মধ্যে আছে লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, শালগম, সর্ষে, টমেটো, মুলা, পালংশাক, লালশাক, ধনিয়াপাতা, গাজর, কাঁচামরিচ, ক্যাপসিকাম, শিমলা মরিচ, লেটুসপাতা, আলু, বেগুন, পুদিনাপাতা, পেঁয়াজ, রসুনসহ আরও অনেক কিছু।
আবার সরাসরি চারা লাগিয়ে ফলাচ্ছেন ক্যাপসিকাম, শিমলা মরিচ, কাঁচামরিচ, লাউ, শিম, করলা, বেগুন প্রভৃতি।
বাগানে কত ধরনের ফুলগাছ আছে?
তিনি জানান, শীতের সব ধরনের ফুল গাছ আছে বাগানে। গাঁদা থেকে সূর্যমুখী, পিটুনিয়া থেকে গোলাপ প্রায় সব ধরনের ফুলই আছে আমার ছাদবাগানে। ছাদের একটি বড় অংশজুড়ে গোলাপের বাগান আছে। সেখানে ৮-১০ রকমের গোলাপ এবং ৩২টির মতো গোলাপ গাছ আছে। সাদা-হলুদ-লাল-কালো প্রায় সব রঙের গোলাপ আছে আমার বাগানে।
কীভাবে বাগান করলে ভালো ফলন হয়?
এ প্রশ্নে তিনি এভাবে ধারণা দেন, বাগান করার আগে আপনাকে পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। যতগুলো গাছের যত্ন আপনি নিতে পারবেন, ঠিক ততগুলো গাছই লাগাবেন। যদি ছাদবাগান করেন, তাহলে গাছের ধরন অনুযায়ী গ্রুপে ভাগ করে নিন। একদিকে ফল গাছ রাখুন, একদিকে শাকসবজি; অন্যদিকে রাখুন ফুল। তাহলে বাগান দেখতে সুন্দর লাগবে আর যত্ন নিতেও সুবিধা হবে।
কোন গাছের জন্য কোন ধরনের মাটি লাগবে- সেটাও জেনে নেবেন। কোন গাছ কখন লাগাবেন, সেটা জানা খুবই জরুরি। ধরুন, গ্রীষ্মকালে আপনি টমেটো গাছ লাগালেন এবং ফল পেলেন না। এতে কিন্তু আপনি হতাশ হয়ে যাবেন।
আবার শীতকালে ঢেঁড়শ গাছ লাগালেন, তেমন ঢেঁড়শ পেলেন না। এক্ষেত্রেও আপনি হতাশ হবেন। তাই জেনে নেবেন কোন সময় কোন গাছ লাগাতে হবে।
বাগান পরিচর্যা সম্পর্কে কিছু বলুন…
এ সম্পর্কে তিনি পরামর্শ দেন, ছাদবাগানে গাছগুলো যেহেতু টবে লাগানো হয়, তাই পর্যাপ্ত পানি আর সার দেওয়া জরুরি। পানি ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না, তেমনি অতিরিক্ত পানি দিলেও গাছ মরে যাবে। তাই পরিমিত পানি দিতে হবে। কোন গাছে কেমন পানি দিতে হবে, তা অবশ্যই জেনে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চেষ্টা করবেন সব সময় জৈবসার ব্যবহার করতে। গোবর সার, কেঁচো সার, সরিষার খৈল, হাড়ের গুঁলো হলো জৈবসার। এসব সার গাছের জন্য খুবই ভালো। মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণে মিশ্রসার দিতে পারেন, যাতে গাছ সব ধরনের ভিটামিন বা মিনারেল পায়।
রোগবালাই থেকে কীভাবে বাগান রক্ষা করেন?
এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ছাদবাগানে সবচেয়ে বড় শত্রু হলো পোকামাকড়। এদের আক্রমণে আপনার শখের বাগান অল্প কদিনেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
পোকামাকড় থেকে বাঁচার জন্য সব সময় গাছের ডাল-পাতা পরীক্ষা করবেন। পোকামাকড় যদি শুরুতেই ধ্বংস করতে পারেন, তাহলে আপনার বাগান বেঁচে যাবে এবং বাগান থাকবে সুরক্ষিত।
তিনি আরও বলেন, আক্রমণ যদি অল্প হয়, তাহলে সাবান পানি বা নিমের তেলের মতো সাধারণ ঘরোয়া ট্রিটমেন্টেই ভালো ফল পাবেন। আর যদি বড় বাগান হয় এবং আক্রমণের মাত্রা বেশি হয়, সেক্ষেত্রে স্বল্পমাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, রাসায়নিক সার দেওয়ার ১৪ দিন পর্যন্ত সেই সবজি বা ফল খাওয়া যাবে না।
কর্মব্যস্ত জীবনে কখন বাগানের কাজে সময় দেন?
উত্তরে তিনি জানান, বাগানের কাজের জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখি। এতে চমৎকার সময়ও কাটে। প্রতিদিন সকালে রুটিন করে বাগানে পানি দিই। সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোর বেশিরভাগ সময় ছাদে গাছের পরিচর্যা করেই কাটে। সে সঙ্গে নিজের হাতে ফলানো সবজি খেতে পারি পরিতৃপ্তি নিয়ে। নিজের হাতে চাষ করা ফলমূল, সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা! তাছাড়া বাগানের কাজটা তো এখন নেশার মতো হয়ে গেছে।
একজন মালিও রেখেছেন বলে তিনি জানান। মালি সপ্তাহে দুদিন এসে বাগানের কাজে তাকে সাহায্য করেন।
নতুন যারা বাগান করতে আগ্রহী, তাদের উদ্দেশে কিছু বলুন…
সফল এই বাগানচাষি বলেন, বাগান যখন করবেন, `তখন সেই বাগানের গাছ বাঁচানোর দায়িত্ব আপনারই। আজকাল বাগান নিয়ে ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। সেগুলোর সাহায্য নিন। বই আছে, সেগুলোও পড়তে পারেন। মনে রাখবেন, গাছ বাঁচে যত্ন আর ভালোবাসায়।`
ইটপাথরের নাগরিক সভ্যতা দ্রুত সজীবতা হারাচ্ছে। শ্বাসরুদ্ধকর সভ্যতায় গড়ে উঠেছে বড় বড় ইটপাথরের দালানকোঠা। বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে দিনদিন। তাই নিরাপদ পরিবেশ ও ভারসাম্য রক্ষায় ছাদবাগানের দিকে নজর দিতে হবে। এতে যেমন খাবারের চাহিদা পূরণ হবে, তেমনি সবুজের প্রশান্তিতে চোখও জুড়াবে আর মনও থাকবে প্রফুল্ল।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে