ফরিদ উদ্দিন রনি
আয়েশা আশরাফি, ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে। ফরিদপুর ল’ কলেজ থেকে পাস করেছেন এলএলবি। বিয়ের পর গৃহিণী হিসেবে সাংসারিক জীবন শুরু করেন ফরিদপুর শহরে ভাটিলক্ষ্মীপুরতে স্বামীর পৈতৃক বাড়িতে। নিজেদের বাড়ির ছাদে শখের বসে পাঁচটি ফলের চারা রোপণ করেন। এর মধ্যে অল্পদিনে ভালো ফলন পাওয়ায় পরিবারের সবার সহযোগিতায় শুরু করেন পুরো ছাদে বাগান সৃজনের কাজ। পাশাপাশি তৈরি করতে থাকেন বিভিন্ন ফলের উন্নত জাতের চারা। বর্তমানে সারাদেশে চারাগাছ বিক্রি করে মাসে আয় করছেন কয়েক লাখ টাকা। গড়ে তুলেছেন আরো দুটি বাগান। গৃহিণী থেকে ছাদবাগানে আশরাফির সফল উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প লিখেছেন ফরিদ উদ্দিন রনি
শুরুটা যেভাবে
আমি পড়াশোনা করি ইডেন মহিলা কলেজে। বিয়ের পর চলে আসি স্বামীর পৈতৃক বাড়িতে। ফরিদপুর শহরে ভাটিলক্ষ্মীপুর স্বামীর বাড়ি। মা হই; সংসার জীবন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করি। এর মধ্যে শখ করে এক দিন বাসার বারান্দায় টবের মধ্যে কয়েকটি চারাগাছ লাগালাম। সকাল-সন্ধ্যা পানি দিয়ে পরিচর্যা করতে গিয়ে গাছগুলোর প্রতি একধরনের ভালোবাসা জন্মায়। সেখান থেকে পরিকল্পনা করি আমাদের ছাদ যেহেতু খালি, সেখানে কিছু ফলের গাছ লাগানো যায় কি না। যেই চিন্তা সেই কাজ—বাজার থেকে পাঁচটি ফলের চারা এনে লাগিয়েও দিলাম। নিয়মিত পরিচর্যাও করতে থাকলাম। কয়েক মাসের মধ্যে ভালো ফলন পেতে শুরু করলাম। তারপর প্রোপার পরিকল্পনা করে দুই হাজার স্কয়ারফিটের পুরো ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারা ও শাকসবজি চাষ শুরু করলাম। শুরুর দিকে কষ্ট করতে হয়েছে। অনক চারাগাছ টিকছিল না। বেশ কিছু গাছ রোধে কিংবা ঠিকমতো পরিচর্যার অভাবে মরে যেতে লাগল। কিন্তু আমি হাল ছেড়ে দিইনি। আগের তুলনায় আরো বেশি করে সময় দিতে লাগলাম এই ছাদবাগানের পেছনে। যে গাছগুলো মরে যেতে লাগল, এর পেছনে কারণ কী ছিল, তা খুঁজে বের করে পরিচর্যা সেভাবে করতে লাগলাম। এ ছাড়া কীভাবে ভালো ফলন পাওয়ার যায় তা নিয়ে নানা উপায়ন্তর বের করতে লাগলাম। তারপর তো আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
পরিবারে ফলের চাহিদা মেটে নিজেদের বাগান থেকে
বছরখানেকের মধ্যে আমাদের পরিবারের ফলমূলের চাহিদা নিজের ছাদবাগান থেকেই মিটতে লাগল। পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনের বাসায়ও পাঠাতে থাকি। বাজার থেকে ফলমূল আমাদের কেনার প্রয়োজন পড়ে না, যে ফলগুলো আমরা ছাদে চাষ করছি। সন্তানদের এই ফলগুলোই বেশি খাওয়াচ্ছি। কারণ, এগুলো বিষমুক্ত। নিজেদের বাগান থেকেই ফলের চাহিদা পূরণ করেও আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকি। প্রথমে শুরু করেছিলাম ফলের চারা লাগানোর মাধ্যমে, এর মধ্যে ফলের পাশাপাশি শাকসবজিও চাষ শুরু করি ছাদের একটা অংশে। সময়ের সঙ্গে বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারার সংখ্যা বাড়াতে লাগলাম। বর্তমানে প্রায় ২০০ প্রজাতির গাছ আছে। এর মধ্যে ৪০ প্রজাতির আনার গাছ, ত্বিন ফল, থাই সফেদা, থাই কদবেল, থাই আমড়া, আঙুর, ড্রাগন, কুল, শরিফা, থাই জামরুলসহ অসংখ্য প্রজাতির ফল চাষ করছি। একই সঙ্গে বেগুন, মরিচ, ধনেপাতা, লাউ, শিমসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করছি। গাছের ফলন বৃদ্ধিতে আমি সাধারণত অর্গানিক কীটনাশক ব্যবহার করে থাকি। পোকামাকড় দমনে প্রয়োজন হলে খুব অল্পমাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করি। কীটনাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকি, যাতে এসব ফল ও শাকসবজিতে মিশে গিয়ে শরীরে পরবর্তী ক্ষতির কারণ না হয়। কারণ, নতুন ফল ওঠানোর পর আগে নিজেদের বাসায় নিই, নিজেদের চাহিদা পূরণ শেষে তারপর অন্যস্থানে পাঠাই। গোবর সার, খৈল, পানি, কলার খোসা, ডিমের খোসাসহ বিভিন্ন দ্রব্য ব্যবহার করি। একধরনের কিচেন কম্পোস্ট তৈরি করে আমি সাধারণত গাছে দিই, যাতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
চারা বিক্রি করে মাসে আয় প্রায় লাখ টাকা
বাগানে ফল ও শাকসবজি চাষের পাশাপাশি ছয়-সাত বছর ধরে আমি বিভিন্ন প্রজাতির ফলের উন্নতমানের চারা তৈরি করে সারাদেশে বাগানিদের কাছে বিক্রি করছি। বছরে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার ছাদবাগানির কাছে চারা বিক্রি করে থাকি। বলা যায়, দেশের প্রায় প্রতিটি ছাদবাগানে আমার কাছ থেকে নেওয়া চারা আছে! চারা বিক্রির পাশাপাশি গাছের প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, গাছের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম আমিই সরবরাহ করে থাকি। ভালো ফলন পেতে নিয়মিত পরিচর্যার বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও দিয়ে থাকি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ অনলাইনে আমার কাছে থেকে চারা অর্ডার করে থাকেন। কুরিয়ারের মাধ্যম চারাগুলো ডেলিভারি দিই। চারা বিক্রির কাজটা শুরু করেছিলাম বাগান তৈরির এক-দুই বছর পর থেকে। আমি যখন বাগানের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতাম, তখন অসংখ্য মানুষ জানতে চাইতেন কীভাবে শুরু করতে পারেন তারা, কীভাবে এবং কোথা থেকে চারা সংগ্রহ করবেন, কীভাবে পরিচর্যা করবেন এসব। শুরু থেকেই আমি গুটিকলম ও গ্রাফটিং উভয় পদ্ধতিতে ফলের চারাগুলো তৈরি করছি, যখন ভিডিওতে চারার তৈরির দৃশ্যে পোস্ট করতাম, তখন মানুষ কেনার জন্য আগ্রহ দেখাতেন। তারপর থেকে নিজের বাগানের পাশাপাশি বিক্রির উদ্দেশ্যেও চারা তৈরি শুরু করলাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার ছাদবাগানের ভিডিওচিত্র দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেরা ছাদবাগান শুরু করছেন। বিশেষ করে গৃহিণীরা অনেকে আমার কাছ থেকে চারা নিয়ে ছাদবাগান শুরু করছেন। আমার বেশিরভাগ চারা বিক্রি হয় অনলাইনেই। চারা বিক্রি করে বছরে আয় হয় ১০ লাখের বেশি। কলামের কিছুদিন পর চারাগাছ একটু সবল হলে অর্ডারের ভিত্তিতে বাগানিদের কাছে কুরিয়ারে ডেলিভারি দিয়ে থাকি।
ফরিদপুরে করেছেন আরো দুটি বাগান
বাসার ছাদ ছাড়াও ফরিদপুর শহরেই আরো দুটো বাগান আছে আমার। ওই বাগানগুলো মাটিতে। দুটো বাগানেই শুধু আনার ফল চাষ করি আর চারা তৈরি করি। ছাদবাগান থেকে আয়ের টাকা দিয়েই এই বাগানগুলো করা হয়েছে। এই দুটো বাগানে মাদারগাছ থেকে আমি চারা তৈরি করে থাকি। সামনে পরিকল্পনা আছে আরো একটি মিশ্র বাগান তৈরি করার। ওই বাগানটা একটু বড় পরিসরে করব। সেখানে উন্নত জাতের পেয়েরা, ড্রাগন, আনার, আঙুরÑএগুলো চাষ করার পরিকল্পনা আছে। সে অনুযায়ী কাজও গোছাচ্ছি। কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করব। আমার বাগানগুলো নিয়মিত দেখাশোনা ও পরিচর্যার জন্য দুজন ছেলে আছে। তারা দুজনেই শিক্ষার্থী; পড়াশোনার পাশাপাশি আমার এখানে কাজ করে থাকে। আমার বাগান থেকে উপার্জিত টাকায় তাদের পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার খরচ চলে। সামনে বড় মিশ্র বাগানটি শুরু করলেও হয়তো আরো কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
আয়েশা আশরাফি, ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে। ফরিদপুর ল’ কলেজ থেকে পাস করেছেন এলএলবি। বিয়ের পর গৃহিণী হিসেবে সাংসারিক জীবন শুরু করেন ফরিদপুর শহরে ভাটিলক্ষ্মীপুরতে স্বামীর পৈতৃক বাড়িতে। নিজেদের বাড়ির ছাদে শখের বসে পাঁচটি ফলের চারা রোপণ করেন। এর মধ্যে অল্পদিনে ভালো ফলন পাওয়ায় পরিবারের সবার সহযোগিতায় শুরু করেন পুরো ছাদে বাগান সৃজনের কাজ। পাশাপাশি তৈরি করতে থাকেন বিভিন্ন ফলের উন্নত জাতের চারা। বর্তমানে সারাদেশে চারাগাছ বিক্রি করে মাসে আয় করছেন কয়েক লাখ টাকা। গড়ে তুলেছেন আরো দুটি বাগান। গৃহিণী থেকে ছাদবাগানে আশরাফির সফল উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প লিখেছেন ফরিদ উদ্দিন রনি
শুরুটা যেভাবে
আমি পড়াশোনা করি ইডেন মহিলা কলেজে। বিয়ের পর চলে আসি স্বামীর পৈতৃক বাড়িতে। ফরিদপুর শহরে ভাটিলক্ষ্মীপুর স্বামীর বাড়ি। মা হই; সংসার জীবন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করি। এর মধ্যে শখ করে এক দিন বাসার বারান্দায় টবের মধ্যে কয়েকটি চারাগাছ লাগালাম। সকাল-সন্ধ্যা পানি দিয়ে পরিচর্যা করতে গিয়ে গাছগুলোর প্রতি একধরনের ভালোবাসা জন্মায়। সেখান থেকে পরিকল্পনা করি আমাদের ছাদ যেহেতু খালি, সেখানে কিছু ফলের গাছ লাগানো যায় কি না। যেই চিন্তা সেই কাজ—বাজার থেকে পাঁচটি ফলের চারা এনে লাগিয়েও দিলাম। নিয়মিত পরিচর্যাও করতে থাকলাম। কয়েক মাসের মধ্যে ভালো ফলন পেতে শুরু করলাম। তারপর প্রোপার পরিকল্পনা করে দুই হাজার স্কয়ারফিটের পুরো ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারা ও শাকসবজি চাষ শুরু করলাম। শুরুর দিকে কষ্ট করতে হয়েছে। অনক চারাগাছ টিকছিল না। বেশ কিছু গাছ রোধে কিংবা ঠিকমতো পরিচর্যার অভাবে মরে যেতে লাগল। কিন্তু আমি হাল ছেড়ে দিইনি। আগের তুলনায় আরো বেশি করে সময় দিতে লাগলাম এই ছাদবাগানের পেছনে। যে গাছগুলো মরে যেতে লাগল, এর পেছনে কারণ কী ছিল, তা খুঁজে বের করে পরিচর্যা সেভাবে করতে লাগলাম। এ ছাড়া কীভাবে ভালো ফলন পাওয়ার যায় তা নিয়ে নানা উপায়ন্তর বের করতে লাগলাম। তারপর তো আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
পরিবারে ফলের চাহিদা মেটে নিজেদের বাগান থেকে
বছরখানেকের মধ্যে আমাদের পরিবারের ফলমূলের চাহিদা নিজের ছাদবাগান থেকেই মিটতে লাগল। পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনের বাসায়ও পাঠাতে থাকি। বাজার থেকে ফলমূল আমাদের কেনার প্রয়োজন পড়ে না, যে ফলগুলো আমরা ছাদে চাষ করছি। সন্তানদের এই ফলগুলোই বেশি খাওয়াচ্ছি। কারণ, এগুলো বিষমুক্ত। নিজেদের বাগান থেকেই ফলের চাহিদা পূরণ করেও আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকি। প্রথমে শুরু করেছিলাম ফলের চারা লাগানোর মাধ্যমে, এর মধ্যে ফলের পাশাপাশি শাকসবজিও চাষ শুরু করি ছাদের একটা অংশে। সময়ের সঙ্গে বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারার সংখ্যা বাড়াতে লাগলাম। বর্তমানে প্রায় ২০০ প্রজাতির গাছ আছে। এর মধ্যে ৪০ প্রজাতির আনার গাছ, ত্বিন ফল, থাই সফেদা, থাই কদবেল, থাই আমড়া, আঙুর, ড্রাগন, কুল, শরিফা, থাই জামরুলসহ অসংখ্য প্রজাতির ফল চাষ করছি। একই সঙ্গে বেগুন, মরিচ, ধনেপাতা, লাউ, শিমসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করছি। গাছের ফলন বৃদ্ধিতে আমি সাধারণত অর্গানিক কীটনাশক ব্যবহার করে থাকি। পোকামাকড় দমনে প্রয়োজন হলে খুব অল্পমাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করি। কীটনাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকি, যাতে এসব ফল ও শাকসবজিতে মিশে গিয়ে শরীরে পরবর্তী ক্ষতির কারণ না হয়। কারণ, নতুন ফল ওঠানোর পর আগে নিজেদের বাসায় নিই, নিজেদের চাহিদা পূরণ শেষে তারপর অন্যস্থানে পাঠাই। গোবর সার, খৈল, পানি, কলার খোসা, ডিমের খোসাসহ বিভিন্ন দ্রব্য ব্যবহার করি। একধরনের কিচেন কম্পোস্ট তৈরি করে আমি সাধারণত গাছে দিই, যাতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
চারা বিক্রি করে মাসে আয় প্রায় লাখ টাকা
বাগানে ফল ও শাকসবজি চাষের পাশাপাশি ছয়-সাত বছর ধরে আমি বিভিন্ন প্রজাতির ফলের উন্নতমানের চারা তৈরি করে সারাদেশে বাগানিদের কাছে বিক্রি করছি। বছরে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার ছাদবাগানির কাছে চারা বিক্রি করে থাকি। বলা যায়, দেশের প্রায় প্রতিটি ছাদবাগানে আমার কাছ থেকে নেওয়া চারা আছে! চারা বিক্রির পাশাপাশি গাছের প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, গাছের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম আমিই সরবরাহ করে থাকি। ভালো ফলন পেতে নিয়মিত পরিচর্যার বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও দিয়ে থাকি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ অনলাইনে আমার কাছে থেকে চারা অর্ডার করে থাকেন। কুরিয়ারের মাধ্যম চারাগুলো ডেলিভারি দিই। চারা বিক্রির কাজটা শুরু করেছিলাম বাগান তৈরির এক-দুই বছর পর থেকে। আমি যখন বাগানের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতাম, তখন অসংখ্য মানুষ জানতে চাইতেন কীভাবে শুরু করতে পারেন তারা, কীভাবে এবং কোথা থেকে চারা সংগ্রহ করবেন, কীভাবে পরিচর্যা করবেন এসব। শুরু থেকেই আমি গুটিকলম ও গ্রাফটিং উভয় পদ্ধতিতে ফলের চারাগুলো তৈরি করছি, যখন ভিডিওতে চারার তৈরির দৃশ্যে পোস্ট করতাম, তখন মানুষ কেনার জন্য আগ্রহ দেখাতেন। তারপর থেকে নিজের বাগানের পাশাপাশি বিক্রির উদ্দেশ্যেও চারা তৈরি শুরু করলাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার ছাদবাগানের ভিডিওচিত্র দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেরা ছাদবাগান শুরু করছেন। বিশেষ করে গৃহিণীরা অনেকে আমার কাছ থেকে চারা নিয়ে ছাদবাগান শুরু করছেন। আমার বেশিরভাগ চারা বিক্রি হয় অনলাইনেই। চারা বিক্রি করে বছরে আয় হয় ১০ লাখের বেশি। কলামের কিছুদিন পর চারাগাছ একটু সবল হলে অর্ডারের ভিত্তিতে বাগানিদের কাছে কুরিয়ারে ডেলিভারি দিয়ে থাকি।
ফরিদপুরে করেছেন আরো দুটি বাগান
বাসার ছাদ ছাড়াও ফরিদপুর শহরেই আরো দুটো বাগান আছে আমার। ওই বাগানগুলো মাটিতে। দুটো বাগানেই শুধু আনার ফল চাষ করি আর চারা তৈরি করি। ছাদবাগান থেকে আয়ের টাকা দিয়েই এই বাগানগুলো করা হয়েছে। এই দুটো বাগানে মাদারগাছ থেকে আমি চারা তৈরি করে থাকি। সামনে পরিকল্পনা আছে আরো একটি মিশ্র বাগান তৈরি করার। ওই বাগানটা একটু বড় পরিসরে করব। সেখানে উন্নত জাতের পেয়েরা, ড্রাগন, আনার, আঙুরÑএগুলো চাষ করার পরিকল্পনা আছে। সে অনুযায়ী কাজও গোছাচ্ছি। কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করব। আমার বাগানগুলো নিয়মিত দেখাশোনা ও পরিচর্যার জন্য দুজন ছেলে আছে। তারা দুজনেই শিক্ষার্থী; পড়াশোনার পাশাপাশি আমার এখানে কাজ করে থাকে। আমার বাগান থেকে উপার্জিত টাকায় তাদের পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার খরচ চলে। সামনে বড় মিশ্র বাগানটি শুরু করলেও হয়তো আরো কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে