মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
আজকের নারী অন্য সব পেশার মতো ফ্রিল্যান্সিংয়েও সাফল্য পাচ্ছেন। ঘরে বসেই আয় করছেন লাখ টাকা। এমনই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবিগঞ্জ সদর থানার বাসিন্দা এক সন্তানের জননী কাজী লুবনা আক্তার।
একটা সরকারি প্রজেক্ট ‘হার পাওয়ার’-এর ছয় মাসের একটা কোর্স দিয়ে লুবনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু। এইচএসসি পাসের পরেই বিয়ে হয়ে যায়। এরপর ঘর আলো করে বাচ্চা এলে তখন আসলে তার আর বাইরে চাকরি করার মতো অবস্থা ছিল না। মাস্টার্স করার পর তিনি ভাবলেন, এমন কিছু করবেন যেখানে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবে না। শিখতে গিয়েও ‘পারব কি পারব না’—এমন কথা ভাবতে ভাবতে বেসিক লেভেলের কাজ শেখা হয়ে যায় তার। এজন্য বণিক ও সৌরভ নামে দুজনের প্রতি তার অনেক কৃতজ্ঞতা, কারণ প্রয়োজনের সময় তারা পাশে থেকে সাহায্য করেছেন।
এক ছেলে, স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে নিয়ে লুবনার পরিবার। হবিগঞ্জ সদরের রিচি এলাকায় থাকেন। তার স্বামী পুলিশ বাহিনীর সদস্য।
অ্যাডভান্সড লেভেলের কাজ ও দক্ষতা অর্জনের কোথায় কোর্স করবেন। এজন্য বিভিন্ন জায়গায় লুবনা খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। অবশেষে খুঁজে পান ‘লিডিং লাইট আইটি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে তিনি কোর্স চলাকালেই কাজ পান। লুবনা বলেন, লিডিং লাইট আইটির সিনথিয়া আক্তার লিজা আমাকে হাতে ধরে কাজ শেখান। তার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। লিডিং লাইটে কোর্স করার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি লুবনাকে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, জার্মানি ও ভারত—এই দেশগুলোর বায়ারদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। এক হাজার একশর বেশি অর্ডার শেষ করেছেন। ৩০টিরও বেশি পেজের অ্যাডমিন ছিলেন তিনি। বেশির ভাগ ক্লায়েন্ট তাকে দিয়ে একাধিকবার কাজ করিয়ে নেন বলে তিনি জানান।
স্বাধীনভাবে নিজে কিছু করবেন, এ কারণে ফ্রিল্যান্সিং তার খুব পছন্দ হয়। নিজে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়, কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, যেকোনো জায়গা থেকে আপনি এই কাজ করতে পারবেন। ২০২৩ সালে ফ্রিল্যান্সিংয়ে যাত্রা শুরু করে এই বছরই তিনি প্রথম আয়ের দেখা পান। একটি পেজের বিজনেস পেজ ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। বেতন ছিল ছয় হাজার টাকা।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে লুবনার কাজ। দেশি-বিদেশি তিনটি প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে কাজ করছেন। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জার্মানি, সৌদি আরব, আমেরিকা, ইতালি, সুইডেন প্রভৃতি অনেক দেশের বায়াররা তাকে কাজ দেন। স্থানীয়ভাবে এবং আউট অব মার্কেটপ্লেসেও তার কাজের অভাব নেই।
ঘরে ছোট সন্তান ও শ্বশুর-শাশুড়ির দেখভাল এবং অন্যদিকে অফলাইন কোর্সে প্রায় ছয় ঘণ্টা সশরীরে উপস্থিত থাকতে হতো। এমন জটিল পরিস্থিতিতে হিমশিম খেয়েছেন, তবে কখনো ভেঙে পড়েননি। নিজের প্রচুর আগ্রহ আর স্বামীর সমর্থন নিয়ে লক্ষ্য অর্জনে দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন। পাশাপাশি সবসময় নিজেকে আপডেট রেখেছেন। লুবনা বলেন, ‘স্বামীর সাপোর্ট ও আমার শেখার প্রচুর আগ্রহের কারণে কোনো বাধাই আমার অগ্রযাত্রা রোধ করতে পারেনি। প্রবল মনোবল দিয়ে আমি এই সেক্টরে নিজেকে জয়ী করেছি।’
নিজেকে দক্ষ করে তোলাই ছিল তার ধ্যানজ্ঞান, কারণ দক্ষ হলে কাজ জুটবেই। আর কাজ পেলে ভালোই আয় হবে। ২০২৪ সালে এক বছরে তিনি পাঁচ লাখ টাকা আয় করেছেন। এমনিতে মাসে তার গড় আয় ৫০-৬০ হাজার টাকা। ঠেকে ঠেকে শিখেছেন বলে অন্যদের শেখার পথটা যেন এত কঠিন না হয়, সেজন্য তিনি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য চারটি টিপস দিয়েছেন—
# ‘কাল শুরু করবেন করবেন’ করে যারা এখনো শুরু করেননি, তারা সাহস নিয়ে শুরু করুন।
# ভালো একটা আইটি খুঁজে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করুন। দক্ষতা অর্জন করুন।
# ‘আমি পারব না, আমাকে দিয়ে হবে না’—এ ধরনের কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
# আপনার মনোবল, সাহস ও দক্ষতাই আপনাকে অনেক কিছু দেবে, যা আপনি কল্পনাও করেননি।
কাজ করতে গিয়ে লুবনার জীবনে প্রাপ্তির আনন্দ অনেক। অনেক দিন একটি বিজনেস পেজের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। ওই পেজের মালিক লুবনার কাজে খুশি হয়ে ২০ হাজার টাকার স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট উপহার দিয়েছেন। লুবনা বলেন, ‘এটা আমার কাছে যেন উপহার নয়, এটা হলো আমার কাজের স্বীকৃতি।’ যেকোনো পুরস্কারপ্রাপ্তি মানেই এক ধরনের স্বীকৃতি, যা কাজে অনুপ্রেরণা জোগায়। লিডিং লাইট আইটি থেকে দুবার তিনি বেস্ট মার্কেটার নির্বাচিত হয়েছেন। বায়ারদের কাছ থেকে পেয়েছেন বেস্ট সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, তাও দুবার। ‘হার পাওয়ার’ প্রজেক্টে টপ মার্কেটার স্বীকৃতি তার অনন্য অর্জন।
বড় একটা স্মার্ট, স্কিলড ও বিশ্বস্ত এজেন্সি খোলা তার অনেক দিনের ইচ্ছা। সেজন্য ধীরে ধীরে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করছেন। তিনি চান অসংখ্য নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে।
আজকের নারী অন্য সব পেশার মতো ফ্রিল্যান্সিংয়েও সাফল্য পাচ্ছেন। ঘরে বসেই আয় করছেন লাখ টাকা। এমনই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবিগঞ্জ সদর থানার বাসিন্দা এক সন্তানের জননী কাজী লুবনা আক্তার।
একটা সরকারি প্রজেক্ট ‘হার পাওয়ার’-এর ছয় মাসের একটা কোর্স দিয়ে লুবনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু। এইচএসসি পাসের পরেই বিয়ে হয়ে যায়। এরপর ঘর আলো করে বাচ্চা এলে তখন আসলে তার আর বাইরে চাকরি করার মতো অবস্থা ছিল না। মাস্টার্স করার পর তিনি ভাবলেন, এমন কিছু করবেন যেখানে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবে না। শিখতে গিয়েও ‘পারব কি পারব না’—এমন কথা ভাবতে ভাবতে বেসিক লেভেলের কাজ শেখা হয়ে যায় তার। এজন্য বণিক ও সৌরভ নামে দুজনের প্রতি তার অনেক কৃতজ্ঞতা, কারণ প্রয়োজনের সময় তারা পাশে থেকে সাহায্য করেছেন।
এক ছেলে, স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে নিয়ে লুবনার পরিবার। হবিগঞ্জ সদরের রিচি এলাকায় থাকেন। তার স্বামী পুলিশ বাহিনীর সদস্য।
অ্যাডভান্সড লেভেলের কাজ ও দক্ষতা অর্জনের কোথায় কোর্স করবেন। এজন্য বিভিন্ন জায়গায় লুবনা খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। অবশেষে খুঁজে পান ‘লিডিং লাইট আইটি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে তিনি কোর্স চলাকালেই কাজ পান। লুবনা বলেন, লিডিং লাইট আইটির সিনথিয়া আক্তার লিজা আমাকে হাতে ধরে কাজ শেখান। তার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। লিডিং লাইটে কোর্স করার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি লুবনাকে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, জার্মানি ও ভারত—এই দেশগুলোর বায়ারদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। এক হাজার একশর বেশি অর্ডার শেষ করেছেন। ৩০টিরও বেশি পেজের অ্যাডমিন ছিলেন তিনি। বেশির ভাগ ক্লায়েন্ট তাকে দিয়ে একাধিকবার কাজ করিয়ে নেন বলে তিনি জানান।
স্বাধীনভাবে নিজে কিছু করবেন, এ কারণে ফ্রিল্যান্সিং তার খুব পছন্দ হয়। নিজে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়, কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, যেকোনো জায়গা থেকে আপনি এই কাজ করতে পারবেন। ২০২৩ সালে ফ্রিল্যান্সিংয়ে যাত্রা শুরু করে এই বছরই তিনি প্রথম আয়ের দেখা পান। একটি পেজের বিজনেস পেজ ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। বেতন ছিল ছয় হাজার টাকা।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে লুবনার কাজ। দেশি-বিদেশি তিনটি প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে কাজ করছেন। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জার্মানি, সৌদি আরব, আমেরিকা, ইতালি, সুইডেন প্রভৃতি অনেক দেশের বায়াররা তাকে কাজ দেন। স্থানীয়ভাবে এবং আউট অব মার্কেটপ্লেসেও তার কাজের অভাব নেই।
ঘরে ছোট সন্তান ও শ্বশুর-শাশুড়ির দেখভাল এবং অন্যদিকে অফলাইন কোর্সে প্রায় ছয় ঘণ্টা সশরীরে উপস্থিত থাকতে হতো। এমন জটিল পরিস্থিতিতে হিমশিম খেয়েছেন, তবে কখনো ভেঙে পড়েননি। নিজের প্রচুর আগ্রহ আর স্বামীর সমর্থন নিয়ে লক্ষ্য অর্জনে দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন। পাশাপাশি সবসময় নিজেকে আপডেট রেখেছেন। লুবনা বলেন, ‘স্বামীর সাপোর্ট ও আমার শেখার প্রচুর আগ্রহের কারণে কোনো বাধাই আমার অগ্রযাত্রা রোধ করতে পারেনি। প্রবল মনোবল দিয়ে আমি এই সেক্টরে নিজেকে জয়ী করেছি।’
নিজেকে দক্ষ করে তোলাই ছিল তার ধ্যানজ্ঞান, কারণ দক্ষ হলে কাজ জুটবেই। আর কাজ পেলে ভালোই আয় হবে। ২০২৪ সালে এক বছরে তিনি পাঁচ লাখ টাকা আয় করেছেন। এমনিতে মাসে তার গড় আয় ৫০-৬০ হাজার টাকা। ঠেকে ঠেকে শিখেছেন বলে অন্যদের শেখার পথটা যেন এত কঠিন না হয়, সেজন্য তিনি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য চারটি টিপস দিয়েছেন—
# ‘কাল শুরু করবেন করবেন’ করে যারা এখনো শুরু করেননি, তারা সাহস নিয়ে শুরু করুন।
# ভালো একটা আইটি খুঁজে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করুন। দক্ষতা অর্জন করুন।
# ‘আমি পারব না, আমাকে দিয়ে হবে না’—এ ধরনের কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
# আপনার মনোবল, সাহস ও দক্ষতাই আপনাকে অনেক কিছু দেবে, যা আপনি কল্পনাও করেননি।
কাজ করতে গিয়ে লুবনার জীবনে প্রাপ্তির আনন্দ অনেক। অনেক দিন একটি বিজনেস পেজের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। ওই পেজের মালিক লুবনার কাজে খুশি হয়ে ২০ হাজার টাকার স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট উপহার দিয়েছেন। লুবনা বলেন, ‘এটা আমার কাছে যেন উপহার নয়, এটা হলো আমার কাজের স্বীকৃতি।’ যেকোনো পুরস্কারপ্রাপ্তি মানেই এক ধরনের স্বীকৃতি, যা কাজে অনুপ্রেরণা জোগায়। লিডিং লাইট আইটি থেকে দুবার তিনি বেস্ট মার্কেটার নির্বাচিত হয়েছেন। বায়ারদের কাছ থেকে পেয়েছেন বেস্ট সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, তাও দুবার। ‘হার পাওয়ার’ প্রজেক্টে টপ মার্কেটার স্বীকৃতি তার অনন্য অর্জন।
বড় একটা স্মার্ট, স্কিলড ও বিশ্বস্ত এজেন্সি খোলা তার অনেক দিনের ইচ্ছা। সেজন্য ধীরে ধীরে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করছেন। তিনি চান অসংখ্য নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৬ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে