রহিমা আক্তার মৌ
পারিবারিক নাম ববি হলেও লেখার জগতে তাকে ঈপ্সিতা চৌধুরী নামে চেনে সবাই। সেই ঈপ্সিতাকে এখন সবাই ‘মানবতার ফেরিওয়ালি’ বলে ডাকে। তিনি জড়িত আছেন শিক্ষকতা পেশায়। ২০০৮ সাল থেকে দৈনিক ইত্তেফাকের ‘ঠাট্টা’, দৈনিক আমার দেশ-এর ‘ভিমরুল’-সহ বিভিন্ন দৈনিকে নিয়মিত লিখতেন। দৈনিক পত্রিকার পাশাপাশি বিভিন্ন লিটল ম্যাগে ও ব্লগে লিখতেন। এ সবকিছুর বাইরে তিনি ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে কিছু সামাজিক কাজ করেন।
২০১৭ সালে দিনাজপুরে বড় আকারে বন্যা দেখা দিলে এলাকার স্কুলে আশ্রয় নেওয়া আট হিন্দু পরিবারের ২৫ সদস্যের জন্য খাবার ও কাপড়ের ব্যবস্থা করেন ঈপ্সিতা চৌধুরী। এসব কাজের পাশাপাশি তিনি পুরো দিনাজপুরের সার্বিক অবস্থা টাইমলাইনে তুলে ধরেন। তখন ঈপ্সিতার পাবনার এক ডাক্তার বান্ধবী নক করে বলেন, ‘ঈপ্সিতা আমি তোমার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু সহযোগিতা করতে চাই।’ সেই প্রথম ঈপ্সিতা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজের বাইরে গিয়ে ডোনারদের হয়ে কাজ করতে শুরু করেন। অনেক বন্ধু ও ছোট বোনদের সহযোগিতায় পুরো দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের সাহায্য করেন। তাদের এই মানবিক কাজ নিয়ে দিনাজপুরের করতোয়া পত্রিকা একটা নিউজও প্রকাশ করে। সেই থেকে আর থেমে যায়নি ঈপ্সিতা ও তার সহযোদ্ধাদের মানবতার কাজ।
সারা বছর শীত, গ্রীষ্ম, করোনা, রোজা, ঈদ ও বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ঈপ্সিতা তার বন্ধুদের সহযোগিতায় বা ডোনেশনে মানুষকে সাহায্য করে আসছেন। বন্ধুদের মাধ্যমে স্কুল লাইব্রেরি, স্কুলে খেলনা উপহার, বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্বসহ আরো অনেককিছু করেন। এক শীতে আমি নিজেও ঈপ্সিতাকে কিছু শীতের কাপড় এবং নগদ অর্থ পাঠাই, তিনি অসহায়দের মাঝে তা বিলি করেন। এরই মাঝে ঈপ্সিতা জয়েন করেন নিজের এসএসসি ক্লাবে। সেখানেও এমন অনেক ডোনার বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় হয়, যাদের মাধ্যমে মানুষকে স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করে দেন। বিভিন্ন জায়গার টিউবওয়েল বসানো, টয়লেট করে দেওয়া, ভ্যান দিয়ে কর্মের ব্যবস্থা করে দেওয়াসহ এক মসজিদে স্টিলের খাটিয়া, চৌকি, গিলাফ, কার্পেট, আরো কয়েকটি মসজিদে ফ্যান ও কার্পেট দান করেন। দুটো মেয়ের বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করেন তার ডোনার বন্ধুদের সহযোগিতায়। এমন বন্ধুদের ‘আল্লাহ প্রদত্ত বন্ধু’ বলেন ঈপ্সিতা।
এভাবে সারা বছর ঈপ্সিতা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন কার কী প্রয়োজন? তাদের সেসবের ব্যবস্থা করেন তার ডোনার বন্ধুদের সহযোগিতায়। সবচেয়ে মানবিক দিক হলো, ঈপ্সিতা কখনো কারো কাছে সাহায্য চেয়ে পোস্ট করেন না, কিংবা কাউকে নক করেন না। ঈপ্সিতার বিভিন্ন কাজ ও লেখা দেখে তার বন্ধুরা স্বেচ্ছায় তার কাছে সাহায্য পাঠান। এই সাহায্য কোথায় কীভাবে বণ্টন করেন—সেসব কাজের হিসাব কেউ চান না। তারা জানেন, মানবতার ফেরিওয়ালি ঈপ্সিতা ঠিক জায়গায় সঠিকভাবেই কাজ করেন।
তবুও ঈপ্সিতা স্বচ্ছতার খাতিরে সবাইকে হিসাব দেন এবং তার কাজগুলো এফবি ক্লাবে প্রকাশ করেন। পর্দার আড়ালে থাকা এই বন্ধুরা আজ ঈপ্সিতাকে একটি নতুন জগৎ দিয়েছেন, যেখানে একটাই কথা— ‘মানুষ মানুষের জন্য।’ আর এই পর্দার আড়ালে থাকা বন্ধুরাই তাকে ‘মানবতার ফেরিওয়ালি’ বানিয়েছে। দিনাজপুর শহরের প্রতিটি আনাচেকানাচে আজ ঈপ্সিতা একটি পরিচিত মুখ।
কিছু কাজ নিজে ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবেই করেন, আর ডোনার বন্ধুদের ডোনেশন দিয়ে যখন যে কাজ করেন, সেখানে নিজের সময় ও শ্রম দেন। বড় ধরনের কাজ হলে বন্ধুদের সঙ্গে নিজেও কন্ট্রিবিউট করেন। মাঝেমধ্যে ঈপ্সিতার বন্ধুরা নক করে বলেন, ‘আমি কিছু টাকা দেব, তুমি কোনো কাজ করে দাও।’ তখনই ঈপ্সিতা পরিকল্পনা করে খুঁজে বের করেন, কাকে কোন কাজে সাহায্য করা প্রয়োজন। কখনো আবার অন্যদের সমস্যা তুলে ধরেন, তখন বন্ধুরা এগিয়ে আসেন সমস্যা সমাধান করতে।
এভাবেই বন্ধুদের সহযোগিতায় ঈপ্সিতা বিভিন্ন মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন এবং যাবেন। তাদের কাজ চলমান। পর্যাপ্ত সাহায্য পেলে ইনশাআল্লাহ সামনে ঈপ্সিতা একটা বেড়ার মসজিদ পাকা করার কাজে হাত দেবেন। তিনি বলেন, ‘ভালো থাকুক আমার আল্লাহ প্রদত্ত বন্ধুরা।’
পারিবারিক নাম ববি হলেও লেখার জগতে তাকে ঈপ্সিতা চৌধুরী নামে চেনে সবাই। সেই ঈপ্সিতাকে এখন সবাই ‘মানবতার ফেরিওয়ালি’ বলে ডাকে। তিনি জড়িত আছেন শিক্ষকতা পেশায়। ২০০৮ সাল থেকে দৈনিক ইত্তেফাকের ‘ঠাট্টা’, দৈনিক আমার দেশ-এর ‘ভিমরুল’-সহ বিভিন্ন দৈনিকে নিয়মিত লিখতেন। দৈনিক পত্রিকার পাশাপাশি বিভিন্ন লিটল ম্যাগে ও ব্লগে লিখতেন। এ সবকিছুর বাইরে তিনি ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে কিছু সামাজিক কাজ করেন।
২০১৭ সালে দিনাজপুরে বড় আকারে বন্যা দেখা দিলে এলাকার স্কুলে আশ্রয় নেওয়া আট হিন্দু পরিবারের ২৫ সদস্যের জন্য খাবার ও কাপড়ের ব্যবস্থা করেন ঈপ্সিতা চৌধুরী। এসব কাজের পাশাপাশি তিনি পুরো দিনাজপুরের সার্বিক অবস্থা টাইমলাইনে তুলে ধরেন। তখন ঈপ্সিতার পাবনার এক ডাক্তার বান্ধবী নক করে বলেন, ‘ঈপ্সিতা আমি তোমার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু সহযোগিতা করতে চাই।’ সেই প্রথম ঈপ্সিতা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজের বাইরে গিয়ে ডোনারদের হয়ে কাজ করতে শুরু করেন। অনেক বন্ধু ও ছোট বোনদের সহযোগিতায় পুরো দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের সাহায্য করেন। তাদের এই মানবিক কাজ নিয়ে দিনাজপুরের করতোয়া পত্রিকা একটা নিউজও প্রকাশ করে। সেই থেকে আর থেমে যায়নি ঈপ্সিতা ও তার সহযোদ্ধাদের মানবতার কাজ।
সারা বছর শীত, গ্রীষ্ম, করোনা, রোজা, ঈদ ও বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ঈপ্সিতা তার বন্ধুদের সহযোগিতায় বা ডোনেশনে মানুষকে সাহায্য করে আসছেন। বন্ধুদের মাধ্যমে স্কুল লাইব্রেরি, স্কুলে খেলনা উপহার, বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্বসহ আরো অনেককিছু করেন। এক শীতে আমি নিজেও ঈপ্সিতাকে কিছু শীতের কাপড় এবং নগদ অর্থ পাঠাই, তিনি অসহায়দের মাঝে তা বিলি করেন। এরই মাঝে ঈপ্সিতা জয়েন করেন নিজের এসএসসি ক্লাবে। সেখানেও এমন অনেক ডোনার বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় হয়, যাদের মাধ্যমে মানুষকে স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করে দেন। বিভিন্ন জায়গার টিউবওয়েল বসানো, টয়লেট করে দেওয়া, ভ্যান দিয়ে কর্মের ব্যবস্থা করে দেওয়াসহ এক মসজিদে স্টিলের খাটিয়া, চৌকি, গিলাফ, কার্পেট, আরো কয়েকটি মসজিদে ফ্যান ও কার্পেট দান করেন। দুটো মেয়ের বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করেন তার ডোনার বন্ধুদের সহযোগিতায়। এমন বন্ধুদের ‘আল্লাহ প্রদত্ত বন্ধু’ বলেন ঈপ্সিতা।
এভাবে সারা বছর ঈপ্সিতা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন কার কী প্রয়োজন? তাদের সেসবের ব্যবস্থা করেন তার ডোনার বন্ধুদের সহযোগিতায়। সবচেয়ে মানবিক দিক হলো, ঈপ্সিতা কখনো কারো কাছে সাহায্য চেয়ে পোস্ট করেন না, কিংবা কাউকে নক করেন না। ঈপ্সিতার বিভিন্ন কাজ ও লেখা দেখে তার বন্ধুরা স্বেচ্ছায় তার কাছে সাহায্য পাঠান। এই সাহায্য কোথায় কীভাবে বণ্টন করেন—সেসব কাজের হিসাব কেউ চান না। তারা জানেন, মানবতার ফেরিওয়ালি ঈপ্সিতা ঠিক জায়গায় সঠিকভাবেই কাজ করেন।
তবুও ঈপ্সিতা স্বচ্ছতার খাতিরে সবাইকে হিসাব দেন এবং তার কাজগুলো এফবি ক্লাবে প্রকাশ করেন। পর্দার আড়ালে থাকা এই বন্ধুরা আজ ঈপ্সিতাকে একটি নতুন জগৎ দিয়েছেন, যেখানে একটাই কথা— ‘মানুষ মানুষের জন্য।’ আর এই পর্দার আড়ালে থাকা বন্ধুরাই তাকে ‘মানবতার ফেরিওয়ালি’ বানিয়েছে। দিনাজপুর শহরের প্রতিটি আনাচেকানাচে আজ ঈপ্সিতা একটি পরিচিত মুখ।
কিছু কাজ নিজে ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবেই করেন, আর ডোনার বন্ধুদের ডোনেশন দিয়ে যখন যে কাজ করেন, সেখানে নিজের সময় ও শ্রম দেন। বড় ধরনের কাজ হলে বন্ধুদের সঙ্গে নিজেও কন্ট্রিবিউট করেন। মাঝেমধ্যে ঈপ্সিতার বন্ধুরা নক করে বলেন, ‘আমি কিছু টাকা দেব, তুমি কোনো কাজ করে দাও।’ তখনই ঈপ্সিতা পরিকল্পনা করে খুঁজে বের করেন, কাকে কোন কাজে সাহায্য করা প্রয়োজন। কখনো আবার অন্যদের সমস্যা তুলে ধরেন, তখন বন্ধুরা এগিয়ে আসেন সমস্যা সমাধান করতে।
এভাবেই বন্ধুদের সহযোগিতায় ঈপ্সিতা বিভিন্ন মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন এবং যাবেন। তাদের কাজ চলমান। পর্যাপ্ত সাহায্য পেলে ইনশাআল্লাহ সামনে ঈপ্সিতা একটা বেড়ার মসজিদ পাকা করার কাজে হাত দেবেন। তিনি বলেন, ‘ভালো থাকুক আমার আল্লাহ প্রদত্ত বন্ধুরা।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে