মোফাজ্জল হোসেন
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ শাহজালাল এনজিএফএফ ফ্যাক্টরির বিআইডিসি কলোনিতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা ‘ওয়াসিকা রহমান পারিসা’র। পড়াশোনার পাশাপাশি লোকাল ও আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে। বর্তমানে তিনি শুধু ফ্রিল্যান্সারই নন, একজন পরামর্শদাতা ও উদ্যোক্তা হিসেবেও কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত তিনি ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে পরামর্শ দিয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই সফলভাবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সার হয়ে কাজ করছেন।
সাফল্যের পেছনে অনুপ্রেরণা
আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আমার পরিবার এবং পথপ্রদর্শক শুভ আহমেদ স্যার; বিশেষ করে বাবা-মা। তারা কখনো মেয়েসন্তান বলে সীমাবদ্ধ করে রাখেননি, বরং সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন। আর ভেতর থেকে সবসময় একটা ইচ্ছা কাজ করত—আমি এমন কিছু করব, যেটা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
যাত্রাটা যেভাবে শুরু
নিজে কিছু একটা করব এবং এমন কিছু করব, যার মাধ্যমে সমাজে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারব, যে কাজের প্রভাব পড়বে সমাজে, যাতে আমাকে দেখে অন্য নারীরাও নিজে কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত হন। যদিও যাত্রাটা একদম সহজ ছিল না। প্রথম দিকে আমার নিজের ফোন বা ল্যাপটপ কিছুই ছিল না। বাবার ফোন দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করি। ধীরে ধীরে প্র্যাকটিস, শেখা আর ধৈর্যের মাধ্যমে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছি।
কাজ শুরুর প্রথম দিকের সমস্যা
আমি যখন প্রফেশনালি কাজ শুরু করি, তখন কাজ বা গ্রাহক সম্পর্কে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতাম, তার জন্য আমি প্রশিক্ষকের সাহায্য নিতাম। প্রশিক্ষক আমাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিতেন, পাশাপাশি সমস্যার সমাধানও দিয়ে দিতেন। আরআর ড্রিম আইটিতে কোর্স চলাকালীন বা কোর্স শেষ হওয়ার পর কাজ পাওয়া বা কাজ চলাকালীন অবস্থা অবধি সমস্যা সমাধান করা হতো। এছাড়া একজন বাংলাদেশি গ্রাহক আমাকে ‘মেয়ে’ পেয়ে ভেবেছিলেন, যেভাবে ইচ্ছা চালাতে পারবেন, যা খুবই বাজে অভিজ্ঞতা ছিল। আমাদের সমাজে এখনো মেয়েদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, যেমন মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহার, বাইরে যাওয়া, নিরাপত্তাহীনতা—সবকিছু। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ। এই সুযোগটা মেয়েদের জন্য বড় আশীর্বাদ।
প্রথম আয় করার অনুভূতি ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি
অসাধারণ এই অনুভূতি! যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। প্রথম আয়ের টাকা যখন হাতে পাই, তখন মনে হয়েছিল নিজে কিছু করতে পেরেছি। এটাই আমার সবচেয়ে বড় সাফল্য। পরিবার আমাকে সবসময় সাপোর্ট করেছে এবং এখনো করছে। আশপাশের মানুষ যখন দেখল আমি ভালো করছি, তারাও এটা নিয়ে গর্ববোধ করে।
নারীদের নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আমি সবসময় বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো, এর তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে মেয়েরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, তাদের অনেকেই এখনো বেকারত্ব, সামাজিক বাধা, আর সুযোগের অভাবে পিছিয়ে আছে। আমার পরিকল্পনা হলো ফ্রিল্যান্সিং এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেয়েদের ঘরে বসেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা। যদি কোনো মেয়ে আয় করতে শুরু করে, তাহলে শুধু তার জীবন নয়, তার পুরো পরিবার ও সমাজ পরিবর্তিত হয়। আমি চাই বাংলাদেশকে এমন একটা জায়গায় দেখতে, যেখানে মেয়েরা শুধু স্বপ্ন দেখবে না, তারা নিজেরাই অন্যদের জন্য স্বপ্ন পূরণের পথ তৈরি করবে। আমি চাই প্রতিটি মেয়ে যেন নিজের পরিবারে ও সমাজে দৃশ্যমান অবদান রাখতে পারে।
আগ্রহী মেয়েদের জন্য বিশেষ পরামর্শ
আমার কথা একটাই—শুরু করুন। শুরু করার জন্য বড় ল্যাপটপ বা দামি ফোন দরকার নেই। দরকার শুধু একটা স্কিল শেখার আগ্রহ; আর ধারাবাহিক প্র্যাকটিসের পাশাপাশি বেশি বেশি গবেষণা করতে হবে। যত গবেষণা করবেন, তত জানতে এবং বুঝতে পারবেন। নিজে নিজে গবেষণা করে যতটুকু শেখা যায়, তা কখনোই অন্য কেউ শেখাতে পারবে না। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। আমি পারলে আপনিও পারবেন। আমাদের সবার আসলে এমন কিছু করা উচিত যা দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়ে নিজে ভালো কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করবে, যা আমাদের সমাজের ওপর ভালো প্রভাব ফেলবে।
আমাদের উচিত বড় স্বপ্ন দেখা এবং সেই বড় স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করা। কারণ আমরা যদি ছোট স্বপ্ন দেখি, আর সেই ছোট স্বপ্নকে পূরণ করার চেষ্টা করি, তাহলে আমরা জীবনে কখনোই বড় কিছু করতে পারব না। জীবনে বড় কিছু করতে হলে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে যেতে হবে। তাহলে দিনশেষে আমরা যদি সেই বড় স্বপ্নটাকে পূরণ করতে নাও পারি, অন্তত আমাদের চেষ্টা, ধৈর্য ও পরিশ্রমের কারণে তার কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস। আর যেকোনো কাজে সফল হতে হলে ধৈর্য, চেষ্টা আর পরিশ্রম—এ তিনটিই লাগবে; এগুলো ছাড়া জীবনে সফল হওয়া প্রায় অসম্ভব।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ শাহজালাল এনজিএফএফ ফ্যাক্টরির বিআইডিসি কলোনিতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা ‘ওয়াসিকা রহমান পারিসা’র। পড়াশোনার পাশাপাশি লোকাল ও আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে। বর্তমানে তিনি শুধু ফ্রিল্যান্সারই নন, একজন পরামর্শদাতা ও উদ্যোক্তা হিসেবেও কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত তিনি ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে পরামর্শ দিয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই সফলভাবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সার হয়ে কাজ করছেন।
সাফল্যের পেছনে অনুপ্রেরণা
আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আমার পরিবার এবং পথপ্রদর্শক শুভ আহমেদ স্যার; বিশেষ করে বাবা-মা। তারা কখনো মেয়েসন্তান বলে সীমাবদ্ধ করে রাখেননি, বরং সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন। আর ভেতর থেকে সবসময় একটা ইচ্ছা কাজ করত—আমি এমন কিছু করব, যেটা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
যাত্রাটা যেভাবে শুরু
নিজে কিছু একটা করব এবং এমন কিছু করব, যার মাধ্যমে সমাজে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারব, যে কাজের প্রভাব পড়বে সমাজে, যাতে আমাকে দেখে অন্য নারীরাও নিজে কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত হন। যদিও যাত্রাটা একদম সহজ ছিল না। প্রথম দিকে আমার নিজের ফোন বা ল্যাপটপ কিছুই ছিল না। বাবার ফোন দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করি। ধীরে ধীরে প্র্যাকটিস, শেখা আর ধৈর্যের মাধ্যমে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছি।
কাজ শুরুর প্রথম দিকের সমস্যা
আমি যখন প্রফেশনালি কাজ শুরু করি, তখন কাজ বা গ্রাহক সম্পর্কে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতাম, তার জন্য আমি প্রশিক্ষকের সাহায্য নিতাম। প্রশিক্ষক আমাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিতেন, পাশাপাশি সমস্যার সমাধানও দিয়ে দিতেন। আরআর ড্রিম আইটিতে কোর্স চলাকালীন বা কোর্স শেষ হওয়ার পর কাজ পাওয়া বা কাজ চলাকালীন অবস্থা অবধি সমস্যা সমাধান করা হতো। এছাড়া একজন বাংলাদেশি গ্রাহক আমাকে ‘মেয়ে’ পেয়ে ভেবেছিলেন, যেভাবে ইচ্ছা চালাতে পারবেন, যা খুবই বাজে অভিজ্ঞতা ছিল। আমাদের সমাজে এখনো মেয়েদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, যেমন মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহার, বাইরে যাওয়া, নিরাপত্তাহীনতা—সবকিছু। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ। এই সুযোগটা মেয়েদের জন্য বড় আশীর্বাদ।
প্রথম আয় করার অনুভূতি ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি
অসাধারণ এই অনুভূতি! যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। প্রথম আয়ের টাকা যখন হাতে পাই, তখন মনে হয়েছিল নিজে কিছু করতে পেরেছি। এটাই আমার সবচেয়ে বড় সাফল্য। পরিবার আমাকে সবসময় সাপোর্ট করেছে এবং এখনো করছে। আশপাশের মানুষ যখন দেখল আমি ভালো করছি, তারাও এটা নিয়ে গর্ববোধ করে।
নারীদের নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আমি সবসময় বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো, এর তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে মেয়েরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, তাদের অনেকেই এখনো বেকারত্ব, সামাজিক বাধা, আর সুযোগের অভাবে পিছিয়ে আছে। আমার পরিকল্পনা হলো ফ্রিল্যান্সিং এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেয়েদের ঘরে বসেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা। যদি কোনো মেয়ে আয় করতে শুরু করে, তাহলে শুধু তার জীবন নয়, তার পুরো পরিবার ও সমাজ পরিবর্তিত হয়। আমি চাই বাংলাদেশকে এমন একটা জায়গায় দেখতে, যেখানে মেয়েরা শুধু স্বপ্ন দেখবে না, তারা নিজেরাই অন্যদের জন্য স্বপ্ন পূরণের পথ তৈরি করবে। আমি চাই প্রতিটি মেয়ে যেন নিজের পরিবারে ও সমাজে দৃশ্যমান অবদান রাখতে পারে।
আগ্রহী মেয়েদের জন্য বিশেষ পরামর্শ
আমার কথা একটাই—শুরু করুন। শুরু করার জন্য বড় ল্যাপটপ বা দামি ফোন দরকার নেই। দরকার শুধু একটা স্কিল শেখার আগ্রহ; আর ধারাবাহিক প্র্যাকটিসের পাশাপাশি বেশি বেশি গবেষণা করতে হবে। যত গবেষণা করবেন, তত জানতে এবং বুঝতে পারবেন। নিজে নিজে গবেষণা করে যতটুকু শেখা যায়, তা কখনোই অন্য কেউ শেখাতে পারবে না। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। আমি পারলে আপনিও পারবেন। আমাদের সবার আসলে এমন কিছু করা উচিত যা দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়ে নিজে ভালো কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করবে, যা আমাদের সমাজের ওপর ভালো প্রভাব ফেলবে।
আমাদের উচিত বড় স্বপ্ন দেখা এবং সেই বড় স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করা। কারণ আমরা যদি ছোট স্বপ্ন দেখি, আর সেই ছোট স্বপ্নকে পূরণ করার চেষ্টা করি, তাহলে আমরা জীবনে কখনোই বড় কিছু করতে পারব না। জীবনে বড় কিছু করতে হলে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে যেতে হবে। তাহলে দিনশেষে আমরা যদি সেই বড় স্বপ্নটাকে পূরণ করতে নাও পারি, অন্তত আমাদের চেষ্টা, ধৈর্য ও পরিশ্রমের কারণে তার কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস। আর যেকোনো কাজে সফল হতে হলে ধৈর্য, চেষ্টা আর পরিশ্রম—এ তিনটিই লাগবে; এগুলো ছাড়া জীবনে সফল হওয়া প্রায় অসম্ভব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে