ঐতিহাসিক আওকরা মসজিদ
জসিম উদ্দিন, খানসামা (দিনাজপুর)
দিনাজপুরের মাটিতে যতই পা বাড়ানো হয়, ততই মেলে ইতিহাসের ঘ্রাণ। এই ইতিহাসের ভাঁজে লুকিয়ে আছে বিভিন্ন পদচিহ্ন। এর মধ্যে অন্যতম হলো খানসামা উপজেলার পাকেরহাট সীমান্তে বেলান নদীর শান্ত তীরে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রাচীন নিদর্শন—আওকরা মসজিদ। ২৫৯ বছর পেরিয়ে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের মসজিদটি আজও দাঁড়িয়ে আছে সময়ের সাক্ষী হয়ে।
জনশ্রুতি আছে, একসময় এই মসজিদের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় যদি কেউ কথা বলত, মসজিদের দেয়াল সেই প্রতিধ্বনি তাকে ফিরিয়ে দিত। সেখান থেকেই এর নাম হয়ে গিয়েছিল ‘আওকরা’ অর্থাৎ কথা বলা মসজিদ। তবে নির্মাণের সময়ের প্রকৃত নাম বা কাহিনি যেন সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেছে।
জানা যায়, ১৭৬৬ সালে ধর্মপ্রাণ মির্জা লাল বেগ আশপাশের মুসলিম জনবসতির জন্য এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এখানে শুধু নামাজ নয়, ছিল মিলনমেলা, ছিল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও একাত্মতার অনুভূতি।
চিকন ইটে গড়া দেয়াল, সূক্ষ্ম নকশায় ভরা প্রতিটি অংশ যেন গল্প বলে যায়—কেমন ছিল সে সময়, কেমন ছিল মানুষের জীবন। কিন্তু আজ সেই দেয়ালে ফাটল ধরেছে, ঝরে পড়ছে চুন-সুরকি। নীরবে কাঁদছে মসজিদটি।
বহু বছর পরিত্যক্ত পড়ে থাকার পর স্থানীয় বাসিন্দারা সাহস করে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে। অন্ধকার জায়গাটিতে আলো জ্বালিয়ে আবার নামাজ আদায়ের পরিবেশ ফিরিয়ে আনে। তবুও দেয়ালের দুর্বলতা যেন এক ভয়াল ছায়া হয়ে থাকে, তাই মূল মসজিদের বদলে টিনশেডে চলছে ইবাদত।
বছরের পর বছর দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এই প্রাচীন নিদর্শন দেখতে। সেই সঙ্গে ছবি তোলা কিংবা শুধু চুপচাপ দাঁড়িয়ে এটির আধ্যাত্মিক আহ্বান অনুভব করতে আসেন ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা। কয়েক বছর আগে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ ঘোষণা করলেও, তা যেন কেবল সাইনবোর্ডেই রয়ে গেছে। সংস্কারের কোনো ছোঁয়া লাগেনি ইতিহাসের সাক্ষী এ মসজিদে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কণ্ঠে শোনা যায় একটাই কথা—যদি এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে ইতিহাসের বুকে খোদাই হওয়া এই মসজিদ একদিন কেবল গল্প হয়ে যাবে। মাটিতে থাকবে না তার অস্তিত্ব, থাকবে শুধু মানুষের স্মৃতিতে এক ধূসর ছবি।
স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, এখনই সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধু নামেই এই ঐতিহাসিক নিদর্শনের কথা জানবে। তাদের দাবি, সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ যেন দ্রুত এই মসজিদের সংস্কার করে। ফলে মসজিদটি শুধু খানসামার নয়, বরং সারা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন ও ধর্মীয় স্থান হিসেবে টিকে থাকতে পারবে বলেও মনে করেন তারা।
মসজিদ কমিটির সদস্য মোকছেদুল ইসলাম আমার দেশকে জানান, ‘আমরা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে এটিকে নামাজ পড়ার উপযোগী করে তুলেছি। কিন্তু দেয়ালের ফাটলের কারণে আতঙ্কে থাকতে হয়। আমরা এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সরকারের কাছে আকুল আবেদন করি যাতে ঐতিহাসিক আওকরা মসজিদটি ধ্বংস হয়ে না যায়। সেই উদ্যোগ নেওয়া হোক।’ মোকছেদুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এই মসজিদটির সংস্কার করে তাহলে এটি হতে পারে দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।’
স্থানীয় আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন লিটন বলেন, ‘খানসামার ঐতিহাসিক প্রাচীনতম নিদর্শন আওকরা মসজিদ। এটা দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার পর স্থানীয় বাসিন্দারা পরিষ্কার করে নামাজ আদায় করা শুরু করে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় মসজিদটিকে ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করেছে।’
সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, ‘এটি নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তবুও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। সংস্কার না হলে এই প্রাচীনতম নিদর্শনটি হারিয়ে যাবে। নতুন প্রজন্ম এই ঐতিহাসিক নিদর্শনের কথা ভুলে যাবে। আশা করছি, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত মসজিদটি রক্ষায় উদ্যোগ নেবেন।’
দিনাজপুরের মাটিতে যতই পা বাড়ানো হয়, ততই মেলে ইতিহাসের ঘ্রাণ। এই ইতিহাসের ভাঁজে লুকিয়ে আছে বিভিন্ন পদচিহ্ন। এর মধ্যে অন্যতম হলো খানসামা উপজেলার পাকেরহাট সীমান্তে বেলান নদীর শান্ত তীরে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রাচীন নিদর্শন—আওকরা মসজিদ। ২৫৯ বছর পেরিয়ে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের মসজিদটি আজও দাঁড়িয়ে আছে সময়ের সাক্ষী হয়ে।
জনশ্রুতি আছে, একসময় এই মসজিদের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় যদি কেউ কথা বলত, মসজিদের দেয়াল সেই প্রতিধ্বনি তাকে ফিরিয়ে দিত। সেখান থেকেই এর নাম হয়ে গিয়েছিল ‘আওকরা’ অর্থাৎ কথা বলা মসজিদ। তবে নির্মাণের সময়ের প্রকৃত নাম বা কাহিনি যেন সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেছে।
জানা যায়, ১৭৬৬ সালে ধর্মপ্রাণ মির্জা লাল বেগ আশপাশের মুসলিম জনবসতির জন্য এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এখানে শুধু নামাজ নয়, ছিল মিলনমেলা, ছিল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও একাত্মতার অনুভূতি।
চিকন ইটে গড়া দেয়াল, সূক্ষ্ম নকশায় ভরা প্রতিটি অংশ যেন গল্প বলে যায়—কেমন ছিল সে সময়, কেমন ছিল মানুষের জীবন। কিন্তু আজ সেই দেয়ালে ফাটল ধরেছে, ঝরে পড়ছে চুন-সুরকি। নীরবে কাঁদছে মসজিদটি।
বহু বছর পরিত্যক্ত পড়ে থাকার পর স্থানীয় বাসিন্দারা সাহস করে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে। অন্ধকার জায়গাটিতে আলো জ্বালিয়ে আবার নামাজ আদায়ের পরিবেশ ফিরিয়ে আনে। তবুও দেয়ালের দুর্বলতা যেন এক ভয়াল ছায়া হয়ে থাকে, তাই মূল মসজিদের বদলে টিনশেডে চলছে ইবাদত।
বছরের পর বছর দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এই প্রাচীন নিদর্শন দেখতে। সেই সঙ্গে ছবি তোলা কিংবা শুধু চুপচাপ দাঁড়িয়ে এটির আধ্যাত্মিক আহ্বান অনুভব করতে আসেন ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা। কয়েক বছর আগে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ ঘোষণা করলেও, তা যেন কেবল সাইনবোর্ডেই রয়ে গেছে। সংস্কারের কোনো ছোঁয়া লাগেনি ইতিহাসের সাক্ষী এ মসজিদে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কণ্ঠে শোনা যায় একটাই কথা—যদি এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে ইতিহাসের বুকে খোদাই হওয়া এই মসজিদ একদিন কেবল গল্প হয়ে যাবে। মাটিতে থাকবে না তার অস্তিত্ব, থাকবে শুধু মানুষের স্মৃতিতে এক ধূসর ছবি।
স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, এখনই সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধু নামেই এই ঐতিহাসিক নিদর্শনের কথা জানবে। তাদের দাবি, সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ যেন দ্রুত এই মসজিদের সংস্কার করে। ফলে মসজিদটি শুধু খানসামার নয়, বরং সারা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন ও ধর্মীয় স্থান হিসেবে টিকে থাকতে পারবে বলেও মনে করেন তারা।
মসজিদ কমিটির সদস্য মোকছেদুল ইসলাম আমার দেশকে জানান, ‘আমরা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে এটিকে নামাজ পড়ার উপযোগী করে তুলেছি। কিন্তু দেয়ালের ফাটলের কারণে আতঙ্কে থাকতে হয়। আমরা এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সরকারের কাছে আকুল আবেদন করি যাতে ঐতিহাসিক আওকরা মসজিদটি ধ্বংস হয়ে না যায়। সেই উদ্যোগ নেওয়া হোক।’ মোকছেদুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এই মসজিদটির সংস্কার করে তাহলে এটি হতে পারে দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।’
স্থানীয় আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন লিটন বলেন, ‘খানসামার ঐতিহাসিক প্রাচীনতম নিদর্শন আওকরা মসজিদ। এটা দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার পর স্থানীয় বাসিন্দারা পরিষ্কার করে নামাজ আদায় করা শুরু করে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় মসজিদটিকে ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করেছে।’
সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, ‘এটি নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তবুও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। সংস্কার না হলে এই প্রাচীনতম নিদর্শনটি হারিয়ে যাবে। নতুন প্রজন্ম এই ঐতিহাসিক নিদর্শনের কথা ভুলে যাবে। আশা করছি, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত মসজিদটি রক্ষায় উদ্যোগ নেবেন।’
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৫ ঘণ্টা আগে