ফয়সাল রহমান
তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ১২২৫। নাম তার সৈয়দ মো. আবদুল্লাহ আল নাছিফ আদনান। বরাবরের মেধাবী ছাত্রটি বললেন, এসএসসিতে এই ফলাফলের জন্য খুব বেশি যে পড়ালেখা করতে হয়েছে তা নয়, মোটামুটি পড়ে ভালো ফলাফল করেছি। তিনি যে রুটিন বেঁধে পড়ালেখা করেছেন তাও নয়; যেটুকু পড়া প্রয়োজন, ততটুকুই পড়েছেন। বাসায় ফিরে স্কুলের পড়া শেষ করেছেন, কোচিংয়ের পড়া থাকলে সেটিও শেষ করেছেন। বিভিন্ন গাইড কোম্পানির বইগুলো পড়েছেন। রয়েল, উদ্ভাস ও ফাহাদ স্যারের অ্যাকাডেমিক বই পড়েছেন।
অনলাইনে ফ্রি টিউটোরিয়াল ক্লাসগুলো করেছেন। বিদ্যালয়ের শফিক স্যারের (শফিকুল আলম) কাছে গণিত পড়েছেন। ইংরেজি পড়েছেন তিনজন শিক্ষকের কাছে—নঈম স্যার, আরাফাত স্যার ও রায়হান স্যারের কাছে। নঈম স্যারের কাছে ক্লাস সিক্স থেকে নাইন পর্যন্ত পড়েছেন। নাইনের প্রথম মাস থেকে জুলাই ’২৪ পর্যন্ত ইংরেজি পড়েছেন আরাফাত স্যারের কাছে। এরপর তিনি সরকারি হাই স্কুলে চাকরি নিয়ে চলে যান। তার পর থেকে এসএসসি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত রায়হান স্যারের কাছে ইংরেজি পড়েছেন। বিদ্যালয়ের শিরিন ম্যামের কাছে বিজ্ঞানের সব বিষয় ব্যাচে পড়েছেন। নিপা ম্যাডামের কাছে বাংলা, সমাজ—এ সাবজেক্টগুলো ব্যাচে পড়েছেন। তিনি জানালেন, যতজন শিক্ষকের কাছে পড়েছেন, তারা খুব ভালোভাবে পড়িয়েছেন।
তাদের সবুজ বিদ্যাপীঠ স্কুল অ্যান্ড কলেজে শুরু থেকেই পড়েছেন এই ছাত্রটি। তৃতীয় থেকে ফার্স্ট কিংবা সেকেন্ড হয়ে পড়ালেখা করেছেন। তার ভালো ফলাফলের পেছনে এই শিক্ষকদের ও তার বিদ্যালয়ের অবদান প্রচুর। তারা তার জন্য কষ্ট করেছেন প্রচুর। ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করার চেষ্টা করেছেন। যেসব শিক্ষক চলে গেছেন, তাদের জায়গায় যারা এসেছেন, তারাও খুব ভালো পড়িয়েছেন। তিনি আরও বললেন, আল্লাহর ইচ্ছা, পরিবারের সবার দোয়া এবং সমর্থনের কারণেও এত ভালো ফলাফল করতে পেরেছেন।
ভালো ফলাফলের কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, শিক্ষকরা যেসব বিষয় পড়তে দিতেন, সেগুলো পড়ে ফেলতেন। এভাবেই তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ভালো ফলাফল করেছেন। এসএসসি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত ব্যাচে পড়েছেন এবং দিনের পড়া দিনেই শেষ করেছেন। বিদ্যালয়ে দুবার মডেল টেস্ট নেওয়া হয়েছে, সেখানেও ভালো করেছেন। বাবা সৈয়দ মো. বাদশাহ ফয়ছল হেলালের কথা আলাদাভাবে বললেন, বাবা যখন যেখানে পড়া দরকার, পড়িয়েছেন; যখন যে শিক্ষা উপকরণ প্রয়োজন এনে দিয়েছেন। তিনি ছেলের পড়ালেখার জন্য সবসময় খোঁজখবর নিতেন, মানসিক সমর্থন জোগাতেন। যার কাছে তার ছেলে পড়তে চাইত, তার কাছেই পড়তে দিতেন। ফলে সকালে দুই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট ব্যাচে পড়তেন তিনি। তারপর বিদ্যালয়ের জন্য রেডি হতেন। বিদ্যালয়ের ক্লাস করতে যেতেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘আমি আমার বিদ্যালয়ের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ। সব শিক্ষক-শিক্ষিকাই আমার ওপর সন্তুষ্ট ও আন্তরিক। তাদের সবার সাহায্যে আমি ভালো ফলাফল করেছি।’
মায়ের কথাও খুব কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করলেন তিনি। তার মায়ের নাম মাহমুদা সুলতানা। প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত তিনিই পড়াতেন। গণিতের বেসিক তিনিই তৈরি করে দিয়েছেন। মাহমুদা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বোটানিতে মাস্টার্স।
ভবিষ্যতে তার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা আছে, যাতে তিনি দেশের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন। অবসর পেলে ঘুরতে যেতে খুব ভালো লাগে তার। অ্যাকাডেমিক লেখাপড়ার বাইরে খুব বেশি বই পড়েননি তিনি। ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব পছন্দ করেন।
তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ১২২৫। নাম তার সৈয়দ মো. আবদুল্লাহ আল নাছিফ আদনান। বরাবরের মেধাবী ছাত্রটি বললেন, এসএসসিতে এই ফলাফলের জন্য খুব বেশি যে পড়ালেখা করতে হয়েছে তা নয়, মোটামুটি পড়ে ভালো ফলাফল করেছি। তিনি যে রুটিন বেঁধে পড়ালেখা করেছেন তাও নয়; যেটুকু পড়া প্রয়োজন, ততটুকুই পড়েছেন। বাসায় ফিরে স্কুলের পড়া শেষ করেছেন, কোচিংয়ের পড়া থাকলে সেটিও শেষ করেছেন। বিভিন্ন গাইড কোম্পানির বইগুলো পড়েছেন। রয়েল, উদ্ভাস ও ফাহাদ স্যারের অ্যাকাডেমিক বই পড়েছেন।
অনলাইনে ফ্রি টিউটোরিয়াল ক্লাসগুলো করেছেন। বিদ্যালয়ের শফিক স্যারের (শফিকুল আলম) কাছে গণিত পড়েছেন। ইংরেজি পড়েছেন তিনজন শিক্ষকের কাছে—নঈম স্যার, আরাফাত স্যার ও রায়হান স্যারের কাছে। নঈম স্যারের কাছে ক্লাস সিক্স থেকে নাইন পর্যন্ত পড়েছেন। নাইনের প্রথম মাস থেকে জুলাই ’২৪ পর্যন্ত ইংরেজি পড়েছেন আরাফাত স্যারের কাছে। এরপর তিনি সরকারি হাই স্কুলে চাকরি নিয়ে চলে যান। তার পর থেকে এসএসসি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত রায়হান স্যারের কাছে ইংরেজি পড়েছেন। বিদ্যালয়ের শিরিন ম্যামের কাছে বিজ্ঞানের সব বিষয় ব্যাচে পড়েছেন। নিপা ম্যাডামের কাছে বাংলা, সমাজ—এ সাবজেক্টগুলো ব্যাচে পড়েছেন। তিনি জানালেন, যতজন শিক্ষকের কাছে পড়েছেন, তারা খুব ভালোভাবে পড়িয়েছেন।
তাদের সবুজ বিদ্যাপীঠ স্কুল অ্যান্ড কলেজে শুরু থেকেই পড়েছেন এই ছাত্রটি। তৃতীয় থেকে ফার্স্ট কিংবা সেকেন্ড হয়ে পড়ালেখা করেছেন। তার ভালো ফলাফলের পেছনে এই শিক্ষকদের ও তার বিদ্যালয়ের অবদান প্রচুর। তারা তার জন্য কষ্ট করেছেন প্রচুর। ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করার চেষ্টা করেছেন। যেসব শিক্ষক চলে গেছেন, তাদের জায়গায় যারা এসেছেন, তারাও খুব ভালো পড়িয়েছেন। তিনি আরও বললেন, আল্লাহর ইচ্ছা, পরিবারের সবার দোয়া এবং সমর্থনের কারণেও এত ভালো ফলাফল করতে পেরেছেন।
ভালো ফলাফলের কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, শিক্ষকরা যেসব বিষয় পড়তে দিতেন, সেগুলো পড়ে ফেলতেন। এভাবেই তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ভালো ফলাফল করেছেন। এসএসসি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত ব্যাচে পড়েছেন এবং দিনের পড়া দিনেই শেষ করেছেন। বিদ্যালয়ে দুবার মডেল টেস্ট নেওয়া হয়েছে, সেখানেও ভালো করেছেন। বাবা সৈয়দ মো. বাদশাহ ফয়ছল হেলালের কথা আলাদাভাবে বললেন, বাবা যখন যেখানে পড়া দরকার, পড়িয়েছেন; যখন যে শিক্ষা উপকরণ প্রয়োজন এনে দিয়েছেন। তিনি ছেলের পড়ালেখার জন্য সবসময় খোঁজখবর নিতেন, মানসিক সমর্থন জোগাতেন। যার কাছে তার ছেলে পড়তে চাইত, তার কাছেই পড়তে দিতেন। ফলে সকালে দুই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট ব্যাচে পড়তেন তিনি। তারপর বিদ্যালয়ের জন্য রেডি হতেন। বিদ্যালয়ের ক্লাস করতে যেতেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘আমি আমার বিদ্যালয়ের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ। সব শিক্ষক-শিক্ষিকাই আমার ওপর সন্তুষ্ট ও আন্তরিক। তাদের সবার সাহায্যে আমি ভালো ফলাফল করেছি।’
মায়ের কথাও খুব কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করলেন তিনি। তার মায়ের নাম মাহমুদা সুলতানা। প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত তিনিই পড়াতেন। গণিতের বেসিক তিনিই তৈরি করে দিয়েছেন। মাহমুদা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বোটানিতে মাস্টার্স।
ভবিষ্যতে তার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা আছে, যাতে তিনি দেশের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন। অবসর পেলে ঘুরতে যেতে খুব ভালো লাগে তার। অ্যাকাডেমিক লেখাপড়ার বাইরে খুব বেশি বই পড়েননি তিনি। ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব পছন্দ করেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৬ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৬ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৮ ঘণ্টা আগে