নিজাম তালুকদার, মদন (নেত্রকোনা)
কোটা সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বছরের ১৮ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। ওই কর্মসূচি সফল করতে নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন সরকারি কলেজ মোড়ে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানেই শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন মেহেদী হাসান নবাব। হারান এক চোখ। চিকিৎসার অভাবে হারাতে বসেছেন বাকি চোখও। পড়াশোনা শেষ করে পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেল পুলিশেরই বুলেটে।
জানা যায়, কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির সমর্থনে উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা ১৮ জুলাই সকালে মদন সরকারি কলেজ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। একই সঙ্গে পুলিশও ওই স্থানে অবস্থান নেয়। বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের দিকে আসতে থাকেন। পুলিশ ডাকবাংলো মোড়ে ব্যারিকেড দেয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেই শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে পাবলিক হলের দিকে রওনা হন। একই সময় আন্দোলনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। দুটি মিছিল উপজেলা খাদ্যগুদামের সামনে মুখোমুখি হলে প্রশাসন মিছিল দুটিকে ছত্রভঙ্গ করে আলাদা করে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা শহীদ আব্দুল কদ্দুছ মগড়া সেতুর পূর্ব পাশে অবস্থান নেন। এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলটির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে যোগ দেয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন নবাব। এ ছাড়াও ওই সময় আরো ১২-১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন।
উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের মৈধাম গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে নবাব। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। ডানপিঠে স্বভাবের এই তরুণ বলেন, স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষ করে পুলিশে চাকরি নেব। কিন্তু পুলিশের বুলেটে আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। আমার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসার অভাবে আরেকটি চোখ নষ্ট হওয়ার পথে। জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করেছি। কিন্তু নিজের চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত তেমন সহযোগিতা পাইনি। জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে এক লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিলাম। ওই টাকা গাড়ি ভাড়ায়ই খরচ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পরিবার ছয় লাখ টাকার বেশি খরচ করেছে। কিন্তু আর সম্ভব হচ্ছে না। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
নবাবের বাবা খোকন মিয়া বলেন, আমার ছেলে আন্দোলনে গিয়ে একটি চোখ হারিয়েছে। আরেকটি চোখ নষ্ট হচ্ছে। টাকার জন্য ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারছি না। সরকার যেন আমার ছেলের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রকোনা জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদ বিন ফজল জানান, নবাবের একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আরেকটি নষ্ট হওয়ার পথে। এখন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে হবে। এর জন্য আমরা সব জায়গায় যোগাযোগ করছি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বছরের ১৮ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। ওই কর্মসূচি সফল করতে নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন সরকারি কলেজ মোড়ে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানেই শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন মেহেদী হাসান নবাব। হারান এক চোখ। চিকিৎসার অভাবে হারাতে বসেছেন বাকি চোখও। পড়াশোনা শেষ করে পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেল পুলিশেরই বুলেটে।
জানা যায়, কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির সমর্থনে উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা ১৮ জুলাই সকালে মদন সরকারি কলেজ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। একই সঙ্গে পুলিশও ওই স্থানে অবস্থান নেয়। বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের দিকে আসতে থাকেন। পুলিশ ডাকবাংলো মোড়ে ব্যারিকেড দেয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেই শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে পাবলিক হলের দিকে রওনা হন। একই সময় আন্দোলনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। দুটি মিছিল উপজেলা খাদ্যগুদামের সামনে মুখোমুখি হলে প্রশাসন মিছিল দুটিকে ছত্রভঙ্গ করে আলাদা করে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা শহীদ আব্দুল কদ্দুছ মগড়া সেতুর পূর্ব পাশে অবস্থান নেন। এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলটির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে যোগ দেয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন নবাব। এ ছাড়াও ওই সময় আরো ১২-১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন।
উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের মৈধাম গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে নবাব। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। ডানপিঠে স্বভাবের এই তরুণ বলেন, স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষ করে পুলিশে চাকরি নেব। কিন্তু পুলিশের বুলেটে আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। আমার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসার অভাবে আরেকটি চোখ নষ্ট হওয়ার পথে। জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করেছি। কিন্তু নিজের চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত তেমন সহযোগিতা পাইনি। জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে এক লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিলাম। ওই টাকা গাড়ি ভাড়ায়ই খরচ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পরিবার ছয় লাখ টাকার বেশি খরচ করেছে। কিন্তু আর সম্ভব হচ্ছে না। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
নবাবের বাবা খোকন মিয়া বলেন, আমার ছেলে আন্দোলনে গিয়ে একটি চোখ হারিয়েছে। আরেকটি চোখ নষ্ট হচ্ছে। টাকার জন্য ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারছি না। সরকার যেন আমার ছেলের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রকোনা জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদ বিন ফজল জানান, নবাবের একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আরেকটি নষ্ট হওয়ার পথে। এখন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে হবে। এর জন্য আমরা সব জায়গায় যোগাযোগ করছি।
জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫