অঘোষিত যুদ্ধের প্রতিরোধের দুর্গ বনশ্রী-রামপুরা-বাড্ডা

এমরানা আহমেদ
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৫, ০২: ৫৫
আমার দেশ গ্রাফিক্স

জুলাই বিপ্লবে সারা দেশে যখন শাসকগোষ্ঠীর চোখ রাঙানি বাড়ছিল, ঠিক তখন রাজধানীর রামপুরাসহ আশপাশের এলাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবনবাজি রেখে রাজপথে নেমে আসেন। আর তাতে স্বৈরাচারের বন্দুকের নল যেন আরো বেশি ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে, প্রাণ হারান অসংখ্য সাধারণ মানুষ। এতে রামপুরা ছাড়াও মহাখালী, গুলশান, বাড্ডা, ওয়াপদা ও মেরাদিয়াসহ সমগ্র এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। যেন এক অঘোষিত যুদ্ধ চলছে!

এরমধ্যেই স্লোগান, চিৎকার, ক্ষোভ ও আক্রোশে ফেটে পড়ে মানুষ। পুলিশের ছোড়া কাঁদানেগ্যাসের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন চারপাশ। সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ যেন মূর্তিমান আতঙ্ক। মিছিলে মুহুর্মুহু গুলি, রক্তাক্ত রাজপথ। দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি। সড়কে পড়ে থাকা গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ। তার মধ্যে চলছিল র‌্যাব-পুলিশের সতর্ক মহড়া।

বিজ্ঞাপন

এতকিছুর পরও থামেনি প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। মাথায় জাতীয় পতাকা বাঁধা, মুখে স্লোগানÑ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’, ‘আমার ভাই মরল কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘তোর কোটা তুই নে, আমার ভাই ফিরিয়ে দে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনিরা কেন বাইরে’, ‘যে হাত গুলি করে, সে হাত ভেঙে দাও’। জুলাই বিপ্লবের সেই রক্তক্ষয়ী দিনগুলোয় এমন অজস্র স্লোগানে মুখরিত ছিল রাজপথ।

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অকুতোভয় শিক্ষার্থীরা পুলিশের বন্দুকের নলের ক্রূর শাসানি উপেক্ষা করে এক পা দুই পা করে সামনে এগিয়ে আসেন, গড়ে তোলেন কঠোর প্রতিরোধ। ছাত্রদের ওপর পুলিশ, বিজিবি আর তৎকালীন ছাত্রলীগকর্মীদের উন্মত্ততা দেখে এলাকার দোকানদার থেকে শুরু করে বাবুর্চিÑসবাই নেমে আসেন রাজপথে। সেসব দিনের কথা ভেবে এখনো শিউরে ওঠেন ওই সব এলাকার মানুষ।

মূল সড়ক থেকে গলি, ছিল পদে পদে বাধা। পাশাপাশি আটক-গ্রেপ্তারের ভয়। ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলার আতঙ্ক। তবু কিছুতেই পিছপা হননি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইস্ট ওয়েস্ট, ব্র্যাক, নর্থ সাউথ, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি, ইউআইইউ, স্টেট ইউনিভার্সিটি, রামপুরায় ইম্পেরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলগাঁও মডেল কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রামপুরা-বাড্ডা সড়কে বুক পেতে আলিঙ্গন করেন দানবের ছোড়া গুলির পর গুলি। কারফিউ উপেক্ষা করে বেগবান করেন আন্দোলন।

আন্দোলনে ১৮ জুলাই রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় প্রথম শহীদ হন এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠি ইউনিয়নের হাসান শেখের বড় ছেলে জিল্লুর শেখ, যার শাহাদাতের ফলশ্রুতিতে রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আপামর ছাত্র-জনতা। রামপুরা, বাড্ডা হয়ে বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়ক ‘ব্লকেড’ দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত টানটান উত্তেজনায় ছাত্র-জনতা ধনুকের ছিলার মতো বুকটান করে অবিচল দৃঢ়তায় ধরে রাখেন আন্দোলনের আবেগ, উত্তাপ।

রামপুরার বাসা থেকে ১৯ জুলাই বের হওয়ার সময় মোসলেহ উদ্দীন বলে যান ফিরে এসে ছেলের সঙ্গে বসে দুপুরের খাবার খাবেন। এখনো বাবার অপেক্ষায় শিশুটি। কিন্তু ১০ বছরের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন আফনান জানে না ঘাতকের গুলি তার বাবার ঘরে ফেরার সব পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। তার মা বলেন, ‘বিকাল ৪টার দিকে একটি ফোন পাই। ছুটে গিয়ে দেখি আমার স্বামীর লাশ।’

রেজাউল করিম রামপুরা এলাকায় বাবুর্চির কাজ করতেন। ছেলেকে আন্দোলন থেকে ফেরাতে সেদিন বাসা থেকে বের হন তিনি। কিন্তু চারপাশে শত শত মানুষের মৃত্যু দেখে নিজেই ঝাঁপিয়ে পড়েন লড়াইয়ে। তিনি বলেন, মধুবাগের নতুন রাস্তার মোড়ে যখন যাই, সেখানে পুলিশের টিয়ারশেলে এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের ছোড়া একটি বুলেট আমার চোখে এসে লাগে। শরীরে লাগে ১২-১৩টির মতো বুলেট। দৃষ্টি হারিয়ে কর্মহীন রেজাউলের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা আজও অনিশ্চিত।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ সালেহীন বলেন, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বাড্ডা সড়কে এসে জড়ো হতাম। পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্থানীয় কাউন্সিলরের লোকেরা সড়কে মহড়া দিত। মিছিল বের করলেই গুলি ছুড়ত। এ কারণে আমরা সড়কে বসেই বিক্ষোভ করতাম। আমাদের ডাকে মিছিল ও দ্রোহে উত্তাল হয়ে উঠত রাজপথ।

আন্দোলনে সংঘাতের অন্যতম কেন্দ্রস্থল রামপুরার ওয়াপদা রোডের মূল সড়কের পাশে একটি ছোট দোকানে সবজি বিক্রেতা ফিরোজ মিয়ার (৪৫) সঙ্গে কথা হয়। ভাই ছাত্র আন্দোলনে কই ছিলেন, এখানে কি তখন দোকান ছিলÑএমন প্রশ্নে আঁতকে ওঠেন ফিরোজ। উত্তরে বলেন, ‘হ, আছিলাম তো। আন্দোলনের সময় আমার চক্ষের সামনেই এক বুড়া রিশকাওয়ালা চাচা মইরা গেল। এই দোকানের সামনেই চাচা খাড়াইয়া আছিল। হঠাৎ কইরা প্লেনের আওয়াজ, ঠাস ঠাস কইরা গুলি পড়ল নিচে। আমি দৌড়াইয়া পাশের গলিতে গিয়া একটা বাড়ির গেটের মইধ্যে ঢুকছিলাম। তয় রিশকাওয়ালা চাচা বুড়া মানুষ, পলাইতে পারে নাই। পরে আইসা দেহি চাচার লাশ রাস্তায় পইড়া আছে। গুলিডা পিডে লাইগা বুক দিয়া বাইর অইয়া গেছে, রক্ত আর রক্ত। আমি হেই দৃশ্য জীবনেও ভুলুম না।’

বনশ্রী, রামপুরা ও আফতাবনগর এলাকায় আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদলের সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন আমার দেশকে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি ছিল বনশ্রী, রামপুরা ও আফতাবনগর এলাকা। ছাত্রদলের একজন কর্মী হিসেবে এসব এলাকায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। চোখের সামনে দেখেছি অঘোষিত এক রণক্ষেত্র। মাথার উপর হেলিকপ্টার থেকে চালানো হয় গুলি। তীব্র আন্দোলনে অবশেষে ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাখাওয়াত ইবনে আলী আমার দেশকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই ছাত্র আন্দোলনের একদম শুরু থেকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ‍৫ আগস্ট সকাল থেকেই ইউনিভার্সিটির সামনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। কলেজ পড়ুয়া গুলিবিদ্ধ এক ভাইকে রিকশায় করে নিয়ে গেলাম নাগরিক হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে দেখি অসংখ্য আহত কাতরাচ্ছে। ডাক্তার নেই, থাকলেও অপ্রতুল। মনে হচ্ছিল যেন ফিলিস্তিনের গাজার কোনো এলাকায় আছি।

কথা বলার সময় চোখ জ্বলজ্বল করছিল সাখাওয়াতের। বলে যাচ্ছিলেন কীভাবে তখন মানুষ উদ্দীপ্ত হয়েছিল সে কথা। বলছিলেন, রক্ত মানুষকে দমিয়ে রাখার পরিবর্তে সাহস জুগিয়েছে। ওই প্রসঙ্গ টেনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বলেন, রক্তাক্ত মানুষের শরীর তরুণদের ওই লড়াইকে নতুন করে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে। চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে। ছোট্ট দুধের শিশু কাঁধে নিয়ে, এক হাতে পতাকা, আরেক হাত মুষ্টিবদ্ধ স্লোগানে শামিল হচ্ছে কোনো তরুণী মা, সামনে পুলিশের রায়টকার, আর্মির ট্যাংক! কী হবে পরিণতি জানা নেই। কিন্তু সাহস অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। বনশ্রী, রামপুরা, আফতাবনগরের অলিগলি ও রাজপথ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জনতার দখলে ছিল। দুঃসাহসিক লড়াইয়ে অংশ নেয় এ এলাকার মানুষ। মাঠে থেকে তাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, ওই ব্যাটল গ্রাউন্ডের সত্যিকারের কোনো একক মাস্টারমাইন্ড ছিল না। মাস্টারমাইন্ড ছিল সাধারণ মানুষ।

মূলত ১৭ জুলাই থেকে রামপুরা-বাড্ডা অঞ্চল বিশেষ করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওই দিনগুলোয় এ এলাকাগুলোকে ‘মৃত্যু উপত্যকা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

আমিন সাদ নামে এক সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, ২৮ জুলাই যখন আন্দোলন এক দফায় রূপ নিচ্ছিল, সেদিন দেয়াল লিখন কার্যক্রম করা হয়। সারা দেশের দেয়ালে তুলে ধরা হয় সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর ফ্যাসিস্ট সরকারের বর্বরতার চিত্র। আমি সেদিন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ‘স্টেপ ডাউন হাসিনা’ লিখি। পরে পুলিশ এবং স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মীরা এসে এসব মুছে ফেলে এবং আমাকে অ্যারেস্ট করার জন্য চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। সেদিন খুব কষ্টে পুলিশের হাত থেকে বেঁচে যাই। তবে সেদিনই এই এলাকা আমাকে ছাড়তে হয়।

কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সানিয়া আমিন স্নিগ্ধা মৃধা ছিলেন বাড্ডা ‘ব্লকেড’-এর অন্যতম একজন। সাহসী এই নারী শিক্ষার্থী বলেন, ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর মধ্যেই সকাল সাড়ে ১০টায় আমরা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনের সড়কে শান্তিপূর্ণভাবেই জড়ো হই। সেখানে পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে প্রতিরোধ করলে পুলিশ মাঝখানে পড়ে যায়। আমাদের ভার্সিটির (কানাডিয়ান) ভেতরে পুলিশ ঢুকে পড়ে এবং রাস্তামুখী ফোকাস গ্লাস ভেঙে আবারও উপর থেকে আমাদের ওপর অনবরত গুলি ছোড়ে। বাধ্য হয়ে আমরা প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী ভাসির্টির ভেতরে ঢুকি। পুলিশ তখন ভবনের সিঁড়ি থেকে আমাদের ওপর গুলি করতে করতে ছাদের দিকে চলে যায়। এ সময় আমাদের দুজন গুলিবিদ্ধ হন। একজনের মাথায় এবং আরেকজনের বুকে গুলি লাগে। দুজনই সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। বেশ কয়েকজন আহত হন। সেদিন মাথায় গুলিবিদ্ধ আমার ভাইয়ের লাশ সিঁড়িতে পড়ে থাকতে দেখেছি। গুলিতে ক্ষতবিক্ষত মাথার ভেতর থেকে মগজ আর রক্ত মিলেমিশে গড়িয়ে পড়ছিল সিঁড়িতে। সেই ভয়াবহ দৃশ্য আমাকে আজীবন ট্রমাটাইজ করে রাখবে।

প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রামপুরা-বাড্ডা রোড দিনের পর দিন কীভাবে আটকে রাখা হয়েছিলÑএ বিষয়ে জানতে চাইলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি বলেন, আমরা যখন দেখলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে, এমনকি মেয়েদেরও নির্মমভাবে মারছে, তখন আমরা নবাই সম্মিলিতভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেই। এরপর মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা হয়ে বিশ্বরোড পর্যন্ত ব্লকেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। সে সময়ে আমরা ব্র্যাক, ইস্ট ওয়েস্ট, কানাডিয়ানসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করে একটি কমিটি গঠন করি। এখানে কেন্দ্রীয় কিছু নির্দেশনা ছিল। পরে একটি ডিভিশন করি যে, আমরা পাঁচটি সেক্টরে ভাগ হয়ে আন্দোলন করব। এরপর থেকে তো লাগাতার কারফিউ ছিল। ওই কারফিউ আমরা ব্রেক করি। আন্দোলন চালিয়ে যাই। এখানে কিন্তু তখন আর কোনো কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ছিল না। কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে আমাদের শুধু একটি মিটিং হতো। সেখানে আমরা শুধু জানিয়ে দিতাম, এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। তারা শুধু বলত হ্যাঁ, এভাবে করলে বেটার হয়।

ওই সংগ্রামের একজন অগ্রণী সৈনিক ছিলেন সাইফুল ইসলাম। সাইফুল ইসলামের জন্য ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান একটি বিপদসংকুল মুহূর্ত ছিল, যেখানে তিনি জানতেন তার জীবন বিপদগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু তিনি নিজের লক্ষ্য এবং দেশপ্রেমের প্রতি অনুগত থেকে মৃত্যুকে নিজের সামনে রেখে রাজপথে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের পথচলা, আমাদের সংগ্রাম শুধু আমাদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য নয়; এটি দেশের জন্য, জাতির জন্য।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত