
এম হাসান, কুমিল্লা

জুলাই-আগস্টের উত্তাল আন্দোলন নাড়া দিয়েছিল সব বয়সি মানুষের হৃদয়ে। আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্বিচার গুলির মুখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শ্রমজীবী, শিশু, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই। তাদের একজন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দীঘলগাঁও গ্রামের কাজী শারমিন আক্তার। তিনি গত ৫ আগস্ট কান্দিরপাড়ের পূবালী চত্বরে মিছিলে ছিলেন।
একপর্যায়ে বিজয়ের সুঘ্রাণ পেতে শুরু করলে আনন্দে উদ্বেলিত হন তিনি। পরক্ষণেই তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয় তার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছেন। মুহূর্তে মুষড়ে পড়েন তিনি, হাউমাউ করে কান্না করতে করতে বাড়ি ফিরে সবাইকে বিষয়টি জানান।
শারমিন আক্তার বলেন, হামিদুর রহমান মজুমদার সাদমান ছিল বড় ছেলে। ইন্টার্নি করার জন্য গিয়েছিল ঢাকায়। তার সঙ্গে ছিল আরও চার বন্ধু। ৫ তারিখে তারা সবাই রাজধানীর বংশাল এলাকায় মিছিলে ছিল। হঠাৎ একটি গুলি সাদমানের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় তার বন্ধু রাফি। সে-ই খবরটি বাড়িতে জানায়।
শিক্ষার্থী রাফি জানান, ‘আমাদের মিছিলে গুলি চালায় বংশাল থানা পুলিশ। সাদমান শুধু একবার চিৎকার দিয়ে বলল আমার গুলি লেগেছে। দৌড়ে অন্যরা আশপাশে গিয়ে অবস্থান নিল। আমরা কজন সাদমানকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটলাম। রিকশায় ওঠানোর পর তিনবার শুধু আম্মু বলেছিল, এটাই তার শেষ কথা।
তখনও শ্বাসপ্রশ্বাস চলছিল। কিন্তু তাকে চিকিৎসা দিল না কেউ। উল্টো বলল, মর্গে নিয়ে রেখে আসেন। কিছুক্ষণ পর চোখের সামনেই তার প্রাণপ্রদীপ নিভে গেল। নিথর দেহ ধরে আমরা কাঁদতে থাকলাম। হাসপাতালের লোকজন লাশটি নিয়ে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করল। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে লড়াই করে প্রতিহত করলাম।’
সাদমানের মা আরও বলেন, ‘লাশ গুমের চেষ্টার কথা শুনে আমার পরিচিত কয়েকজনকে খবর দিলাম। তারা দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে লাশটি নিয়ে কুমিল্লা রওনা দেয়। এরপর জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন করা হয়। সাদমান খুব ভদ্র ও শান্ত ছেলে ছিল । তাকে সবাই খুব পছন্দ করত । বেশ ধার্মিকও ছিল। সে রুটি খুব পছন্দ করত। তার মৃত্যুর পর আমি রুটি বানানোই বন্ধ করে দিয়েছি। কোথাও রুটি দেখলে বুক ফেটে কান্না আসে।’
কথা বলতে বলতে দুচোখ বেয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরছিল শারমিন আক্তারের। তিনি আক্ষেপ করে বললেন, সাদমান মাঝে মাঝে বলত- ‘পড়াশোনা শেষ করে বিদেশ যাব, নইলে দেশেই একটা চাকরি করব। চাকরি পাওয়ার পর আব্বুকে বলব, তোমার আর বিদেশে থাকতে হবে না।’ ছেলেটার সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই সে চিরবিদায় নিয়েছে। রক্তচোষা শেখ হাসিনার খুনি বাহিনী তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
শহীদের মা হিসেবে কেমন দেশ চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী আর বলব, নিজ দেশের নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ছেলের মৃত্যুর কথা মনে হলেই প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয়, আমি সহ্য করতে পারি না । যদি অন্য দেশের সঙ্গে যুদ্ধে সাদমান মারা যেত তাহলে মনকে বোঝাতে পারতাম। আমি এমন একটা দেশ চাই, যেখানে আর কোনো মায়ের বুক খালি হবে না।’

জুলাই-আগস্টের উত্তাল আন্দোলন নাড়া দিয়েছিল সব বয়সি মানুষের হৃদয়ে। আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্বিচার গুলির মুখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শ্রমজীবী, শিশু, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই। তাদের একজন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দীঘলগাঁও গ্রামের কাজী শারমিন আক্তার। তিনি গত ৫ আগস্ট কান্দিরপাড়ের পূবালী চত্বরে মিছিলে ছিলেন।
একপর্যায়ে বিজয়ের সুঘ্রাণ পেতে শুরু করলে আনন্দে উদ্বেলিত হন তিনি। পরক্ষণেই তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয় তার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছেন। মুহূর্তে মুষড়ে পড়েন তিনি, হাউমাউ করে কান্না করতে করতে বাড়ি ফিরে সবাইকে বিষয়টি জানান।
শারমিন আক্তার বলেন, হামিদুর রহমান মজুমদার সাদমান ছিল বড় ছেলে। ইন্টার্নি করার জন্য গিয়েছিল ঢাকায়। তার সঙ্গে ছিল আরও চার বন্ধু। ৫ তারিখে তারা সবাই রাজধানীর বংশাল এলাকায় মিছিলে ছিল। হঠাৎ একটি গুলি সাদমানের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় তার বন্ধু রাফি। সে-ই খবরটি বাড়িতে জানায়।
শিক্ষার্থী রাফি জানান, ‘আমাদের মিছিলে গুলি চালায় বংশাল থানা পুলিশ। সাদমান শুধু একবার চিৎকার দিয়ে বলল আমার গুলি লেগেছে। দৌড়ে অন্যরা আশপাশে গিয়ে অবস্থান নিল। আমরা কজন সাদমানকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটলাম। রিকশায় ওঠানোর পর তিনবার শুধু আম্মু বলেছিল, এটাই তার শেষ কথা।
তখনও শ্বাসপ্রশ্বাস চলছিল। কিন্তু তাকে চিকিৎসা দিল না কেউ। উল্টো বলল, মর্গে নিয়ে রেখে আসেন। কিছুক্ষণ পর চোখের সামনেই তার প্রাণপ্রদীপ নিভে গেল। নিথর দেহ ধরে আমরা কাঁদতে থাকলাম। হাসপাতালের লোকজন লাশটি নিয়ে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করল। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে লড়াই করে প্রতিহত করলাম।’
সাদমানের মা আরও বলেন, ‘লাশ গুমের চেষ্টার কথা শুনে আমার পরিচিত কয়েকজনকে খবর দিলাম। তারা দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে লাশটি নিয়ে কুমিল্লা রওনা দেয়। এরপর জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন করা হয়। সাদমান খুব ভদ্র ও শান্ত ছেলে ছিল । তাকে সবাই খুব পছন্দ করত । বেশ ধার্মিকও ছিল। সে রুটি খুব পছন্দ করত। তার মৃত্যুর পর আমি রুটি বানানোই বন্ধ করে দিয়েছি। কোথাও রুটি দেখলে বুক ফেটে কান্না আসে।’
কথা বলতে বলতে দুচোখ বেয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরছিল শারমিন আক্তারের। তিনি আক্ষেপ করে বললেন, সাদমান মাঝে মাঝে বলত- ‘পড়াশোনা শেষ করে বিদেশ যাব, নইলে দেশেই একটা চাকরি করব। চাকরি পাওয়ার পর আব্বুকে বলব, তোমার আর বিদেশে থাকতে হবে না।’ ছেলেটার সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই সে চিরবিদায় নিয়েছে। রক্তচোষা শেখ হাসিনার খুনি বাহিনী তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
শহীদের মা হিসেবে কেমন দেশ চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী আর বলব, নিজ দেশের নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ছেলের মৃত্যুর কথা মনে হলেই প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয়, আমি সহ্য করতে পারি না । যদি অন্য দেশের সঙ্গে যুদ্ধে সাদমান মারা যেত তাহলে মনকে বোঝাতে পারতাম। আমি এমন একটা দেশ চাই, যেখানে আর কোনো মায়ের বুক খালি হবে না।’

জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫
চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫
তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫