
শিবলী আজাদ

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের (১৮ জানুয়ারি ১৯৫১ – ১০ অক্টোবর ২০২৫) সঙ্গে আমার পরিচয় কৈশোরে। আশির দশকের শেষের কথা। হাইস্কুলের ওপরের ক্লাসে পড়ার কালে। সে যুগের ঢাকার কথা আজকে বলে বোঝানো অসম্ভব। ইন্টারনেট, মোবাইল আর কম্পিউটারহীন এক দুনিয়া। টিভি চ্যানেলও মাত্র একটি, বিটিভি। সেটাও আবার রাত সাড়ে ১১টা অবধি।
মানসম্মত দৈনিক পত্রিকাও হাতেগোনা। ইত্তেফাক পত্রিকার সার্কুলেশন একচেটিয়া—সাকুল্যে এক লাখ। আর আছে দৈনিক বাংলা, দৈনিক দেশ, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ইনকেলাব আর দৈনিক সংগ্রাম। ম্যাগাজিন বলতে সাপ্তাহিক বিচিত্রা, রোববার আর সন্ধানী। আরো বিচিত্র কিছু ম্যাগাজিন বের হতো। দৈনিক পত্রিকাও বের হতো আরো কিছু। কিন্তু মানসম্মত ছিল না। পাঠকপ্রিয়তা পায়নি। সামাজিক প্রতিপত্তিও ছিল না। সাপ্তাহিক যায়যায়দিন আর বিচিন্তা আসে আরো পরে। সেগুলো আবার ছিল সেনসেশনাল ট্যাবলয়েড গোত্রের।
সে সময় সংবাদের সাহিত্য পাতা ছিল বেশ জোরদার। রীতিমতো ঈর্ষা জাগানিয়া। আবুল হাসনাত দক্ষতার সঙ্গে মুরুব্বি লেখকদের মেলা বসিয়েছিলেন। নিয়মিত কলাম লিখতেন সৈয়দ শামসুল হক (হৃৎকলমের টানে), হাসনাত আবদুল হাই (জার্নাল ’৮৯) আর লিখতেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (অলস দিনের হাওয়া)। এই তিনটি কলামই আমি গোগ্রাসে গিলতাম। আমার সতীর্থ বন্ধুরাও সাগ্রহে পড়ত। পড়া শেষ হলেই শুরু হতো আড্ডা। ভালোমন্দের বিচার। ঢাকার বদ্ধ বাতাসে তখন সবে এসেছে মার্কেস আর নাজিব মাহফুজের নাম। আর আছেন দারুণ জনপ্রিয় স্প্যানিশ ক্যামিলো হোসে থেলা। ওই নোবেল পাওয়ার কারণেই। পাঠকও ম্যাজিক রিয়ালিজম খুঁজে বেড়াচ্ছে যত্রতত্র। মনজুরের আবির্ভাব সেই ব্রহ্মমুহূর্তে।
সৈয়দ মনজুর সম্ভবত ’৮১-তে ডক্টরেট কমপ্লিট করে দেশে ফেরেন। দীর্ঘদিন পড়াশোনা আর বাইরে থাকার সুবাদে সাম্প্রতিক দুনিয়ার খোঁজ-খবর পেয়েছিলেন। সেটার সদর্থক ব্যবহার করেন অলস দিনের হাওয়া লিখে। ঢাকায় অপরিচিত কিংবা স্বল্প পরিচিত অনেকের লেখাজোখা নিয়ে নাতিদীর্ঘ আলোচনায় ওদের প্রতি তরুণ পাঠকের মনে আগ্রহ জাগিয়ে তোলেন। ভিএস নাইপল, জামাইকা কিনকেইড কিংবা পল স্কট প্রমুখ ঢাকায় তখনো অত পরিচিত লেখক নন। পাঠক এদের রচনার কথা ওর মাধ্যমে জানে।
আগ্রহ নিয়ে ওর লেখা পড়তাম। ঢাকা ছাড়ার কারণে ওর লেখা পাঠের সঙ্গে চিরতরে বিচ্ছেদ ঘটে। শুনেছি আরো বছর দশেক ধরে কলামটি লিখেছেন। মাত্র দুটি বই প্রকাশ করেছেন লেখাগুলোর সংকলন করে, যদিও সব লেখাই সংকলনের যোগ্য। সেটা না করার কারণ অবশ্য ওর মুখেই শোনা। বাসার লোক পুরোনো জঞ্জাল ভেবে ওর লেখার কাটিংগুলো ফেলে দেয়। তবে সংবাদের পাতা থেকে লেখাগুলো কিন্তু উদ্ধার করা যেত। কেন সেটা করেননি, আমার প্রশ্নের উত্তরে মৌনব্রত ছিলেন।
প্রফেসর ইসলামের সঙ্গে আমার সখ্য হয়নি। নিউ ইয়র্কের এক আড্ডায় একবারই দেখা হয়। ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন। ছেলে তখন ইয়েলে ভর্তি হয়েছে। আড্ডায় কিন্তু ব্যাটে বল লাগেনি আমাদের কারো। তাকে মনে হয়েছে গম্ভীর, মাস্টার টাইপ মানুষ। আড্ডার উপযোগী দিলখোলা ব্যক্তিত্ব নন। আর আড্ডায় উপস্থিত আমরা ছিলাম রাজা-উজির মারা কোতোয়ালের দল। হয়তো সে কারণে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি। চিন্তার ফারাকও ছিল আমাদের। আলোচনায় সেটা বেশ ধরা পড়েছিল। মধ্য সত্তর আর আর্লি আশির পরে ক্রিটিসিজমে যে আকাশ-পাতাল ফারাক গড়ে ওঠে, সে বিষয়ে মনজুর ছিলেন অজ্ঞাত।
আমাদের চোখে তার ‘কালচারাল পজিশন’ ছিল সেকেলে ও রক্ষণশীল। সবচেয়ে বড় কথা, ওর বিশ্ববীক্ষা ছিল শতভাগ ওরিয়েন্টালিস্ট। যদিও সমালোচনা করতেন ওরিয়েন্টালিজমের। কিন্তু নিজের চিন্তার কন্ট্রাডিকশন চোখে পড়ত না। ফলে ইউরো-মার্কিন মুল্লুকে পড়াশোনা করা অনেকের কাছে উনি ছিলেন ছদ্ম-প্রগতিশীল। প্রতিক্রিয়াশীলও বলবেন হয়তো অনেকে। বাঙালি মুসলমান অ্যাকাডেমিশিয়ান ও বুদ্ধিজীবীর মতো তার চিন্তা ও কর্মেও এ মিলের অভাব ছিল প্রকট। প্রথম জীবনে ছাত্রলীগ করাই হয়তো, ওর সমাজ ও জাতি ভাবনার ওপর ‘কল্পিত জাতীয়তাবাদী’ ছাপ পড়েছিল।
ইসলাম পরের দিকে গল্প লিখেছেন। তবে তার গল্পও আকর্ষণীয় নয়। গল্পহীন গল্প আমি মনে করি সোনার পাথরবাটি। সুবিমল মিশ্র টাইপ লেখা গল্প নয়। ন্যারেটিভ মাত্র। মনজুরের গল্পেও অনেক সময় দেখা যায়, আদতে কোনো গল্পই নেই। কোনো স্ট্রাকচারাল উত্তরণ নেই। পোস্ট-মডার্নিস্ট আখ্যা দিয়ে সেটা ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। পোস্ট-মডার্নিস্ট সাহিত্য শতভাগ মার্কিনি উদ্ভাবন। থমাস পিঞ্চন আর ডেভিড ফস্টার ওয়ালেস তার দুই জনক। পিঞ্চন বা ওয়ালেস পড়া না থাকলে পোস্ট-মডার্নিস্ট বুলি না কপচানোই ভালো।
বাংলাদেশের বড় ট্র্যাজেডি হচ্ছে এখানে পূর্ণ মাত্রায় বিকশিত হয়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব। সমাজ কাঠামোটাই সে রকম। সৈয়দ মনজুর ভালো প্রাবন্ধিক হতে পারতেন। অলস দিনের হাওয়ায় সে সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিল। সেটা আর পূর্ণতা পেল না। শেষের দিকে অনেকটা কমপেনসেশন হিসেবে হয়তো, ফিকশনে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু ফিকশন রাইটারের মন ওর ছিল না। গল্পকে গল্পে বলতে হয়, তত্ত্বে নয়। গল্পে তত্ত্বও মেশানো যায়, কিন্তু সেটা থাকতে হবে গল্পের মজ্জায়। প্রকাশ্যে নয়।
সৈয়দ মনজুরের অন্তর্ধানে আমার প্রজন্মের আরেক স্মৃতি, আরেক স্মারক চলে গেলেন।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের (১৮ জানুয়ারি ১৯৫১ – ১০ অক্টোবর ২০২৫) সঙ্গে আমার পরিচয় কৈশোরে। আশির দশকের শেষের কথা। হাইস্কুলের ওপরের ক্লাসে পড়ার কালে। সে যুগের ঢাকার কথা আজকে বলে বোঝানো অসম্ভব। ইন্টারনেট, মোবাইল আর কম্পিউটারহীন এক দুনিয়া। টিভি চ্যানেলও মাত্র একটি, বিটিভি। সেটাও আবার রাত সাড়ে ১১টা অবধি।
মানসম্মত দৈনিক পত্রিকাও হাতেগোনা। ইত্তেফাক পত্রিকার সার্কুলেশন একচেটিয়া—সাকুল্যে এক লাখ। আর আছে দৈনিক বাংলা, দৈনিক দেশ, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ইনকেলাব আর দৈনিক সংগ্রাম। ম্যাগাজিন বলতে সাপ্তাহিক বিচিত্রা, রোববার আর সন্ধানী। আরো বিচিত্র কিছু ম্যাগাজিন বের হতো। দৈনিক পত্রিকাও বের হতো আরো কিছু। কিন্তু মানসম্মত ছিল না। পাঠকপ্রিয়তা পায়নি। সামাজিক প্রতিপত্তিও ছিল না। সাপ্তাহিক যায়যায়দিন আর বিচিন্তা আসে আরো পরে। সেগুলো আবার ছিল সেনসেশনাল ট্যাবলয়েড গোত্রের।
সে সময় সংবাদের সাহিত্য পাতা ছিল বেশ জোরদার। রীতিমতো ঈর্ষা জাগানিয়া। আবুল হাসনাত দক্ষতার সঙ্গে মুরুব্বি লেখকদের মেলা বসিয়েছিলেন। নিয়মিত কলাম লিখতেন সৈয়দ শামসুল হক (হৃৎকলমের টানে), হাসনাত আবদুল হাই (জার্নাল ’৮৯) আর লিখতেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (অলস দিনের হাওয়া)। এই তিনটি কলামই আমি গোগ্রাসে গিলতাম। আমার সতীর্থ বন্ধুরাও সাগ্রহে পড়ত। পড়া শেষ হলেই শুরু হতো আড্ডা। ভালোমন্দের বিচার। ঢাকার বদ্ধ বাতাসে তখন সবে এসেছে মার্কেস আর নাজিব মাহফুজের নাম। আর আছেন দারুণ জনপ্রিয় স্প্যানিশ ক্যামিলো হোসে থেলা। ওই নোবেল পাওয়ার কারণেই। পাঠকও ম্যাজিক রিয়ালিজম খুঁজে বেড়াচ্ছে যত্রতত্র। মনজুরের আবির্ভাব সেই ব্রহ্মমুহূর্তে।
সৈয়দ মনজুর সম্ভবত ’৮১-তে ডক্টরেট কমপ্লিট করে দেশে ফেরেন। দীর্ঘদিন পড়াশোনা আর বাইরে থাকার সুবাদে সাম্প্রতিক দুনিয়ার খোঁজ-খবর পেয়েছিলেন। সেটার সদর্থক ব্যবহার করেন অলস দিনের হাওয়া লিখে। ঢাকায় অপরিচিত কিংবা স্বল্প পরিচিত অনেকের লেখাজোখা নিয়ে নাতিদীর্ঘ আলোচনায় ওদের প্রতি তরুণ পাঠকের মনে আগ্রহ জাগিয়ে তোলেন। ভিএস নাইপল, জামাইকা কিনকেইড কিংবা পল স্কট প্রমুখ ঢাকায় তখনো অত পরিচিত লেখক নন। পাঠক এদের রচনার কথা ওর মাধ্যমে জানে।
আগ্রহ নিয়ে ওর লেখা পড়তাম। ঢাকা ছাড়ার কারণে ওর লেখা পাঠের সঙ্গে চিরতরে বিচ্ছেদ ঘটে। শুনেছি আরো বছর দশেক ধরে কলামটি লিখেছেন। মাত্র দুটি বই প্রকাশ করেছেন লেখাগুলোর সংকলন করে, যদিও সব লেখাই সংকলনের যোগ্য। সেটা না করার কারণ অবশ্য ওর মুখেই শোনা। বাসার লোক পুরোনো জঞ্জাল ভেবে ওর লেখার কাটিংগুলো ফেলে দেয়। তবে সংবাদের পাতা থেকে লেখাগুলো কিন্তু উদ্ধার করা যেত। কেন সেটা করেননি, আমার প্রশ্নের উত্তরে মৌনব্রত ছিলেন।
প্রফেসর ইসলামের সঙ্গে আমার সখ্য হয়নি। নিউ ইয়র্কের এক আড্ডায় একবারই দেখা হয়। ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন। ছেলে তখন ইয়েলে ভর্তি হয়েছে। আড্ডায় কিন্তু ব্যাটে বল লাগেনি আমাদের কারো। তাকে মনে হয়েছে গম্ভীর, মাস্টার টাইপ মানুষ। আড্ডার উপযোগী দিলখোলা ব্যক্তিত্ব নন। আর আড্ডায় উপস্থিত আমরা ছিলাম রাজা-উজির মারা কোতোয়ালের দল। হয়তো সে কারণে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি। চিন্তার ফারাকও ছিল আমাদের। আলোচনায় সেটা বেশ ধরা পড়েছিল। মধ্য সত্তর আর আর্লি আশির পরে ক্রিটিসিজমে যে আকাশ-পাতাল ফারাক গড়ে ওঠে, সে বিষয়ে মনজুর ছিলেন অজ্ঞাত।
আমাদের চোখে তার ‘কালচারাল পজিশন’ ছিল সেকেলে ও রক্ষণশীল। সবচেয়ে বড় কথা, ওর বিশ্ববীক্ষা ছিল শতভাগ ওরিয়েন্টালিস্ট। যদিও সমালোচনা করতেন ওরিয়েন্টালিজমের। কিন্তু নিজের চিন্তার কন্ট্রাডিকশন চোখে পড়ত না। ফলে ইউরো-মার্কিন মুল্লুকে পড়াশোনা করা অনেকের কাছে উনি ছিলেন ছদ্ম-প্রগতিশীল। প্রতিক্রিয়াশীলও বলবেন হয়তো অনেকে। বাঙালি মুসলমান অ্যাকাডেমিশিয়ান ও বুদ্ধিজীবীর মতো তার চিন্তা ও কর্মেও এ মিলের অভাব ছিল প্রকট। প্রথম জীবনে ছাত্রলীগ করাই হয়তো, ওর সমাজ ও জাতি ভাবনার ওপর ‘কল্পিত জাতীয়তাবাদী’ ছাপ পড়েছিল।
ইসলাম পরের দিকে গল্প লিখেছেন। তবে তার গল্পও আকর্ষণীয় নয়। গল্পহীন গল্প আমি মনে করি সোনার পাথরবাটি। সুবিমল মিশ্র টাইপ লেখা গল্প নয়। ন্যারেটিভ মাত্র। মনজুরের গল্পেও অনেক সময় দেখা যায়, আদতে কোনো গল্পই নেই। কোনো স্ট্রাকচারাল উত্তরণ নেই। পোস্ট-মডার্নিস্ট আখ্যা দিয়ে সেটা ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। পোস্ট-মডার্নিস্ট সাহিত্য শতভাগ মার্কিনি উদ্ভাবন। থমাস পিঞ্চন আর ডেভিড ফস্টার ওয়ালেস তার দুই জনক। পিঞ্চন বা ওয়ালেস পড়া না থাকলে পোস্ট-মডার্নিস্ট বুলি না কপচানোই ভালো।
বাংলাদেশের বড় ট্র্যাজেডি হচ্ছে এখানে পূর্ণ মাত্রায় বিকশিত হয়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব। সমাজ কাঠামোটাই সে রকম। সৈয়দ মনজুর ভালো প্রাবন্ধিক হতে পারতেন। অলস দিনের হাওয়ায় সে সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিল। সেটা আর পূর্ণতা পেল না। শেষের দিকে অনেকটা কমপেনসেশন হিসেবে হয়তো, ফিকশনে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু ফিকশন রাইটারের মন ওর ছিল না। গল্পকে গল্পে বলতে হয়, তত্ত্বে নয়। গল্পে তত্ত্বও মেশানো যায়, কিন্তু সেটা থাকতে হবে গল্পের মজ্জায়। প্রকাশ্যে নয়।
সৈয়দ মনজুরের অন্তর্ধানে আমার প্রজন্মের আরেক স্মৃতি, আরেক স্মারক চলে গেলেন।

গাজা পুনরুদ্ধারের এই সময়ে ‘ফিলিস্তিন সাংস্কৃতিক পুরস্কার’ ঘোষণা করেছে ‘ফিলিস্তিন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট’। ১৩তম আসরের মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে—‘জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা, গোটা ফিলিস্তিন ও জায়নবাদের বিরোধিতা’।
৫ দিন আগে
একশ বছর আগের কথা। ১৮৮৯ সাল। তুরিনে আজকের মতোই এক দিনে ফ্রিডরিখ নিৎশে কার্লো আলবার্তো পথের ৬ নম্বর বাড়ির ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসেন। কখনো হাঁটতে বের হতেন, আবার কখনো পোস্ট অফিসে চিঠিপত্র তুলতে যেতেন।
৬ দিন আগে
বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী আয়োজিত ইসলামি বইমেলায় প্রতিদিনই জড়ো হন হাজারো মানুষ। বিশেষত সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে বইপ্রেমীদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। আর এই জনস্রোতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একদল স্বপ্নবাজ তরুণের হাতে গড়া ‘লিটলম্যাগ কর্নার’।
৬ দিন আগে
ইসলাম-পূর্ব সময়ে এক ভয়ংকর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল যেন আরবরা। সমগ্র আরবে চলছিল ভয়াবহ অরাজকতা। গোত্রে গোত্রে শত্রুতা। সারাক্ষণ একে অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টায় রত। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও মারামারি থেকে শুরু করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া; বছরের পর বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলা।
৬ দিন আগে