এই যে চটুল, কটু কথা, বিপর্যয়ের রেশ,
চতুর্দিকে মৃত্যুসম দগ্ধ পরিবেশ।
বেঁচে থাকা বড় আপদ, জীবন মানে ভয়,
জ্যান্ত, নধর প্রাণগুলোকে করেছে নয়-ছয়।
জমি-জিরেত, ব্যবসাপাতির ঠিক যতটা দাম,
আস্ত জীবন ক্ষয় হয়ে যায় তারই পরিনাম।
হাওয়ায় ভাসে কত কথা, কত যে চিৎকার,
জবাই করা পশুর মত প্রাণের বলাৎকার।
এক, আধলা টুকরো ইটের বিপুল ব্যবহার,
ইটের ঘায়ে জ্যান্ত মানুষ হয়েছে সৎকার।
ইট-পাথরে শুধু এখন ঘর গড়ে না আর,
আস্ত মানুষ থেতলে মারার দৃশ্য উপহার।
মন ছুটে যায় গাছের কাছে, বাঁচার তাবিজ চাই,
সর্বসহা গাছের জবান, প্রতিকারে পাই।
নদীর কাছে, পাখির কাছে, ফুলের কাছে মন,
বাস্তবতা এড়িয়ে গিয়ে বাঁচবো কতক্ষণ?
দোরের পাশে রক্ত ঝরে, উঠোন জুড়ে লাশ,
মানুষ নামের কদর্যতায় মরণ পরিহাস।
পিঠ ঠেকেছে দেয়ালে আজ, দৃষ্টি খোঁজে পথ,
সোচ্চারে ফের প্রচার করি মানব অভিমত,
খুনি কারও পিতা, স্বামী কিংবা ভ্রাতা নয়,
খুনি মানেই খুনি, কেবল কর্মে পরিচয়।
রক্তপণের সময় এলো, জানের বদল জান,
বুক চিতিয়ে দাঁড়াই চলো, সিনাটি টান টান।
হুংকারে আজ প্রকাশ করি, তুই খুনি, তুই মর,
দু-একটা কীট স্বাধীনতার ভাঙছে অহংকার।

