জোবায়েদ হত্যার বিচারের দাবিতে আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, জবি
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ১৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্ন ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ করেছে জবি শাখা ছাত্রদল।

মঙ্গলবার রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতপাড়ায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে জবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভকারীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘জোবায়েদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনি তোদের রক্ষা নাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’—এমন নানা স্লোগান দিতে দিতে আদালতপাড়া ঘুরে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন,

“জোবায়েদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন নৃশংস কাজের সাহস না পায়।”

গত রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর বংশাল থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের ‘রৌশান ভিলা’ নামের একটি ভবনের সিঁড়িঘরে ছুরিকাঘাতে নিহত হন জোবায়েদ হোসাইন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত মাহির রহমান ও বার্জিস শাবনাম বর্ষার মধ্যে নয় বছরের পরিচয় ও দেড়-দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হত্যার দিন বিকেলে বর্ষার টিউশনির সময় জোবায়েদ রৌশান ভিলায় পৌঁছালে মাহির ও তার বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লান নিচে ওঁৎ পেতে থাকে। সেখানে মাহির জোবায়েদকে বর্ষার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করে এবং একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডা হয়। তখন মাহির ব্যাগ থেকে সুইচ গিয়ার ছুরি বের করে জোবায়েদের গলার ডান পাশে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হত্যার সময় বর্ষা ভবনের তৃতীয় তলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বংশাল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মাহির রহমান (১৯), বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত