বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে— ভারতের এমন প্রত্যাশা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতে পালিয়ে যাওয়া পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের তলবে এমনটি জানান তিনি।
রোববার দুপুরে তাকে মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন হাসিনা ও তার দলের অসংখ্য নেতাকর্মী। ভারতে অবস্থান করে তারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য নানা উসকানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে বলা হয়, বাংলাদেশে আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে পলাতক শেখ হাসিনা ভারতে বসে তার সমর্থকদের উসকানিমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে। তাকে এই ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যের সুযোগ দেয়ায় ভারত সরকারের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে আহ্বান জানিয়ে নিয়মিত উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। যা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলবের সময় বাংলাদেশ দ্রুততার সঙ্গে হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে বাংলাদেশের আদালতের দেওয়া দণ্ড ভোগের জন্য পুনরায় প্রত্যর্পণের আহ্বান জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতা কামনা করা হয়। তারা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়, তবে তাদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে উল্লেখ করে যে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের কাছ থেকে প্রত্যাশিত।
ভারতের হাইকমিশনার উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানে তার দেশ প্রস্তুত।

