চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল চেয়ে ২ উপদেষ্টাকে কর্মচারীদের স্মারকলিপি

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫, ১৭: ৩৮

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবি জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন সচিবালয়ের কতিপয় কর্মচারী।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে পৃথকভাবে উপদেষ্টাদের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন কর্মচারীরা। এর আগে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে কদমতলায় ২৫ থেকে ৩০ জন জড়ো হয়ে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়ে কিছুক্ষণ শ্লোগান দেন।

এ সময় সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর ও নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দুই মন্ত্রণালয়ে গিয়ে উপদেষ্টাদের হাতে স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপি দেওয়ার পর কর্মচারী নেতা বাদিউল কবীর সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা সরকারেরই অংশ। সরকার আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা নির্ভয়ে কাজ করতে চাই। যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তাতে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। এ কারণেই আমরা এ অধ্যাদেশ বাতিল চাই।' কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, '৪ জুন ও ১৫ জুন আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই। সরকারের সিদ্ধান্ত জানার পর আমরা ১৬ জুন পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।'

'সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর অধিকতর সংশোধন করে 'সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ, ২০২৫' নামে আইন মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশ জারি করে। অধ্যাদেশের খসড়াটি ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, 'সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে; অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন; অন্য যেকোনো কর্মচারীকে তাঁর কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তাঁর কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন; এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।'

অভিযুক্ত কর্মচারীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে অধ্যাদেশে আরও বলা হয়, অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাঁকে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। তার ভিত্তিতে দণ্ড আরোপ করা যাবে। এভাবে দণ্ড আরোপ করা হলে দোষী কর্মচারী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। তবে, রাষ্ট্রপতির দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। যদিও আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন।

এ অধ্যাদেশ জারির আগে থেকেই সচিবালয়ের কর্মচারীদের একাংশ বিক্ষোভ সমাবেশ ও উপদেষ্টাদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত