সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত অব্যাহত
বিশেষ প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি গভীর থেকে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এতে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং সেইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের চার বিভাগেই ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। তবে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, ‘নিম্নচাপটি গভীর থেকে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। যেহেতু নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেহেতু সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কসংকেতই অব্যাহত থাকছে। সতর্কসংকেত ৪ নম্বরে উন্নীত করার সম্ভাবনাও নেই।’
এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ‘এ অবস্থা আরো দুই থেকে তিন দিন থাকতে পারে।’
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ সারা দিন বৃষ্টি থাকতে পারে। এছাড়া আরো ২-৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ ইতোমধ্যে দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের চার বিভাগেই বর্ষণের সতর্কবার্তা ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, ‘আজ ভোরের দিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবারও বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা কমে আসতে পারে; বিশেষ করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টি হতে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বলেছে, ‘নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কোনো স্থানে ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতি ভারী বৃষ্টি বলা হয়। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি অঞ্চলগুলোয় পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে আবহাওয়ার বার্তায়। রাজধানীতেও সন্ধ্যা কিংবা সন্ধ্যার পর থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’
উপকূলের এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও আজ সন্ধ্যা কিংবা রাত থেকে ভারী বর্ষণের প্রভাবে ঢাকা সিটি ও ঢাকার পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা এবং চট্টগ্রামের অঞ্চলের পাহাড়ি জেলাগুলোতে জলাবদ্ধতাসহ পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বুধবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় দেশের চার বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে পাঁচ জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বুধবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।’
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি এবং ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি ধরা হয়। আর ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার হলে ভারি এবং তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে সেটিকে ধরা হয় অতি ভারি বৃষ্টিপাত হিসেবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি গভীর থেকে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এতে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং সেইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের চার বিভাগেই ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। তবে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, ‘নিম্নচাপটি গভীর থেকে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। যেহেতু নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেহেতু সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কসংকেতই অব্যাহত থাকছে। সতর্কসংকেত ৪ নম্বরে উন্নীত করার সম্ভাবনাও নেই।’
এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ‘এ অবস্থা আরো দুই থেকে তিন দিন থাকতে পারে।’
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ সারা দিন বৃষ্টি থাকতে পারে। এছাড়া আরো ২-৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ ইতোমধ্যে দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের চার বিভাগেই বর্ষণের সতর্কবার্তা ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, ‘আজ ভোরের দিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবারও বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা কমে আসতে পারে; বিশেষ করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টি হতে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বলেছে, ‘নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কোনো স্থানে ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতি ভারী বৃষ্টি বলা হয়। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি অঞ্চলগুলোয় পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে আবহাওয়ার বার্তায়। রাজধানীতেও সন্ধ্যা কিংবা সন্ধ্যার পর থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’
উপকূলের এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও আজ সন্ধ্যা কিংবা রাত থেকে ভারী বর্ষণের প্রভাবে ঢাকা সিটি ও ঢাকার পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা এবং চট্টগ্রামের অঞ্চলের পাহাড়ি জেলাগুলোতে জলাবদ্ধতাসহ পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বুধবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় দেশের চার বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে পাঁচ জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বুধবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।’
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি এবং ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি ধরা হয়। আর ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার হলে ভারি এবং তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে সেটিকে ধরা হয় অতি ভারি বৃষ্টিপাত হিসেবে।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেদেশের ছয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগেবাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএডিসি’র চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. রুহুল আমিন খান বলেন যে, দক্ষ কৃষি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলে টেকসই কৃষি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিএডিসি অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
৩ দিন আগেসারাদেশে শীতল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ২২ ডিগ্রিতে নেমেছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এই অবস্থার মধ্যেই দেশের ৩ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৪ দিন আগে