এলাহী নেওয়াজ খান
রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লবের পর এদেশের ভোটবঞ্চিত সাধারণ মানুষ যখন একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশ নিতে মুখিয়ে আছে, তখন গত ২৯ আগস্ট গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা নানামুখী প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই হামলা ও বেধড়ক পিটুনিতে রক্তাক্ত ভিপি নুরের ফুটেজ সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের এক বছর পার হতে না হতে ফ্যাসিবাদবিরোধী একজন সৈনিকের ওপর এই হামলা নতুন একটা বার্তা বহন করছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ভিপি নুরুল হক নুরের কিছু বক্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী তার অনমনীয় ভূমিকাকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই হামলা কিংবা কেন এই হামলার সঙ্গে রাষ্ট্রের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা জড়িত ছিলেন? কিংবা কী পরিকল্পনা আছে এই হামলার পেছনে? এ রকম অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বিজয়নগরে অবস্থিত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অফিসে হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে পূর্বব্যবস্থা হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়েছে। অবশ্য এটার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায় গত মে মাসে রংপুরের ঘটনা থেকে। সে সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা যখন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাড়ির দিকে যাচ্ছিল, তখন শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা তাদের প্রতিহত করে এবং পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এই দুই ঘটনার মধ্যে যে যোগসূত্র পাওয়া যায়, তা আমাদের এই ইঙ্গিত দেয় যে, ওই বিশেষ প্রতিষ্ঠান যেকোনো মূল্যে জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করতে চায়। অর্থাৎ জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ডিপ স্টেটের একটি পরিকল্পনা আছে।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে অংশগ্রহণ করানোর একটা পরিকল্পনা রয়েছে। এমনকি জাতীয় পার্টিকে সংসদে বিরোধী দল হিসেবে বসানোর চেষ্টা এই পরিকল্পনায় থাকতেও পারে। এ রকম একটা ধারণা দেওয়া হচ্ছে যে, নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগ নেই, এখন যদি জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে না থাকে তাহলে শুধু বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি এবং অন্যান্য ইসলামিক দলগুলোর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচন আন্তর্জাতিক মহলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হবে না।
এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে জাতীয় পার্টিকে সামনে আনার পেছনে অন্য কোনো অভিসন্ধি থাকতে পারে। হয়তো জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা এই অভিসন্ধির মূল লক্ষ্য হয়ে থাকতে পারে। কারণ জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক একটা সম্পর্কের অটুট জায়গা আছে, যার সূচনা হয়েছিল ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ, যেদিন জেনারেল এরশাদ নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। সেদিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আই এম নট আনহ্যাপি।’ তারপর ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমঝোতা নির্বাচন দুই দলের সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যায়। সেটা আরো পরিপূরক অবস্থানে চলে যায় ১৯৯৬ সালে। তখন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ১৩৯ আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে পারছিল না। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে সরকার গঠনে সহায়তা করে। সেই থেকে এই দুই দলের একসঙ্গে পথচলা; অর্থাৎ, তুমি সরকারে আমি বিরোধী দলে। আবার দুই পার্টিরই মুরুব্বি অন্য দেশে এক জায়গায়।
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রথমে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল ভারত সফর করে আসে। তারপর ভারত সফরে যান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তখনকার গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরাখবর থেকে দেখা যাচ্ছে, চার দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ভারতের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে, কিন্তু তাদের অনুমতি ছাড়া তা বলা যাবে না। পরে তিনি নিজেই বলেছিলেন, একটি মডারেট ও সেক্যুলার দল হিসাবে জাতীয় পার্টিকে ভারত পছন্দ করে।
এখন দেখা যাচ্ছে, আগে জাতীয় পার্টি ভারতের নির্দেশে আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে থাকত। এখন এখন বিপ্লব-উত্তর পরিস্থিতিতে স্টাবলিশমেন্টের দায়িত্ব পড়েছে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে অংশগ্রহণ করানো। এ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায়, জুলাই বিপ্লবের আকস্মিকতায় ভারতের নীতিনির্ধারকরা কিংবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রাথমিকভাবে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লেও গত এক বছরে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যকার দ্বন্দ্ব ও কলহের কারণে পুরোনো সঙ্গীসাথিদের সঙ্গে আবার সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। সে কারণে আবারও পুরোনো বন্দোবস্তের দৃশ্য পাঠ আমাদের সামনে ফুটে উঠেছে।
এই পুরোনো বন্দোবস্ত কার্যত জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে খুব কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার একটা অপচেষ্টা। কারণ সেই বিপ্লবে তরুণদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হয়েছিল লাখ লাখ সাধারণ মানুষ, যাদের আমরা সাইলেন্ট মেজরিটি বা নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে থাকি। এই লাখ লাখ তরুণ ও নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে কী চেয়েছিল কিংবা কী প্রত্যাশা করেছিল, তা আমলে না নিয়ে তরুণদের উগ্র ও অনভিজ্ঞ পোলাপান হিসেবে বিবেচনা করে পুরোনো বন্দোবস্তে ফিরে যাওয়ার ঘটনা বিপজ্জনক রাজনৈতিক ভুল হিসেবে ভবিষ্যতে বিবেচিত হবে।
যেমন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতারা বর্তমান প্রজন্মের তরুণসমাজের মনমানসিকতাকে বুঝতে সম্পূর্ণ অক্ষম হয়েছিল। তেমনি জুলাই বিপ্লবের পরও এই তরুণদের বুঝতে চেষ্টা করা হচ্ছে না। সে কারণেই আওয়ামী লীগ জুলাই বিপ্লবকে একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়ে শত শত তরুণকে হত্যা করার দায় থেকে নিজেদের মুক্ত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। ঠিক একইভাবে বর্তমানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররা পুরোনো বন্দোবস্তে ফিরে গিয়ে দায়সারা গোছের দায়মুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছে। সমস্যার গভীরে গিয়ে একটি স্থিতিশীল ও স্থায়ী সমাধানের পথ না করে দায়মুক্তির যে প্রচেষ্টা চলছে, তা ভবিষ্যতে হয়তো আরেকটা বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই রাষ্ট্রীয় স্টেকহোল্ডারদেরই বুঝতে হবে, এই তরুণরা কী চায়। তা উপলব্ধি না করে জোড়াতালির কোনো সমাধান কার্যত রাষ্ট্রকে আরো গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাবে।
রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লবের পর এদেশের ভোটবঞ্চিত সাধারণ মানুষ যখন একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশ নিতে মুখিয়ে আছে, তখন গত ২৯ আগস্ট গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা নানামুখী প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই হামলা ও বেধড়ক পিটুনিতে রক্তাক্ত ভিপি নুরের ফুটেজ সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের এক বছর পার হতে না হতে ফ্যাসিবাদবিরোধী একজন সৈনিকের ওপর এই হামলা নতুন একটা বার্তা বহন করছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ভিপি নুরুল হক নুরের কিছু বক্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী তার অনমনীয় ভূমিকাকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই হামলা কিংবা কেন এই হামলার সঙ্গে রাষ্ট্রের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা জড়িত ছিলেন? কিংবা কী পরিকল্পনা আছে এই হামলার পেছনে? এ রকম অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বিজয়নগরে অবস্থিত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অফিসে হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে পূর্বব্যবস্থা হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়েছে। অবশ্য এটার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায় গত মে মাসে রংপুরের ঘটনা থেকে। সে সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা যখন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাড়ির দিকে যাচ্ছিল, তখন শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা তাদের প্রতিহত করে এবং পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এই দুই ঘটনার মধ্যে যে যোগসূত্র পাওয়া যায়, তা আমাদের এই ইঙ্গিত দেয় যে, ওই বিশেষ প্রতিষ্ঠান যেকোনো মূল্যে জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করতে চায়। অর্থাৎ জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ডিপ স্টেটের একটি পরিকল্পনা আছে।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে অংশগ্রহণ করানোর একটা পরিকল্পনা রয়েছে। এমনকি জাতীয় পার্টিকে সংসদে বিরোধী দল হিসেবে বসানোর চেষ্টা এই পরিকল্পনায় থাকতেও পারে। এ রকম একটা ধারণা দেওয়া হচ্ছে যে, নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগ নেই, এখন যদি জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে না থাকে তাহলে শুধু বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি এবং অন্যান্য ইসলামিক দলগুলোর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচন আন্তর্জাতিক মহলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হবে না।
এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে জাতীয় পার্টিকে সামনে আনার পেছনে অন্য কোনো অভিসন্ধি থাকতে পারে। হয়তো জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা এই অভিসন্ধির মূল লক্ষ্য হয়ে থাকতে পারে। কারণ জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক একটা সম্পর্কের অটুট জায়গা আছে, যার সূচনা হয়েছিল ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ, যেদিন জেনারেল এরশাদ নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। সেদিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আই এম নট আনহ্যাপি।’ তারপর ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমঝোতা নির্বাচন দুই দলের সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যায়। সেটা আরো পরিপূরক অবস্থানে চলে যায় ১৯৯৬ সালে। তখন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ১৩৯ আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে পারছিল না। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে সরকার গঠনে সহায়তা করে। সেই থেকে এই দুই দলের একসঙ্গে পথচলা; অর্থাৎ, তুমি সরকারে আমি বিরোধী দলে। আবার দুই পার্টিরই মুরুব্বি অন্য দেশে এক জায়গায়।
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রথমে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল ভারত সফর করে আসে। তারপর ভারত সফরে যান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তখনকার গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরাখবর থেকে দেখা যাচ্ছে, চার দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ভারতের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে, কিন্তু তাদের অনুমতি ছাড়া তা বলা যাবে না। পরে তিনি নিজেই বলেছিলেন, একটি মডারেট ও সেক্যুলার দল হিসাবে জাতীয় পার্টিকে ভারত পছন্দ করে।
এখন দেখা যাচ্ছে, আগে জাতীয় পার্টি ভারতের নির্দেশে আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে থাকত। এখন এখন বিপ্লব-উত্তর পরিস্থিতিতে স্টাবলিশমেন্টের দায়িত্ব পড়েছে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে অংশগ্রহণ করানো। এ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায়, জুলাই বিপ্লবের আকস্মিকতায় ভারতের নীতিনির্ধারকরা কিংবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রাথমিকভাবে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লেও গত এক বছরে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যকার দ্বন্দ্ব ও কলহের কারণে পুরোনো সঙ্গীসাথিদের সঙ্গে আবার সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। সে কারণে আবারও পুরোনো বন্দোবস্তের দৃশ্য পাঠ আমাদের সামনে ফুটে উঠেছে।
এই পুরোনো বন্দোবস্ত কার্যত জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে খুব কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার একটা অপচেষ্টা। কারণ সেই বিপ্লবে তরুণদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হয়েছিল লাখ লাখ সাধারণ মানুষ, যাদের আমরা সাইলেন্ট মেজরিটি বা নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে থাকি। এই লাখ লাখ তরুণ ও নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে কী চেয়েছিল কিংবা কী প্রত্যাশা করেছিল, তা আমলে না নিয়ে তরুণদের উগ্র ও অনভিজ্ঞ পোলাপান হিসেবে বিবেচনা করে পুরোনো বন্দোবস্তে ফিরে যাওয়ার ঘটনা বিপজ্জনক রাজনৈতিক ভুল হিসেবে ভবিষ্যতে বিবেচিত হবে।
যেমন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতারা বর্তমান প্রজন্মের তরুণসমাজের মনমানসিকতাকে বুঝতে সম্পূর্ণ অক্ষম হয়েছিল। তেমনি জুলাই বিপ্লবের পরও এই তরুণদের বুঝতে চেষ্টা করা হচ্ছে না। সে কারণেই আওয়ামী লীগ জুলাই বিপ্লবকে একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়ে শত শত তরুণকে হত্যা করার দায় থেকে নিজেদের মুক্ত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। ঠিক একইভাবে বর্তমানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররা পুরোনো বন্দোবস্তে ফিরে গিয়ে দায়সারা গোছের দায়মুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছে। সমস্যার গভীরে গিয়ে একটি স্থিতিশীল ও স্থায়ী সমাধানের পথ না করে দায়মুক্তির যে প্রচেষ্টা চলছে, তা ভবিষ্যতে হয়তো আরেকটা বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই রাষ্ট্রীয় স্টেকহোল্ডারদেরই বুঝতে হবে, এই তরুণরা কী চায়। তা উপলব্ধি না করে জোড়াতালির কোনো সমাধান কার্যত রাষ্ট্রকে আরো গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাবে।
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
৮ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
৮ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
৮ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
১ দিন আগে