২০১৪-এর জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর দেশ ও জাতির মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা এবং চেতনার উন্মেষ ঘটেছে, যা একটি জাতি ও দেশের আদর্শিক লড়াইয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বাংলাদেশের রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি তলানিতে চলে গিয়েছিল। তারা দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম ভাঙিয়ে জনগণকে নিজেদের প্রভাব-বলয়ে রেখে আওয়ামী হেজেমনি তৈরি করতে চেয়েছিল। বিরোধী শক্তি দমন তাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে সামাজবিজ্ঞানের একটি তত্ত্ব হলো—সমাজ যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়, তখন তার পতনও ঘনিয়ে আসতে থাকে।
এই তত্ত্বটির সারকথা হলো—সমাজ, সভ্যতা বা সাম্রাজ্য যখন তাদের শিখরে পৌঁছে যায়, তখন একটি অবক্ষয়ের ধারা শুরু হয়, যা ধীরে ধীরে পতনের দিকে নিয়ে যায়। এটি মূলত ঐতিহাসিক চক্রতত্ত্ব বা সভ্যতার চক্রতত্ত্বের অংশ। আওয়ামী লীগও ঠিক একই পরিণতির শিকার হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে তারই একটা প্রতিফলন আমরা দেখেছি। এই বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। দুই দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল, তার সমাপ্তির সুযোগ হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখনো আশির দশকের পুরোনো ধাঁচের রাজনৈতিক চিন্তাধারার দৃঢ় উপস্থিতি লক্ষ করা যায়, যা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অশনিসংকেত। ১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের রাজনীতি প্রধানত সামরিক শাসন, পারিবারিক নেতৃত্ব, একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং দলীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রবণতা বেশি ছিল। দুঃখজনকভাবে, তিন-চার দশক পরও রাজনৈতিক দলগুলো সেই গৎবাঁধা মানসিকতা থেকে বের হতে পারছে না।
বর্তমানে বিশ্বরাজনীতি নতুন নতুন ধারার জন্ম দিচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, ডিজিটালাইজেশন, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং টেকসই উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমনকি প্রতিবেশী ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোও রাজনৈতিক সংস্কার, উদারীকরণ ও নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে জায়গা করে দেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে।
কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখনো কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা কাঠামো, বংশানুক্রমিক নেতৃত্ব, বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন, অগণতান্ত্রিক দলীয় শাসন ও দলীয় পরিচয়ভিত্তিক পৃষ্ঠপোষকতায় আটকে আছে। বহু ক্ষেত্রে নেতৃত্ব কয়েক দশক ধরে একই পরিবারের হাতে আছে, যা নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ও নতুন রাজনৈতিক চিন্তাধারার বিস্তারকে বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোতে গঠনমূলক বিতর্ক, ভিন্নমত ও বুদ্ধিবৃত্তিক অবদান প্রায় নেই বললেই চলে।
এই প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আত্মসমালোচনা, সময়োপযোগী সংস্কার বা আধুনিক রাজনৈতিক দর্শন গ্রহণের প্রবণতা অত্যন্ত সীমিত। ফলে রাজনৈতিক কর্মসূচি, দলীয় গঠনতন্ত্র ও কৌশলগত পরিকল্পনা প্রায় অপরিবর্তিত থেকে যাচ্ছে। এমনকি অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতিনির্ধারণেও যুগোপযোগী দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ দেখা যায় না। উদাহরণস্বরূপ, জলবায়ু পরিবর্তন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে সময় এসেছে আত্মসমালোচনা, নেতৃত্বের হাতবদল, নীতিপরিকল্পনায় বৈশ্বিক ও প্রযুক্তিনির্ভর দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ এবং প্রকৃত গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করার। শুধু জনগণকে ভোটার হিসেবে নয়, অংশীদার হিসেবে গণ্য করে নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। তা না হলে বাংলাদেশ বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে রাজনৈতিক স্থবিরতার চক্রে আবদ্ধ হয়ে পড়বে, যা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
পশ্চিমা বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো বিষয় স্পষ্ট নীতি ও মতাদর্শগত পার্থক্য সত্ত্বেও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তারা এক মঞ্চে আসে। জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৈশ্বিক সংকটসহ এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে দলীয় স্বার্থকে পাশে রেখে একাত্মতা প্রদর্শনই গণতান্ত্রিক পরিপক্বতার নিদর্শন। যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য বা অর্থনীতি নিয়ে নীতিগত বিরোধ থাকলেও মৌলিক স্বার্থে সর্বদলীয় সমঝোতা প্রায়ই কার্যকর হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট এ ক্ষেত্রে বেদনাদায়ক। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বা নীতিভিত্তিক গঠনমূলক বিতর্কের সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। দেশের বৃহত্তর স্বার্থের প্রশ্নেও দলগুলো পরস্পরকে দোষারোপ, ট্যাগিং এবং হেয় করার চর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। জাতীয় সংকটময় মুহূর্তেও সর্বদলীয় ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ দেখা যায় না নেতাদের মধ্যে।
ইদানীং দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অতীতের স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থার সুবিধাভোগী ও দোসররা এখনো বহাল তবিয়তেই আছে। রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হওয়ার পরও তারা নানাভাবে প্রভাব খাটানোর সুযোগ খুঁজে বেড়ায় তারা। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো, রাজনৈতিক দলগুলোর বিভক্তিকে পুঁজি করে এই শক্তিগুলো দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ফলে রাষ্ট্র ও সমাজ আবার এক অন্ধকার রাজনৈতিক চক্রে আবদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে।
রাজনীতির মাঠপর্যায়েও এক ধরনের অস্বাস্থ্যকর সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা উৎকোচ বা প্রভাবের বিনিময়ে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগীদের রাজনৈতিক আশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শিক অবস্থান ক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ক্রমেই অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার মাঠে পরিণত হচ্ছে, যেখানে গঠনমূলক বিতর্ক বা নীতিভিত্তিক রাজনীতি নয়, বরং কাদা ছোড়াছুড়ি ও দোষারোপ করা এবং ব্যক্তিগত আক্রমণই যেন প্রধান কৌশল হয়ে উঠেছে। এর ফলে দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও শালীনতা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এই পরিস্থিতি শুধু দেশের অভ্যন্তরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে না, বৈশ্বিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কিছু সময় গেছে, যে সময়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতা কার্যত গৃহবন্দি ছিল। বিশেষত, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতকে দমন-পীড়নের মাধ্যমে নিস্তেজ করার এক ধারাবাহিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা হয়েছিল, যেখানে প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছিল। ফলে, বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি, সংবাদমাধ্যম, সুশীল সমাজ সবাই আতঙ্কের মধ্যে থাকত।
এমন পরিস্থিতি থেকে জনগণ বারবার মুক্তির পথ সন্ধান করেছে। বিভিন্ন সময় গণআন্দোলন, প্রতিরোধ, গণঅভ্যুত্থান সেই প্রত্যাশারই প্রতিফলন। এরই ধারাবাহিকতায় অবশেষে ‘জুলাই বিপ্লব’ সংঘটিত হয়েছে, যা দমন-পীড়নের শৃঙ্খল ছিন্ন করে নতুন রাজনৈতিক স্বাধীনতার দ্বার উন্মোচন করেছে। এ ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁকবদল হিসেবে ভাস্বর হয়ে থাকবে।
তবে সেই কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার পরও রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রতিহিংসা, কাদা ছোড়াছুড়ি ও বিভাজনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। যেখানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সবার একযোগে কাজ করা উচিত, সেখানে তারা নিজেদের মধ্যে দোষারোপ আর ছোটোখাটো সুবিধার রাজনীতি শুরু করেছে।
আরব ইসলামি স্কলার এবং আধুনিক সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস ও অর্থনীতি শাস্ত্রের জনকদের একজন ইবনে খালদুন তার বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ আল-মুকাদ্দিমাতে রাজনীতি, সমাজ ও সভ্যতা নিয়ে যে বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছেন, তা আজও প্রাসঙ্গিক। এই মনীষী মানুষের গোষ্ঠীগত সংহতি বা আসাবিয়্যাহ তত্ত্বের মাধ্যমে রাজনৈতিক শক্তি ও রাষ্ট্র গঠনের যে সূত্র ব্যাখ্যা করেছেন, তা শুধু ইতিহাস নয়, সমকালীন রাষ্ট্রনীতি ও নেতৃত্ব তত্ত্বেরও অন্যতম ভিত্তি।
ইবনে খালদুন তার বইয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক ঐক্যের ভিত্তি হলো আসাবিয়্যাহ, যার অর্থ সামাজিক সংহতি বা গোষ্ঠীগত একতা। আসাবিয়্যাহ একটি গোষ্ঠী, জনগোষ্ঠী বা জাতিকে অভ্যন্তরীণভাবে সংহত করে। এটি শুধু রক্তের সম্পর্ক বা বংশগত ঐক্য নয়, বরং পারস্পরিক আস্থা, স্বার্থের সাযূজ্য, বিশ্বাস ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের শক্তি হিসেবে কাজ করে। তার মতে, যখন কোনো গোষ্ঠীর মধ্যে আসাবিয়্যাহ শক্তিশালী থাকে, তখন সেই গোষ্ঠী নেতৃত্ব, শাসনক্ষমতা ও রাষ্ট্র গঠন করতে সক্ষম হয়। আর আসাবিয়্যাহ দুর্বল হলে সেই গোষ্ঠী বিভক্ত হয়, নেতৃত্বের শৃঙ্খল ভেঙে পড়ে এবং রাষ্ট্রের ভিত্তি দুর্বল হয়ে যায়।
ইবনে খালদুনের ভাষায়, ‘শাসন ও রাজকীয় কর্তৃত্বের শক্তির উৎস হলো আসাবিয়্যাহ। যখন আসাবিয়্যাহ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তখন শাসনব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে।’ এই তত্ত্বের আলোকে যদি আমরা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতাকে বিশ্লেষণ করি, তাহলে স্পষ্ট হয় যে, আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে আসাবিয়্যাহ বা ঐক্যের শক্তি এখন মারাত্মকভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত। দলগুলো হিংসা-বিদ্বেষ, অন্তর্দ্বন্দ্ব ও পারস্পরিক অবিশ্বাসের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। ফলে রাষ্ট্রের স্থিতি বারবার হুমকির মুখে পড়ছে এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দেশের ইতিহাসের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে যেকোনো জাতীয় সংকটে জনগণ ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ঐক্যই বিজয়ের প্রধান চালিকাশক্তি হয়েছে। কিন্তু আজ সেই ঐক্যের জায়গা দখল করেছে কাদা ছোড়াছুড়ি, দলীয় প্রতিহিংসা আর ব্যক্তি আক্রমণের রাজনীতি। ফলে রাষ্ট্র গঠন ও পুনর্গঠনের যে মূল শক্তি, সেই আসাবিয়্যাহ ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আসাবিয়্যাহকে নতুন করে জাগিয়ে তোলা। অর্থাৎ দলমত, গোষ্ঠী, ধর্ম বা অঞ্চলভেদ ভুলে দেশের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। কারণ, প্রাচীন প্রবাদই বলে—‘একতাই বল’।
রাজনৈতিক বিভক্তি, হিংসা-বিদ্বেষ আর কলহ দিয়ে কোনো রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা যায় না। একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সামাজিক শৃঙ্খলা ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা তখনই সুসংহত হয়, যখন রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিজস্ব স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের সার্বিক স্বার্থে এক ছাতার নিচে আসে। ইবনে খালদুনের বিশ্লেষণ আমাদের শিখায় যে, এটি কোনো আদর্শবাদী অলীক কল্পনা নয়, বরং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক প্রমাণিত সূত্র।
লেখক : শিক্ষার্থী, দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়া
হাজিরপুল, চট্টগ্রাম


তুরস্ক-বাংলাদেশ সম্পর্কের গুরুত্ব
‘আগডুম বাগডুম’ এবং আমাদের জাতীয় ইতিহাস