মুজিবের মুখে ফখরুলের কেক ও সংঘাতের শঙ্কা

এম আবদুল্লাহ
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৩০
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৩৬
এম আবদুল্লাহ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের মুখে কেক তুলে দিচ্ছেন—এমন একটি ছবি গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। শুধু কেক খাইয়ে দেওয়া নয়, মির্জা ফখরুলের একটি বক্তব্যও মূলধারার মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ প্রচার পেয়েছে। দুটিই একই অনুষ্ঠানের। নয়া দিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বক্তব্য রাখেন এবং কেক কাটায় নেতৃত্ব দেন।

বিজ্ঞাপন

একই অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুলকেও কেক খাওয়ানো হয়েছে, সেই ছবি অবশ্য প্রচার পায়নি। এছাড়া তিনি দীর্ঘ সময় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে পাশাপাশি চেয়ারে বসে কথা বলেছেন, গল্প করেছেন, সেটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানুষজন ছাড়া কেউ দেখতে পায়নি। মির্জা ফখরুল অনুষ্ঠান ত্যাগের পর এ সময় বিএনপির প্রভাবশালী নেতা, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদও মিয়া গোলাম পরওয়ারের পাশে বসে নানা বিষয়ে আলাপচারিতায় সময় কাটিয়েছেন, তা-ও পাবলিক হয়নি।

দেড় বছর পেছনে তাকালে এমন দেখাসাক্ষাৎ, আলাপ-আলোচনা বা কেক মুখে তুলে দেওয়ার দৃশ্য তেমন নজর কাড়ত বলে মনে হয় না। কারণ তখন দুটি দলই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযাত্রী ছিল। দীর্ঘদিনের জোট রাজনীতির সঙ্গী দুটি দলের নেতারা জোটবদ্ধতা ত্যাগ করার পরও পরস্পরের প্রতি সহমর্মী ছিলেন। কিন্তু চব্বিশের অবিস্মরণীয় গণঅভ্যুত্থানের পর ক্রমাগতভাবে দল দুটি পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগমুক্ত রাজনীতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি এবং জামায়াত পরস্পরের ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিপক্ষ। ফলে দু-দলের নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ-বিষোদগারমূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন অনেক দিন ধরেই। তার প্রভাব পড়ে মাঠপর্যায়েও। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে জামায়াতের একাত্তরের ভূমিকা সামনে এনে তীব্র আক্রমণাত্মক স্লোগান দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ ও ‘রাজাকার’ অভিহিত করে জামায়াতকে পাকিস্তান পাঠানোর মতো স্লোগানে মুখর হতে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের স্লোগান বিএনপির মুখে স্থানান্তর হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে জামায়াত নেতাকর্মীরাও পাল্টা আক্রণাত্মক বক্তব্য দিয়ে চলেছেন।

Fakhrul

বিএনপি নেতৃত্বের দ্বিতীয় প্রভাবশালী নেতা মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান ও মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। অনেকে এই বক্তব্যে রহস্য খুঁজছেন, তাৎপর্য বোঝার চেষ্টা করছেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোয় জামায়াত সম্পর্কে বিএনপির অবস্থানে কোনো পরিবর্তন বা রাজনীতিতে নতুন কোনো ডাইমেনশন কি না—সেটিও আলোচনায় আসছে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কারণে বুঝতে পারি, বক্তব্য ও কেক খাইয়ে দেওয়া সজ্জন রাজনীতিক মির্জা ফখরুলের সৌজন্য বৈ কিছুই নয়। ভদ্র ও মার্জিত রাজনীতিক হিসেবে তার স্বভাবসুলভ রাজনৈতিক শিষ্টাচারেরই বহিঃপ্রকাশ মাত্র। কেকটি যখন কাটা হয়, তখন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। ফলে শীর্ষ রাজনীতিক হিসেবে অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে কেক খাইয়ে দেন অনুষ্ঠানের মধ্যমণি মির্জা ফখরুল। পত্রিকার সম্পাদকসহ আরো কয়েকজনের মুখে মির্জা ফখরুল কেক তুলে দিয়েছেন। আবার মির্জা ফখরুলকে খাইয়েছেন পত্রিকার ম্যানেজিং কমিটির কর্তাব্যক্তি। এখানে কিন্তু খোঁজার অবকাশ নেই। একটি মিডিয়ায় এ বিষয়ে করা রিপোর্টে দেখলাম বিএনপির কোনো কোনো নেতা ওই দৃশ্য দেখে এবং আলোচ্য বক্তব্যে বিরক্তি ও অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

বিএনপি মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের যখন অন্তরঙ্গ সময় কাটছিল, তখন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাতের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। তিনি আরো জোর দিয়ে বলেন, ‘এই সংঘাত অবশ্যই আপনারা কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন।’ মাজার সংস্কৃতি নিয়ে এক সেমিনারে দেওয়া তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়েও ব্যাপক আলোচনা চলছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজন উপদেষ্টা যখন নির্বাচন ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা করেন, তখন তা উপেক্ষা করা কঠিন। ধারণা করা যায়, তিনি নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে এ সংঘাতের আশঙ্কা করছেন। রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে ধর্মীয় সংঘাত যুক্ত হয়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে উঠতে পারে বলেও তথ্য উপদেষ্টা তার উদ্বেগ জানান। মির্জা ফখরুলের সৌজন্যতা সম্ভাব্য সংঘাতময় রাজনীতিতে কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না তা দেখার বিষয়।

নির্বাচনের আর মাত্র সাড়ে ৩ মাস বাকি। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো বিভিন্ন দাবিতে পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। তারা পৃথকভাবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবির বহর নিয়ে হাজির হচ্ছে। ক্ষমতাসীন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধেও তোপ দাগাচ্ছে তিন দল। বর্তমান যে উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করছেন, দু-একজন ছাড়া বাকি সবার নিয়োগ হয়েছে এই তিনটি দলের পছন্দে। এখন কিছুসংখ্যক উপদেষ্টার অপসারণ চাচ্ছে বিএনপি। কয়েকজনের ব্যাপারে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে জামায়াত। আবার এনসিপি বলছে, উপদেষ্টারা বিএনপি ও জামায়াতকে সন্তুষ্ট করার জন্য কাজ করছে। তিনটি দলের দাবি মানতে গেলে বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের অস্তিত্বে টান পড়ে। পত্রিকায় খবর এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর এহেন দাবি শুনে উপদেষ্টারাও অস্বস্তিতে পড়েছেন।

কোন কোন উপদেষ্টার ব্যাপারে অভিযোগ তা খোলাসা করে বলেনি কোনো রাজনৈতিক দলই। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নাম আসছে বিএনপি কার কার অপসারণ চায়, জামায়াত কাদের ব্যাপারে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে। ফলে উপদেষ্টারা নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালন করার ব্যাপারে এক ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি ও দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন। কেউ কেউ অসন্তোষও প্রকাশ করছেন। কোনো উপদেষ্টা ছাত্র অবস্থায় ছাত্রসংঘ করেছেন, কে কোন দলের শীর্ষ নেতার ক্লাসমেট বা ঘনিষ্ঠ বন্ধু—এসব আলোচনা সামনে এনে আগামী নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালন করার বিষয়টি আগেভাগে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। এসবের উদ্দেশ্য শুভ নয় বলেও অভিমত তাদের।

শুধু উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়েই বিতর্ক থেমে নেই। নির্বাচনি প্রশাসন নিজেদের মতো করে সাজাতে দলগুলো মরিয়া তৎপরতা চালাচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াত পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে যে, প্রশাসনে দলীয় মতাদর্শের লোকজন বসাচ্ছে। কোন সচিব কোন মতাদর্শের—এমন বিতর্কে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়েও অস্বস্তি দেখা যাচ্ছে। দলীয় ট্যাগিং আতঙ্কে দিন কাটছে দায়িত্বরত সিভিল ব্যুরোক্র্যাটদের। অতীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এ দুই ঘরানার আমলা নিয়ে আলোচনা ছিল। নতুন করে আলোচনায় আসছে, কোন সচিব বা কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে শিবির করতেন। এসব দেখে আওয়ামী লীগের অনুগত আমলারা মুচকি হাসছেন। কেউ কেউ মশকরা করে বলছেন, বিএনপি ও জামায়াত যেহেতু পরস্পরের দলীয় মতাদর্শের আমলাদের ব্যাপারে ঘোরতর আপত্তি তুলছে, এর সমাধান হতে পারে শেখ হাসিনার অনুগত আমলাদের ফিরিয়ে এনে তাদের দিয়ে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করানো।

নির্বাচন পরিচালনার মৌলিক আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হওয়ার পর তাতেও কিছু বিষয়ে আপত্তি তোলা হচ্ছে। যুগান্তকারী সংশোধনের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বিষয়ে সম্মতি থাকলেও জোটভুক্ত দলগুলো নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করা সংক্রান্ত ধারায় আপত্তি করছে বিএনপি। আনুষ্ঠানিকভাবে আইন উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে দলটি। তারা বলছে, ২০(১) উপধারা অনুযায়ী জোটভুক্ত হলে রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারত। কিন্তু যেভাবে আরপিও পাস হলো, তাতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবে না। এতে ছোট দলের বড় নেতারা সুযোগ হারাবেন।

জামায়াত নভেম্বরের মধ্যে গণভোটের দাবি থেকে সরছে না। সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচিও চালাচ্ছে। শুক্রবার ঢাকায় এক গণসমাবেশে জামায়াত নেতারা বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ বিষয়ে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে। জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

নির্বাচন কমিশন ভেঙে নতুন করে গঠনের দাবিতে সোচ্চার গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের দল এনসিপি। শাপলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাদের বিরোধ এখন তুঙ্গে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এনসিপির এক সমন্বয় সভায় দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দুটি রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে। তিনি বলেন, বিতর্কিত নির্বাচনের দিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যাচ্ছে। এটি একটি স্বৈরতান্ত্রিক নির্বাচন কমিশনে রূপান্তরিত হয়েছে। এই মেরুদণ্ডহীন কমিশনকে গনিমতের মাল হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলো ভাগাভাগি করে নিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়ে বলে যে এই উপদেষ্টা থাকতে পারবেন না, ওই উপদেষ্টা থাকতে পারবেন। বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দুটি দল নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে।

বস্তুত, ত্রিমুখী চাপের মুখে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন। ভোট ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এ বিরোধ আরো জটিল হবে বলেই মনে হচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের দলীয় ব্র্যাকেটে বন্দি করলে তারা নির্বাচনকালে বা জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ সংস্কারের ক্ষেত্রে মনোবল নিয়ে কাজ করবেন কীভাবে? ১৪ মাস আগে তাদের যখন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছিল, তখন দেশের টালমাটাল পরিস্থিতিতে অনেকে দায়িত্ব নিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। প্রতিবিপ্লবে পতিত শক্তি ফিরে আসার আশঙ্কায় অনেকে উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। যারা ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন, অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশকে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, তাদের এখন দলীয় তকমা দিয়ে বিব্রত করা কতটা সমীচীন হচ্ছে, তা যেন কেউ ভাবছেন না। উপদেষ্টাদের সবাই কাঙ্ক্ষিত মানে সফল হয়েছেন, এমনটা বলা যাবে না। অনেকে বিতর্কিত কিছু কাজেও জড়িয়েছেন। কোন আমলে কোন সরকারের সবাই সমানভাবে সফল হয়েছেন? নাজুক সময়ে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তারা চেষ্টা করেছেন কি না—সেটাই দেখার বিষয়।

নির্বাচনকালে বিশেষ আনুকূল্য পেতে বা বাড়তি সুবিধা নিতে রাজনৈতিক দলগুলো এমন আচরণ করছে কি না—সেটাও জনগণ মূল্যায়ন করবে। তবে চাপে রেখে সুবিধা আদায়ের কৌশল সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দুর্বল করলে সময়মতো একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে যে কঠিন করে তুলবে, সেটাও বিবেচনায় রাখা জরুরি।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত