আরিফুল ইসলাম রাজিন
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা ঘটছে। কোনো ব্যক্তির মতামত কোনো গোষ্ঠীর বিপক্ষে গেলে তাকে সেই গোষ্ঠীর সমর্থকরা নোংরা ভাষায় গালি দেয়, ব্যঙ্গাত্মক ছবি দিয়ে ট্রল করে এবং কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। এতে ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন এবং স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। কাউকে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা স্পষ্টত মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বর্তমানে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়াদের তালিকায় নারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
‘সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন প্ল্যাটফর্ম’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সাইবার সহিংসতার শিকার হওয়াদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই নারী ও শিশু। সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করা অন্য আরেকটি সংগঠন ‘সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন’-এর একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নারীদের প্রায় ৬৮ শতাংশ সাইবার অপরাধের শিকার হন। সাইবার বুলিংয়ের সবচেয়ে বেশি শিকার হন এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমাদের দেশের নারী নেত্রীরা। এই দেশের বিকৃত মস্তিষ্কের কিছু মানুষ প্রতিনিয়তই নারী নেত্রীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে চলেছে। তারা নারী নেতৃত্বকে দুর্বল করতে এবং নারীদের কোণঠাসা করতে বিভিন্ন ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি ও ছবি বিকৃতি করে তা ফেক আইডির মাধ্যমে ছড়িয়ে তাদের সামাজিকভাবে হেনস্তা করা এবং চরিত্র হননের ঘৃণ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। নারীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে এবং ট্রল করে নারীদের রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চক্রান্তে লিপ্ত কিছু গোষ্ঠী।
সম্প্রতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া নারী নেত্রীরা ভয়াবহ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলোর মনোনীত নারী প্রার্থীদের এবং স্বতন্ত্র নারী প্রার্থীদের অনলাইনে অশ্লীল মন্তব্যের মাধ্যমে হেনস্তা করা হচ্ছে। আর এসব কর্মকাণ্ডের প্রথম ও প্রধান টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন নারী প্রার্থীরা। বিভিন্ন বট অ্যাকাউন্ট ও তাদের দেশজুড়ে থাকা সমর্থকদের ঘৃণ্য রোষানলের বলি হচ্ছেন প্রতিটি সংগঠনের নারী প্রার্থীরা। ডাকসু, রাকসু, জাকসুসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে অংশ নেওয়া নারী প্রার্থীদের ফেক ভিডিও তৈরি, তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বাজে মন্তব্য করা, পুরোনো ছবি বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রার্থীদের পরিবার তুলে অযাচিত মন্তব্য করছে। যার ফলে প্রার্থীরা ভোটারদের সামনে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন, যা তাদের নির্বাচনি প্রচার ও ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সাইবার বুলিংয়ের ভয়ে অধিকাংশ নারী শিক্ষার্থীর সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর অর্ধেক নারী শিক্ষার্থী, তবে জাকসু নির্বাচনে মোট প্রার্থীর মাত্র ২৫ শতাংশ নারী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। অধিকাংশ নারী শিক্ষার্থীই জানিয়েছেন তাদের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অন্যতম কারণ সাইবার বুলিং। যার কারণে নারীর অগ্রযাত্রার পথ এবং নারী ক্ষমতায়নের পথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু ছাত্র সংসদের নারী প্রার্থীরাই নন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রতিটি নারী নেত্রীকে নিয়ে যেভাবে ট্রল করা এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা, সেটি এই দেশের সুস্থ চিন্তাধারার কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না। নারী নেতারা ছাড়াও নারী উদ্যোক্তা, নারী ইউটিউবার, নারী ব্লগাররাও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। যৌক্তিক সমালোচনা ছেড়ে প্রকাশ্যে নারীদের হেনস্তাকারীরা সমাজ ও দেশের উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকর।
এমতাবস্থায় যারা নারীদের নিয়ে কটূক্তি করে, নারীদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে সাইবার বুলিংয়ে জড়িত সব ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সাইবার সহিংসতা অনেকাংশেই কমানো যাবে। তাছাড়া নারীদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নারীদের ফেক ভিডিওগুলো এবং অন্যসব ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিওগুলোকে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলার মতো দক্ষ সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স গঠন এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা এখন সময়ের অন্যতম দাবি।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা ঘটছে। কোনো ব্যক্তির মতামত কোনো গোষ্ঠীর বিপক্ষে গেলে তাকে সেই গোষ্ঠীর সমর্থকরা নোংরা ভাষায় গালি দেয়, ব্যঙ্গাত্মক ছবি দিয়ে ট্রল করে এবং কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। এতে ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন এবং স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। কাউকে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা স্পষ্টত মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বর্তমানে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়াদের তালিকায় নারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
‘সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন প্ল্যাটফর্ম’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সাইবার সহিংসতার শিকার হওয়াদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই নারী ও শিশু। সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করা অন্য আরেকটি সংগঠন ‘সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন’-এর একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নারীদের প্রায় ৬৮ শতাংশ সাইবার অপরাধের শিকার হন। সাইবার বুলিংয়ের সবচেয়ে বেশি শিকার হন এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমাদের দেশের নারী নেত্রীরা। এই দেশের বিকৃত মস্তিষ্কের কিছু মানুষ প্রতিনিয়তই নারী নেত্রীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে চলেছে। তারা নারী নেতৃত্বকে দুর্বল করতে এবং নারীদের কোণঠাসা করতে বিভিন্ন ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি ও ছবি বিকৃতি করে তা ফেক আইডির মাধ্যমে ছড়িয়ে তাদের সামাজিকভাবে হেনস্তা করা এবং চরিত্র হননের ঘৃণ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। নারীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে এবং ট্রল করে নারীদের রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চক্রান্তে লিপ্ত কিছু গোষ্ঠী।
সম্প্রতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া নারী নেত্রীরা ভয়াবহ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলোর মনোনীত নারী প্রার্থীদের এবং স্বতন্ত্র নারী প্রার্থীদের অনলাইনে অশ্লীল মন্তব্যের মাধ্যমে হেনস্তা করা হচ্ছে। আর এসব কর্মকাণ্ডের প্রথম ও প্রধান টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন নারী প্রার্থীরা। বিভিন্ন বট অ্যাকাউন্ট ও তাদের দেশজুড়ে থাকা সমর্থকদের ঘৃণ্য রোষানলের বলি হচ্ছেন প্রতিটি সংগঠনের নারী প্রার্থীরা। ডাকসু, রাকসু, জাকসুসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে অংশ নেওয়া নারী প্রার্থীদের ফেক ভিডিও তৈরি, তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বাজে মন্তব্য করা, পুরোনো ছবি বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রার্থীদের পরিবার তুলে অযাচিত মন্তব্য করছে। যার ফলে প্রার্থীরা ভোটারদের সামনে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন, যা তাদের নির্বাচনি প্রচার ও ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সাইবার বুলিংয়ের ভয়ে অধিকাংশ নারী শিক্ষার্থীর সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর অর্ধেক নারী শিক্ষার্থী, তবে জাকসু নির্বাচনে মোট প্রার্থীর মাত্র ২৫ শতাংশ নারী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। অধিকাংশ নারী শিক্ষার্থীই জানিয়েছেন তাদের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অন্যতম কারণ সাইবার বুলিং। যার কারণে নারীর অগ্রযাত্রার পথ এবং নারী ক্ষমতায়নের পথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু ছাত্র সংসদের নারী প্রার্থীরাই নন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রতিটি নারী নেত্রীকে নিয়ে যেভাবে ট্রল করা এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা, সেটি এই দেশের সুস্থ চিন্তাধারার কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না। নারী নেতারা ছাড়াও নারী উদ্যোক্তা, নারী ইউটিউবার, নারী ব্লগাররাও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। যৌক্তিক সমালোচনা ছেড়ে প্রকাশ্যে নারীদের হেনস্তাকারীরা সমাজ ও দেশের উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকর।
এমতাবস্থায় যারা নারীদের নিয়ে কটূক্তি করে, নারীদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে সাইবার বুলিংয়ে জড়িত সব ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সাইবার সহিংসতা অনেকাংশেই কমানো যাবে। তাছাড়া নারীদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নারীদের ফেক ভিডিওগুলো এবং অন্যসব ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিওগুলোকে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলার মতো দক্ষ সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স গঠন এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা এখন সময়ের অন্যতম দাবি।
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
৮ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
৮ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
৮ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
১ দিন আগে