জাতীয় নিরাপত্তায় ড্রোন প্রযুক্তি

মেহেদী হাসান
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ১২

ড্রোন প্রযুক্তি সামরিক ক্ষেত্রে শক্তির হিসাব দ্রুত পাল্টে দিচ্ছে। সামরিক দিক দিয়ে অতি শক্তিশালী আর অতি দুর্বল দেশের মধ্যে শক্তির ব্যবধান দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে । সস্তা ড্রোনের কারণে রাতারাতি শক্তিশালী হচ্ছে দুর্বল রাষ্ট্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা। সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী অনেক দেশের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের ভারী আর অত্যাধুনিক অনেক সমরাস্ত্র অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সমরশক্তির দিক দিয়ে বিশ্বে শীর্ষ সারিতে অবস্থান করেও একটি দেশ অতিশয় দুর্বল দেশের কাছে এখন পরাজিত বা বড় মাত্রায় বির্পয়ের শিকার হতে পারে ড্রোন প্রযুক্তির কারণে। ২০২০ সালের আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ, লিবিয়া ও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ এবং সর্বশেষ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ তার উদাহরণ। এসব যুদ্ধে ড্রোনের সফল ব্যবহার এবং তার পরিণতি আমূল পাল্টে দিয়েছে যুগ যুগ ধরে বিদ্যমান সমর কৌশল, প্রচলিত যুদ্ধ ও অস্ত্র ব্যবস্থার ধারণা। বিশেষ করে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার যুদ্ধে তুরস্কের বায়রাক্তার ড্রোনের বিস্ময়কর সফলতার পর প্রশ্ন দেখা দেয় বহু মূল্যবান ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, ভারী আর্টিলারি সিস্টেমসহ প্রচলিত শক্তিশালী অনেক যুদ্ধবিমানের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

নাগার্নো-কারাবাখ ছিল আজারবাইজানের অংশ। কিন্তু রাশিয়াসহ পশ্চিমাদের সহায়তায় প্রায় ৩০ বছর ধরে এ অঞ্চলটি শক্তির জোরে দখল করে রাখে আর্মেনিয়া। ২০২০ সালে আজারবাইজান নাগার্নো-কারাবাখ উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। এ অভিযানে আজারবাইজানের পাশে দাঁড়ায় তুরস্ক। অন্যদিকে রাশিয়া সরে আসে আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে। নাগার্নো-কারাবাখ উদ্ধারে আজারবাইজানের মূল অস্ত্র ছিল তুরস্ক নির্মিত বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন বিমান। অন্যদিকে আর্মেনিয়া নাগার্নো-কারাবাখে দখলদারি বজায় রাখতে সেখানে জড়ো করে শত শত ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, হাউইটজারসহ ভারী অনেক আর্টিলারি সিস্টেম তথা প্রচলিত অস্ত্র। সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হওয়া এ যুদ্ধ মাত্র ৪২ দিন স্থায়ী হয়েছিল। প্রকাশিত তথ্য অনুসারে এই স্বল্প সময়ে আজারবাইজানের হামলায় আর্মেনিয়ার ২৫০টির অধিক ট্যাংক, ১৫০টি অন্যান্য সামরিক যান, ২৭০টি আর্টিলারি ইউনিট, ৬০টি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ১১টি কমান্ড সেন্টার, ১৮টি ইউএভি, ৮টি অস্ত্র ডিপোসহ অনেক ‍মূল্যবান অস্ত্র ধ্বংস হয়। নিহত হন আজারবাইজানের ৫ হাজারের অধিক সেনা। আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত হয় নাগার্নো-কারাবাখ।

বিজ্ঞাপন

নাগার্নো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার সব সেনাক্যাম্প, প্রতিটি ট্যাংক, প্রতিটি সাঁজোয়া যান, প্রতিটি আর্টিলারি সিস্টেম, আর্মেনিয় সেনাদের প্রতিটি গতিবিধি আজারবাইজান নজরদারি করতে সক্ষম হয় তুরস্কের দেওয়া ড্রোনের সাহায্যে। এরপর ভিডিও গেমের মতো বায়রাক্তার এটাক ড্রোন একের পর এক এন্টি-ট্যাংক মিসাইল ছুড়ে তছনছ করে দিতে থাকে আর্মেনিয়ার সব অস্ত্র ও সেনাক্যাম্প। আজারবাইজানের এভাবে ড্রোন হামলার ঘটনা কল্পনাও করতে পারেনি আর্মেনিয়া আর্মি। শুধু আর্মেনিয়া নয়, বরং যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনের এ ধরনের সাফল্য এর আগে কখনো দেখেনি বিশ্ব।

আজারবাইজানের এ যুদ্ধের আগে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে তালেবানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে তাদের বিশ্বখ্যাত রিপার ড্রোন। কিন্তু তারপরও যুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহার ও সফলতা নিয়ে তখন পর্যন্ত এত আলোচনা ছিল না বিশ্বে। নাগার্নো-কারাবাখ যুদ্ধে আজারবাইজানের বিজয় আর আর্মেনিয়ার শোচনীয় পরিণতির পর সারা বিশ্বে হইচই পড়ে যায় তুরস্কের বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন নিয়ে। পুরো বিশ্বের সমরকৌশলবিদ, সমরবিশ্লেষক ও নিরাপত্তাবিষয়ক নীতিনির্ধারকরা নড়ে-চড়ে বসতে বাধ্য হন। কারণ এ যুদ্ধে ড্রোন বিমানের ব্যবহার ওলট-পালট করে দিয়েছে প্রচলিত যুদ্ধের সব হিসাবনিকাশ আর কৌশল।

নাগার্নো-কারাবাখে বায়রাক্তার ড্রোনের সফলতা বিশ্ব সমরাঙ্গনে দ্রুত অনন্য উচ্চতায় নিয় যায় তুরস্ককে। নাগার্নো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার শোচনীয় পরিণতির মাত্র দুই বছরের মাথায় তুরস্কের এই ড্রোনের আরেক শিকারি দেশে পরিণত হয় রাশিয়া।

২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর আগে সামরিক শক্তিতে রাশিয়ার অবস্থান ছিল দ্বিতীয় আর ইউক্রেনের অবস্থান ছিল ২২তম। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। রাশিয়ার বিশ্বাস ছিল এক মাসের মধ্যে ইউক্রেনের পতন ঘটবে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের লক্ষ্যে রাশিয়া ৪০ মাইল দীর্ঘ সেনাবহর পাঠায়। ইউক্রেনের কাছে তখন ছিল তুরস্কের ৩০ থেকে ৫০টি বায়রাক্তার ড্রোন বিমান, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিপুলসংখ্যক জ্যাভলিন নামক এন্টি-ট্যাংক মিসাইল ও শোল্ডার লঞ্চ এন্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইলসহ প্রচলিত অন্যান্য অস্ত্র। ইউক্রেন তুরস্কের বায়রাক্তার ড্রোনের সাহায্যে রাশিয়ার দীর্ঘ ৪০ মাইল সেনাবহরের ওপর মিসাইল হামলা চালায় এবং ব্যাপক ধ্বংসের মুখোমুখি হয় সেনাবহরটি। মাত্র দুই বছর আগে নাগার্নো-কারাবাখের ঘটনা থেকে কোনো শিক্ষা না নিয়ে রাশিয়ান আর্মি প্রচলিত ভারী অস্ত্রে সজ্জিত বিশাল সেনাবহর নিয়ে প্রবেশ করেছিল ইউক্রেনে। ফলে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ রাশিয়ান সেনাবহর কিয়েভ দখলের স্বপ্ন বাতিল করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

যে ‍যুদ্ধ এক মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা, সেটি প্রায় চার বছর ধরে চলছে। রাশিয়া অপূরণীয়য় ক্ষতির বিনিময়ে ইউক্রেনের ১০ ভাগের এক ভাগ দখল করেছে কিন্তু দীর্ঘ প্রায় চার বছরেও পুরোপুরি মুক্ত করতে পারেনি ডনবাস রাজ্য। এ কথা ঠিক, যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে কিন্তু এ যুদ্ধে শুরুতেই রাশিয়ার বিপর্যয় এবং শেষ পর্যন্ত এত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ইউক্রেনের কাছে আসা ড্রোন প্রযুক্তি ও ন্যাটোর যুদ্ধকৌশল।

ইউক্রেনের ড্রোন রাশিয়ার মতো শক্তিকে কী পরিমাণ ভোগান্তি আর ধ্বংসের মুখোমুখি করেছে, তার প্রমাণ গত জুন মাসের একটি ঘটনা। ইউক্রেন ১১৭টি কোয়াড কপ্টার ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালায় রাশিয়ার গভীরে চারটি বিমান ঘাঁটিতে। এতে ধ্বংস হয় রাশিয়ার কমপক্ষে ৪০টি অতিশয় মূল্যবান যুদ্ধবিমান। আর ইউক্রেন গোয়েন্দারা ধ্বংসাত্মক এই ড্রোন হামলা চালিয়েছিল রাশিয়ার অভ্যন্তর থেকে।

বিশ্ববাসী ড্রোনের সর্বশেষ জাদুকরী সাফল্য দেখেছে মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে। ৬ মে মধ্যরাতের পর ভারতের হামলার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান ধ্বংসাত্মক জবাব দেয় চীনের তৈরি আধুনিক জে-১০-সি যুদ্ধবিমানের সাহায্যে। এরপর পাকিস্তান ভারতের সীমান্তবর্তী সব সেনাছাউনি, সেনা পোস্ট আর অস্ত্র ডিপোহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা তছনছ করে দেয় ড্রোনের সাহায্যে। প্রকাশিত তথ্য অনুসারে পাকিস্তান একসঙ্গে পাঁচ শতাধিক কোয়াড কপ্টার ড্রোন পাঠায় ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রথম দফায় পাঠানো বেশির ভাগ ড্রোন ছিল নজরদারিমূলক। ভারত তখন এসব ড্রোন ধ্বংস করতে আকাশে এন্টি-ড্রোন মিসাইল ও গোলা ছোড়ে এবং এতে খরচ হয়ে যায় ভারতের অনেক মূল্যবান মিসাইল। পরের ধাপে পাকিস্তান আবার ঝাঁকে ঝাঁকে বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন পাঠায়। ভারতীয় আর্মি তখন হতবিহ্বল হয়ে যায়। পাকিস্তান নিখুঁতভাবে ড্রোন হামলা চালায় ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে। ফলে সংক্ষিপ্ত এ যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় ঘটে ভারতের।

নাগার্নো-কারাবাখ থেকে সর্বশেষ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের যে ফল, তাতে এটি এখন পরিষ্কার, কম ব্যয়ের ড্রোন হয়ে উঠছে বিভিন্ন দেশের জাতীয় নিরাপত্তার অন্যতম রক্ষাকবচ। দুর্বল কোনো দেশের কাছেও যদি শক্তিশালী ড্রোন বিমানসহ উন্নত ড্রোন সিস্টেম থাকে, তাহলে শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশকে আগ্রাসন চালানোর ক্ষেত্রে অনেকবার ভাবতে হবে।

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার। উভয় দেশই বাংলাদেশের প্রতি ঘোরতর শত্রুভাপন্ন। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভারতের একান্ত অনুগত শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি দিল্লির বহুমুখী ষড়যন্ত্র আর আগ্রাসী মনোভাব দিন দিন চড়া হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও শক্তিশালী করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সামনে রাখতে হবে নাগার্নো-কারাবাখ যুদ্ধ থেকে শুরু করে রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ এবং সর্বশেষ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের চিত্র। একই সঙ্গে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে চীনের সম্ভাব্য আগ্রাসন থেকে মোকাবিলায় তাইওয়ানের প্রস্তুতির ধরন। তাছাড়া দৃষ্টি রাখতে হবে এআই ও ড্রোন প্রযুক্তিতে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের অগ্রগতি এবং প্রস্তুতি বিষয়ে।

সামরিক দিক দিয়ে চীনের তুলনায় তাইওয়ান অতিশয় দুর্বল একটি দেশ। চীনা আগ্রাসন থেকে নিজেদের রক্ষায় তাইওয়ান গ্রহণ করেছে ‘শজারু কৌশল’ ও ‘টি ডোম’ব্যবস্থা। টি ডোমব্যবস্থার অধীনে ইসরাইলের আদলে তাইওয়ান গড়ে তুলছে কয়েক স্তরের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এই পরিকল্পনার আওতায় তাইওয়ান আগামী দুই বছরে ৫০ হাজার ড্রোন তৈরি করবে। এর পাশাপাশি তাইওয়ানের রয়েছে ‘ড্রোন সোয়ার্ম’ কৌশল। ড্রোন সোয়ার্ম কৌশলে এআই প্রযুক্তির সমন্বয়ে একসঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে অ্যাটাক ও নজরদারির ড্রোন শত্রুর ভূখণ্ডে পাঠিয়ে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া যায়। প্রচলিত আধুনিক ও ড্রোননির্ভর কয়েক স্তর প্রতিরক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি সাইবার এবং মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েও অগ্রসর হচ্ছে তাইওয়ান।

কম দামের ড্রোন অস্ত্র যেভাবে রাতারাতি যুদ্ধকৌশল বদলে দিচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য এটি হতে পারে জাতীয় নিরাপত্তার অন্যতম হাতিয়ার। বাংলাদেশ যেহেতু ছোট দেশ, তাই স্বল্পব্যয়ে বাংলাদেশকে কয়েক স্তরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে ছাতার মতো আবৃত করা সম্ভব।

দ্রুত বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশের যা করা উচিত, তা হলোÑএক. গ্রাউন্ডবেজড শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সংগ্রহ। দুই. পূর্ণ প্যাকেজসহ অর্ধশতাধিক চীনা জে-১০ সি ও সমমানের অন্যান্য মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনা। তিন. অর্ধশতিাধিক তুরস্কের বায়রাক্তার টিবি২, আকিঞ্চি অ্যাটাক ও নজরদারি ড্রোন সংগ্রহ। চার. কমপক্ষে ৫০ হাজার সামরিক কোয়াড কপ্টার ড্রোন তৈরি করা। পাঁচ. কয়েক হাজার আত্মঘাতী ড্রোন তৈরি করা। ছয়. এন্টি-ড্রোন গান, এন্টি-ড্রোন ও এন্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইলের ব্যবস্থা করা।

যেহেতু চীনের জে-১০ সি যুদ্ধবিমানের কারণে ভারত পাকিস্তানের কাছে শোচনীয়ভবে পরাজিত হয়েছে, তাই বাংলাদেশের কাছে যদি উপযুক্তসংখ্যক পূর্ণ প্যাকেজসহ এ যুদ্ধবিমান থাকে, তবে সেটা ভারত ও মিয়ানমার উভয়ের জন্য হবে বড় ধরনের আতঙ্কের বিষয়। একই কথা প্রযোজ্য বায়রাক্তার ড্রোনের ক্ষেত্রেও।

লেখক : সহকারী সম্পাদক, আমার দেশ

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত