
মাহফুজ বিন মোবারকপুরী

ভূস্বর্গ নামে পরিচিত কাশ্মীর আজ হিন্দুত্ববাদী মোদির গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। ইসরাইল যেমন ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর দখল ও ইহুদি বসতি স্থাপন করছে, তেমনি একই মডেল কাশ্মীরেও প্রয়োগ করছে মোদি সরকার। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় মুসলিম গ্রাম ধ্বংস করে অন্য এলাকা থেকে হিন্দুদের এনে সেখানে বসতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে কাশ্মীরি মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে।
মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীর দখল ও মুসলিম নির্মূলের পরিকল্পনা ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত করছেন মোদি। প্রথমে ২০১৯ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হলো। এরই ধারাবাহিকতায় জমি দখল, জনসংখ্যার অনুপাত পরিবর্তন এবং মুসলিম ইতিহাস ও সংস্কৃতি মুছে ফেলার কার্যক্রম শুরু হয়।
কাশ্মীরের ইতিহাসে জঙ্গি হামলার নাটক নতুন নয়। ২০১৩ সালে হায়দারপোরা হামলা, ২০১৪ সালে আরনিয়া সংঘর্ষ, ২০১৫ সালের গুরেজ অভিযান এবং ২০১৬ সালে উড়ি হামলার মঞ্চায়নÑ সবই ছিল সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো ও মুসলিম দমননীতির পথ সুগম করার কৌশল। প্রতিটি ঘটনা ছিল ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশনের ধারাবাহিকতা।
পেহেলগাঁও, গুজ্জর ও বকরওয়াল সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন ভূমি, আজ ‘মাস্টারপ্ল্যান ২০৩২’-এর আড়ালে রিসোর্ট মালিক ও বহিরাগত বিনিয়োগকারীদের হাতে চলে যাচ্ছে। বনভূমি দখল, নদীর ধারে কংক্রিটের শহর গড়ে তোলা আর মুসলিম উচ্ছেদ চলছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নীরব সমর্থনে। পহেলগাঁও এখন অমরনাথ যাত্রার নামে হিন্দুত্ববাদী উন্মাদনার কেন্দ্র। মুসলিম বসতিতে চাপ সৃষ্টি করতে এবং হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ১৫-২০ দিনের অমরনাথ যাত্রাকে ৬০-৭০ দিনে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে নওশেরা, সোপোর, পুলওয়ামা, পুঞ্চ, সোপিয়ান, অনন্তনাগ, কুপওয়াড়া, বান্দিপোরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘর্ষের নাটক সাজিয়ে মুসলিমদের হত্যা, গ্রেপ্তার এবং নির্যাতন চালানো হয়। মুসলিমদের সহায়-সম্পদ নষ্ট ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে ২০১৯ সালে পুলওয়ামার হামলা মোদি সরকারের ভোটব্যাংক রাজনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে এবং গুজরাটের কসাই মোদির হিন্দুত্ববাদী শক্তির বিজয় আরো মজবুত হয়।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার পর দেড় হাজারের অধিক মুসলমানদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে অভিযান ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের ভারত সফরের সময় এ হামলা ঘটে, যাতে কাশ্মীরে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের আন্তর্জাতিক আলোচনা চাপা পড়ে যায়।
কাশ্মীর আজ শুধু রক্তাক্ত নয়, নিঃস্ব। বনভূমি দখল হয়েছে, নদী দূষিত হয়েছে, সন্তানরা বন্দি হয়েছে, ইতিহাস মুছে ফেলা হচ্ছে। মিডিয়ার মিথ্যাচারে কাশ্মীরের কান্না চাপা পড়ছে।
তবু প্রশ্ন রয়ে যায়, এই ভূমি কার? যারা শতাব্দী ধরে মাটি ভালোবেসে এসেছে, নাকি যারা মুনাফার লোভে সব ধ্বংস করছে? রাষ্ট্র যদি অস্ত্রের জোরে ভূমি দখল করে, মিথ্যার আড়ালে ইতিহাস মুছে দেয়, তবে তা গণতন্ত্রের মুখোশে উপনিবেশবাদ ছাড়া কিছু নয়। কাশ্মীরের মুক্তি শুধু কাশ্মীরের জন্য নয়, মানবতারও দাবি।
লেখক : প্রাবন্ধিক

ভূস্বর্গ নামে পরিচিত কাশ্মীর আজ হিন্দুত্ববাদী মোদির গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। ইসরাইল যেমন ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর দখল ও ইহুদি বসতি স্থাপন করছে, তেমনি একই মডেল কাশ্মীরেও প্রয়োগ করছে মোদি সরকার। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় মুসলিম গ্রাম ধ্বংস করে অন্য এলাকা থেকে হিন্দুদের এনে সেখানে বসতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে কাশ্মীরি মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে।
মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীর দখল ও মুসলিম নির্মূলের পরিকল্পনা ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত করছেন মোদি। প্রথমে ২০১৯ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হলো। এরই ধারাবাহিকতায় জমি দখল, জনসংখ্যার অনুপাত পরিবর্তন এবং মুসলিম ইতিহাস ও সংস্কৃতি মুছে ফেলার কার্যক্রম শুরু হয়।
কাশ্মীরের ইতিহাসে জঙ্গি হামলার নাটক নতুন নয়। ২০১৩ সালে হায়দারপোরা হামলা, ২০১৪ সালে আরনিয়া সংঘর্ষ, ২০১৫ সালের গুরেজ অভিযান এবং ২০১৬ সালে উড়ি হামলার মঞ্চায়নÑ সবই ছিল সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো ও মুসলিম দমননীতির পথ সুগম করার কৌশল। প্রতিটি ঘটনা ছিল ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশনের ধারাবাহিকতা।
পেহেলগাঁও, গুজ্জর ও বকরওয়াল সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন ভূমি, আজ ‘মাস্টারপ্ল্যান ২০৩২’-এর আড়ালে রিসোর্ট মালিক ও বহিরাগত বিনিয়োগকারীদের হাতে চলে যাচ্ছে। বনভূমি দখল, নদীর ধারে কংক্রিটের শহর গড়ে তোলা আর মুসলিম উচ্ছেদ চলছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নীরব সমর্থনে। পহেলগাঁও এখন অমরনাথ যাত্রার নামে হিন্দুত্ববাদী উন্মাদনার কেন্দ্র। মুসলিম বসতিতে চাপ সৃষ্টি করতে এবং হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ১৫-২০ দিনের অমরনাথ যাত্রাকে ৬০-৭০ দিনে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে নওশেরা, সোপোর, পুলওয়ামা, পুঞ্চ, সোপিয়ান, অনন্তনাগ, কুপওয়াড়া, বান্দিপোরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘর্ষের নাটক সাজিয়ে মুসলিমদের হত্যা, গ্রেপ্তার এবং নির্যাতন চালানো হয়। মুসলিমদের সহায়-সম্পদ নষ্ট ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে ২০১৯ সালে পুলওয়ামার হামলা মোদি সরকারের ভোটব্যাংক রাজনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে এবং গুজরাটের কসাই মোদির হিন্দুত্ববাদী শক্তির বিজয় আরো মজবুত হয়।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার পর দেড় হাজারের অধিক মুসলমানদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে অভিযান ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের ভারত সফরের সময় এ হামলা ঘটে, যাতে কাশ্মীরে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের আন্তর্জাতিক আলোচনা চাপা পড়ে যায়।
কাশ্মীর আজ শুধু রক্তাক্ত নয়, নিঃস্ব। বনভূমি দখল হয়েছে, নদী দূষিত হয়েছে, সন্তানরা বন্দি হয়েছে, ইতিহাস মুছে ফেলা হচ্ছে। মিডিয়ার মিথ্যাচারে কাশ্মীরের কান্না চাপা পড়ছে।
তবু প্রশ্ন রয়ে যায়, এই ভূমি কার? যারা শতাব্দী ধরে মাটি ভালোবেসে এসেছে, নাকি যারা মুনাফার লোভে সব ধ্বংস করছে? রাষ্ট্র যদি অস্ত্রের জোরে ভূমি দখল করে, মিথ্যার আড়ালে ইতিহাস মুছে দেয়, তবে তা গণতন্ত্রের মুখোশে উপনিবেশবাদ ছাড়া কিছু নয়। কাশ্মীরের মুক্তি শুধু কাশ্মীরের জন্য নয়, মানবতারও দাবি।
লেখক : প্রাবন্ধিক

এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
১৪ ঘণ্টা আগে
‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
১৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
১৪ ঘণ্টা আগে
গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
২ দিন আগে