• facebook
  • fb_group
  • twitter
  • tiktok
  • whatsapp
  • pinterest
  • youtube
  • linkedin
  • instagram
  • google
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বাণিজ্য
সারা দেশ
বিশ্ব
খেলা
আইন-আদালত
ধর্ম ও ইসলাম
বিনোদন
ফিচার
আমার দেশ পরিবার
ইপেপার
আমার দেশযোগাযোগশর্তাবলি ও নীতিমালাগোপনীয়তা নীতিডিএমসিএ
facebookfb_grouptwittertiktokwhatsapppinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক, মাহমুদুর রহমান 
মাহমুদুর রহমান কর্তৃক ঢাকা ট্রেড সেন্টার (৮ম ফ্লোর), ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন লিমিটেড প্রেস, ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ: ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ফোন: ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল: info@dailyamardesh.comবার্তা: ফোন: ০৯৬৬৬-৭৪৭৪০০। ই-মেইল: news@dailyamardesh.comবিজ্ঞাপন: ফোন: +৮৮০-১৭১৫-০২৫৪৩৪ । ই-মেইল: ad@dailyamardesh.comসার্কুলেশন: ফোন: +৮৮০-০১৮১৯-৮৭৮৬৮৭ । ই-মেইল: circulation@dailyamardesh.com
ওয়েব মেইল
কনভার্টারআর্কাইভবিজ্ঞাপনসাইটম্যাপ
> মতামত

এবারের নির্বাচনে ভোটারদের ভাবনা

খাজা মাঈন উদ্দিন
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫১
logo
এবারের নির্বাচনে ভোটারদের ভাবনা

খাজা মাঈন উদ্দিন

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫১

চলমান রাজনীতির বৃহত্তর দুই শক্তি বিএনপি ও জামায়াত তাদের অধিকাংশ সংসদ সদস্য প্রার্থীকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার আগেই। অন্যসব দল অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুতে কথাবার্তা বললেও এজেন্ডাভিত্তিক প্রাক-নির্বাচনি বিতর্কে যোগদান করেনি এখনো।

দলীয় ফোরামে মনোনীত এবং সম্ভাব্য প্রার্থীরা যার যার এলাকায় ভোটারদের মন জুগিয়ে নিজেদের পক্ষে আনতে প্রতিশ্রুতির পসরা সাজানোর কথা ইতোমধ্যেই।

নির্বাচনি এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাসিক সরকারি বেতনভুক্তির তালিকা, চাকরির তদবির, টেন্ডার ভাগাভাগি, সামাজিক সুরক্ষায় খাদ্য বা অর্থ বিতরণÑএ জাতীয় কাজের একটাও কিন্তু সংসদ সদস্য বা এমপি (মেম্বার অব পার্লামেন্ট) সাহেবদের কার্যপরিধির মধ্যে পড়ে না। তাদের আসল কাজ আইন ও বাজেট প্রণয়ন, যা খুব এমপিই ঠিকমতো করেন বা বোঝেন।

নির্বাচনি এলাকায় ভোট প্রার্থনাকালে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের এখতিয়ার বা বাস্তব ক্ষমতাও নেই একজন এমপির, যদি না তিনি মন্ত্রী হতে পারেন। এমপি হিসেবে কেউ তার এলাকার বিষয়ে যখন কথা বলেন, হাউস (সংসদ) কতটা মনোযোগ দিয়ে তা শোনে, তা-ই বোঝা যায় না।

সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচনের একটি প্রহসন হচ্ছে ব্যক্তি প্রার্থীকে যে ধরনের উন্নয়ন ও জনকল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে হয়, সেটা করার অধিকারও তার একার নয়, দলের।

সুতরাং আদর্শিকভাবে দলীয় এজেন্ডা বিক্রি করেই এমপি প্রার্থী তার এলাকার ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন, অবশ্য যদি দলের ইশতেহারে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে।

বাংলাদেশে ২০২৪ বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নির্বাচনের আগে জন-আকাঙ্ক্ষা সঠিকভাবে বোঝা ও সেগুলোর একটি সমন্বিত তালিকা প্রস্তুত করাটা জবর কঠিন ব্যাপার, কারণ গত দেড় দশকে ব্যালটে জনগণের প্রত্যাশা বা হতাশা প্রকাশের পরিবেশ ছিল না। এখন আবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে এবং এক বিশাল নতুন প্রজন্মের আবির্ভাব রাজনীতির ডাকসাইটে খেলোয়াড়দের জন্য তৈরি করেছে এক অচেনা মাঠ।

তরুণরা যে সেখানে শুধু দর্শক হিসেবেই চুপ করে বসে থাকবে না, তার অগ্রিম প্রমাণ হাসিনার জুলুমশাহি শাসনব্যবস্থা উপড়ে ফেলতে বুকচিতিয়ে এগিয়ে এসেছে তারা। জুলাই-আগস্ট ২৪-এ জনতার অভ্যুত্থানে কোটি পরিবার অংশগ্রহণ করে পরিবর্তন ঘটানোর আশাবাদ নিয়েই।

তাই ওই বিপ্লবের এক মানে দাঁড়ায়, ‘চাই মর্যাদাপূর্ণ জীবন, নইলে মৃত্যু’। দানবের শাসন নয়, প্রতিবেশীর আধিপত্য নয়, বৈষম্যের রাজত্ব নয়, দুর্নীতির আখড়া নয়, গুম-খুনের রাষ্ট্র নয় এবং সেসময়ের ‘জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ’ আর নয়।

হাসিনা শাসনামলের অত্যাচারী ব্যক্তিদের বিচার হলে সংক্ষুব্ধ মানুষ কিছুটা আত্মতৃপ্তি পাবে। সংস্কারের লিখিত প্রতিশ্রুতি ও সিদ্ধান্তগুলোর কথা কিতাবেই থেকে যাবে, যদি না সেগুলো জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হয়, সমাজে সাংস্কৃতিক বয়ান হিসেবে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।

দলগুলোকে পরিবর্তনের কাঙ্ক্ষিত রাজনীতির ধারণা দিতে হবে নির্বাচনি প্রচারাভিযান থেকেইÑজনকল্যাণের সর্বোত্তম উপায় নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে এবং সুশাসন নিশ্চিতে মানুষ দেখতে চাইবে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন, শুধু মন্দের ভালো নয়। ভোটাররা সাবেক আমলের প্রতিপক্ষকে গালাগাল করার সস্তা ও অসুস্থ চর্চাকে এবার হয়তো আর পছন্দ করবে না। প্রার্থীদের ভদ্রতা বোধ ও আচরণ এবং সত্যনিষ্ঠ বক্তব্যও ভোট দেওয়ার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

হাসিনা শাসনের ভয়াবহ স্মৃতি সহস্র ভিকটিম ও তাদের পরিবার এবং নানাভাবে আহত, রাগান্বিত লাখ লাখ মানুষের মনে গেঁথে আছে; ফলে আগামী নির্বাচনের পর দেশবাসীর প্রথম এবং ন্যূনতম চাওয়া হতে পারে শাসক দলের উৎপীড়ন থেকে মুক্তি।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস এবং ভিন্নমত প্রকাশের জনপরিসর সংকুচিত করে হাসিনার আওয়ামী শাসন শুধু ভোটাধিকার ক্ষুণ্ণ ও সত্য বলার পরিবেশই নষ্ট করেনি, দেশে ইসলাম নিয়ে ভীতি (ইসলামোফোবিয়া) সৃষ্টি করে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান জনগোষ্ঠীকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বিপদগ্রস্ত করে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনি রাজনীতিতে নতুন মেরূকরণ হতে পারে।

বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার হরণ প্রকল্পে হাসিনার সহযোগী হিসেবে প্রকাশ্যে-গোপনে দেখা যায় দিল্লির মুখচ্ছবি। যেহেতু ২০২৪-এর ডামি নির্বাচনের একজন প্রার্থী বলেছিলেন, ‘আমি ভারতের প্রার্থী’, তাই এবার কৌতূহলী ভোটাররা জানতে চাইতে পারেন সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে কারা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি।

যাহোক, আজকের স্বাধীন নাগরিক, বিশেষ করে স্বাধীনচেতা তরুণরা চায় হয়রানি ছাড়া চাকরি, ফ্রিল্যান্সিং, পরামর্শ সেবা ও উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ এবং কোনো বিরোধ সৃষ্ট হলে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশ্বাস। রাষ্ট্র জনগণকে যেমন নিরাপত্তা দেবে, তারাও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কথা বলবে এবং প্রয়োজনে আত্মনিয়োগ রাখবে।

বাংলাদেশ নামক দেশটির মালিকানা যেসব জনগণের, তার বিশ্বাসযোগ্য অঙ্গীকার পেতে চাইবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের আচরণ, বক্তব্য এবং লিখিত প্রতিশ্রুতি থেকে। এদেশের সম্পদ, সম্ভাবনা ও অবকাঠামোর সুষ্ঠু ব্যবহার এবং রাষ্ট্রনীতি অবশ্যই পরিচালিত হবে স্বাধীন জনগোষ্ঠীর কল্যাণে।

আগামী নির্বাচিত সরকারের জন্য বড় নীতি পরিবর্তন (পলিসি শিফট) হতে পারে আওয়ামী লীগের অতীতমুখী সংস্কৃতি থেকে ভবিষ্যৎমুখী নীতি কর্মসূচি প্রণয়নে জাতীয় উত্তরণ। তরুণদের জন্য নতুন বাংলাদেশের একটি অবয়ব তৈরি করা প্রয়োজন নির্বাচনি ইশতেহারে, যে ইশতেহার নির্বাচন জিততে সহায়ক হবে কোনো দলের জন্য।

সাধারণ মানুষ পদ্ধতিগত কায়দায় বলতে না পারলেও সংস্কার প্রস্তাবে সেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে জনস্বার্থ এবং জন-আকাঙ্ক্ষার সংযোগ আছে।

সে কারণে ২০২৪-এর বিপ্লবের চেতনা আসন্ন নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকভাবেই আলোচনায় থাকবে। ভুলে গেলে চলবে না শেখ হাসিনার পতন হয়েছে বলেই অনেকের নির্বাচন করার এবং জনগণের পক্ষে ভোট দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে চাইবে কেন? তাদের জন্য সুখী, সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে দোষ কোথায়!

লেখক : সাংবাদিক

সম্পাদক ও প্রকাশক : মাহমুদুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে এবং অস্থায়ীভাবে মিডিয়া প্রিন্টার্স লি. ৪৪৬/এইচ, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ : ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিণিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্স : ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল : info@dailyamardesh.com

চলমান রাজনীতির বৃহত্তর দুই শক্তি বিএনপি ও জামায়াত তাদের অধিকাংশ সংসদ সদস্য প্রার্থীকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার আগেই। অন্যসব দল অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুতে কথাবার্তা বললেও এজেন্ডাভিত্তিক প্রাক-নির্বাচনি বিতর্কে যোগদান করেনি এখনো।

দলীয় ফোরামে মনোনীত এবং সম্ভাব্য প্রার্থীরা যার যার এলাকায় ভোটারদের মন জুগিয়ে নিজেদের পক্ষে আনতে প্রতিশ্রুতির পসরা সাজানোর কথা ইতোমধ্যেই।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনি এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাসিক সরকারি বেতনভুক্তির তালিকা, চাকরির তদবির, টেন্ডার ভাগাভাগি, সামাজিক সুরক্ষায় খাদ্য বা অর্থ বিতরণÑএ জাতীয় কাজের একটাও কিন্তু সংসদ সদস্য বা এমপি (মেম্বার অব পার্লামেন্ট) সাহেবদের কার্যপরিধির মধ্যে পড়ে না। তাদের আসল কাজ আইন ও বাজেট প্রণয়ন, যা খুব এমপিই ঠিকমতো করেন বা বোঝেন।

নির্বাচনি এলাকায় ভোট প্রার্থনাকালে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের এখতিয়ার বা বাস্তব ক্ষমতাও নেই একজন এমপির, যদি না তিনি মন্ত্রী হতে পারেন। এমপি হিসেবে কেউ তার এলাকার বিষয়ে যখন কথা বলেন, হাউস (সংসদ) কতটা মনোযোগ দিয়ে তা শোনে, তা-ই বোঝা যায় না।

সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচনের একটি প্রহসন হচ্ছে ব্যক্তি প্রার্থীকে যে ধরনের উন্নয়ন ও জনকল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে হয়, সেটা করার অধিকারও তার একার নয়, দলের।

সুতরাং আদর্শিকভাবে দলীয় এজেন্ডা বিক্রি করেই এমপি প্রার্থী তার এলাকার ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন, অবশ্য যদি দলের ইশতেহারে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে।

বাংলাদেশে ২০২৪ বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নির্বাচনের আগে জন-আকাঙ্ক্ষা সঠিকভাবে বোঝা ও সেগুলোর একটি সমন্বিত তালিকা প্রস্তুত করাটা জবর কঠিন ব্যাপার, কারণ গত দেড় দশকে ব্যালটে জনগণের প্রত্যাশা বা হতাশা প্রকাশের পরিবেশ ছিল না। এখন আবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে এবং এক বিশাল নতুন প্রজন্মের আবির্ভাব রাজনীতির ডাকসাইটে খেলোয়াড়দের জন্য তৈরি করেছে এক অচেনা মাঠ।

তরুণরা যে সেখানে শুধু দর্শক হিসেবেই চুপ করে বসে থাকবে না, তার অগ্রিম প্রমাণ হাসিনার জুলুমশাহি শাসনব্যবস্থা উপড়ে ফেলতে বুকচিতিয়ে এগিয়ে এসেছে তারা। জুলাই-আগস্ট ২৪-এ জনতার অভ্যুত্থানে কোটি পরিবার অংশগ্রহণ করে পরিবর্তন ঘটানোর আশাবাদ নিয়েই।

তাই ওই বিপ্লবের এক মানে দাঁড়ায়, ‘চাই মর্যাদাপূর্ণ জীবন, নইলে মৃত্যু’। দানবের শাসন নয়, প্রতিবেশীর আধিপত্য নয়, বৈষম্যের রাজত্ব নয়, দুর্নীতির আখড়া নয়, গুম-খুনের রাষ্ট্র নয় এবং সেসময়ের ‘জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ’ আর নয়।

হাসিনা শাসনামলের অত্যাচারী ব্যক্তিদের বিচার হলে সংক্ষুব্ধ মানুষ কিছুটা আত্মতৃপ্তি পাবে। সংস্কারের লিখিত প্রতিশ্রুতি ও সিদ্ধান্তগুলোর কথা কিতাবেই থেকে যাবে, যদি না সেগুলো জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হয়, সমাজে সাংস্কৃতিক বয়ান হিসেবে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।

দলগুলোকে পরিবর্তনের কাঙ্ক্ষিত রাজনীতির ধারণা দিতে হবে নির্বাচনি প্রচারাভিযান থেকেইÑজনকল্যাণের সর্বোত্তম উপায় নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে এবং সুশাসন নিশ্চিতে মানুষ দেখতে চাইবে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন, শুধু মন্দের ভালো নয়। ভোটাররা সাবেক আমলের প্রতিপক্ষকে গালাগাল করার সস্তা ও অসুস্থ চর্চাকে এবার হয়তো আর পছন্দ করবে না। প্রার্থীদের ভদ্রতা বোধ ও আচরণ এবং সত্যনিষ্ঠ বক্তব্যও ভোট দেওয়ার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

হাসিনা শাসনের ভয়াবহ স্মৃতি সহস্র ভিকটিম ও তাদের পরিবার এবং নানাভাবে আহত, রাগান্বিত লাখ লাখ মানুষের মনে গেঁথে আছে; ফলে আগামী নির্বাচনের পর দেশবাসীর প্রথম এবং ন্যূনতম চাওয়া হতে পারে শাসক দলের উৎপীড়ন থেকে মুক্তি।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস এবং ভিন্নমত প্রকাশের জনপরিসর সংকুচিত করে হাসিনার আওয়ামী শাসন শুধু ভোটাধিকার ক্ষুণ্ণ ও সত্য বলার পরিবেশই নষ্ট করেনি, দেশে ইসলাম নিয়ে ভীতি (ইসলামোফোবিয়া) সৃষ্টি করে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান জনগোষ্ঠীকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বিপদগ্রস্ত করে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনি রাজনীতিতে নতুন মেরূকরণ হতে পারে।

বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার হরণ প্রকল্পে হাসিনার সহযোগী হিসেবে প্রকাশ্যে-গোপনে দেখা যায় দিল্লির মুখচ্ছবি। যেহেতু ২০২৪-এর ডামি নির্বাচনের একজন প্রার্থী বলেছিলেন, ‘আমি ভারতের প্রার্থী’, তাই এবার কৌতূহলী ভোটাররা জানতে চাইতে পারেন সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে কারা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি।

যাহোক, আজকের স্বাধীন নাগরিক, বিশেষ করে স্বাধীনচেতা তরুণরা চায় হয়রানি ছাড়া চাকরি, ফ্রিল্যান্সিং, পরামর্শ সেবা ও উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ এবং কোনো বিরোধ সৃষ্ট হলে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশ্বাস। রাষ্ট্র জনগণকে যেমন নিরাপত্তা দেবে, তারাও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কথা বলবে এবং প্রয়োজনে আত্মনিয়োগ রাখবে।

বাংলাদেশ নামক দেশটির মালিকানা যেসব জনগণের, তার বিশ্বাসযোগ্য অঙ্গীকার পেতে চাইবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের আচরণ, বক্তব্য এবং লিখিত প্রতিশ্রুতি থেকে। এদেশের সম্পদ, সম্ভাবনা ও অবকাঠামোর সুষ্ঠু ব্যবহার এবং রাষ্ট্রনীতি অবশ্যই পরিচালিত হবে স্বাধীন জনগোষ্ঠীর কল্যাণে।

আগামী নির্বাচিত সরকারের জন্য বড় নীতি পরিবর্তন (পলিসি শিফট) হতে পারে আওয়ামী লীগের অতীতমুখী সংস্কৃতি থেকে ভবিষ্যৎমুখী নীতি কর্মসূচি প্রণয়নে জাতীয় উত্তরণ। তরুণদের জন্য নতুন বাংলাদেশের একটি অবয়ব তৈরি করা প্রয়োজন নির্বাচনি ইশতেহারে, যে ইশতেহার নির্বাচন জিততে সহায়ক হবে কোনো দলের জন্য।

সাধারণ মানুষ পদ্ধতিগত কায়দায় বলতে না পারলেও সংস্কার প্রস্তাবে সেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে জনস্বার্থ এবং জন-আকাঙ্ক্ষার সংযোগ আছে।

সে কারণে ২০২৪-এর বিপ্লবের চেতনা আসন্ন নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকভাবেই আলোচনায় থাকবে। ভুলে গেলে চলবে না শেখ হাসিনার পতন হয়েছে বলেই অনেকের নির্বাচন করার এবং জনগণের পক্ষে ভোট দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে চাইবে কেন? তাদের জন্য সুখী, সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে দোষ কোথায়!

লেখক : সাংবাদিক

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

আমার দেশভোট
সর্বশেষ
১

বাহারের মেয়ে সুচির টাকায় মিছিল করতে এসে আটক ৪৪

২

অভিবাসন নীতি কঠোর করছে যুক্তরাজ্য

৩

ঈশ্বরদীতে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুট

৪

জর্জিয়াকে উড়িয়েও অপেক্ষায় স্পেন

৫

১২ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ শুরু

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ ঘিরে দুই পরাশক্তির দ্বন্দ্ব

সৃষ্টির শুরু থেকেই জীবজগতে ছোট-বড় প্রত্যেক প্রাণীর মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ দখলের অলিখিত লড়াই চলছে। বিরামহীন এই লড়াইয়ে সবল প্রাণীরা অপেক্ষাকৃত দুর্বলদের হারিয়ে ক্রমে এই গ্রহে নিজেদের দখল নিশ্চিত করেছে।

২ ঘণ্টা আগে

দুর্নীতি দমনে নির্মমতাই কি শেষ পথ?

গণতন্ত্রের মোড়কে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ৫৪ বছর পার করেছে, কিন্তু দুর্নীতি আজ সমাজের ক্যানসারে পরিণত। এই দুর্নীতি এখন আর গোপন পাপ নয়, বরং প্রকাশ্য বাণিজ্য। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের বক্তব্য অনুযায়ী

২ ঘণ্টা আগে

ভারতের ইসরাইল-প্রীতি : সুদূরপ্রসারী প্রভাব

ভারত আর ইসরাইল বড় ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। বিশ্বকে চমকে দিয়েছে এই চুক্তি। দক্ষিণ এশিয়া আর মুসলিম বিশ্বে এর প্রভাব পড়বে অনেক। চুক্তির সময়টাও তাৎপর্যপূর্ণ। সারা বিশ্বের মানুষ এখন গাজা আর পশ্চিম তীরে ইসরাইলের অপকর্মের জন্য তাদের তীব্র নিন্দা করছে।

২ ঘণ্টা আগে

রোহিঙ্গা সংকট : বাস্তবতা ও অগ্রগতির পথ

রোহিঙ্গা সংকট দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী মানবিক এবং নিরাপত্তাজনিত সমস্যার একটি। প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের কোনো বাস্তব সম্ভাবনা নেই।

২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ঘিরে দুই পরাশক্তির দ্বন্দ্ব

বাংলাদেশ ঘিরে দুই পরাশক্তির দ্বন্দ্ব

দুর্নীতি দমনে নির্মমতাই কি শেষ পথ?

দুর্নীতি দমনে নির্মমতাই কি শেষ পথ?

ভারতের ইসরাইল-প্রীতি : সুদূরপ্রসারী প্রভাব

ভারতের ইসরাইল-প্রীতি : সুদূরপ্রসারী প্রভাব

রোহিঙ্গা সংকট : বাস্তবতা ও অগ্রগতির পথ

রোহিঙ্গা সংকট : বাস্তবতা ও অগ্রগতির পথ