দিল্লির সমর্থনে প্রতিশোধের প্রস্তুতি

আলফাজ আনাম
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২: ১২
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২: ২৭

বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশের দুর্ধর্ষ অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছে ভারত। একসময় বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ভারতে আশ্রয় নিয়ে খুন ও চাঁদাবাজি করত। সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ, কিলার আব্বাস, কালা জাহাঙ্গীর, প্রকাশ, যোসেফ- এ ধরনের বহু সন্ত্রাসীর খবর আমরা পড়েছি। যারা নিরাপদে বিভিন্ন সময় ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখান থেকে তারা তাদের আন্ডারওয়ার্ল্ডের জগৎ চালাত। এমনকি খুনোখুনির নির্দেশ দিত। এদের অনেকে ভারতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতো। জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার ভারতে থাকত। কিন্তু তাদের বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হতো না। অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়ার পেছনে একটাই উদ্দেশ্য ছিল এদের ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করা।

বিজ্ঞাপন

শুধু পেশাদার সন্ত্রাসীরা নয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের আশ্রয়কেন্দ্র এখন ভারত। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান দমনে গণহত্যার প্রধান নির্দেশদাতা হাসিনাসহ ও সহযোগীরা ভারতে অবস্থান করছেন। সেখানে তারা পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা করছেন। দেশের মধ্যে থাকা তাদের সহযোগীরা তা বাস্তবায়ন করছেন।

রাজনৈতিক এই দুর্বৃত্তরা ভারত সরকার ও গণমাধ্যমের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের রাখঢাক করা হচ্ছে না। গণহত্যা পরিকল্পনার প্রধান বাস্তবায়নকারীদের একজন হচ্ছেন শেখ হাসিনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। যাকে একজন ঠান্ডা মাথার কিলার হিসেবে মনে করা হয়। তার বাসায় বসে রাজধানীতে ছাত্র আন্দোলন দমনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালে আটক পুলিশের কর্মকর্তাদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ পর্যন্ত অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রায় সবাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছ থেকে ‘কড়া’ নির্দেশনা পাওয়ার কথা বলেছেন।

জুলাই-আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে মন্ত্রীদের নিয়ে যেসব সভা করেছেন, সেখানে শিক্ষার্থীদের ওপর ‘বল প্রয়োগ’ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় ‘আন্দোলন দমনে পুলিশ প্রস্তুত আছে’ বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান।

রিমান্ডে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, তার সঙ্গে আন্দোলনের সময় ক্ষণে ক্ষণে যোগাযোগ রেখেছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব। মন্ত্রী যেকোনো মূল্যে আন্দোলন দমনের নির্দেশনা দিয়েছেন। হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ার নির্দেশনাও ছিল তার। জুলাই মাসে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশের ওপর যখন বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছিল, তখন আন্দোলনকারীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার থেকে গুলির নির্দেশ দেন আসাদুজ্জামান। এরপর বহুবার হেলিকপ্টার থেকে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে শিশুসহ বহু লোক নিহত হয়। সম্প্রতি ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, তদন্তে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার প্রমাণ তারা পেয়েছেন। কোনো ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়া নিজ দেশের মানুষের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার নির্দেশ দিতে পারেনÑএমন একজন অপরাধীকে ভারত শুধু আশ্রয় দিচ্ছে না, গণমাধ্যমে তাদের বক্তব্য ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে।

সম্প্রতি ভারতের প্রভাবশালী সংবাদপত্র দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আসাদুজ্জামান কামালের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশে ১০ বছর ৬ মাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলাম। এই সময়কালে অনেক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছি। এখন সবকিছু ৩৬০ ডিগ্রি উল্টে গেছে। গত বছরের ৩ থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে প্রায় ৪৬০টি থানা পুড়িয়ে দেওয়া হয়, ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র থানাগুলো থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন থেকে এসএসএফের অস্ত্রও নিয়ে যাওয়া হয়। আমি নিজে ৫ ও ৬ আগস্ট ঢাকায় ছিলাম এবং ৭ আগস্ট বাড়ি থেকে বের হয়েছি।’

আমরা কিছুদিন থেকে লক্ষ করছি, পতিত সরকারের সহযোগী প্রচারবিদ ও পলাতক নেতারা পুলিশ হত্যা, থানা পুড়িয়ে দেওয়া ও অস্ত্রলুট হওয়া নিয়ে নানা ধরনের কল্পকাহিনি প্রচার করছেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এক মাসের মধ্যে নারী, শিশুসহ দেড় হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছে বিশ হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে বহু মানুষ পঙ্গু কিংবা চোখ হারিয়েছে। এই অপরাধ নিয়ে তাদের মুখে কোনো কথা নেই। কোনো অনুশোচনা নেই।

পুলিশ হত্যা, থানা পুড়িয়ে দেওয়া কিংবা অস্ত্রলুটের পরিসংখ্যান তারা নিজেরা বানিয়ে বানিয়ে বলছেন। সেগুলো ভারতের গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চরিত্র হচ্ছে নিজেরা যেসব অপরাধ করেন, সেগুলো অন্যের নামে চালিয়ে দেওয়া। মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সেগুলো সত্য বলে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা। নিজেরা খুন করে, প্রতিপক্ষকে বলবেন খুনি। দেড় দশকে ফ্যাসিস্ট শাসন চালিয়ে এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে ফ্যাসিস্ট বলে অভিহিত করছে। এর চেয়ে তামাশা আর কী হতে পারে! মানবতাবিরোধী অপরাধ করে এখন পুলিশ হত্যার কথা বলে ছাত্র-জনতাকে বলছে মানবতাবিরোধী। শেখ হাসিনা পালায় না বলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পালিয়ে গেছেন। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের চরিত্র।

আওয়ামী লীগের এই প্রপাগান্ডাকে গুরুত্বহীনভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। অতীতে এভাবে মিথ্যা অভিযোগকে তারা সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রচারমাধ্যমের ওপর তাদের যে কর্তৃত্ব রয়েছে, তাকে ব্যবহার করে আগামী দিনে ইতিহাস তারা পাল্টে দেবে। নিপীড়িত ছাত্র-জনতাকে চিহ্নিত করা হবে সন্ত্রাসী হিসেবে। বিশ বছর পর ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের ফাঁসির দাবি নিয়ে গড়ে উঠতে পারে আরেকটি শাহবাগ।

আসাদুজ্জামান খানের মতো একজন কসাইয়ের কাছে দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে চেয়েছেÑআপনি ভারতের কাছ থেকে কী আশা করেন? ভারত কীভাবে সাহায্য করতে পারে?

জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আমি স্বীকার করি, ভারত সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। এখন ভারত কূটনৈতিকভাবে সাহায্য করতে পারে। আমাদের আদালতগুলো পঙ্গু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে যেতে পারছেন না। সব বিচারক নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই প্রথম কাজ হলো কূটনৈতিক চাপ দেওয়া এবং উচ্চ স্বরে দাবি তোলা, যাতে আদালতগুলো আবার কার্যকর হয়। ভারত এতে সাহায্য করতে পারে।’

আসাদুজ্জামান খানের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, তারা ভারতের সাহায্যের আশায় বসে আছেন। ভারতের সাহায্য নিয়ে আবার দেশে ফিরে আসার আশা করছেন তারা। ভারত চাপ প্রয়োগ করে তাদের অন্যায়-অপকর্মের বিচার থেকে রক্ষা করবে। এটাই ভারতের কাছে চাওয়া। গত দেড় দশকে ভারতের আমলাতন্ত্র ও গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যেভাবে দেশ পরিচালনা করেছে, একইভাবে পলাতক জীবনেও তাদের পরিচালনা করছে ভারত।

দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘ড. ইউনূসের চেয়ারে বসার কোনো অধিকার নেই। তিনি নেতা নন, রাজনীতিক নন। আমাদের দেশে খুব অদ্ভুত কিছু ঘটেছে। বাংলাদেশ একটি অদ্ভুত দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। ড. ইউনূসের উচিত তার পদ ছেড়ে আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে লড়তে দেওয়া। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এটিই একমাত্র উপায়।’

আসাদুজ্জামান কামালের এই বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে তারা স্বীকার করছেন না। কেন তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে, এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র উপলব্ধি নেই। পুরো অভ্যুত্থানকে তারা দেখছেন একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে। অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। নির্বাচনে লড়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি করছেন। কিন্তু তারা যে এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আত্মসমালোচনা নেই।

আসাদুজ্জামান খান কামালরা ভারতে নিশ্চুপ বসে নেই। তারা ভবিষ্যতে কীভাবে গণঅভ্যুত্থানকে উপস্থাপন করবেন, তার ন্যারেটিভ তৈরির প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। আসাদুজ্জামন খান কামাল দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘আমি একমত যে একটি গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল, তা ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত যাই হোক। তবে এটি ছিল একটি সেনা অভ্যুত্থান।’

আগামী দিনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সেনাবাহিনীর সংযোগে একটি ক্যু হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। যেভাবে শেখ মুজিবের দুঃশাসনের কারণে তার পতনকে শুধুই একটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে। একইভাবে তারা ভবিষ্যতে গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি করবেন।

আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের জন্য দেশি-বিদেশি নানা তৎপরতা এখন দৃশ্যমান। গত দেড় দশকে হাসিনার শাসনে এ দেশের রাষ্ট্রযন্ত্রে ভারতের একটি শক্তিশালী প্রভাববলয় তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভারতের প্রতি আনুগত্যশীল ব্যক্তি রয়েছে। এই দুই শক্তিকে ব্যবহার করে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলার নানা কৌশল গ্রহণ করেছে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে, ভারতের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা।

শেখ হাসিনার অধীনে দেশে তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব নির্বাচন হয়েছে কখনো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, কখনো নিশিরাতে আবার কখনো-বা ডামিপ্রার্থী দিয়ে। কিন্তু ভারত কখনো এসব নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার পক্ষে অবস্থান নেয়নি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য ছিল, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য নির্বাচনকে তারা সমর্থন করে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য ছিল না।

এখন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও থিংকট্যাংকগুলো প্রচারণা চালাচ্ছে অংশগ্রহণমূলক এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায় ভারত। আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখনো তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। বরং তারা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে চায় বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। গণহত্যার বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি ও নির্বাচনের সুযোগ দিয়ে ভারতের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়া এই নেতারা যদি বিচার ছাড়া দেশে ফেরার সুযোগ পান, তাহলে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তারা নির্মম প্রতিশোধ নেবে। ভারত এ রকম একটি সময়ের জন্য অপেক্ষা করছে।

ভারত শেখ হাসিনাকে বছরের পর বছর আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আওয়ামী লীগের পেছনে তাদের যেমন বড় বিনিয়োগ আছে, তেমনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে যা পেয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় আর কোনো দেশের রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে পায়নি। ভারত যেকোনো মূল্যে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবেÑএটাই স্বাভাবিক। এখন এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এই পরিকল্পনায় কতটা সহযোগীর ভূমিকা পালন করে, তা দেখার বিষয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত