ওমর শাহেদ
মানুষের জন্য কাজ করার অভ্যাসটি শুরু হয়েছে একেবারে ছোটবেলায়। স্কুলে পড়ার সময় থেকে স্কাউটিং। রেড ক্রিসেন্টে কাজ করতেন কাজী রিয়াজ রহমান, যার ডাকনাম রিয়াজ। টানা ১২ বছরের অভিজ্ঞতা আছে তার। ফলে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ আগে থেকেই শেখা হয়েছে খুব ভালোভাবে। শীতের সময় শীতবস্ত্র বিতরণ এবং বন্যায় দুর্গতদের সাহায্য করে আসছেন সেই তখন থেকে। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা। তবে একেবারে স্বেচ্ছাসেবী হয়ে যাওয়া তার হঠাৎ করেই।
২০১২ সালের কথা। ঢাকার ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে নিয়মিত আড্ডা দেন তিনি। হঠাৎ তিন-চার পথশিশু তার কাছে এলো—‘ভাইয়া আমাদের রং-পেন্সিল কিনে দেন। আমরা ছবি আঁকমু।’ ছোট-ছোট ভালোবাসার মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে তিনি আর না করতে পারলেন না; বললেন, ‘আরেক দিন এসো, আমি কিনে দেব।’ বাসায় গিয়ে ভালো লাগার অনুভূতিতে ছেয়ে গেল তার মন। একটি সপ্তাহ পরে রং-পেন্সিল নিয়ে গেলেন। কিন্তু প্রায় ৪০টি শিশু তাকে ঘিরে ধরলো।
এই ছেলে-মেয়েগুলোকে তিনি চেনেন, কেউ হয়তো এমনিই ঘুরে বেড়ায়, কেউ লজেন্স বিক্রি করে। তাদের মধ্যে কীভাবে এই খবর ছড়িয়ে গেছে, সেই ভাবনাটি আজও মনে করলে চমকে ওঠেন। ‘ভাইয়া আমাকে দিন, আমাকে দিন’—এই কথাগুলো শোনার পর লজ্জায় আর পেন্সিলের সেই কয়েকটি বক্স আর খোলেননি তিনি। পেছনে লুকিয়ে রেখে দিয়েছেন। নিজের কাছেই ওদের দীন-হীন অবস্থা দেখে খুব খারাপ লাগল। তাদের ছবি আঁকার স্বপ্নটি তাকে ছুঁয়ে গেল। ১৯ অক্টোবর ছিল তার জন্মদিন। সেদিন আর কোনোকিছু না করে তাদের সবাইকে ডেকে খাতা-পেন্সিল কিনে দিলেন। পরে মনে হলো, এই প্রথম আমার জন্মদিন সার্থক হলো। তার পর থেকে শিশুদের জন্য কাজ করার পণ করলেন তিনি।
শুরুটি করলেন পথশিশুদের স্কুল দিয়ে। রবীন্দ্র সরোবরেই অল্প থেকে ১০-১৫ স্বেচ্ছাসেবক মিলে তারা শিশুদের বর্ণপরিচয় ও বাল্যশিক্ষা দিতে লাগলেন। যেখানেই ফাঁকা জায়গা পেয়েছেন, বসে পড়েছেন। খাতা, কলম, পেন্সিল—সবই তাদের। যেহেতু এই পথশিশুরা ছোটখাটো কোনো না কোনো কাজ করে অথবা ভিক্ষা করে, তাদের পড়ার ভুবনে ফেরানো খুব কঠিন। তবে খাবারের লোভ দেখালে তারা আসে। আস্তে আস্তে রং-পেন্সিল তারা ব্যবহার করতে শুরু করল। নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে বাবা-মাকে বলে টানা চারটি বছর তারা এই বিদ্যালয়টি চালিয়েছেন। বর্ণপরিচয়, গণিতের প্রাথমিক পাঠ, ছবি আঁকা ও সাধারণ জ্ঞান শেখাতে লাগলেন। একসময় নামটি দিতে হলো তাকে কাজের ব্যাপ্তি বেড়ে যাওয়ায়। নামটি দিলেন ‘মাস্তুল ফাউন্ডেশন’, যেটি তারুণ্যের প্রতীক, অন্ধকার যুগ থেকে তাদের আলোর যুগে আসার যাত্রা।
তবে দেখা গেল অভিজ্ঞতা এখানেও বড় ভয়ংকর, শিশুরা হারিয়ে যায় বিদ্যার ভুবন থেকে। যেহেতু তারা কোনো না কোনোভাবে গরিব বাবা-মায়ের আয়ের সহায়, ফলে ইনকাম না করে ফিরলে বাসায় মারে, স্কুলে যেতেও অনুৎসাহিত করে। ১০০ থেকে ২০০ টাকার আয় সে পরিবারের বড় সহায়। জীবনগুলো বদলাচ্ছে না দেখে, ঢাকার হাজারিবাগের ঝাউচরে চারটি রুম ভাড়া নিয়ে ফাউন্ডেশনের অধীনে বিদ্যালয় চালু করলেন রিয়াজ। শিশু ক্লাস থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উন্নীতকরণের বিদ্যা শিক্ষা শুরু করলেন তারা। মাসে ভাড়া ১২ হাজার টাকা, শিক্ষক তিন থেকে চারজন, মাসে একেকজনের বেতন পাঁচ হাজার টাকা। নিজেদের শিশুদের পড়িয়েই এই বিদ্যালয় পঞ্চম শ্রেণিতে এলো।
আর কাজী রিয়াজ রহমানের মাস্তুল ফাউন্ডেশন যাত্রা করলো—একটি শিশুকে আপনি এক হাজার টাকা দিয়ে স্পন্সর করতে পারেন এই বাস্তবতার। সেই ভালোবাসার জগতে এলাকার বড় ভাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, পরিচিত মামা-চাচা এগিয়ে এলেন শুরু থেকেই। আগে টাকা চাইতেন, এখন বলেন আমাকে আর হাতে, হাতে টাকা দেওয়ার দরকার নেই। একটি শিশুর শিক্ষার দায়িত্ব নিন। আমরা মাসে, মাসে এক হাজার টাকার বিনিময়ে ওই শিশুটির উন্নতির রিপোর্ট পাঠাব। আর বিদ্যালয় হওয়ায় আপনি যখন খুশি আসতে পারবেন। এখন তার স্কুল ২৫০ ছাত্র-ছাত্রী।
এর মধ্যে ১৫০ শিশু ছাত্র-ছাত্রী তাদের; বাকি ছাত্র-ছাত্রী রা স্বাভাবিক পরিবারের সন্তান। সুনাম শুনে ও দেখে এখানে পড়ালেখা করছে তারা। সবাই ভালো ফল করছে। বিদ্যালয় এখন অষ্টম শ্রেণিতে। নিজেদের শিশু দিয়েই তারা কলেজে উন্নীত হবেন। এছাড়া সুনামের সঙ্গে ২২টি বিদ্যালয়ে মাস্তুল ফাউন্ডেশন বছরওয়ারি খেলনা, দুপুরের খাবার, স্কুলের পোশাক, ব্যাগ ও খাতা কিনে দেয়। প্রকল্প বিদ্যালয়গুলো চালু আছে—ফেনী, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রংপুর, নোয়াখালী, ঠাকুরগাঁও ও গাইবান্ধার প্রত্যন্ত এলাকায়, প্রয়োজনীয় জায়গায়। এই বিদ্যালয়গুলোয় ১০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করে। ৫০ শিক্ষক আছেন। তারা মাস্তুল ফাউন্ডেশনের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল।
ঢাকার হাজারিবাগে বিদ্যালয়ের পাশে একটি শেল্টার হোম আছে কাজী রিয়াজ রহমানদের। নাম ‘মাস্তুল শেল্টার হোম ও এতিমখানা’। সেখানে পথশিশু, এতিম ও অনাথ ছেলেমেয়েরা থাকে। পুরো ছয়তলা ভবনটিই তাদের। উপজাতি শিশুও আছে। এখানে ১৫ আবাসিক শিক্ষক আছেন। যেসব মুসলিম শিশু আছে, তাদের জন্য আছে মাদরাসা। নাম ‘মাস্তুল ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসা’। তিন হাফেজ তাদের পবিত্র কোরআন শেখান। এমন অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা বিদ্যালয়ের পড়ায় তুখোড় আবার কোরআন শরিফ ১০ পারা মুখস্থ। ছেলেমেয়েদের আলাদা আলাদা জ্ঞানের বিকাশের জন্য কাজ করছেন তিনি। পুরো কার্যক্রমটি স্পন্সর এ চাইল্ড প্রজেক্টের মাধ্যমে পরিচালনা করছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন।
তাদের প্রয়োজনীয় পোশাক, জুতা-মোজা, ব্যাগ ইত্যাদি শিক্ষা উপকরণগুলো বিভিন্ন কোম্পানি কিনে দেয়। তাদের মধ্যে আছে ঢাকা ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইনান্স, টিকে গ্রুপ, মিনারাত ট্যুরস, রেডি বাংলাদেশ লিমিটেড, মাতৃছায়া কো-অপারেটিভ-সহ নাম না জানা অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। লেখাপড়ার মানও তাদের বিদ্যালয়ে খুব ভালো। তাদের বিদ্যালয়টি আছে হাজারিবাগ বারইখালিতে। নাম ‘মাস্তুল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’। রিয়াজ আমাদের পাঠকমেলার সদস্য।
মানুষের জন্য কাজ করার অভ্যাসটি শুরু হয়েছে একেবারে ছোটবেলায়। স্কুলে পড়ার সময় থেকে স্কাউটিং। রেড ক্রিসেন্টে কাজ করতেন কাজী রিয়াজ রহমান, যার ডাকনাম রিয়াজ। টানা ১২ বছরের অভিজ্ঞতা আছে তার। ফলে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ আগে থেকেই শেখা হয়েছে খুব ভালোভাবে। শীতের সময় শীতবস্ত্র বিতরণ এবং বন্যায় দুর্গতদের সাহায্য করে আসছেন সেই তখন থেকে। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা। তবে একেবারে স্বেচ্ছাসেবী হয়ে যাওয়া তার হঠাৎ করেই।
২০১২ সালের কথা। ঢাকার ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে নিয়মিত আড্ডা দেন তিনি। হঠাৎ তিন-চার পথশিশু তার কাছে এলো—‘ভাইয়া আমাদের রং-পেন্সিল কিনে দেন। আমরা ছবি আঁকমু।’ ছোট-ছোট ভালোবাসার মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে তিনি আর না করতে পারলেন না; বললেন, ‘আরেক দিন এসো, আমি কিনে দেব।’ বাসায় গিয়ে ভালো লাগার অনুভূতিতে ছেয়ে গেল তার মন। একটি সপ্তাহ পরে রং-পেন্সিল নিয়ে গেলেন। কিন্তু প্রায় ৪০টি শিশু তাকে ঘিরে ধরলো।
এই ছেলে-মেয়েগুলোকে তিনি চেনেন, কেউ হয়তো এমনিই ঘুরে বেড়ায়, কেউ লজেন্স বিক্রি করে। তাদের মধ্যে কীভাবে এই খবর ছড়িয়ে গেছে, সেই ভাবনাটি আজও মনে করলে চমকে ওঠেন। ‘ভাইয়া আমাকে দিন, আমাকে দিন’—এই কথাগুলো শোনার পর লজ্জায় আর পেন্সিলের সেই কয়েকটি বক্স আর খোলেননি তিনি। পেছনে লুকিয়ে রেখে দিয়েছেন। নিজের কাছেই ওদের দীন-হীন অবস্থা দেখে খুব খারাপ লাগল। তাদের ছবি আঁকার স্বপ্নটি তাকে ছুঁয়ে গেল। ১৯ অক্টোবর ছিল তার জন্মদিন। সেদিন আর কোনোকিছু না করে তাদের সবাইকে ডেকে খাতা-পেন্সিল কিনে দিলেন। পরে মনে হলো, এই প্রথম আমার জন্মদিন সার্থক হলো। তার পর থেকে শিশুদের জন্য কাজ করার পণ করলেন তিনি।
শুরুটি করলেন পথশিশুদের স্কুল দিয়ে। রবীন্দ্র সরোবরেই অল্প থেকে ১০-১৫ স্বেচ্ছাসেবক মিলে তারা শিশুদের বর্ণপরিচয় ও বাল্যশিক্ষা দিতে লাগলেন। যেখানেই ফাঁকা জায়গা পেয়েছেন, বসে পড়েছেন। খাতা, কলম, পেন্সিল—সবই তাদের। যেহেতু এই পথশিশুরা ছোটখাটো কোনো না কোনো কাজ করে অথবা ভিক্ষা করে, তাদের পড়ার ভুবনে ফেরানো খুব কঠিন। তবে খাবারের লোভ দেখালে তারা আসে। আস্তে আস্তে রং-পেন্সিল তারা ব্যবহার করতে শুরু করল। নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে বাবা-মাকে বলে টানা চারটি বছর তারা এই বিদ্যালয়টি চালিয়েছেন। বর্ণপরিচয়, গণিতের প্রাথমিক পাঠ, ছবি আঁকা ও সাধারণ জ্ঞান শেখাতে লাগলেন। একসময় নামটি দিতে হলো তাকে কাজের ব্যাপ্তি বেড়ে যাওয়ায়। নামটি দিলেন ‘মাস্তুল ফাউন্ডেশন’, যেটি তারুণ্যের প্রতীক, অন্ধকার যুগ থেকে তাদের আলোর যুগে আসার যাত্রা।
তবে দেখা গেল অভিজ্ঞতা এখানেও বড় ভয়ংকর, শিশুরা হারিয়ে যায় বিদ্যার ভুবন থেকে। যেহেতু তারা কোনো না কোনোভাবে গরিব বাবা-মায়ের আয়ের সহায়, ফলে ইনকাম না করে ফিরলে বাসায় মারে, স্কুলে যেতেও অনুৎসাহিত করে। ১০০ থেকে ২০০ টাকার আয় সে পরিবারের বড় সহায়। জীবনগুলো বদলাচ্ছে না দেখে, ঢাকার হাজারিবাগের ঝাউচরে চারটি রুম ভাড়া নিয়ে ফাউন্ডেশনের অধীনে বিদ্যালয় চালু করলেন রিয়াজ। শিশু ক্লাস থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উন্নীতকরণের বিদ্যা শিক্ষা শুরু করলেন তারা। মাসে ভাড়া ১২ হাজার টাকা, শিক্ষক তিন থেকে চারজন, মাসে একেকজনের বেতন পাঁচ হাজার টাকা। নিজেদের শিশুদের পড়িয়েই এই বিদ্যালয় পঞ্চম শ্রেণিতে এলো।
আর কাজী রিয়াজ রহমানের মাস্তুল ফাউন্ডেশন যাত্রা করলো—একটি শিশুকে আপনি এক হাজার টাকা দিয়ে স্পন্সর করতে পারেন এই বাস্তবতার। সেই ভালোবাসার জগতে এলাকার বড় ভাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, পরিচিত মামা-চাচা এগিয়ে এলেন শুরু থেকেই। আগে টাকা চাইতেন, এখন বলেন আমাকে আর হাতে, হাতে টাকা দেওয়ার দরকার নেই। একটি শিশুর শিক্ষার দায়িত্ব নিন। আমরা মাসে, মাসে এক হাজার টাকার বিনিময়ে ওই শিশুটির উন্নতির রিপোর্ট পাঠাব। আর বিদ্যালয় হওয়ায় আপনি যখন খুশি আসতে পারবেন। এখন তার স্কুল ২৫০ ছাত্র-ছাত্রী।
এর মধ্যে ১৫০ শিশু ছাত্র-ছাত্রী তাদের; বাকি ছাত্র-ছাত্রী রা স্বাভাবিক পরিবারের সন্তান। সুনাম শুনে ও দেখে এখানে পড়ালেখা করছে তারা। সবাই ভালো ফল করছে। বিদ্যালয় এখন অষ্টম শ্রেণিতে। নিজেদের শিশু দিয়েই তারা কলেজে উন্নীত হবেন। এছাড়া সুনামের সঙ্গে ২২টি বিদ্যালয়ে মাস্তুল ফাউন্ডেশন বছরওয়ারি খেলনা, দুপুরের খাবার, স্কুলের পোশাক, ব্যাগ ও খাতা কিনে দেয়। প্রকল্প বিদ্যালয়গুলো চালু আছে—ফেনী, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রংপুর, নোয়াখালী, ঠাকুরগাঁও ও গাইবান্ধার প্রত্যন্ত এলাকায়, প্রয়োজনীয় জায়গায়। এই বিদ্যালয়গুলোয় ১০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করে। ৫০ শিক্ষক আছেন। তারা মাস্তুল ফাউন্ডেশনের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল।
ঢাকার হাজারিবাগে বিদ্যালয়ের পাশে একটি শেল্টার হোম আছে কাজী রিয়াজ রহমানদের। নাম ‘মাস্তুল শেল্টার হোম ও এতিমখানা’। সেখানে পথশিশু, এতিম ও অনাথ ছেলেমেয়েরা থাকে। পুরো ছয়তলা ভবনটিই তাদের। উপজাতি শিশুও আছে। এখানে ১৫ আবাসিক শিক্ষক আছেন। যেসব মুসলিম শিশু আছে, তাদের জন্য আছে মাদরাসা। নাম ‘মাস্তুল ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসা’। তিন হাফেজ তাদের পবিত্র কোরআন শেখান। এমন অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা বিদ্যালয়ের পড়ায় তুখোড় আবার কোরআন শরিফ ১০ পারা মুখস্থ। ছেলেমেয়েদের আলাদা আলাদা জ্ঞানের বিকাশের জন্য কাজ করছেন তিনি। পুরো কার্যক্রমটি স্পন্সর এ চাইল্ড প্রজেক্টের মাধ্যমে পরিচালনা করছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন।
তাদের প্রয়োজনীয় পোশাক, জুতা-মোজা, ব্যাগ ইত্যাদি শিক্ষা উপকরণগুলো বিভিন্ন কোম্পানি কিনে দেয়। তাদের মধ্যে আছে ঢাকা ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইনান্স, টিকে গ্রুপ, মিনারাত ট্যুরস, রেডি বাংলাদেশ লিমিটেড, মাতৃছায়া কো-অপারেটিভ-সহ নাম না জানা অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। লেখাপড়ার মানও তাদের বিদ্যালয়ে খুব ভালো। তাদের বিদ্যালয়টি আছে হাজারিবাগ বারইখালিতে। নাম ‘মাস্তুল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’। রিয়াজ আমাদের পাঠকমেলার সদস্য।
‘সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানের চর্চায় তরুণরাই সমাজের আলোকবর্তিকা’ এই বিশ্বাসে আমার দেশ পাঠকমেলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো কার্যনির্বাহী সদস্যদের আলোচনা ও রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে এক মতবিনিময় সভা।
৫ দিন আগেঢাকার প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা। বিভিন্ন দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং বইপ্রেমী মানুষের আগমনে মুখর বইমেলা পরিদর্শনে যান আমার দেশ পাঠকমেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা।
১৩ দিন আগেবন্দর ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় পাঠচক্রে আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশে পাশ্চাত্য মূল্যবোধের প্রভাব’। এই পাঠচক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর তাদের সুচিন্তিত মন্তব্য তুলে ধরেন।
১৩ দিন আগেআন্তর্জাতিক ইসলামী বইমেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১৯ দিন আগে