ফাহিম হাসনাত
বাংলা নববর্ষ মানেই নতুন আশার আলো, নতুন করে পথচলার অঙ্গীকার। ১৪৩২ বঙ্গাব্দের এই বৈশাখে ঢাকা শহরের ব্যস্ততার ভেতর এক ব্যতিক্রমী বিকালের সাক্ষী হয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সে পাঠকমেলার আয়োজন ছিল শুধুই বইয়ের উৎসব নয়, ছিল এক মানবিক উদ্যোগ, যেখানে ছিন্নমূল শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিক্ষাসামগ্রী, ভালোবাসা ও স্বপ্ন।
এই আয়োজনে ছিল না কোনো জাঁকজমক, ছিল না প্রচারের আলাদা ঝলক; ছিল কেবল শিশুমনে স্বপ্ন জাগানোর এক প্রচেষ্টা। আয়োজকেরা সেদিন ছোট ছোট শিশুর হাতে তুলে দেন বই, খাতা, পেন্সিল ও রঙিন পেনসিলবক্স। কিন্তু এই সামান্য উপহারই শিশুদের চোখে হয়ে ওঠে অসীম আনন্দ আর এক নতুন জীবনের প্রতিশ্রুতি।
এক আয়োজক আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “একটি ছেলে বই হাতে নিয়ে বলল, ‘এখন আমিও স্কুলে যাব।’ এই একটি বাক্যই আমাদের সব শ্রমের প্রতিদান।” ওই মুহূর্তে আয়োজকদের চোখে পানি, মনে তৃপ্তি; কারণ তারা জানতেন, তারা শুধু উপহার দেননি, দিয়েছেন ভবিষ্যতের দিশা।
শিশুদের প্রতিক্রিয়া ছিল হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। তাহসিন নামের একটি শিশু বলে, ‘অনেক দিন পর নতুন খাতা হাতে পেয়েছি। নাম লেখার সময় মনে হচ্ছিল, আমি নতুন করে শুরু করছি।’ তার চোখে ছিল স্বপ্নের আলো, যেন হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়।
সাকিব জানায়, ‘অভাবের কারণে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আজ যখন খাতা হাতে পেলাম, মনে হলো, কেউ আমার হারানো পথটা আবার গড়ে দিল।’ তার কণ্ঠে ছিল এক নতুন জেদের সুর, নিজেকে গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার।
রোদেলা, এক শান্ত স্বভাবের মেয়ে, বলল, ‘বই-খাতার অভাবে কত রাত কেঁদেছি। আজ যখন পেলাম, মনে হলো স্বপ্নগুলো আবার রঙ পেয়েছে।’ তার কথায় ছিল গভীর কৃতজ্ঞতা আর প্রাণের উচ্ছ্বাস।
অন্যদিকে অটিস্টিক শিশু জামিলের প্রতিক্রিয়াও ছিল অনন্য। সে সাধারণত কথা কম বলে, কিন্তু সেদিন বই হাতে নিয়ে বলেছিল, ‘বইগুলো রঙতুলির মতো সুন্দর। কেউ আমার নিঃশব্দতাও বুঝেছে।’ তার চোখে ছিল এক অনির্বচনীয় অনুভূতি।
পাঠকমেলার এই আয়োজন প্রমাণ করে দিয়েছে, বই শুধু জ্ঞানের নয়, ভালোবাসারও বাহক হতে পারে। আয়োজকদের মতে, ‘আমরা আজ শুধু বই নয়, শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছি এক সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ।’ এই আয়োজন যেন এক নিঃশব্দ প্রতিজ্ঞা—সমাজ বদলানো যায় ভালোবাসা দিয়ে, মনোযোগ দিয়ে, আরেকজনের পাশে দাঁড়িয়ে।
পাঠকমেলার নানা উদ্যোগ বছরে একাধিকবার আয়োজন করা হলেও প্রতিটি আয়োজনে আলাদা বার্তা থাকে, থাকে সমাজকে স্পর্শ করার এক অনন্য চেষ্টার ছাপ। পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি এই মেলা গড়ে তোলে মানবিক মূল্যবোধ, সহানুভূতি ও আশার বীজ। পহেলা বৈশাখের সেই বিকাল তাই হয়ে উঠেছিল ভালোবাসা ও স্বপ্ন বোনার এক মহৎ মঞ্চ, যেখানে ভাঙা স্বপ্নগুলো নতুন করে গড়ে উঠতে শুরু করে।
বাংলা নববর্ষ মানেই নতুন আশার আলো, নতুন করে পথচলার অঙ্গীকার। ১৪৩২ বঙ্গাব্দের এই বৈশাখে ঢাকা শহরের ব্যস্ততার ভেতর এক ব্যতিক্রমী বিকালের সাক্ষী হয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সে পাঠকমেলার আয়োজন ছিল শুধুই বইয়ের উৎসব নয়, ছিল এক মানবিক উদ্যোগ, যেখানে ছিন্নমূল শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিক্ষাসামগ্রী, ভালোবাসা ও স্বপ্ন।
এই আয়োজনে ছিল না কোনো জাঁকজমক, ছিল না প্রচারের আলাদা ঝলক; ছিল কেবল শিশুমনে স্বপ্ন জাগানোর এক প্রচেষ্টা। আয়োজকেরা সেদিন ছোট ছোট শিশুর হাতে তুলে দেন বই, খাতা, পেন্সিল ও রঙিন পেনসিলবক্স। কিন্তু এই সামান্য উপহারই শিশুদের চোখে হয়ে ওঠে অসীম আনন্দ আর এক নতুন জীবনের প্রতিশ্রুতি।
এক আয়োজক আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “একটি ছেলে বই হাতে নিয়ে বলল, ‘এখন আমিও স্কুলে যাব।’ এই একটি বাক্যই আমাদের সব শ্রমের প্রতিদান।” ওই মুহূর্তে আয়োজকদের চোখে পানি, মনে তৃপ্তি; কারণ তারা জানতেন, তারা শুধু উপহার দেননি, দিয়েছেন ভবিষ্যতের দিশা।
শিশুদের প্রতিক্রিয়া ছিল হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। তাহসিন নামের একটি শিশু বলে, ‘অনেক দিন পর নতুন খাতা হাতে পেয়েছি। নাম লেখার সময় মনে হচ্ছিল, আমি নতুন করে শুরু করছি।’ তার চোখে ছিল স্বপ্নের আলো, যেন হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়।
সাকিব জানায়, ‘অভাবের কারণে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আজ যখন খাতা হাতে পেলাম, মনে হলো, কেউ আমার হারানো পথটা আবার গড়ে দিল।’ তার কণ্ঠে ছিল এক নতুন জেদের সুর, নিজেকে গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার।
রোদেলা, এক শান্ত স্বভাবের মেয়ে, বলল, ‘বই-খাতার অভাবে কত রাত কেঁদেছি। আজ যখন পেলাম, মনে হলো স্বপ্নগুলো আবার রঙ পেয়েছে।’ তার কথায় ছিল গভীর কৃতজ্ঞতা আর প্রাণের উচ্ছ্বাস।
অন্যদিকে অটিস্টিক শিশু জামিলের প্রতিক্রিয়াও ছিল অনন্য। সে সাধারণত কথা কম বলে, কিন্তু সেদিন বই হাতে নিয়ে বলেছিল, ‘বইগুলো রঙতুলির মতো সুন্দর। কেউ আমার নিঃশব্দতাও বুঝেছে।’ তার চোখে ছিল এক অনির্বচনীয় অনুভূতি।
পাঠকমেলার এই আয়োজন প্রমাণ করে দিয়েছে, বই শুধু জ্ঞানের নয়, ভালোবাসারও বাহক হতে পারে। আয়োজকদের মতে, ‘আমরা আজ শুধু বই নয়, শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছি এক সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ।’ এই আয়োজন যেন এক নিঃশব্দ প্রতিজ্ঞা—সমাজ বদলানো যায় ভালোবাসা দিয়ে, মনোযোগ দিয়ে, আরেকজনের পাশে দাঁড়িয়ে।
পাঠকমেলার নানা উদ্যোগ বছরে একাধিকবার আয়োজন করা হলেও প্রতিটি আয়োজনে আলাদা বার্তা থাকে, থাকে সমাজকে স্পর্শ করার এক অনন্য চেষ্টার ছাপ। পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি এই মেলা গড়ে তোলে মানবিক মূল্যবোধ, সহানুভূতি ও আশার বীজ। পহেলা বৈশাখের সেই বিকাল তাই হয়ে উঠেছিল ভালোবাসা ও স্বপ্ন বোনার এক মহৎ মঞ্চ, যেখানে ভাঙা স্বপ্নগুলো নতুন করে গড়ে উঠতে শুরু করে।
‘সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানের চর্চায় তরুণরাই সমাজের আলোকবর্তিকা’ এই বিশ্বাসে আমার দেশ পাঠকমেলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো কার্যনির্বাহী সদস্যদের আলোচনা ও রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে এক মতবিনিময় সভা।
৫ দিন আগেঢাকার প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা। বিভিন্ন দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং বইপ্রেমী মানুষের আগমনে মুখর বইমেলা পরিদর্শনে যান আমার দেশ পাঠকমেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা।
১২ দিন আগেবন্দর ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় পাঠচক্রে আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশে পাশ্চাত্য মূল্যবোধের প্রভাব’। এই পাঠচক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর তাদের সুচিন্তিত মন্তব্য তুলে ধরেন।
১২ দিন আগেআন্তর্জাতিক ইসলামী বইমেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১৯ দিন আগে