এসএম তাওহীদ
পাহাড়কে বলা হয় প্রকৃতির রানি। কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তো নদীর বিনিময়ে পাহাড় কিনতে চেয়েছেন। পাহাড় কি আর কেনা যায়! পাহাড়ের দেশ বান্দরবান। পুরোটা জুড়ে ছড়িয়ে আছে ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়। পাহাড়, ঝরনা ও নদী মিলে অপরূপ প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য সব মানুষকে প্রতিনিয়ত হাতছানি দেয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিরিঞ্জা ভ্যালির সৌন্দর্য দেখে অনেক দিন ধরেই ইচ্ছা হচ্ছিল বাস্তবে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করব। চারদিকে পাহাড়বেষ্টিত সমতল ভূমিকে বলে ভ্যালি। ভ্যালির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগে গিয়েছিলাম মিরিঞ্জা ভ্যালিতে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে বান্দরবানের লামা উপজেলায়। দর্শনীয় স্থানটি বান্দরবান শহর থেকে ৮৬ কিলোমিটার ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে।
ক্যাম্পাস থেকে বান্দরবানের উদ্দেশে এক সন্ধ্যায় হুট করেই বেরিয়ে গেলাম। ভ্রমণের মাঝপথে যুক্ত হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরিচিত বড় ভাই, চাকরি সূত্রে চকরিয়ায়। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের রাতের বাসে রওনা হলাম। গাড়িতে উঠে জাহাঙ্গীরনগরের এক ট্যুর গ্রুপের সঙ্গে দেখা। তাদের সঙ্গে গল্পে ও গানে আনন্দময় হয়ে উঠল যাত্রা। এর মাঝে হঠাৎ কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতে পারিনি। গাড়ি চকরিয়া অতিক্রম করছে, সুপারভাইজারের ডাকে ঘুম ভাঙল। বাইরে তাকিয়ে দেখি রাত শেষে ভোর হওয়ার উপক্রম হয়েছে। গাড়ির মানুষদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নামতেই ভ্রমণসঙ্গীর দেখা। ভাই বন বিভাগে চাকরি করেন। বন বিভাগের কোয়ার্টারে যাত্রা করলাম। একটু বিশ্রাম শেষে সকালের নাস্তা সেরে রওনা হলাম গন্তব্যে।
চকরিয়া বাজার থেকে মিরিঞ্জার পথে সাধারণত তিন ধরনের গাড়ি চলে। পর্যটকদের কাছে চান্দের গাড়ি সবচেয়ে প্রিয়। ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে রাস্তার দুপাশের পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। দলবেঁধে সবাই ঘুরতে আসে। তাই দুজনের জন্য গাড়ি পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। অবশেষে একটা জিপের ড্রাইভার আমাদের ছাদে যেতে অফার করলেন।
রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে কিছু না ভেবেই উঠে বসলাম ছাদে। তবে মহাসড়ক পেরিয়ে পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তায় যেতেই মনের অজান্তেই ভয় হলো। তবে ধীরে-ধীরে চোখের সামনে আসতে থাকল সবুজে ঘেরা পাহাড়। পাহাড়ের মায়াবী রূপে মুগ্ধ হয়ে মনের ভয় কখন যে মিলিয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। শুধু পাহাড় আর পাহাড়। গাছে ঘেরা উঁচু-নিচু পাহাড় দেখে মনে হলো সবুজের ঢেউ। প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য উপভোগ করতে-করতে পৌঁছে গেলাম মিরিঞ্জা বাজার। এখান থেকে মিরিঞ্জা ভ্যালি ১৫ মিনিটের পথ। পায়ে হেঁটে উঠতে হয় ভ্যালিতে।
মিরিঞ্জা পৌঁছালাম, সূর্য মামা অস্ত যেতে শুরু করেছে। সূর্যাস্তের লোভনীয় দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত সবাই। আমি অবশ্য ক্যামেরার দিকে না তাকিয়ে নিজের চোখ দিয়ে সেই স্বর্গীয় দৃশ্য উপভোগ করেছি। এখানে রাতে থাকার জন্য আছে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী জুমঘর। প্রকৃতির মাঝে বাঁশ, কাঠ ও লতা দিয়ে বানানো ঘরে রাত কাটানোর অনুভূতিই অন্যরকম। পূর্ণিমার চাঁদের আলো আমাদের পাহাড়ের রাতের অপরূপ সৌন্দর্য দেখার সুযোগ করে দিল। নির্জন পরিবেশে চারদিকে সবুজের মাঝে জোছনা রাত উপভোগ করার সুযোগ খুব কমই আসে। রাতে বারবিকিউ এবং গান ও আড্ডায় পার্টি শেষে একটু আগেই ঘুমিয়ে পড়লাম, যাতে সকালের রূপ দেখতে পারি। পাহাড় ও মেঘের মিতালি দেখা যায় সকালে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে তাকিয়ে মনে হলো, মেঘের ভেলায় ভাসছি। মেঘের সঙ্গে সূর্যোদয়ের দৃশ্য পৃথিবীর সব সুন্দর দৃশ্যকে হার মানাল। মেঘ-পাহাড় এখানে মিলে একাকার। সবুজ পাহাড়ের গা ছুঁয়ে যাচ্ছে সাদা মেঘ।
পাহাড়কে বলা হয় প্রকৃতির রানি। কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তো নদীর বিনিময়ে পাহাড় কিনতে চেয়েছেন। পাহাড় কি আর কেনা যায়! পাহাড়ের দেশ বান্দরবান। পুরোটা জুড়ে ছড়িয়ে আছে ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়। পাহাড়, ঝরনা ও নদী মিলে অপরূপ প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য সব মানুষকে প্রতিনিয়ত হাতছানি দেয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিরিঞ্জা ভ্যালির সৌন্দর্য দেখে অনেক দিন ধরেই ইচ্ছা হচ্ছিল বাস্তবে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করব। চারদিকে পাহাড়বেষ্টিত সমতল ভূমিকে বলে ভ্যালি। ভ্যালির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগে গিয়েছিলাম মিরিঞ্জা ভ্যালিতে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে বান্দরবানের লামা উপজেলায়। দর্শনীয় স্থানটি বান্দরবান শহর থেকে ৮৬ কিলোমিটার ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে।
ক্যাম্পাস থেকে বান্দরবানের উদ্দেশে এক সন্ধ্যায় হুট করেই বেরিয়ে গেলাম। ভ্রমণের মাঝপথে যুক্ত হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরিচিত বড় ভাই, চাকরি সূত্রে চকরিয়ায়। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের রাতের বাসে রওনা হলাম। গাড়িতে উঠে জাহাঙ্গীরনগরের এক ট্যুর গ্রুপের সঙ্গে দেখা। তাদের সঙ্গে গল্পে ও গানে আনন্দময় হয়ে উঠল যাত্রা। এর মাঝে হঠাৎ কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতে পারিনি। গাড়ি চকরিয়া অতিক্রম করছে, সুপারভাইজারের ডাকে ঘুম ভাঙল। বাইরে তাকিয়ে দেখি রাত শেষে ভোর হওয়ার উপক্রম হয়েছে। গাড়ির মানুষদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নামতেই ভ্রমণসঙ্গীর দেখা। ভাই বন বিভাগে চাকরি করেন। বন বিভাগের কোয়ার্টারে যাত্রা করলাম। একটু বিশ্রাম শেষে সকালের নাস্তা সেরে রওনা হলাম গন্তব্যে।
চকরিয়া বাজার থেকে মিরিঞ্জার পথে সাধারণত তিন ধরনের গাড়ি চলে। পর্যটকদের কাছে চান্দের গাড়ি সবচেয়ে প্রিয়। ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে রাস্তার দুপাশের পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। দলবেঁধে সবাই ঘুরতে আসে। তাই দুজনের জন্য গাড়ি পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। অবশেষে একটা জিপের ড্রাইভার আমাদের ছাদে যেতে অফার করলেন।
রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে কিছু না ভেবেই উঠে বসলাম ছাদে। তবে মহাসড়ক পেরিয়ে পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তায় যেতেই মনের অজান্তেই ভয় হলো। তবে ধীরে-ধীরে চোখের সামনে আসতে থাকল সবুজে ঘেরা পাহাড়। পাহাড়ের মায়াবী রূপে মুগ্ধ হয়ে মনের ভয় কখন যে মিলিয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। শুধু পাহাড় আর পাহাড়। গাছে ঘেরা উঁচু-নিচু পাহাড় দেখে মনে হলো সবুজের ঢেউ। প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য উপভোগ করতে-করতে পৌঁছে গেলাম মিরিঞ্জা বাজার। এখান থেকে মিরিঞ্জা ভ্যালি ১৫ মিনিটের পথ। পায়ে হেঁটে উঠতে হয় ভ্যালিতে।
মিরিঞ্জা পৌঁছালাম, সূর্য মামা অস্ত যেতে শুরু করেছে। সূর্যাস্তের লোভনীয় দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত সবাই। আমি অবশ্য ক্যামেরার দিকে না তাকিয়ে নিজের চোখ দিয়ে সেই স্বর্গীয় দৃশ্য উপভোগ করেছি। এখানে রাতে থাকার জন্য আছে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী জুমঘর। প্রকৃতির মাঝে বাঁশ, কাঠ ও লতা দিয়ে বানানো ঘরে রাত কাটানোর অনুভূতিই অন্যরকম। পূর্ণিমার চাঁদের আলো আমাদের পাহাড়ের রাতের অপরূপ সৌন্দর্য দেখার সুযোগ করে দিল। নির্জন পরিবেশে চারদিকে সবুজের মাঝে জোছনা রাত উপভোগ করার সুযোগ খুব কমই আসে। রাতে বারবিকিউ এবং গান ও আড্ডায় পার্টি শেষে একটু আগেই ঘুমিয়ে পড়লাম, যাতে সকালের রূপ দেখতে পারি। পাহাড় ও মেঘের মিতালি দেখা যায় সকালে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে তাকিয়ে মনে হলো, মেঘের ভেলায় ভাসছি। মেঘের সঙ্গে সূর্যোদয়ের দৃশ্য পৃথিবীর সব সুন্দর দৃশ্যকে হার মানাল। মেঘ-পাহাড় এখানে মিলে একাকার। সবুজ পাহাড়ের গা ছুঁয়ে যাচ্ছে সাদা মেঘ।
‘সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানের চর্চায় তরুণরাই সমাজের আলোকবর্তিকা’ এই বিশ্বাসে আমার দেশ পাঠকমেলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো কার্যনির্বাহী সদস্যদের আলোচনা ও রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে এক মতবিনিময় সভা।
৫ দিন আগেঢাকার প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা। বিভিন্ন দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং বইপ্রেমী মানুষের আগমনে মুখর বইমেলা পরিদর্শনে যান আমার দেশ পাঠকমেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা।
১২ দিন আগেবন্দর ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় পাঠচক্রে আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশে পাশ্চাত্য মূল্যবোধের প্রভাব’। এই পাঠচক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর তাদের সুচিন্তিত মন্তব্য তুলে ধরেন।
১২ দিন আগেআন্তর্জাতিক ইসলামী বইমেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১৯ দিন আগে