কমিটি বৈঠকে আট দলের নেতারা

দাবি না মানলে মঙ্গলবার জনসভা থেকে কঠোর কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪১
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৪

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে আগামী ১১ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী সহ আন্দোলনরত আট দল। এ সময়ের মধ্যে জনগণের এই দাবি না মানা হলে জনসভা থেখে কঠোরতম কর্মসূচি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতারা।

শনিবার দুপুরে জাগপা ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে আন্দোলনরত ৮ দলের লিয়াজো কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এসময় মঙ্গলবার সমাবেশকে সফল করার আহবান জানান নেতারা।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে নেতারা বলেন, আমরা আলোচনায় বসার জন্য বিএনপিসহ সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি কিন্তু বিএনপি আমাদের আহ্বানে আলোচনায় বসতে রাজি নয়। তাহলে বিএনপি আহ্বান জানাক, দেশ জাতি জনগণের স্বার্থে আমরা আলোচনায় অংশ নিবো।

কিন্তু কালক্ষেপণ করে গণভোটকে জাতীয় নির্বাচনের দিন নেওয়ার চেষ্টা করে কোন লাভ হবে না। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে। জনগণের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আগামী ১১ তারিখ আমাদের জনসভা থেকে কঠোরতম কর্মসূচি ঘোষণা করে হবে।

জাগপা সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধানের সভাপতিত্বে ৮ দলের লিয়াজো কমিটির বৈঠকে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ন মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন ও যুগ্ন মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইজহার চৌধুরী ও সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুল মাজেদ আতাহারী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদেক হাক্কানি ও নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবু নাসের নূর নবী জনি ও অর্থ সম্পাদক রিয়াজ হোসাইন।

আন্দোলনরত দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো– জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজন; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে/উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করণ; বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

গাজায় মৃত ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে, ধ্বংসস্তূপে এখনো লাশ

১৫ দিনে আফগানিস্তানে ফিরেছে দেড় লাখ শরণার্থী, নেপথ্যে কী

হিন্দুস্তান টাইমসকে হাসিনা: অভ্যুত্থানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের ভু'ল ছিল

গণহত্যা ঢাকতে চ্যাটজিপিটি-গির্জা, কোটি ডলারের খেলা

তরুণরা সজাগ থাকলে আর কোনো শাসক ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারবে না

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত