প্রোপাগান্ডার নতুন অধ্যায়ে ইসরাইল

আমার দেশ অনলাইন

গাজা গণহত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রে নষ্ট হওয়া ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বহুমুখী প্রচারণা অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। এতে ব্যয় হচ্ছে কয়েক কোটি ডলার। প্রচারণার অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সোশ্যাল মিডিয়া, প্রভাবশালী এবং রাজনৈতিক উপদেষ্টাদের প্রভাব।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য নিউ আরব এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের পররাষ্ট্র ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে একাধিক মার্কিন বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে দেশটির ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটনে বিদেশি এজেন্টদের নিবন্ধন কার্যক্রমে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে বিজ্ঞাপন জায়ান্ট হাভাস। ইসরাইল এরই মধ্যে হাভাস মিডিয়া জার্মানির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন সম্পন্ন করেছে। এছাড়া প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক প্রচারণা কৌশলবিদ ব্র্যাড পার্সকেল পরিচালিত ক্লক টাওয়ার এক্স-এর সঙ্গে ৬ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিও করেছে তেলআবিব।

চার মাসের এই চুক্তির আওতায় ইহুদি-বিদ্বেষ মোকাবেলা ও ইসরাইলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে হাজার হাজার অনলাইন উপকরণ তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রচারণায় “অনুসন্ধান ও ভাষা অভিযান” নামে একটি উপধারা রয়েছে, যার লক্ষ্য—অনলাইন সার্চ ফলাফল ও ChatGPT, Claude–এর মতো জেনারেটিভ AI সিস্টেমগুলোর আউটপুট প্রভাবিত করা। ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ একে বর্ণনা করেছে, চ্যাটবটের আউটপুট পরিবর্তনে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের প্রথম প্রচেষ্টা।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর রক্ষণশীল গির্জা ও খ্রিস্টান কলেজগুলিকে লক্ষ্য করে ৩ মিলিয়ন ডলারের প্রচারণা চালাচ্ছে ইসরাইল। এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে রিপাবলিকান উপদেষ্টা চ্যাড স্নিটগার পরিচালিত শো ফেইথ বাই ওয়ার্কস।
‘মার্কিন ইতিহাসের বৃহত্তম জিওফেন্সিং প্রচারণা’ হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে এই পরিকল্পনাকে। এই পরিকল্পনায় উপাসনার সময় ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাদা এবং কলোরাডোতে গির্জার পরিধি ম্যাপ করে, অংশগ্রহণকারীদের সনাক্ত করা হবে। পরবর্তীতে ইসরাইলপন্থি বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য পরিণত করা হবে এই অংশগ্রহণকারীদের। এখানে এমন সব বার্তা দেওয়া হবে যা বাইবেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেখানে ফিলিস্তিনিদের সহযোগী হামাসকে চিত্রায়ন করা হবে খ্রিস্টধর্মের শত্রু হিসাবে। এই প্রচারণার লক্ষ্য প্রায় ৮ মিলিয়ন রক্ষণশীল খ্রিস্টান ও ৪ মিলিয়ন কলেজ শিক্ষার্থীকে প্রভাবিত করা।
এ সময়, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইসরাইলবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। পিউ রিসার্চ ও তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রিপাবলিকান তরুণদের প্রায় অর্ধেকই এখন ইসরাইলকে নেতিবাচকভাবে দেখে।
ইসরাইল সরকার আরও ২.৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান SKDKnickerbocker-এর সঙ্গে, যার লক্ষ্য টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন ও ইউটিউবে ‘বট-ভিত্তিক প্রোগ্রাম’ তৈরি করে প্রভাব বিস্তার করা।
এছাড়া, ১ মিলিয়ন ডলারের ‘প্রজেক্ট এস্থার’ পরিচালনা করছে ওয়াশিংটনের ব্রিজেস পার্টনার্স। এই প্রকল্পে ইসরাইলপন্থি সোশ্যাল-মিডিয়া প্রভাবশালীদের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হবে। সম্ভাব্য সেলিব্রেটিদের তালিকায় রয়েছে হলিউড অভিনেতা ক্রিস প্র্যাট, জন ভয়েট, খেলোয়াড় টিম টেবো ও এনবিএ তারকা স্টিফেন কারি।

আরও একটি নাটকীয় উদ্যোগ ‘দ্য অক্টোবর ৭ এক্সপেরিয়েন্স’—একটি চলমান ভার্চুয়াল প্রদর্শনী, যেখানে হলিউড সেট নির্মাতাদের সহায়তায় তৈরি করা হচ্ছে হামাসের ৭ অক্টোবরের আক্রমণ ও নোভা উৎসবের গণহত্যার ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা। এই প্রদর্শনী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে প্রদর্শিত হবে, যেখানে শোক, দৃশ্য ও রাজনৈতিক বার্তা একত্রে উপস্থাপন করা হবে।
সমালোচকদের মতে, ইসরাইলের এই নতুন প্রচারণা রাষ্ট্রীয় প্রোপাগান্ডার এক আধুনিক রূপ—যেখানে আবেগ, অ্যালগরিদম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একসঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে জনমত প্রভাবিত করতে।
ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎজ-এর প্রকাশিত নথি অনুযায়ী, এখন ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ ইসরাইলের প্রচারণা কাঠামোর অন্যতম মূল অস্ত্র—যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভয়েসেস ফর ইসরাইল’।

গাজা গণহত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রে নষ্ট হওয়া ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বহুমুখী প্রচারণা অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। এতে ব্যয় হচ্ছে কয়েক কোটি ডলার। প্রচারণার অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সোশ্যাল মিডিয়া, প্রভাবশালী এবং রাজনৈতিক উপদেষ্টাদের প্রভাব।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য নিউ আরব এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের পররাষ্ট্র ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে একাধিক মার্কিন বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে দেশটির ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটনে বিদেশি এজেন্টদের নিবন্ধন কার্যক্রমে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে বিজ্ঞাপন জায়ান্ট হাভাস। ইসরাইল এরই মধ্যে হাভাস মিডিয়া জার্মানির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন সম্পন্ন করেছে। এছাড়া প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক প্রচারণা কৌশলবিদ ব্র্যাড পার্সকেল পরিচালিত ক্লক টাওয়ার এক্স-এর সঙ্গে ৬ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিও করেছে তেলআবিব।

চার মাসের এই চুক্তির আওতায় ইহুদি-বিদ্বেষ মোকাবেলা ও ইসরাইলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে হাজার হাজার অনলাইন উপকরণ তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রচারণায় “অনুসন্ধান ও ভাষা অভিযান” নামে একটি উপধারা রয়েছে, যার লক্ষ্য—অনলাইন সার্চ ফলাফল ও ChatGPT, Claude–এর মতো জেনারেটিভ AI সিস্টেমগুলোর আউটপুট প্রভাবিত করা। ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ একে বর্ণনা করেছে, চ্যাটবটের আউটপুট পরিবর্তনে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের প্রথম প্রচেষ্টা।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর রক্ষণশীল গির্জা ও খ্রিস্টান কলেজগুলিকে লক্ষ্য করে ৩ মিলিয়ন ডলারের প্রচারণা চালাচ্ছে ইসরাইল। এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে রিপাবলিকান উপদেষ্টা চ্যাড স্নিটগার পরিচালিত শো ফেইথ বাই ওয়ার্কস।
‘মার্কিন ইতিহাসের বৃহত্তম জিওফেন্সিং প্রচারণা’ হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে এই পরিকল্পনাকে। এই পরিকল্পনায় উপাসনার সময় ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাদা এবং কলোরাডোতে গির্জার পরিধি ম্যাপ করে, অংশগ্রহণকারীদের সনাক্ত করা হবে। পরবর্তীতে ইসরাইলপন্থি বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য পরিণত করা হবে এই অংশগ্রহণকারীদের। এখানে এমন সব বার্তা দেওয়া হবে যা বাইবেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেখানে ফিলিস্তিনিদের সহযোগী হামাসকে চিত্রায়ন করা হবে খ্রিস্টধর্মের শত্রু হিসাবে। এই প্রচারণার লক্ষ্য প্রায় ৮ মিলিয়ন রক্ষণশীল খ্রিস্টান ও ৪ মিলিয়ন কলেজ শিক্ষার্থীকে প্রভাবিত করা।
এ সময়, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইসরাইলবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। পিউ রিসার্চ ও তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রিপাবলিকান তরুণদের প্রায় অর্ধেকই এখন ইসরাইলকে নেতিবাচকভাবে দেখে।
ইসরাইল সরকার আরও ২.৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান SKDKnickerbocker-এর সঙ্গে, যার লক্ষ্য টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন ও ইউটিউবে ‘বট-ভিত্তিক প্রোগ্রাম’ তৈরি করে প্রভাব বিস্তার করা।
এছাড়া, ১ মিলিয়ন ডলারের ‘প্রজেক্ট এস্থার’ পরিচালনা করছে ওয়াশিংটনের ব্রিজেস পার্টনার্স। এই প্রকল্পে ইসরাইলপন্থি সোশ্যাল-মিডিয়া প্রভাবশালীদের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হবে। সম্ভাব্য সেলিব্রেটিদের তালিকায় রয়েছে হলিউড অভিনেতা ক্রিস প্র্যাট, জন ভয়েট, খেলোয়াড় টিম টেবো ও এনবিএ তারকা স্টিফেন কারি।

আরও একটি নাটকীয় উদ্যোগ ‘দ্য অক্টোবর ৭ এক্সপেরিয়েন্স’—একটি চলমান ভার্চুয়াল প্রদর্শনী, যেখানে হলিউড সেট নির্মাতাদের সহায়তায় তৈরি করা হচ্ছে হামাসের ৭ অক্টোবরের আক্রমণ ও নোভা উৎসবের গণহত্যার ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা। এই প্রদর্শনী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে প্রদর্শিত হবে, যেখানে শোক, দৃশ্য ও রাজনৈতিক বার্তা একত্রে উপস্থাপন করা হবে।
সমালোচকদের মতে, ইসরাইলের এই নতুন প্রচারণা রাষ্ট্রীয় প্রোপাগান্ডার এক আধুনিক রূপ—যেখানে আবেগ, অ্যালগরিদম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একসঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে জনমত প্রভাবিত করতে।
ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎজ-এর প্রকাশিত নথি অনুযায়ী, এখন ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ ইসরাইলের প্রচারণা কাঠামোর অন্যতম মূল অস্ত্র—যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভয়েসেস ফর ইসরাইল’।

হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রায় এক মাস পরও গাজা উপত্যকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলছে। নতুন করে আরও মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় নিহতের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তানের শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুলমুতালিব হাক্কানি জানিয়েছেন, গত ১৫ দিনে পাকিস্তান থেকে ২৪ হাজার ৭৮৭টি পরিবার, ইরান থেকে ১ হাজার ২৫১টি পরিবার এবং তুরস্ক থেকে ৬টি পরিবার ফিরে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র হিসেবে জোহরান মামদানি নির্বাচিত হওয়ায় ইসরাইলের রাজনৈতিক ও বিশ্লেষক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইসরাইলি কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থানের জন্য পরিচিত মামদানির জয় ইসরাইল–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শনিবার দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং ইসরাইলকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে