আমার দেশ অনলাইন
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এই ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
শহীদ আবরার ফাহাদের সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টটি এখন পর্যন্ত ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। সেই পোস্টকে স্মরণ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন।
আবরারকে নিয়ে সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
“বুয়েটে নিহত আবরার ফাহাদের সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টটা এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৭ হাজার লাইক এবং ৭৩ হাজার বার শেয়ার হয়েছে। এটা দেখে সূরাহ বুরুজের সেই বালক আর রাজার কথা মনে পড়ল। এক রাজা ছিল যে নিজেকে আল্লাহ দাবি করত। কেউ তার বিরোধিতা করলেই তাকে মেরে ফেলা হতো। এরমধ্যে এক বালক রাজাকে আল্লাহ মানতে অস্বীকার করল। রাজা নির্দেশ দিল বালককে হত্যা করার। কিন্তু এক অলৌকিক কারণে বালককে হত্যা করা যাচ্ছিল না। তাকে পাহাড় থেকে ফেলে, পানিতে ডুবিয়ে নানাভাবে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু রাজার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রতিবারই ব্যর্থ। এরপর বালক রাজাকে একটা অদ্ভুত প্রস্তাব দিল। বালক বলল, আমি জানি আমাকে কীভাবে মারলে তুমি হত্যা করতে পারবে। যদি তুমি তীর নিয়ে সেটা বিসমিল্লাহ বলে ছুড়ো, তবে সেই তীরের আঘাতে আমার মৃত্যু হবে। তবে সেটা করতে হবে জনগণের সামনে। বালক জানত এতে সে মারা যাবে, কিন্তু এর মাধ্যমে তার লক্ষ্য ছিল রাজার নিজেকে আল্লাহ দাবি করার এই অহমকে মিথ্যা প্রমাণিত করা। লোক জড়ো হলো, রাজা বিসমিল্লাহ বলে তীর ছুড়ল, বালক মারা গেল। রাজা ভাবল, যাক আপদ দূর হলো।
কিন্তু এরপরেই ঘটল আসল ঘটনা।
নিজেকে আল্লাহ দাবি করা রাজা বালককে হত্যা করতে পারল না, তাকে বিসমিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর নামে তীর ছুড়তে হলো। এক আল্লাহর ইবাদাতে বিশ্বাসী বালকের মৃত্যুতে সেখানে উপস্থিত সমস্ত প্রজাদের মনে এটা গেঁথে গেল যে বালক সত্যের উপর ছিল, তাই উল্টো সবাই ঈমান এনে ফেলল। সবাই রাজাকে আল্লাহ মানতে অস্বীকার করে বসল। রাজার সেটাও সহ্য হলো না। বিশাল গর্ত খুড়ে সেখানে আগুন জ্বালানো হলো। বলা হলো যারা যারা ঈমান এনেছ তারা ঝাঁপ দাও! কী আশ্চর্য! হঠাৎ পাওয়া এই ঈমান তাদের কাছে এতটাই মূল্যবান হয়ে গেল যে, এর বিনিময়ে সবাই সেই আগুনে ঝাঁপ দিতেও পিছপা হলো না। এক মা তার দুধের বাচ্চা কোলে নিয়ে ঝাঁপ দিতে ইতস্তত করছিল, সেদিন সেই কোলের বাচ্চাও কথা বলে উঠেছিল। বলেছিল, মা আপনি এগিয়ে যান, আপনি হক্বের পথেই আছেন। কুরআনের সূরাহ বুরুজে আল্লাহ সেসব বান্দাদের কথা উল্লেখ করেছেন যারা সেদিন ঈমানের বিনিময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে অগ্নিকুণ্ডে ঝাঁপ দিয়েছিল। আল্লাহ এই ঘটনাকে বলেছেন—
"জালিকাল ফাউযুল কাবির—আর এটাই মহাসাফল্য।" (সূরাহ বুরুজ, ৮৫: ১১)
আল্লাহ যেন আবরারকে জান্নাতে সূরাহ বুরুজের সেই বালকের প্রতিবেশী করেন।
আবরার ফাহাদ আর দশজনের মতোই নিতান্ত একটা সাধারণ ছেলে ছিল মাত্র। কিন্তু সে আজ এক আলোকবর্তিকা। তার মৃত্যু তাকে সূরাহ বুরুজের সেই বালকের মতো অমর করে দিয়েছে।
তাই মৃত্যু মানেই শেষ নয়, জালিমের হাতে নিহত হওয়া মানেই ব্যর্থতা নয়। মাঝে মাঝে একটা মৃত্যুই একটা জাতিকে জাগিয়ে দিতে পারে। ইখলাসের সাথে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছোট একটা কাজও অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
আকাশের ওপারে একটা অনিন্দ্য সুন্দর বাড়ি। রাসূল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, এই বাড়িটি কার? সঙ্গি ফেরেশতা জবাব দিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই বাড়িটি সেই ব্যক্তির যে আল্লাহর পথে লড়াই করে নিহত হয়েছে। আমরা খুব করে চাই, আমাদের রব যেন আবরারকেও এরকম একটা বাড়ির মালিকানা দান করেন। লাল নীল হীরার বাড়ি…”
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এই ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
শহীদ আবরার ফাহাদের সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টটি এখন পর্যন্ত ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। সেই পোস্টকে স্মরণ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন।
আবরারকে নিয়ে সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
“বুয়েটে নিহত আবরার ফাহাদের সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টটা এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৭ হাজার লাইক এবং ৭৩ হাজার বার শেয়ার হয়েছে। এটা দেখে সূরাহ বুরুজের সেই বালক আর রাজার কথা মনে পড়ল। এক রাজা ছিল যে নিজেকে আল্লাহ দাবি করত। কেউ তার বিরোধিতা করলেই তাকে মেরে ফেলা হতো। এরমধ্যে এক বালক রাজাকে আল্লাহ মানতে অস্বীকার করল। রাজা নির্দেশ দিল বালককে হত্যা করার। কিন্তু এক অলৌকিক কারণে বালককে হত্যা করা যাচ্ছিল না। তাকে পাহাড় থেকে ফেলে, পানিতে ডুবিয়ে নানাভাবে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু রাজার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রতিবারই ব্যর্থ। এরপর বালক রাজাকে একটা অদ্ভুত প্রস্তাব দিল। বালক বলল, আমি জানি আমাকে কীভাবে মারলে তুমি হত্যা করতে পারবে। যদি তুমি তীর নিয়ে সেটা বিসমিল্লাহ বলে ছুড়ো, তবে সেই তীরের আঘাতে আমার মৃত্যু হবে। তবে সেটা করতে হবে জনগণের সামনে। বালক জানত এতে সে মারা যাবে, কিন্তু এর মাধ্যমে তার লক্ষ্য ছিল রাজার নিজেকে আল্লাহ দাবি করার এই অহমকে মিথ্যা প্রমাণিত করা। লোক জড়ো হলো, রাজা বিসমিল্লাহ বলে তীর ছুড়ল, বালক মারা গেল। রাজা ভাবল, যাক আপদ দূর হলো।
কিন্তু এরপরেই ঘটল আসল ঘটনা।
নিজেকে আল্লাহ দাবি করা রাজা বালককে হত্যা করতে পারল না, তাকে বিসমিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর নামে তীর ছুড়তে হলো। এক আল্লাহর ইবাদাতে বিশ্বাসী বালকের মৃত্যুতে সেখানে উপস্থিত সমস্ত প্রজাদের মনে এটা গেঁথে গেল যে বালক সত্যের উপর ছিল, তাই উল্টো সবাই ঈমান এনে ফেলল। সবাই রাজাকে আল্লাহ মানতে অস্বীকার করে বসল। রাজার সেটাও সহ্য হলো না। বিশাল গর্ত খুড়ে সেখানে আগুন জ্বালানো হলো। বলা হলো যারা যারা ঈমান এনেছ তারা ঝাঁপ দাও! কী আশ্চর্য! হঠাৎ পাওয়া এই ঈমান তাদের কাছে এতটাই মূল্যবান হয়ে গেল যে, এর বিনিময়ে সবাই সেই আগুনে ঝাঁপ দিতেও পিছপা হলো না। এক মা তার দুধের বাচ্চা কোলে নিয়ে ঝাঁপ দিতে ইতস্তত করছিল, সেদিন সেই কোলের বাচ্চাও কথা বলে উঠেছিল। বলেছিল, মা আপনি এগিয়ে যান, আপনি হক্বের পথেই আছেন। কুরআনের সূরাহ বুরুজে আল্লাহ সেসব বান্দাদের কথা উল্লেখ করেছেন যারা সেদিন ঈমানের বিনিময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে অগ্নিকুণ্ডে ঝাঁপ দিয়েছিল। আল্লাহ এই ঘটনাকে বলেছেন—
"জালিকাল ফাউযুল কাবির—আর এটাই মহাসাফল্য।" (সূরাহ বুরুজ, ৮৫: ১১)
আল্লাহ যেন আবরারকে জান্নাতে সূরাহ বুরুজের সেই বালকের প্রতিবেশী করেন।
আবরার ফাহাদ আর দশজনের মতোই নিতান্ত একটা সাধারণ ছেলে ছিল মাত্র। কিন্তু সে আজ এক আলোকবর্তিকা। তার মৃত্যু তাকে সূরাহ বুরুজের সেই বালকের মতো অমর করে দিয়েছে।
তাই মৃত্যু মানেই শেষ নয়, জালিমের হাতে নিহত হওয়া মানেই ব্যর্থতা নয়। মাঝে মাঝে একটা মৃত্যুই একটা জাতিকে জাগিয়ে দিতে পারে। ইখলাসের সাথে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছোট একটা কাজও অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
আকাশের ওপারে একটা অনিন্দ্য সুন্দর বাড়ি। রাসূল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, এই বাড়িটি কার? সঙ্গি ফেরেশতা জবাব দিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই বাড়িটি সেই ব্যক্তির যে আল্লাহর পথে লড়াই করে নিহত হয়েছে। আমরা খুব করে চাই, আমাদের রব যেন আবরারকেও এরকম একটা বাড়ির মালিকানা দান করেন। লাল নীল হীরার বাড়ি…”
ইসলামী আন্দোলন নেতাদের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সফররত ইন্টারন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধি দল। বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩৩ মিনিট আগেজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জুলাই সনদের মধ্যে যেগুলো নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সেগুলো আগে পাস করে পরে নির্বাচন দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি রূপ দিতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেবৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে বলে জানান এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া, মাঠ পর্যায়ের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগে