যৌথ বাহিনীর অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১: ১৯

সারাদেশে চলমান যৌথ বাহিনীর অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক। এই সময় চলমান অভিযানে সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

রবিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও পলিটেকনিক মাঠে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি সময়ে সারাদেশে ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলা ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আমিনুল হক অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সরকার গঠনের ৬ মাস পরে এই ধরনের ভাঙচুর কেনো? আমরা তো একটি সভ্য জাতি। এর দায়ভার কে নিবে! এই দায়ভার আপনাদেরকেই (অন্তর্বর্তী সরকার) নিতে হবে। কারণ এই ধরনের বিশৃঙ্খলা আমরা জাতি হিসেবে কখনোই প্রত্যাশা করি না।

এসব বিশৃঙ্খলা দূর করতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে তিনি বলেন,আপনারা সংস্কার করুন,তবে যৌক্তিক সময়ের ভিতরে করুন। বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচনটি যত দ্রুত দেয়া হবে তা সবার জন্যই মঙ্গল।

অন্তবর্তীকালীন সরকার গত ৬ মাসে কি করল মন্তব্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন,বর্তমানে প্রশাসনে কোন স্থিতিশীলতা আসেনি।আজকে দেশের দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিচার বিভাগেও গতিশীলতা ফিরে আসেনি। তাহলে এই অন্তর্বর্তী সরকার গত ৬ মাস ধরে তারা কি করল!

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার যে রূপরেখা দিয়েছেন,সেই রূপরেখা পরিপূর্ণ ভাবে বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব,যখন একটি নির্বাচিত সরকার এদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করবে। সেই নির্বাচিত সরকার ৩১ দফার রূপরেখা পরিপূর্ণ ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

অন্তর্বর্তী সরকার বারবার বলছেন সংস্কার করার পর নির্বাচন দিচ্ছি মন্তব্য করে তিনি বলেন,সংস্কার তো একটি চলমান প্রক্রিয়া। যুগের পর যুগ চলতে থাকবে। তার মানে কি যুগের পর যুগ নির্বাচন হবে না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হতে হবে। গত ১৫ বছর ধরে এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। বাংলাদেশের মানুষের নাগরিক অধিকার তারা ভোট দিতে চায়। ভোটের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চায়।

শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপি আহ্বায়ক আইনুল ইসলাম চঞ্চল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার,মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামান, যুগ্মআহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন,এস এম জাহাঙ্গির হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি,এবিএমএ রাজ্জাক,গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ,আকতার হোসেন,আতাউর রহমান,এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, তহিরুল ইসলাম তুহীন,হাজী মোঃ ইউসুফ,মোঃ শাহআলম,মহানগর সদস্য এল রহমান,মোজাম্মেল হোসেন সেলিম, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু,শামীম পারভেজ, মনিরুল আলম রাহিমী,এম এস আহমাদ আলী,ইব্রাহিম খলিল,জাহেদ পারভেজ চৌধুরী,তাসলিমা রিতা,স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শেখ ফরিদ হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী,শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম রাজা,মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব এ্যাড রুনা লায়লা,তাতীদল সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান,ছাত্রদল মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান লিপকন,আজিজুর রহমান মুছাব্বির এছাড়াও তেজগাঁও থানা বিএনপি আহ্বায়ক ইন্জি: মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু,ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শফিকুর রহমান রতন,খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্মআহবায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান,সিএম আনোয়ার হোসেন, তেজগাও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল আলম মন্টু, দক্ষিণখান থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দীন,উত্তরপূর্ব থানা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড এফ ইসলাম চন্দন,যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান,তুরাগ থানাবিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলী, মোঃপুর থানা বিএনপি যুগ্মআহবায়ক মীর কামাল হোসেন,মোঃপুর থানা বিএনপি সিনিয়র সদস্য ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ,শিল্পাঞ্চল থানার সাবেক যুবদলনেতা আলাউদ্দিন টুটুল প্রমুখ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত