
ধর্ম ডেস্ক

বিখ্যাত সাহাবি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.) সম্পর্কে একটি ঘটনা প্রচলিত আছে তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর মাথার চুলের কিছু অংশ নিজের পাগড়িতে সংরক্ষণ করেছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে একবার পাগড়িটি হারিয়ে ফেললে তিনি সেটি খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
পরবর্তীতে যখন কেউ তাকে এ নিয়ে ভর্ৎসনা করে, তখন তিনি জানান, এটি কোনো সাধারণ পাগড়ি নয়, এতে নবীজি (সা.)-এর বরকতময় চুল আছে।
ঘটনাটির সূত্র ও বর্ণনা
ইমাম ইবন কাসির তার বিখ্যাত গ্রন্থ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়াতে এই ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
ইয়ারমুকের যুদ্ধে খালিদ ইবনে ওয়ালিদের পাগড়ি পড়ে গেলে তিনি সৈন্যদের সেটি খুঁজে আনতে অনুরোধ করেন। পরে কেউ তাকে এ কাজের ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এ পাগড়ির ভেতর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাথার সামনের দিকের কিছু চুল আছে। প্রতিবার যখন আমি এটি সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধ করেছি, আল্লাহ আমাকে বিজয় দান করেছেন।’
তবে ইবন কাসির এই ঘটনা উল্লেখ করলেও সনদ (সূত্র) উল্লেখ করেননি। একমাত্র যিনি এ গল্পটি বর্ণনা করেছেন তিনি হলেন মুহাম্মাদ ইবন উমর আল-ওয়াকিদি, যিনি হাদিসবিদদের দৃষ্টিতে অত্যন্ত দুর্বল বর্ণনাকারী হিসেবে পরিচিত। ইমাম আহমদসহ অনেকে তাকে অবিশ্বস্ত বর্ণনাকারীও বলেছেন। ওয়াকিদি তার গ্রন্থ ফুতূহুশ শামে এই ঘটনা বর্ণনা করেছেন।
ওয়াকিদির বর্ণনা অনুযায়ী
খালিদ ইবনে ওয়ালিদের পাগড়ি যুদ্ধের সময় পড়ে যায়। তিনি তখন চিৎকার করে বলেন, ‘আমার পাগড়ি! আমার পাগড়ি!’ তার এক আত্মীয় তা উদ্ধার করে এনে দেন। পরে তিনি বলেন, ‘বিদায় হজের সময় নবীজি যখন মাথা মুড়াচ্ছিলেন, আমি তার কিছু চুল নিই। নবীজি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওগুলো নিয়ে কী করবে, খালিদ?’ আমি বলি, ‘এর বরকত সঙ্গে নিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ব।’ তখন তিনি বলেন, ‘যতদিন এগুলো তোমার সঙ্গে থাকবে, তুমি বিজয়ী হবে।’ তাই আমি ওগুলো পাগড়ির সামনের দিকে রেখে দিয়েছি।’
হাদিস নাকি আছার?
বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এই ঘটনাটি কোনো হাদিস নয় বরং আছার—অর্থাৎ সাহাবি বা তাবেঈদের উক্তি বা কাজ সম্পর্কিত বর্ণনা। হাদিস শুধু মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর উক্তি, কাজ বা অনুমোদনের সঙ্গে সম্পর্কি, কিন্তু আছারের মধ্যে সাহাবিদের কর্মকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত করে।
নবীজির নিদর্শন থেকে বরকত নেওয়ার অনুমতি
সাহাবিদের জন্য নবীজির দেহাবশেষ ও ব্যবহার্য জিনিস থেকে বরকত নেওয়া বৈধ ছিল। তবে নবীজি ছাড়া অন্য কোনো ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির দেহাবশেষ বা নিদর্শন থেকে বরকত নেওয়ার অনুমতি দেয় না ইসলাম।

বিখ্যাত সাহাবি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.) সম্পর্কে একটি ঘটনা প্রচলিত আছে তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর মাথার চুলের কিছু অংশ নিজের পাগড়িতে সংরক্ষণ করেছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে একবার পাগড়িটি হারিয়ে ফেললে তিনি সেটি খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
পরবর্তীতে যখন কেউ তাকে এ নিয়ে ভর্ৎসনা করে, তখন তিনি জানান, এটি কোনো সাধারণ পাগড়ি নয়, এতে নবীজি (সা.)-এর বরকতময় চুল আছে।
ঘটনাটির সূত্র ও বর্ণনা
ইমাম ইবন কাসির তার বিখ্যাত গ্রন্থ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়াতে এই ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
ইয়ারমুকের যুদ্ধে খালিদ ইবনে ওয়ালিদের পাগড়ি পড়ে গেলে তিনি সৈন্যদের সেটি খুঁজে আনতে অনুরোধ করেন। পরে কেউ তাকে এ কাজের ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এ পাগড়ির ভেতর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাথার সামনের দিকের কিছু চুল আছে। প্রতিবার যখন আমি এটি সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধ করেছি, আল্লাহ আমাকে বিজয় দান করেছেন।’
তবে ইবন কাসির এই ঘটনা উল্লেখ করলেও সনদ (সূত্র) উল্লেখ করেননি। একমাত্র যিনি এ গল্পটি বর্ণনা করেছেন তিনি হলেন মুহাম্মাদ ইবন উমর আল-ওয়াকিদি, যিনি হাদিসবিদদের দৃষ্টিতে অত্যন্ত দুর্বল বর্ণনাকারী হিসেবে পরিচিত। ইমাম আহমদসহ অনেকে তাকে অবিশ্বস্ত বর্ণনাকারীও বলেছেন। ওয়াকিদি তার গ্রন্থ ফুতূহুশ শামে এই ঘটনা বর্ণনা করেছেন।
ওয়াকিদির বর্ণনা অনুযায়ী
খালিদ ইবনে ওয়ালিদের পাগড়ি যুদ্ধের সময় পড়ে যায়। তিনি তখন চিৎকার করে বলেন, ‘আমার পাগড়ি! আমার পাগড়ি!’ তার এক আত্মীয় তা উদ্ধার করে এনে দেন। পরে তিনি বলেন, ‘বিদায় হজের সময় নবীজি যখন মাথা মুড়াচ্ছিলেন, আমি তার কিছু চুল নিই। নবীজি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওগুলো নিয়ে কী করবে, খালিদ?’ আমি বলি, ‘এর বরকত সঙ্গে নিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ব।’ তখন তিনি বলেন, ‘যতদিন এগুলো তোমার সঙ্গে থাকবে, তুমি বিজয়ী হবে।’ তাই আমি ওগুলো পাগড়ির সামনের দিকে রেখে দিয়েছি।’
হাদিস নাকি আছার?
বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এই ঘটনাটি কোনো হাদিস নয় বরং আছার—অর্থাৎ সাহাবি বা তাবেঈদের উক্তি বা কাজ সম্পর্কিত বর্ণনা। হাদিস শুধু মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর উক্তি, কাজ বা অনুমোদনের সঙ্গে সম্পর্কি, কিন্তু আছারের মধ্যে সাহাবিদের কর্মকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত করে।
নবীজির নিদর্শন থেকে বরকত নেওয়ার অনুমতি
সাহাবিদের জন্য নবীজির দেহাবশেষ ও ব্যবহার্য জিনিস থেকে বরকত নেওয়া বৈধ ছিল। তবে নবীজি ছাড়া অন্য কোনো ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির দেহাবশেষ বা নিদর্শন থেকে বরকত নেওয়ার অনুমতি দেয় না ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী বলেন, গতকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও ধর্ম উপদেষ্টাসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আগামী বিশ্ব ইজতেমা-২০২৬ আয়োজন সংক্রান্ত এক জরুরী সভা ধর্ম মন্ত্রনালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সরকারের পক্ষ থেকে উপদেষ্টাবৃন্দ
৪ ঘণ্টা আগে
সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে মসজিদ নামক প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় মুসলিমদের জন্য সামাজিক ও সম্মিলিত উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ভূমিকা রাখে। এসব দেশে যখন কোনো এলাকায় একজন, দুজন করে মুসলমান পরিবার বসবাস করতে শুরু করে, এক সময় সে এলাকায় তারা একটি মসজিদ বানানোর চেষ্টা করে।
১ দিন আগে
মদিনার মসজিদে নববির খোলা আঙিনায় থাকা বিশাল ছাতাগুলো শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়। ছাতাগুলো মূলত সূর্য ও গরমের তীব্রতা থেকে মুসল্লিদের রক্ষা করতে তৈরি। প্রতিটি ছাতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খোলে এবং বন্ধ হয়।
২ দিন আগে
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, উন্নত চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিরাই সমাজে শান্তি, ন্যায়বিচার ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ তৈরি করে। চরিত্রবান মানুষ সমাজকে করে তোলে সুন্দর, নিরাপদ ও মানবিক। আর চরিত্রহীন মানুষ অনাচার, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। চরিত্রবান মানুষ যেমন নিজের কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি সমাজকেও আলোকিত করে তোল
৩ দিন আগে