ইসলাম ডেস্ক
প্রশ্ন : আমরা যারা হজে যাচ্ছি, আমরা তো হজে পশু কোরবানি করব, আমাদের নিজ দেশেও কি কোরবানি করতে হবে? এ ক্ষেত্রে অনেক অনেক কথা বলে থাকেন, সঠিক বিষয়টি দয়া করে জানাবেন।
উত্তর : কোরবানি মূলত দুই প্রকার- দমে শুকুর বা হজের কোরবানি ও ঈদুল আজহার কোরবানি। হাজিরা এ বিষয়টি না জানার কারণে শুধু একটি কোরবানি (দমে শুকুর বা হজের কোরবানি) করে থাকেন। আর ঈদুল আজহার কোরবানি করেন না। অথচ কোনো কোনো হাজির ওপর ঈদুল আজহার কোরবানিও ওয়াজিব।
এক. হজের কোরবানি বা দমে শুকর
যেসব হাজি কিরান ও তামাত্তু হজ (অর্থাৎ একই সফরে ওমরাহ ও হজ) পালনের মাধ্যমে দুটি ইবাদত করে থাকেন। তাদের জন্য শুকরিয়াস্বরূপ একটি কোরবানি করা ওয়াজিব। এ কোরবানিকে ‘দমে শুকর বা হজের কোরবানি’ বলা হয়। এটি ঈদুল আজহার কোরবানির অন্তর্ভুক্ত নয়।
দুই. ঈদুল আজহার কোরবানি
যেসব হাজি মুকিম হয়ে যাবেন, তথা মক্কা মোকাররামা, মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় কোরবানির দিনগুলোসহ ১৫ দিন অথবা তার চেয়ে বেশি সময় অবস্থান করবেন, তারা মুকিম বলে গণ্য হবেন। তাদের ওপর ঈদুল আজহার কোরবানিও ওয়াজিব হবে। ফলে তাদের দুটি কোরবানি করতে হবে। একটি দমে শুকর বা হজের কোরবানি, অন্যটি হচ্ছে ঈদুল আজহার কোরবানি।
তিন. কোরবানির স্থান
দমে শুকর বা হজের কোরবানি হেরেমের সীমানার ভেতরেই করতে হবে, অন্যত্র করার কোনো সুযোগ নেই। আর ঈদুল আজহার কোরবানি যেকোনো স্থানেই করতে পারবেন। ইচ্ছা হলে নিজ দেশেও করাতে পারবেন।
মুসাফির হাজিদের বিধান
পক্ষান্তরে যদি মক্কা মোকাররামা, মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় হজের দিনগুলোসহ ১৫ দিন অবস্থান না হয়, তাহলে ওই হাজি মুসাফির বলে গণ্য হবেন। আর মুসাফিরের ওপর ঈদুল আজহার কোরবানি ওয়াজিব নয়। তাই ওই মুসাফির হাজির ওপর দমে শুকর বা হজের কোরবানি করাই যথেষ্ট। ঈদুল আজহার কোরবানি তার ওপর আবশ্যক হবে না। তবে ইচ্ছে করলে তিনি নফল হিসেবে কোরবানি করাতে পারেন। (সহিহ মুসলিম ১/৪২১, ফতোয়ায়ে আলমগীরী ৯/২৯৪)
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি জুবায়ের বিন আব্দুল কুদ্দুস
শিক্ষক, লালবাগ মাদরাসা, ঢাকা
প্রশ্ন : আমরা যারা হজে যাচ্ছি, আমরা তো হজে পশু কোরবানি করব, আমাদের নিজ দেশেও কি কোরবানি করতে হবে? এ ক্ষেত্রে অনেক অনেক কথা বলে থাকেন, সঠিক বিষয়টি দয়া করে জানাবেন।
উত্তর : কোরবানি মূলত দুই প্রকার- দমে শুকুর বা হজের কোরবানি ও ঈদুল আজহার কোরবানি। হাজিরা এ বিষয়টি না জানার কারণে শুধু একটি কোরবানি (দমে শুকুর বা হজের কোরবানি) করে থাকেন। আর ঈদুল আজহার কোরবানি করেন না। অথচ কোনো কোনো হাজির ওপর ঈদুল আজহার কোরবানিও ওয়াজিব।
এক. হজের কোরবানি বা দমে শুকর
যেসব হাজি কিরান ও তামাত্তু হজ (অর্থাৎ একই সফরে ওমরাহ ও হজ) পালনের মাধ্যমে দুটি ইবাদত করে থাকেন। তাদের জন্য শুকরিয়াস্বরূপ একটি কোরবানি করা ওয়াজিব। এ কোরবানিকে ‘দমে শুকর বা হজের কোরবানি’ বলা হয়। এটি ঈদুল আজহার কোরবানির অন্তর্ভুক্ত নয়।
দুই. ঈদুল আজহার কোরবানি
যেসব হাজি মুকিম হয়ে যাবেন, তথা মক্কা মোকাররামা, মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় কোরবানির দিনগুলোসহ ১৫ দিন অথবা তার চেয়ে বেশি সময় অবস্থান করবেন, তারা মুকিম বলে গণ্য হবেন। তাদের ওপর ঈদুল আজহার কোরবানিও ওয়াজিব হবে। ফলে তাদের দুটি কোরবানি করতে হবে। একটি দমে শুকর বা হজের কোরবানি, অন্যটি হচ্ছে ঈদুল আজহার কোরবানি।
তিন. কোরবানির স্থান
দমে শুকর বা হজের কোরবানি হেরেমের সীমানার ভেতরেই করতে হবে, অন্যত্র করার কোনো সুযোগ নেই। আর ঈদুল আজহার কোরবানি যেকোনো স্থানেই করতে পারবেন। ইচ্ছা হলে নিজ দেশেও করাতে পারবেন।
মুসাফির হাজিদের বিধান
পক্ষান্তরে যদি মক্কা মোকাররামা, মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় হজের দিনগুলোসহ ১৫ দিন অবস্থান না হয়, তাহলে ওই হাজি মুসাফির বলে গণ্য হবেন। আর মুসাফিরের ওপর ঈদুল আজহার কোরবানি ওয়াজিব নয়। তাই ওই মুসাফির হাজির ওপর দমে শুকর বা হজের কোরবানি করাই যথেষ্ট। ঈদুল আজহার কোরবানি তার ওপর আবশ্যক হবে না। তবে ইচ্ছে করলে তিনি নফল হিসেবে কোরবানি করাতে পারেন। (সহিহ মুসলিম ১/৪২১, ফতোয়ায়ে আলমগীরী ৯/২৯৪)
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি জুবায়ের বিন আব্দুল কুদ্দুস
শিক্ষক, লালবাগ মাদরাসা, ঢাকা
সৌদি সরকারের পক্ষ হত গতবছরই জানানো হয়েছে ২০২৬ সালে হজে এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা হবে দুই হাজার জন। তবে হজযাত্রীর কোটা না বাড়িয়ে এক হাজারই বহাল রাখতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
১ দিন আগে‘আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
২ দিন আগেশরণার্থীরা নিঃস্ব, নিরাশ্রয় এবং প্রায়ই মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘনের শিকার। এই প্রেক্ষাপটে ইসলাম শরণার্থী বা মজলুমদের জন্য যে মানবিক, করুণাময় ও ন্যায়ভিত্তিক নির্দেশনা দিয়েছে, তা সমকালীন বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
২ দিন আগেখেলাফত বিলুপ্তির পর মুসলিমদের অবস্থা হতশ্রী। মুসলিমরা আজ ভুলে গেছে তাদের আত্মরক্ষার শিক্ষা ও কৌশল। এর মূল কারণ কোরআন ছেড়ে দেওয়া। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কাফিরদের মোকাবিলা করার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও সদাসজ্জিত অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে, যা দিয়ে আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের ভীতসন্ত্রস্ত করবে—এ ছাড়া
২ দিন আগে