
শারমিন নাহার ঝর্ণা

ইসলাম নারীকে শুধু গৃহিণী বা সংসারের দায়িত্বশীল হিসেবে নয়, বরং সম্মানিত মা হিসেবে মর্যাদাশীল বানিয়েছে। একজন নারী যখন সংসারের কাজে পরিশ্রম করেন, স্বামী ও সন্তানের জন্য ভালোবাসা ও ত্যাগের মাধ্যমে ঘরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে ফেলেন, তখন সেই কাজগুলোও ইবাদতে পরিণত হয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের জন্য পোশাক এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাক।’ (সুরা আল-বাকারা : ১৮৭) এই আয়াতটি স্পষ্ট করে দেয়, স্ত্রী ও স্বামী একে অপরের পরিপূরক। সংসারে নারীর ভালোবাসা, যত্ন ও পরিশ্রম কেবল পার্থিব দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি ইবাদত। আর সংসারের এ কাজের মাঝে নারীরা পরম তৃপ্তি খুঁজে পান।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘সৎকর্মশীল নারী সে-ই, যে স্বামীর প্রতি অনুগত এবং আল্লাহ যে গোপনীয়তা রক্ষা করতে বলেছেন, তা রক্ষা করে।’ (সুরা আন-নিসা : ৩৪)। এ আয়াত প্রমাণ করে, সংসারের ভেতরে আনুগত্য ও দায়িত্ব পালনই নারীর জন্য জান্নাতের পথ খুলে দেয়। একজন নারী যখন ঘর ঝাড়ু দেন, তখন মনে মনে সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ বলে জিকির করতে পারেন। এতে করে সংসারের কাজের সঙ্গে সঙ্গে আমলনামায় নেকি জমা হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নারী যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজানের রোজা রাখে, নিজের পবিত্রতা রক্ষা করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, তবে তাকে বলা হবে—‘তুমি যেকোনো দরজা দিয়ে চাও জান্নাতে প্রবেশ করো।’ (ইবনু মাজাহ : ১৮৫৩)। বোঝা গেল সংসারের দায়িত্ব ও স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনও একজন নারীর জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম করে। তাই নারীদের উচিত এই হাদিস অনুসারে জীবন পরিচালনা করা।
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে নারী স্বামীর ঘরে থেকে তার সন্তানের লালনপালন করে, পরিবারের জন্য রান্নাবান্না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রভৃতি করে—আল্লাহ তায়ালা তার প্রতিটি কষ্টের বিনিময়ে নেকি লেখেন। (বুখারি : ৫৩৫১)
এই হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, নারীর সব শ্রম, তা হোক রান্না করা, সন্তানকে খাওয়ানো বা ঘর গোছানো—সবই ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়, যদি তা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়। একজন নারী যখন ঘরের কাজে ক্লান্ত হয়ে যায়, তবুও ধৈর্য ধরে দায়িত্ব পালন করে, তখন সে এমন সওয়াব পায় যা এক মুজাহিদের ত্যাগের সমান হতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে নারী পরিবারের জন্য কষ্ট সহ্য করে, আল্লাহ তার প্রতিটি ঘামের বিনিময়ে জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করেন।’ (তাবরানি, আল-মুজাম আল-কাবির : ১৩৮৪২)
সংসারের কাজ শুধু দায়িত্ব নয়, এটি নারীর জন্য নেকি ও জান্নাত অর্জনের এক বিশাল সুযোগ। একজন নারী যখন তার পরিবারকে ভালোবাসা, ধৈর্য ও ঈমানের সঙ্গে পরিচালনা করে, তখন তার প্রতিটি মুহূর্ত হয়ে যায় ইবাদত। ইসলামের দৃষ্টিতে গৃহিণী হওয়া কোনো অবমূল্যায়ন নয়, বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক মহৎ মাধ্যম।

ইসলাম নারীকে শুধু গৃহিণী বা সংসারের দায়িত্বশীল হিসেবে নয়, বরং সম্মানিত মা হিসেবে মর্যাদাশীল বানিয়েছে। একজন নারী যখন সংসারের কাজে পরিশ্রম করেন, স্বামী ও সন্তানের জন্য ভালোবাসা ও ত্যাগের মাধ্যমে ঘরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে ফেলেন, তখন সেই কাজগুলোও ইবাদতে পরিণত হয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের জন্য পোশাক এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাক।’ (সুরা আল-বাকারা : ১৮৭) এই আয়াতটি স্পষ্ট করে দেয়, স্ত্রী ও স্বামী একে অপরের পরিপূরক। সংসারে নারীর ভালোবাসা, যত্ন ও পরিশ্রম কেবল পার্থিব দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি ইবাদত। আর সংসারের এ কাজের মাঝে নারীরা পরম তৃপ্তি খুঁজে পান।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘সৎকর্মশীল নারী সে-ই, যে স্বামীর প্রতি অনুগত এবং আল্লাহ যে গোপনীয়তা রক্ষা করতে বলেছেন, তা রক্ষা করে।’ (সুরা আন-নিসা : ৩৪)। এ আয়াত প্রমাণ করে, সংসারের ভেতরে আনুগত্য ও দায়িত্ব পালনই নারীর জন্য জান্নাতের পথ খুলে দেয়। একজন নারী যখন ঘর ঝাড়ু দেন, তখন মনে মনে সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ বলে জিকির করতে পারেন। এতে করে সংসারের কাজের সঙ্গে সঙ্গে আমলনামায় নেকি জমা হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নারী যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজানের রোজা রাখে, নিজের পবিত্রতা রক্ষা করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, তবে তাকে বলা হবে—‘তুমি যেকোনো দরজা দিয়ে চাও জান্নাতে প্রবেশ করো।’ (ইবনু মাজাহ : ১৮৫৩)। বোঝা গেল সংসারের দায়িত্ব ও স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনও একজন নারীর জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম করে। তাই নারীদের উচিত এই হাদিস অনুসারে জীবন পরিচালনা করা।
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে নারী স্বামীর ঘরে থেকে তার সন্তানের লালনপালন করে, পরিবারের জন্য রান্নাবান্না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রভৃতি করে—আল্লাহ তায়ালা তার প্রতিটি কষ্টের বিনিময়ে নেকি লেখেন। (বুখারি : ৫৩৫১)
এই হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, নারীর সব শ্রম, তা হোক রান্না করা, সন্তানকে খাওয়ানো বা ঘর গোছানো—সবই ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়, যদি তা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়। একজন নারী যখন ঘরের কাজে ক্লান্ত হয়ে যায়, তবুও ধৈর্য ধরে দায়িত্ব পালন করে, তখন সে এমন সওয়াব পায় যা এক মুজাহিদের ত্যাগের সমান হতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে নারী পরিবারের জন্য কষ্ট সহ্য করে, আল্লাহ তার প্রতিটি ঘামের বিনিময়ে জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করেন।’ (তাবরানি, আল-মুজাম আল-কাবির : ১৩৮৪২)
সংসারের কাজ শুধু দায়িত্ব নয়, এটি নারীর জন্য নেকি ও জান্নাত অর্জনের এক বিশাল সুযোগ। একজন নারী যখন তার পরিবারকে ভালোবাসা, ধৈর্য ও ঈমানের সঙ্গে পরিচালনা করে, তখন তার প্রতিটি মুহূর্ত হয়ে যায় ইবাদত। ইসলামের দৃষ্টিতে গৃহিণী হওয়া কোনো অবমূল্যায়ন নয়, বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক মহৎ মাধ্যম।

পাবনা জেলায় প্রাচীন ও পুরাকীর্তির নিদর্শন হিসেবে এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মুঘল সম্রাট আকবরের স্মৃতিবিজড়িত মাসুম খাঁর তিন গম্বুজবিশিষ্ট শাহি মসজিদ। একসময় প্রমত্তা বড়াল নদীর দক্ষিণ পাশে চাটমোহর থানা ছিল। এটি প্রাচীন বাণিজ্য কেন্দ্র ও পাঠান ভূমি হিসেবে খ্যাতি লাভ করে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজকের পৃথিবী যেন এক ক্লিকের দূরত্বে। তথ্য, বিনোদন, সংবাদ—সবকিছু মুহূর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে হাতে থাকা একটি মোবাইল স্ক্রিনে। কিন্তু এই প্রযুক্তির আশীর্বাদই অনেক সময় ঈমানের জন্য ভয়ংকর পরীক্ষা হয়ে দাঁড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ার ঝলমলে দুনিয়ায় মানুষ দিন দিন হারাচ্ছে লজ্জাশীলতা, সময়ের মূল্যবোধ ও আল্লাহভীতি।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে ‘ওয়াজ মাহফিল’ এক জনপ্রিয় ধর্মীয় আয়োজন। ইসলামি শিক্ষার প্রচার, মানুষকে নৈতিকতার পথে আহ্বান ও সমাজ সংস্কারের উদ্দেশ্যে এই মাহফিলের অবদান অনস্বীকার্য। দেখা যাচ্ছে, ওয়াজ মাহফিল অনেক ক্ষেত্রে তার মূল লক্ষ্য থেকে সরে গিয়ে উল্টো বিভ্রান্তি, বিদ্বেষ ও বিভেদ তৈরি করে।
৪ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় পদ গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শায়খ সালেহ আল-ফাওজান। বুধবার সৌদি আরবের রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ এ আদেশ জারি করেন। শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শেখের মৃত্যুর পর তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।
১ দিন আগে