স্পোর্টস রিপোর্টার
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) রবিন রাউন্ড পর্বের আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ তৈরি হওয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতির রেশ যেন কোনোভাবেই কাটছে না। ম্যাচে অসদাচরণের জন্য তাওহিদ হৃদয়কে দেওয়া শাস্তি কমে আসে বাইলজ পরিবর্তনের মাধ্যমে। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ডিপিএল টেকনিক্যাল কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান এনামুল হক মনি। তার বিদায়ের পর বিসিবির এমন সিদ্ধান্তের নীরব প্রতিবাদ জানিয়ে শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকতও সরে দাঁড়ান। তাতে বেশ ঘোলাটে হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এর মধ্যেই জানা গেল, পদত্যাগের ঘটনায় বিসিবির লুকোচুরি ও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে পড়ায় বেশ ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের একমাত্র এলিট প্যানেল আম্পায়ার সৈকত। এমনকি তার সঙ্গে যোগাযোগও করা সম্ভব হচ্ছে না।
দিন কয়েক আগে পদত্যাগ করার পর সৈকতের সরে দাঁড়ানোর খবর জানতে বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে আমার দেশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তবে তারা কেউই সৈকতের সরে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি অনেকে সৈকতের পদত্যাগের খবরটি গুজব বলে উড়িয়ে দেন। তবে শেষ পর্যন্ত অনানুষ্ঠানিকভাবে তার পদত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়। তিনি নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন এমন আশায় এখনো বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি তার পদত্যাগের ব্যাপারে। তাকে ফেরাতে এরই মধ্যে বৈঠকও করেছেন বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।
গত পরশু রাতে হওয়া ওই বৈঠকের পর আশার বাণী শোনান আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান। সেখানে জানান, মান-অভিমানের পালা শেষে সিদ্ধান্তে বদলে বিসিবির চাকরি চালিয়ে যাবেন সৈকত। কিন্তু বাস্তবতা হলো- আইসিসির এই এলিট প্যানেল আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্ত বদলে বিসিবির চাকরিতে ফেরার কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। এখন শুধু আইসিসির এলিট প্যানেলে কাজ করার দিকে মনোযোগী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেন ইফতেখার রহমান মিঠু ও শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকতের মধ্যে হওয়া ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি? সেই প্রশ্নের উত্তর হলো- বিসিবির ওপর ক্ষুব্ধ তিনি।
শুধু তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি কমানোর ঘটনা নয়, বিসিবির ‘অপেশাদার’ আচরণের কারণেও নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেননি সৈকত। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বিসিবি তার পদত্যাগের খবর গোপন করায় বেশ ক্ষুব্ধ তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে সৈকতের দাবি ছিল, বিসিবি পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারত। কিন্তু বিসিবি সেই পথে হাঁটেনি, বরং শুরু থেকেই বিভিন্ন সময় বিসিবির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে সৈকত তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। মাঝে তো এমনো শোনা যায়, সৈকত শুধু পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তবে পদত্যাগপত্র দেননি। সৈকত তার ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, তিনি বিসিবিতে নিজের পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তাকে তৈরি হওয়া এই ঘোলাটে পরিবেশের কারণেই বিসিবির প্রতি ক্ষুব্ধ তিনি।
নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কারণ হিসেবে নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে বিসিবির প্রতি এই অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকত। তার ফেরা না ফেরা নিয়ে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে গণমাধ্যমে। এটা নিয়েও নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সৈকত। তার মতে, তাকে নিয়ে ভুল বার্তা ছড়ানোয় বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন। সব মিলিয়ে তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া ঘোলাটে পরিস্থিতির কারণেই নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে মরিয়া তিনি।
বিসিবির চুক্তিবদ্ধ আম্পায়ার হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে সৈকতের উপস্থিতি নামমাত্র। আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকার কারণে সারা বছরই আইসিসির অ্যাসাইনমেন্টে ব্যস্ত থাকেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততার মাঝে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তার উপস্থিতি দেখা যায়। তাও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘরোয়া ক্রিকেটের হাইভোল্টেজ ম্যাচগুলোতে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) রবিন রাউন্ড পর্বের আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ তৈরি হওয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতির রেশ যেন কোনোভাবেই কাটছে না। ম্যাচে অসদাচরণের জন্য তাওহিদ হৃদয়কে দেওয়া শাস্তি কমে আসে বাইলজ পরিবর্তনের মাধ্যমে। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ডিপিএল টেকনিক্যাল কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান এনামুল হক মনি। তার বিদায়ের পর বিসিবির এমন সিদ্ধান্তের নীরব প্রতিবাদ জানিয়ে শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকতও সরে দাঁড়ান। তাতে বেশ ঘোলাটে হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এর মধ্যেই জানা গেল, পদত্যাগের ঘটনায় বিসিবির লুকোচুরি ও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে পড়ায় বেশ ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের একমাত্র এলিট প্যানেল আম্পায়ার সৈকত। এমনকি তার সঙ্গে যোগাযোগও করা সম্ভব হচ্ছে না।
দিন কয়েক আগে পদত্যাগ করার পর সৈকতের সরে দাঁড়ানোর খবর জানতে বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে আমার দেশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তবে তারা কেউই সৈকতের সরে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি অনেকে সৈকতের পদত্যাগের খবরটি গুজব বলে উড়িয়ে দেন। তবে শেষ পর্যন্ত অনানুষ্ঠানিকভাবে তার পদত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়। তিনি নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন এমন আশায় এখনো বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি তার পদত্যাগের ব্যাপারে। তাকে ফেরাতে এরই মধ্যে বৈঠকও করেছেন বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।
গত পরশু রাতে হওয়া ওই বৈঠকের পর আশার বাণী শোনান আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান। সেখানে জানান, মান-অভিমানের পালা শেষে সিদ্ধান্তে বদলে বিসিবির চাকরি চালিয়ে যাবেন সৈকত। কিন্তু বাস্তবতা হলো- আইসিসির এই এলিট প্যানেল আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্ত বদলে বিসিবির চাকরিতে ফেরার কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। এখন শুধু আইসিসির এলিট প্যানেলে কাজ করার দিকে মনোযোগী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেন ইফতেখার রহমান মিঠু ও শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকতের মধ্যে হওয়া ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি? সেই প্রশ্নের উত্তর হলো- বিসিবির ওপর ক্ষুব্ধ তিনি।
শুধু তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি কমানোর ঘটনা নয়, বিসিবির ‘অপেশাদার’ আচরণের কারণেও নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেননি সৈকত। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বিসিবি তার পদত্যাগের খবর গোপন করায় বেশ ক্ষুব্ধ তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে সৈকতের দাবি ছিল, বিসিবি পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারত। কিন্তু বিসিবি সেই পথে হাঁটেনি, বরং শুরু থেকেই বিভিন্ন সময় বিসিবির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে সৈকত তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। মাঝে তো এমনো শোনা যায়, সৈকত শুধু পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তবে পদত্যাগপত্র দেননি। সৈকত তার ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, তিনি বিসিবিতে নিজের পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তাকে তৈরি হওয়া এই ঘোলাটে পরিবেশের কারণেই বিসিবির প্রতি ক্ষুব্ধ তিনি।
নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কারণ হিসেবে নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে বিসিবির প্রতি এই অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকত। তার ফেরা না ফেরা নিয়ে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে গণমাধ্যমে। এটা নিয়েও নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সৈকত। তার মতে, তাকে নিয়ে ভুল বার্তা ছড়ানোয় বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন। সব মিলিয়ে তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া ঘোলাটে পরিস্থিতির কারণেই নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে মরিয়া তিনি।
বিসিবির চুক্তিবদ্ধ আম্পায়ার হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে সৈকতের উপস্থিতি নামমাত্র। আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকার কারণে সারা বছরই আইসিসির অ্যাসাইনমেন্টে ব্যস্ত থাকেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততার মাঝে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তার উপস্থিতি দেখা যায়। তাও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘরোয়া ক্রিকেটের হাইভোল্টেজ ম্যাচগুলোতে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দারুণ ফর্মে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরোয়া থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবল- প্রতিটি জায়গাতেই দাপট দেখিয়ে চলেছে কোচ জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। লা লিগায় এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৮টিতেই। হার বলতে একটিতে।
৮ ঘণ্টা আগেদারুণ সময় কাটছে আর্সেনালের। আগে থেকেই জয়ের ছন্দে ছিল কোচ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ছুটে চলছিল জয়ে রথে চেপে। তার ধারাবাহিকতায় চ্যাম্পিয়নস লিগে তুলে নিয়েছে আরও একটি বড় জয়। ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এনিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জয় পেল ক্লাবটি।
৮ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনাকে হারানোর পর থেকেই সময়টা যেন ভালো যাচ্ছিল না। মাঠের পারফরম্যান্সে কোথায় যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিল পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানে হোঁচট খেয়ে বসে পরপর দুই ম্যাচে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ছয় গোলের থ্রিলার ম্যাচে জয়বঞ্চিত হয়েছে দলটি।
৯ ঘণ্টা আগেবাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ছেলেও খেলবেন পর্তুগালের জাতীয় দলে। স্বপ্নের সেই পথে একটু একটু করে এগোচ্ছেন তনয় ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। গত মে’তে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
১২ ঘণ্টা আগে