মা-বাবার দোয়া আর কোহলির প্রেরণায় সফল সিরাজ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৩: ০০
মোহাম্মদ সিরাজ (মাঝে)

ইংল্যান্ড সফরে পাঁচটি টেস্ট খেলেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। ৯ ইনিংসে বল ছুড়েছেন সব মিলিয়ে ১৮৫.৩ ওভার। তার মানে যেটা দাঁড়াল, সেটি হলোÑইংল্যান্ড সিরিজে এক হাজার ১১৩ বল করেছেন ভারতের তারকা এই পেসার। যেখানে দুদলের অন্য কোনো বোলার ৯০০ বলও করতে পারেননি। সিরিজে সর্বাধিক ২৩ উইকেটও শিকার করেছেন সিরাজ। তার পেসঝড়ে ভারত সিরিজ ড্র করতে পেরেছে। যে বলে কাজের কাজটি করেছেন, সেই বলের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪৩.৫ কিলোমিটার। প্রত্যেক স্পেলে একই গতিতে বোলিং করে গেছেন। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন একই উদ্যমে। অসম্ভব কাজটি কীভাবে সম্ভবে পরিণত করলেন সিরাজ? তার এমন দারুণ ফিটনেসের নেপথ্যের গল্পটা কী? কোন মন্ত্র জপে ভারতীয় পেসার লিখেছেন সাফল্যের গল্প?

বিজ্ঞাপন


সিরাজের সুশৃঙ্খল জীবনের কাহিনি শুনিয়েছেন তার বড় ভাই মোহাম্মদ ইসমাইল। ইন্ডিয়া টুডেকে ইসমাইল বলেন, ‘ও ফিটনেস নিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করেছে। বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। হায়দরাবাদে থাকলেও খুব কমই বিরিয়ানি খায়। তবে সেটা বাড়িতে রান্না হলে তবেই খায়। পিৎজা, ফাস্টফুড খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। ফিটনেসের ব্যাপারে বিরাট কোহলিই তার প্রেরণা।’


ইংল্যান্ডের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার আগে বাবার কবর জিয়ারত করেছেন সিরাজ। সিরাজের মা শাবানা বেগম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘ইংল্যান্ড যাওয়ার আগে সে বলল মা, আমার জন্য দোয়া করো। আমি যেন ভালো খেলতে পারি। ভারতকে জেতাতে পারি। তারপর বাবার কবর জিয়ারত করে। আমার ছেলে তার বাবাকে খুব ভালোবাসত। তার বাবাও তাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাদের দোয়া সব সময় তার সঙ্গে রয়েছে।


ইংল্যান্ডের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার আগে বাবার কবর জিয়ারত করেছেন সিরাজ। সিরাজের মা শাবানা বেগম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘ইংল্যান্ড যাওয়ার আগে সে বলল মা, আমার জন্য দোয়া করো। আমি যেন ভালো খেলতে পারি। ভারতকে জেতাতে পারি। তারপর বাবার কবর জিয়ারত করে। আমার ছেলে তার বাবাকে খুব ভালোবাসত। তার বাবাও তাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাদের দোয়া সব সময় তার সঙ্গে রয়েছে।’


সিরিজ চলাকালে প্রতিদিন নিয়ম করে মায়ের সঙ্গে কথা বলতেন সিরাজ। মায়ের দোয়া নিতেন। ইসমাইল বলেন, ‘মা সব সময় ওর জন্য দোয়া করেন। মায়ের দোয়ার অনেক শক্তি। ইংল্যান্ড থেকে সে প্রতিদিন ভিডিও কলে মায়ের সঙ্গে কথা বলত। দোয়া চাইত। বাবা-মা সব সময় চাইতেন সিরাজ ভারতের হয়ে খেলুক। সে স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আমরা চাই ও আরো সফল হোক।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত