কেন বিসিবি নির্বাচনে ই-ব্যালট

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ৩০

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর গতকাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বাতিলের দাবি করেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারী ক্লাব সংগঠকরা। এরই মধ্যে বিসিবি পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল হতে যাওয়া এই নির্বাচনে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকা ১৫ ক্লাবকে বাদ দিয়ে মোট ১৭৭ জন কাউন্সিলরের ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে। বেশ কয়েকটি পরিচালক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে ভোটার সংখ্যা কমে এসেছে ১৪১ জনে। এর মধ্যে ৭৮ জন কাউন্সিলর আগামীকাল সরাসরি ভোট দেবেন। বাকি ৬৩ জন কাউন্সিলর অনলাইন-পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন। কেন বিসিবি নির্বাচনে এই পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা? সেই প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশন জানায়, সবকিছু বিবেচনা করে পোস্টাল/ই-ব্যালটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পোস্টাল/ই-ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা ৬৩ জন কাউন্সিলরের কাছে গত ২ অক্টোবর পোস্টাল বা ই-ব্যালট পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ৬ অক্টোবর হলেও কেন চার দিন আগে পোস্টাল/ই-ব্যালট পাঠানো হয়েছে? সেই ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ হোসেন আমার দেশকে বলেন, ‘অনেকে হয়তো ই-মেইল ব্যবহার করেন না। তারা যদি কেউ ডাকযোগে ব্যালট পাঠাতে চান, তাহলে যেন সঠিক সময়ে এসে পৌঁছায় সেই সময় দেওয়া হয়েছে। এসব কথা মাথায় রেখে চার দিন আগে ব্যালট পাঠানো হয়েছে।’

সাধারণত দেশের বাইরে থাকা কাউন্সিলরদের জন্য ই-ব্যালট পাঠানো হলেও এবার ঢাকা ও দেশে থাকা কাউন্সিলরদেরও পোস্টাল/ই-ব্যালট পাঠানো হয়েছে। কেন এই সিদ্ধান্ত? সেই ব্যাখ্যায় বিসিবি পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন কমিশনার মো. ছিবগাত উল্লাহ আমার দেশকে বলেন, ‘কেউ হয়তো অসুস্থ থাকতে পারে। আবার কারো ব্যস্ততা থাকতে পারে। সবকিছু চিন্তাভাবনা করে ই-ব্যালট দেওয়া হয়েছে।’

পোস্টাল/ই-ব্যালটে থাকতে পারে কারচুপির সুযোগ। একাধিক কাউন্সিলর একসঙ্গে বসে ভোট দিলে কে কাকে ভোট দিচ্ছেন সেই বিষয়টি দেখার সুযোগ থাকে। এমনকি পোস্টাল/ই-ব্যালটের কারণে কাউন্সিলরদের ওপর চাপ আসতে পারে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. ছিবগাত উল্লাহ বলেন, ‘কাউন্সিলররা পোস্টাল/ই-ব্যালটে কোথা থেকে ভোট দেবেন কিংবা কীভাবে দেবেন সেটা তাদের ব্যাপার। তারা যেন নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারেন, সে কারণে তাদের নির্দিষ্ট মেইল থেকে আসা ভোটই গণনা করা হবে। একাধিক বা অন্য মেইল থেকে আসা ভোটগ্রহণ করা হবে না। কাউন্সিলররা একসঙ্গে বসে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভোট দিলে, সেখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত