জাতীয় নারী বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ
স্পোর্টস রিপোর্টার
সপ্তম জাতীয় নারী বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ঘিরে আজ এক উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল পল্টনের মুহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষণীয়। উৎসবের মধ্যমণি হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নারী বক্সার জিনাত ফেরদৌস। আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করলেও জাতীয় বক্সিংয়ে এবারই প্রথম নামলেন। তাকে ঘিরে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয় সবার মাঝে। অনুমিতভাবেই ফাইনালে প্রতিপক্ষকে সুযোগ না দিয়ে একচেটিয়া খেলে স্বর্ণ পদক জিতে নেন এই প্রবাসী বক্সার।
৫২ কেজি ওজন শ্রেণির ফাইনালে জিনাতের প্রতিপক্ষ ছিলেন আফরা খন্দকার। নরসিংদীর গুলওয়েল ক্লাবের হয়ে খেলেন জিনাত। আর বাংলাদেশ আনসারের হয়ে লড়েছেন আফরা। বড় বোনের খেলা সরাসরি উপভোগ করতে স্টেডিয়ামে ছুটে আসেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। তার বাবা-মায়ের সঙ্গে নারী ফুটবলার তৃষ্ণা রাণী, রিপাদেরও দেখা যায় গ্যালারিতে। জিনাতেরও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে আফরা আর জিনাতের ফাইনালটি সেভাবে জমল না। তিন রাউন্ডের খেলার শুরু থেকেই ডিফেন্সিভ মুডে খেলতে দেখা যায় আফরাকে। পুরোটা সময় জুড়ে জিনাত ছিলেন আক্রমণাত্মক। ফাইনালে মঞ্চে নিজের দক্ষতা ও কৌশল দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ৩১ বছর বয়সি এই বক্সার।
জিনাতের কাছে হারলেও আক্ষেপ নেই আফরার। ফাইনাল শেষে এই বক্সার বললেন, ‘আমি চেয়েছিলাম তিন রাউন্ডে ওর সঙ্গে ভালো ফাইট দেব। তিন রাউন্ডই খেলেছি।’ প্রতিপক্ষ হিসেবে জিনাতকে কেমন মনে হলো? আফরা বলেন, ‘বিদেশে সে যে প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিট পেয়েছে, আমাদের চেয়ে অনেক ভালো। আমরাও যদি এই রকম ভালো ফ্যাসিটিলিজ পাই তাহলে আমরাও ওদের মতো ভালো খেলতে পারব।’ ডিফেন্সিভ খেলার প্রসঙ্গে আফরার বক্তব্য, ‘আগে নিজের আত্মরক্ষা। এজন্যই ডিফেন্সিভ খেলেছি। আমি চেয়েছিলাম- দর্শকরা যেন তিন রাউন্ড খেলাটা উপভোগ করতে পারে। পরবর্তী সময়ে তাকে হারানোর চেষ্টা করব।’
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেকেই স্বর্ণ পদক জয়ের পর খুবই রোমাঞ্চিত জিনাত। তিনি বলেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ, আপনার বক্সিংকে অনেক সাপোর্ট করছেন। অনেক ভালো লাগছে আমার কাছে। কত মানুষ আসছে, কত সাপোর্ট করছে, অনেক খুশি লাগছে। এই প্রথম খেললাম, তবে শেষবার নয়।’ দেশের খেলোয়াড় আফরার বিপক্ষে লড়াই করেছেন। তাকে কেমন মনে হলো আপনার? জিনাত বলেন, ‘আমি সবার উদ্দেশে বলছি, আমাদের বাংলাদেশি ছেলে আর মেয়েরা, সত্যিকার অর্থে তারা খেলতে চায়। তারা হার মানতে চাচ্ছে না। তবে তাদের স্কিল আর ট্যাকটিকে দুর্বলতা আছে। সে (আফরা) যদি টেকনিকে উন্নতি করে তাহলে আরো ভালো করতে পারবে।’ জিতবেন চিন্তা করেই কি খেলেছেন? জিনাতের উত্তর- ‘আমি যখন খেলায় যাই, মাথায় চিন্তা থাকে যে, আমি হারব না।’
ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মুখ আরো উজ্জ্বল করতে চান প্রবাসী বক্সার জিনাত। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর অনেক বড় টুর্নামেন্ট আছে। সাউথ এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমস আছে। ইচ্ছা আছে- এ টুর্নামেন্টগুলোতে ভালো খেলার।’ বিশেষ করে এশিয়ান গেমসে পদক জয়ের লক্ষ্যের কথা বলেছেন জিনাত। তার জন্ম নিউ ইয়র্কে। বাবার পৈতৃক ভিটা নবাবগঞ্জে। আর মায়ের বাড়ি পাবনায়। দুই বছর আগে ২০২৩ হাংজু এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তার। স্বামীর অনুপ্রেরণায় ২৭ বছর বয়সে (২০২১ সালে) বক্সিংয়ে যাত্রা শুরু জিনাতের। এরপর ৭টি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ৫টিতেই পদক জিতেছেন। গুগলে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত এই নারী বক্সার বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক এনে দিতে চান।
এবার নারী ও পুরুষ বক্সিং মিলে সর্বোচ্চ ১৭টি স্বর্ণ পদক জিতেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এছাড়া পাঁচটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ জিতেছে তারা।
সপ্তম জাতীয় নারী বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ঘিরে আজ এক উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল পল্টনের মুহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষণীয়। উৎসবের মধ্যমণি হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নারী বক্সার জিনাত ফেরদৌস। আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করলেও জাতীয় বক্সিংয়ে এবারই প্রথম নামলেন। তাকে ঘিরে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয় সবার মাঝে। অনুমিতভাবেই ফাইনালে প্রতিপক্ষকে সুযোগ না দিয়ে একচেটিয়া খেলে স্বর্ণ পদক জিতে নেন এই প্রবাসী বক্সার।
৫২ কেজি ওজন শ্রেণির ফাইনালে জিনাতের প্রতিপক্ষ ছিলেন আফরা খন্দকার। নরসিংদীর গুলওয়েল ক্লাবের হয়ে খেলেন জিনাত। আর বাংলাদেশ আনসারের হয়ে লড়েছেন আফরা। বড় বোনের খেলা সরাসরি উপভোগ করতে স্টেডিয়ামে ছুটে আসেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। তার বাবা-মায়ের সঙ্গে নারী ফুটবলার তৃষ্ণা রাণী, রিপাদেরও দেখা যায় গ্যালারিতে। জিনাতেরও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে আফরা আর জিনাতের ফাইনালটি সেভাবে জমল না। তিন রাউন্ডের খেলার শুরু থেকেই ডিফেন্সিভ মুডে খেলতে দেখা যায় আফরাকে। পুরোটা সময় জুড়ে জিনাত ছিলেন আক্রমণাত্মক। ফাইনালে মঞ্চে নিজের দক্ষতা ও কৌশল দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ৩১ বছর বয়সি এই বক্সার।
জিনাতের কাছে হারলেও আক্ষেপ নেই আফরার। ফাইনাল শেষে এই বক্সার বললেন, ‘আমি চেয়েছিলাম তিন রাউন্ডে ওর সঙ্গে ভালো ফাইট দেব। তিন রাউন্ডই খেলেছি।’ প্রতিপক্ষ হিসেবে জিনাতকে কেমন মনে হলো? আফরা বলেন, ‘বিদেশে সে যে প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিট পেয়েছে, আমাদের চেয়ে অনেক ভালো। আমরাও যদি এই রকম ভালো ফ্যাসিটিলিজ পাই তাহলে আমরাও ওদের মতো ভালো খেলতে পারব।’ ডিফেন্সিভ খেলার প্রসঙ্গে আফরার বক্তব্য, ‘আগে নিজের আত্মরক্ষা। এজন্যই ডিফেন্সিভ খেলেছি। আমি চেয়েছিলাম- দর্শকরা যেন তিন রাউন্ড খেলাটা উপভোগ করতে পারে। পরবর্তী সময়ে তাকে হারানোর চেষ্টা করব।’
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেকেই স্বর্ণ পদক জয়ের পর খুবই রোমাঞ্চিত জিনাত। তিনি বলেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ, আপনার বক্সিংকে অনেক সাপোর্ট করছেন। অনেক ভালো লাগছে আমার কাছে। কত মানুষ আসছে, কত সাপোর্ট করছে, অনেক খুশি লাগছে। এই প্রথম খেললাম, তবে শেষবার নয়।’ দেশের খেলোয়াড় আফরার বিপক্ষে লড়াই করেছেন। তাকে কেমন মনে হলো আপনার? জিনাত বলেন, ‘আমি সবার উদ্দেশে বলছি, আমাদের বাংলাদেশি ছেলে আর মেয়েরা, সত্যিকার অর্থে তারা খেলতে চায়। তারা হার মানতে চাচ্ছে না। তবে তাদের স্কিল আর ট্যাকটিকে দুর্বলতা আছে। সে (আফরা) যদি টেকনিকে উন্নতি করে তাহলে আরো ভালো করতে পারবে।’ জিতবেন চিন্তা করেই কি খেলেছেন? জিনাতের উত্তর- ‘আমি যখন খেলায় যাই, মাথায় চিন্তা থাকে যে, আমি হারব না।’
ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মুখ আরো উজ্জ্বল করতে চান প্রবাসী বক্সার জিনাত। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর অনেক বড় টুর্নামেন্ট আছে। সাউথ এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমস আছে। ইচ্ছা আছে- এ টুর্নামেন্টগুলোতে ভালো খেলার।’ বিশেষ করে এশিয়ান গেমসে পদক জয়ের লক্ষ্যের কথা বলেছেন জিনাত। তার জন্ম নিউ ইয়র্কে। বাবার পৈতৃক ভিটা নবাবগঞ্জে। আর মায়ের বাড়ি পাবনায়। দুই বছর আগে ২০২৩ হাংজু এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তার। স্বামীর অনুপ্রেরণায় ২৭ বছর বয়সে (২০২১ সালে) বক্সিংয়ে যাত্রা শুরু জিনাতের। এরপর ৭টি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ৫টিতেই পদক জিতেছেন। গুগলে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত এই নারী বক্সার বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক এনে দিতে চান।
এবার নারী ও পুরুষ বক্সিং মিলে সর্বোচ্চ ১৭টি স্বর্ণ পদক জিতেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এছাড়া পাঁচটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ জিতেছে তারা।
দারুণ ফর্মে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরোয়া থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবল- প্রতিটি জায়গাতেই দাপট দেখিয়ে চলেছে কোচ জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। লা লিগায় এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৮টিতেই। হার বলতে একটিতে।
৫ ঘণ্টা আগেদারুণ সময় কাটছে আর্সেনালের। আগে থেকেই জয়ের ছন্দে ছিল কোচ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ছুটে চলছিল জয়ে রথে চেপে। তার ধারাবাহিকতায় চ্যাম্পিয়নস লিগে তুলে নিয়েছে আরও একটি বড় জয়। ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এনিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জয় পেল ক্লাবটি।
৫ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনাকে হারানোর পর থেকেই সময়টা যেন ভালো যাচ্ছিল না। মাঠের পারফরম্যান্সে কোথায় যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিল পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানে হোঁচট খেয়ে বসে পরপর দুই ম্যাচে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ছয় গোলের থ্রিলার ম্যাচে জয়বঞ্চিত হয়েছে দলটি।
৬ ঘণ্টা আগেবাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ছেলেও খেলবেন পর্তুগালের জাতীয় দলে। স্বপ্নের সেই পথে একটু একটু করে এগোচ্ছেন তনয় ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। গত মে’তে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে