আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

বিপিএল

নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে বিসিবি

স্পোর্টস রিপোর্টার

নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে বিসিবি

জুলাই বিপ্লবী শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খরব ছড়িয়ে পড়লে গত পরশু রাতে ঢাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় অচলাবস্থার। বিভিন্ন স্থানে চলে বিক্ষোভ। এর মধ্যেই কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত দুটি পত্রিকা অফিসে আগুন দেয়। এমনকি ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানটেও চালায় হামলা, করে ভাঙচুর। সব মিলিয়ে তৈরি হয় বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি। মূলত বিভিন্ন স্থানে এই হামলা-ভাঙচুরের পরই তৈরি হয় নিরাপত্তা শঙ্কা। তাতে আসন্ন বিপিএলের নিরাপত্তা নিয়েও তৈরি হয়েছে শঙ্কা। তবে আপাতত বিপিএল ঘিরে তৈরি হওয়া নিরাপত্তা শঙ্কা নিয়ে শঙ্কিত নয় বিসিবি। এমনটাই জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন। তবে বিপিএলের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে চেয়ে আছে বিসিবি।

দেশজুড়ে তৈরি হওয়া নিরাপত্তা শঙ্কার মধ্যে কীভাবে হবে বিপিএলÑএমন প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে এখন ক্রিকেটপাড়ায়। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে সিলেটে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলের নিরাপত্তা নিয়ে এখনই কোনো চিন্তা-ভাবনা করছে না বিসিবি। এ নিয়ে শাখাওয়াত হোসেন আমার দেশকে বলেন, ‘এখনো নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের শঙ্কার কথা আমাদের জানানো হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত জানান, নিরাপত্তা সংস্থা কিংবা সরকারের কাছ থেকে এখনো নিরাপত্তা শঙ্কা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। ফলে অপেক্ষায় থাকতে হবে।

এর আগে বিপিএল ঘিরে তৈরি হয়েছিল আরো কিছু জটিলতা। ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রি, ক্রিকেটার নিলাম ও ফিক্সিং কাণ্ডে অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা থাকবেন কি নাÑসেসব নিয়েও ছিল জটিলতা। এসব জটিলতা কাটিয়ে যখন বিপিএল আয়োজনের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিসিবি, তখনই তৈরি হয় নিরাপত্তা শঙ্কা। তবে এমন শঙ্কা নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন বিপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকা বিসিবি কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানান তারা।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু জানান, আপাতত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না এলেও তারা অপেক্ষায় আছেন। এ নিয়ে আমার দেশকে তিনি বলেন, ‘আমরা আগামীকাল (আজ) বৈঠকে বসব। সেখানে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা কাল (গত পরশু) রাতের পরিস্থিতি দেখেছি; নিরাপত্তার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি জানান, ঢাকায় বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানানো হয়েছিল। সে কারণে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বিপিএল ঘিরে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত হবে কি না, তা এখনো জানাতে পারেননি ইফতেখার রহমান মিঠু। তবে তিনি নিশ্চিত করেন, নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের পাশাপাশি থাকে বিদেশিদের অংশগ্রহণও। ক্রিকেটার ছাড়াও ধারাভাষ্যকার, ব্রডকাস্ট ক্রু থেকে শুরু করে আরো অনেক বিদেশি জড়িত থাকেন বিপিএল আয়োজনের সঙ্গে। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে বলেও জানান তিনি। ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘অনেক বিদেশি থাকেন বিপিএলে। তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারগুলো আমরা খেয়াল রাখব।’

নিরাপত্তা নিয়ে বিসিবির পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কপালেও আছে চিন্তার ভাঁজ। কারণ, ইতোমধ্যে বিদেশি ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়ে রেখেছে দলগুলো। কোনো কারণে যদি এসব ক্রিকেটারের দেশগুলো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে, সেক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে পারে দলগুলো। এ ধরনের কোনো জটিলতা তৈরি হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হয়ে সরকারের দ্বারস্থ হবে বিসিবি। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক। বিপিএলে পূর্ণ নিরাপত্তার যে আশ্বাস সরকারের কাছ থেকে তারা পেয়েছেন, তা হেরফের হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর

খুঁজুন