প্রথমবারের মতো নারী কাবাডি বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। ২০১২ সালে ভারতের পাটনায় প্রথমবার নারী কাবাডি বিশ্বকাপ হয়েছিল। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় পর বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন নতুন উদ্দীপনা ও সাহস নিয়ে আবারও নারী কাবাডিকে বিশ্বমঞ্চে ফিরিয়ে এনেছে। ইরানের খেলোয়াড় আসমা ফাখরি বলেন, ‘সবকিছুই অসাধারণ ছিল। বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে। আমরা অবাক হয়েছি এমন ব্যবস্থাপনা দেখে। এখানকার মানুষ খুব ভালো ও আন্তরিক। আমরা এখানে সবাই মিলে সময়টা খুব উপভোগ করেছি।’
ভারতের অভিজ্ঞ কোচ তেজস্বিনী বাইয়ের কণ্ঠেও ঝরেছে বাংলাদেশের প্রশংসা, ‘চমৎকার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। এখানে এসে আমার মনে হয়েছে আয়োজন ছিল শীর্ষমানের। এখানকার জল-হাওয়া, আবাসন, খাবার ভীষণ উপভোগ্য। আমি মনে করি, বাংলাদেশ প্রমাণ দিয়েছে, তারাও বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনের সামর্থ্য রাখে।’
আসরের ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল চাইনিজ তাইপে। গত আসরের মতো এবারও শিরোপা গেছে ভারতের ঘরে। তবে আগের আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া চাইনিজ তাইপের ফাইনালে আসাটা ছিল বড় চমক। চাইনিজ তাইপের কোচ ডেভিড সাই বলেন, ‘ব্যবস্থাপনা সত্যিই চমৎকার। একদম বিশ্বমানের আয়োজন। তাইপেতে কাবাডি জনপ্রিয় নয়, সেখানে কোনো সমর্থনও নেই। বাংলাদেশ অসাধারণ কাজ করেছে। আমি বিশ্বাস করি এর ফলে অন্য দেশও এমন আয়োজন করতে উৎসাহ পাবে।’
কেনিয়ার অধিনায়ক মার্সি আকিনিয়ি ওবিয়েরো বলেন, ‘এখানকার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। আবহাওয়া কেনিয়ার মতোই। মনে হচ্ছে যেন নিজের দেশে আছি। এটি আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ, সবচেয়ে বড় মঞ্চ। আমাদের লক্ষ্য ছিল এখানে আনন্দ করা এবং প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করা।’ জার্মানিও প্রথমবার অংশ নেয় বিশ্বকাপে। তাদের অধিনায়ক এমা অ্যাটলে বলেন, ‘অসাধারণ লাগছে। প্রথমে কোর্টে ঢোকার সময় আমরা নার্ভাস ছিলাম, কিন্তু এখন খুব উপভোগ করছি। এখানে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমাদের জন্য এটি আলাদা অভিজ্ঞতা।’
সবচেয়ে জোরালো প্রশংসা এসেছে একেএফ (এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন)-এর মহাসচিব মোহাম্মদ সারওয়ার রানার কাছ থেকে। তিনি বলেন, ‘ব্যবস্থাপনা একেবারে বিশ্বকাপের মানের—বরং তার চেয়েও বেশি। বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে যে ভবিষ্যতে তারা বড় বড় কাবাডি আসর আয়োজন করতে সক্ষম। আমি বিকেএফকে অভিনন্দন জানাই। অসাধারণ কাজ করেছে। আমি ভাবিনি বাংলাদেশ এমন আয়োজন করতে পারবে, তবে তারা প্রমাণ করেছে। সংগঠন এবং দল—দুই দিক থেকেই তারা সফল হয়েছে।’

