এখন ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের যৌক্তিকতা দেখেন না আথারটন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ০০
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ১০
মাইকেল আথারটন

পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে এশিয়া কাপে হাত মেলাননি সূর্যকুমার যাদবরা। নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে হারমানপ্রিত কৌররা ঠিক সেটাই করেছেন পাকিস্তানের মেয়েদের সঙ্গে। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে দুই প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রভাবেই এমনটা ঘটছে মাঠে। বেড়েই চলেছে দুদেশের শত্রুতা। যে কারণে চ্যাম্পিয়ন হয়েও এশিয়া কাপ ট্রফি পায়নি ভারত। শিরোপা ছাড়াই উদযাপন করেছে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কারণ, এসিসি প্রধান মহসিন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে রাজি হননি সূর্যকুমাররা। আর এ কারণে পিসিবি চেয়ারম্যান ট্রফি দিতে রাজিও হননি।

বিজ্ঞাপন

ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ঘটা নো হ্যান্ডশেক ও নো টক বিতর্ক ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছে। দুদলের কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল আথারটন। যুক্তরাজ্যের দ্য টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত কলামে আথারটন লিখেছেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পেছনে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক, দুটো বিষয়ই জড়িত। তবে এভাবে চলতে দেওয়া যায় না।

আথারটন লিখেছেন, ‘এটি বিরল লড়াই হলেও এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিপুল। এ কারণেই আইসিসি টুর্নামেন্টের সম্প্রচারস্বত্ব এত দামে বিক্রি হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩-২৭ চক্রে যা ছিল প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার। দ্বিপক্ষীয় সিরিজের মূল্য কমে যাওয়ায় আইসিসি টুর্নামেন্টের গুরুত্ব বেড়েছে, আর এই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সেই আয়-ব্যয়ের হিসাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

আথারটন মনে করেন, ভারত-পাকিস্তানকে সব আইসিসি টুর্নামেন্টে মুখোমুখি দাঁড় করা উচিত নয় মোটেই, যদিও এ ম্যাচ অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। এ নিয়ে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক লেখেন, ‘একসময় ক্রিকেট ছিল কূটনীতির বাহন। এখন এটি স্পষ্টতই বিস্তৃত উত্তেজনার প্রতীক ও প্রচারণার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। গুরুত্বপূর্ণ একটি খেলা তার আর্থিক স্বার্থে এভাবে সূচি সাজাবে, এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। আর এখন যখন এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তখন তো আরো কোনো যৌক্তিকতা থাকে না।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত