বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীরা ঋণের প্রতিশ্রুতি, অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। বিপরীতে আগের নেওয়া ঋণের পরিশোধের চাপ প্রতি মাসেই বাড়ছে।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৯ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বাড়বে ৫.১ শতাংশ।
বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকস প্রতিষ্ঠিত সাংহাই ভিত্তিক বহুপাক্ষিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) চলতি বছর বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০২২ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে এখন আবার সুদের হার বাড়িয়েছে বিনিয়োগকারী সংস্থাটি। এতে প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিডিবি। ব্যয় বাড়লে মূলত মিটার ব্যবহারকারীদের ঘাড়েই পড়বে উচ্চ সুদের বোঝা।
চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে প্রায় দু’বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় বাড়লেও বিদেশি মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে ঋণের দায় মেটাতেই। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় বাস্তবায়নাধীন সব প্রকল্প পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
বিগত সরকারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনিয়ম বিষয়ে এই সরকার একটি কমিটি করেছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন নামে এই কমিটি তাদের রিপোর্টও জমা দিয়েছে। রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে জিডিপি, মূল্যস্ফীতি ও মাথাপিছু আয়ের পরিসংখ্যানে গোঁজামিল ছিলো। জনগণকে এক ধাঁধার মধ্যে ফেলে ‘উচ্চতর প্রবৃদ্ধির' কাল্পনিক গল্প শোনানো হয়েছে