ইসলাম প্রচারধর্মী দ্বীন। দাওয়াত ও তাবলিগ ইসলামের রক্ষাকবচ। যুগে-যুগে, কালে-কালে তাবলিগের দায়িত্ব পালন করেন পূর্ববর্তী সব নবী-রাসুল। সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবীও এ দায়িত্ব পালন করেন গোটা ২৩ বছর।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে শুরায়ী নেজামপন্থিদের ওপর হামলা চালায় সাদপন্থিরা। তাতে তিন জন নিহত এবং বহু কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন। ঢাকায় কাকরাইল মসজিদ ও ইজতেমা মাঠসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আসন্ন ইজতেমায় তাদের অংশগ্রহ
সংঘর্ষ ও মামলা-পাল্টা মামলায় সাদপন্থিদের আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও মাওলানা যুবায়ের অনুসারীদের প্রথম পর্বের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া ইজতেমার প্রথম পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনও তৎপর রয়েছে।
তাবলীগ জামায়াতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার। ময়দান প্রস্তুতকরণের কাজ এখনও চলছে।
১৯৯৫ সালে তাবলীগের মুরুব্বিরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, দাওয়াত ও তাবলিগের এই মেহনত একক আমিরের পরিবর্তে শুরায়ী নেজামের অধীনে পরিচালিত হবে। ১০ জনের একটি শুরার জামাত গঠন করা হয় তখন মাওলানা সাদও ছিলেন। হঠাৎ করেই ২০১৭ সালে মাওলানা সাদ নিজেকে আমির হিসেবে ঘোষণা করেন। তার অনুসারিরা সাদপন্থি।
তবলীগ জামাতের দিল্লির মাওলানা সাদপন্থিদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও ইজতেমা মাঠে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ ও তৌহিদী জনতা।
বৃহত্তর উত্তরার সর্বোচ্চ উলামা-মাশায়েখ পরিষদ ও সর্বস্তরের তওহিদি জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এরপর প্রতিবাদ সভা ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
তাবলিগ জামাত সংশ্লিষ্ট কাকরাইল মসজিদে শুক্রবার থেকে মাওলানা সাদপন্থিদের সব কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। একই সঙ্গে মাওলানা যুবায়েরপন্থিদের কোনো বড় জমায়েত থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখিত আসামীরা হলেন—মো. রিয়াজ, মো. কিবরিয়া, এম আব্দুর রব ও মোহাম্মদ রাকিব। তারা সবাই স্থানীয় তাবলিগ অনুসারী এবং একটি ইসলামি দলের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় এস এম আলম হোসেন বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত কয়েকশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।