ইরানের নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদিকে প্রাণনাশের হুমকি

আমার দেশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৫, ২১: ২৬
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৫, ২১: ৪৭

তেহরান থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন নোবেল শান্তি পুরষ্কারজয়ী ইরানের কর্মী নার্গিস মোহাম্মদি। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতির মাধ্যমে নোবেল কমিটি এ তথ্য জানায়। নারী ও মানবাধিকারের পক্ষে লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে নার্গিসকে ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবর অনুযায়ী, গত এক দশকের বেশিরভাগ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন মোহাম্মদি। গত ডিসেম্বরে চিকিৎসাজনিত কারণে সীমিত সময়ের জন্য তেহরানের এভিন কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। তবে তাঁর আইনজীবীরা বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন, যেকোনো সময় তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

নরওয়ের নোবেল কমিটির সভাপতি ইয়র্গেন ওয়াটনে ফ্রাইদনেস বিবৃতিতে বলেন, তিনি ৫৩ বছর বয়সী মোহাম্মদির কাছ থেকে একটি ‘জরুরি ফোনকল’ পান। নার্গিস তাকে জানিয়েছেন, তার জীবনের নিরাপত্তা এখন চরম হুমকির মুখে পড়েছে।

ফ্রাইদনেস বলেন, মোহাম্মদি তাকে জানান, শাসকগোষ্ঠীর এজেন্টদের কাছ থেকে তিনি ‘শারীরিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার’ সরাসরি ও পরোক্ষ হুমকি পেয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মোহাম্মদিকে দেওয়া হুমকি থেকে এটা স্পষ্ট যে, যদি তিনি ইরানের অভ্যন্তরে সকল প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সমর্থনে আন্তর্জাতিক প্রচারণা বা গণমাধ্যমে অংশগ্রহণ থেকে নিজেকে দূরে না রাখেন, তাহলে তার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।

কমিটি জানায়, মোহাম্মদি সহ দেশটির শাসকগোষ্ঠীর সমালোচক যেসব নাগরিক এ ধরনের হুমকিতে রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। তারা ইরান কর্তৃপক্ষের প্রতি কেবল তাদের জীবন রক্ষা নয়, তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাও রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে।

নার্গিস মোহাম্মদি ইরানে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপক ব্যবহার এবং নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক পোশাকবিধির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এজন্য মোহাম্মদিকে বারবার বিচার এবং জেলে পাঠানো হয়েছে।

ইরানে নারীদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই নার্গিস মোহাম্মদিকে মূলত নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার গ্রহণের সময় তিনি কারাগারে থাকায় সন্তানেরা তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত