দুই সপ্তাহ ধরে চলা প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ডকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে কম্বোডিয়া। যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে থাইল্যান্ডকে নিরপেক্ষ ভেন্যু মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বৈঠকের কথা বলেছে তারা। মঙ্গলবার এএফপির হাতে আসা এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি অনুযায়ী, চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২৩ জন এবং কম্বোডিয়ায় ২১ জন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি উভয় দেশে মোট ৯ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসাক ফুয়াংকেটকেও এশিয়ান (আসিয়ান) দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার রাজধানীতে বৈঠকের পর ঘোষণা দেন, কম্বোডিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হবে। তিনি জানান, বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সীমান্ত কমিটির কাঠামোর আওতায় বুধবার থাইল্যান্ডের চান্তাবুরি প্রদেশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
তবে একই দিনে থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাত্তাফন নার্কফানিতকে পাঠানো এক চিঠিতে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী টি সেইহা বৈঠকটি কুয়ালালামপুরে আয়োজনের অনুরোধ জানান। চিঠিতে তিনি লেখেন, “সীমান্তে চলমান সংঘর্ষের কারণে নিরাপত্তাজনিত কারণ বিবেচনায় এই বৈঠক একটি নিরাপদ ও নিরপেক্ষ স্থানে হওয়া উচিত।”
টি সেইহা আরও জানান, আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি দেশ হিসেবে মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুরে আলোচনার আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে।
এদিকে সোমবারই কম্বোডিয়া অভিযোগ করে, বৈঠকের ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই থাইল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালিয়েছে। কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচিয়েতা জানান, মঙ্গলবার সকালেও সীমান্ত এলাকায় লড়াই চলছিল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, থাই বাহিনী কম্বোডিয়ার সীমান্ত শহর পইপেত লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে। সীমান্ত পরিস্থিতি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
সূত্র: এএফপি
এসআর
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

