যুক্তরাষ্ট্রে গরুর গোশতের রেকর্ড দাম: যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ২০: ৩৯
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৫, ২০: ৪২

যুক্তরাষ্ট্রে গরুর গোশতের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বারবিকিউ মৌসুমে চাহিদা বাড়লেও এবারের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে আরও গভীর কারণ—গবাদিপশুর সংকট, খরা, আমদানি জটিলতা ও রোগের হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি সহসা বদলানোর সম্ভাবনা নেই। আমেরিকান সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে এসব তথ্য উঠে এছেসে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এক পাউন্ড গরুর কিমার গড় দাম ৬ ডলার ১২ সেন্ট—যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। রান্না না করা বিফ স্টেকের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ ডলার ৪৯ সেন্ট। এ পরিস্থিতির প্রধান কারণ গবাদিপশুর সংখ্যা কমে যাওয়া। ২০২৫ সালের শুরুতে দেশজুড়ে গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৬৭ লাখ, যা ১৯৫১ সালের পর সর্বনিম্ন।

বিজ্ঞাপন

টেক্সাস এঅ্যান্ডএম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ ডেভিড অ্যান্ডারসন জানান, দীর্ঘমেয়াদি খরার ফলে পশুখাদ্যের দাম বেড়েছে। অনেক খামারি প্রজননযোগ্য গরুও বিক্রি করছেন, ভবিষ্যতের ক্ষতি সত্ত্বেও। এতে সাময়িকভাবে সরবরাহ বাড়লেও দীর্ঘমেয়াদে তা আরো সংকট তৈরি করছে।

অন্যদিকে, মেক্সিকোয় একটি পরজীবীর প্রাদুর্ভাবের কারণে সীমান্ত দিয়ে গরু আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ দেশটির জবাইকৃত গরুর প্রায় ৪ শতাংশ আসে মেক্সিকো থেকে। রোগটি যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়লে কৃষি খাতে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

প্রতি বছর ৪০০ কোটি পাউন্ড গরুর মাংস আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র। এর বড় অংশ আসে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে, যেখানকার গোশতের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল। ব্রাজিল থেকে আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকিও খরচ আরো বাড়িয়ে তুলবে।

তবে দাম বাড়লেও মার্কিন ভোক্তারা গরুর গোশতের বিকল্প বেছে নিচ্ছেন না। কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটির কৃষি অর্থনীতিবিদ গ্লিন টনসোরের মতে, গরুর গোশতের স্বাদ ও অভ্যাস ভাঙা সহজ নয়, ফলে চাহিদা স্থির রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরবরাহ সংকট ও আমদানি জটিলতার সমাধান না হলে গরুর গোশতের দাম আরো বাড়তে পারে। ফলে এটি শুধু বাজার নয়, দেশের অর্থনীতির ওপরও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত